ঘরে পা রেখেই সুহেলি বলে উঠল-“দারুণ রুম পেয়েছ তো এবারেরটা! কি সুন্দর সাজানো! ওয়াল পেইন্টিংগুলো জাস্ট…ওয়াও!” ওয়ালেটে ভোটার আই-কার্ডটা রাখতে রাখতে এক ঝলক ঘরটার দিকে তাকিয়ে নিল দিব্য। সত্যিই বেশ দেখতে। সুন্দর সাজানো। এত কম টাকায় এরকম চমৎকার একটা রুম পাবে ভাবেইনি। দিব্য জুতো খুলে ব্যাগটা সাইড টেবিলে রাখতে রাখতেই দেখল সুহেলি নরম বিছানায় টানটান হয়ে শুয়ে পড়ল। ওড়না দিয়ে ঘোমটার মতো করে মুখ ঢাকা। চোখ থেকে সানগ্লাস্টাও খোলেনি। দিব্য অভ্যাসমতো আগে বাথরুম দেখার জন্য উঁকি দিল। নাহ, ফাটাফাটি। অ্যাপে সস্তায় পেয়ে বুকিং করলেও এবারে সত্যিই অনেক ভালো ব্যবস্থা। অন্য অনেকবার এর চেয়েও বেশি টাকা দিয়ে ড্যাম্প ধরা দেওয়াল, বাথরুমে সিগারেটের টুকরো এইসব কোথাও না কোথাও পেয়েইছে।

ব্যাগ থেকে বারমুডা আর টি-শার্ট বের করে নিয়ে দিব্য জিজ্ঞেস করল-“আগে তুমি ফ্রেশ হতে যাবে না আমি?” সুহেলি আলস্য ভঙ্গিতে আড়মোড়া ভাঙছিল। মুখ থেকে ওড়না আর সানগ্লাসটা খুলতে খুলতে বললো-“তুমিই যাও। আমি একটু জানলা দিয়ে রাস্তাটা দেখি। কি ভালো লাগছে এত উপর থেকে সব কিছু দেখতে। দূরে লেক-টাও দেখা যাচ্ছে।“ দিব্য মৃদু হেসে বাথরুমে ঢুকতে ঢুকতে বলল -“বেশ দ্যাখো। আর পারলে কফি অর্ডার করে দিও। আমারটা কিন্তু দুধ-চিনি ছাড়া।“ সুহেলি গভীর দৃষ্টিতে দিব্যর দিকে তাকিয়ে বললো-“এতদিন পরেও কি এটা আমাকে এখনও মনে করিয়ে দিতে হবে!” বুকের মধ্যে কোথাও একটা দলা পাকিয়ে গেল দিব্যর। কিছু না বলে বাথরুমে ঢুকে গেল।

সুহেলি ইন্টারকমে কফি অর্ডার করে দিয়ে এসে জানালার কাচের ওপর মুখ রেখেই বাইরের রাস্তার লোকচলাচল দেখতে লাগল। মনটা একটা ভালো লাগায় ছেয়ে যেতে শুরু করল। তারপর ফিরে এসে নিজের ব্যাগ থেকে নাইটিটা বের করে বিছানার উপর রাখল। মোবাইলটাকে সাইলেন্ট করে দিল সে। সাড়ে বারোটা বাজে, আপাতত আর কোনও ফোন ধরা নয়। দিব্য বেরোতেই সে ফ্রেশ হতে ঢুকে গেল।

টিভি চালিয়ে বিছানায় আরাম করে গুছিয়ে বসল দিব্য। এ.সি অন করে একটা হাল্কা লাইট জ্বালিয়ে বাকিগুলো নিভিয়ে দিল। বাইরে দুপুর হলেও এই ঘরের ভারি পর্দাগুলো সেই গনগনে আলো আটকে রেখেছে। বেল বাজতে দিব্য উঠে গিয়ে দরজা খুলল। কফি এসে গেছে। রুম সার্ভিসের ছেলেটি মিষ্টি হেসে বলল -“স্যার, লাঞ্চের অর্ডার করতে হলে কিন্তু প্লিজ দু’টোর মধ্যে করে দেবেন। মেনু কার্ড টেবিলের ওপরেই রাখা আছে। “দরজা বন্ধ করে কফি নিয়ে বিছানায় এসে বসল দিব্য। সুহেলি বাথরুম থেকে বেরিয়ে বাইরের জামাকাপড় ওয়ার্ডরোবে রেখে নিজেও কফি নিয়ে বিছানায় দিব্যর গা ঘেঁষে বসে পড়ল। নিঃশব্দে দু’জনে কফিতে চুমুক দিতে লাগল। কিছুটা সময় চুপচাপ থাকার পর সুহেলি বললো-“জানো, ভাবছি এই অফিসটা ছেড়েই দেব।“ দিব্য কফি শেষ করে উঠে গিয়ে কাপটা টেবিলের ওপর রাখতে রাখতে বললো-“হ্যাঁ, সে তো কালকেই একটু আধটু শুনছিলাম।“ তারপর ব্যাগ থেকে সিগারেটের প্যাকেট বের করে আবার বিছানায় এসে বসল। সুহেলিও কফি শেষ করে কাপটা রেখে এসে বলল-“দাও, আমাকেও একটা সিগারেট দাও।“ দিব্য এক ঝলক তাকিয়ে দু’টো সিগারেট বের করে নিয়ে সুহেলিকে একটা এগিয়ে দিল। তারপর লাইটার বের করে দু’জনেরটাই ধরিয়ে নিল। ধোঁয়া ছেড়ে সুহেলি বললো-“রোজই অফিসের কেউ না কেউ আকারে ইঙ্গিতে নানা রকম কথা বোঝানোর চেষ্টা করে। এম.ডির ঘরে ঢুকলেই তো সে আপাদমস্তক আগে চোখ বুলিয়ে নেয়। তারপর কাজ সংক্রান্ত কথা। খুব শিগগিরই কিছু না কিছু প্রস্তাব শুনতে হবে মনে হচ্ছে। হয় প্রমোশনের লোভ দেখিয়ে, না হয় অন্য কিছু বলে। তার আগেই আমি ছেড়ে দিতে চাই।“ দিব্য একটা শুকনো হাসি হেসে সিগারেটে টান দিয়ে বলল-“ছেড়ে যাবে কোথায়? যেখানেই যাবে সেখানেই তো তোমার ফ্যান ফলোয়িং হতে থাকবে। সেই ক্লাস টেনে পড়া তোমাকে দেখে একজন অপেক্ষা করে করে সেই তো শেষ অবধি…।” সুহেলি আহত চোখে দিব্যর দিকে তাকিয়ে বলল -“বারবার এই কথাটা বলে কী সুখ পাও তুমি? এটা যে আমার জীবনের সবচেয়ে বড় ভুল সেটা কি প্রতিবার মনে না করিয়ে দিলে তুমি শান্তি পাও না!” দিব্য চুপ করে গেল। অ্যাশট্রেতে সিগারেট নিভিয়ে টিভির দিকে তাকিয়ে রইল। সুহেলিও সিগারেট নিভিয়ে দিয়ে চুপচাপ আবার জানলার দিকে উঠে গিয়ে পর্দা সরিয়ে রাস্তা দেখতে লাগল। তারপর ওখান থেকেই মুখ ঘুরিয়ে দিব্যকে বললো-“তুমি জানো না কেন বারবার ছুটে ছুটে আসি? মাসে এই একটা দিনের জন্য কীভাবে অপেক্ষা করে থাকি! হয়তো কিছু হবার নয় জেনেও…।” দিব্য আর থাকতে পারল না। উঠে গিয়ে সুহেলিকে টেনে এনে জড়িয়ে ধরল। বেশ খানিকক্ষণ এভাবে থাকার পর সুহেলির মুখটা তুলে ধরল নিজের দিকে। চোখে টলটল করছে জল। নিজেকে আর সামলানো সম্ভব হল না দিব্যর পক্ষে। গভীর মমতায় সুহেলির ঠোঁটে ঠোঁট ডুবিয়ে দিল সে। আস্তে আস্তে দু’জনেই এলিয়ে পড়লো বিছানায়। ওভাবেই কেটে যেতে লাগল সময়। তারপর দু’জনেই প্রবল তাড়নায় সরিয়ে ফেলল পোষাকের বাহুল্য। মিশে যেতে লাগল শরীরের ওঠানামা। সুহেলি পরম ভরসায় আঁকড়ে ধরল দিব্যকে। এ একান্তই তাদের মুহূর্ত, পৃথিবীর আর কেউ নেই কোথাও এখন, হয়তো বা ছিলও না!

চাদরের তলায় শুয়ে ফের সিগারেট ধরিয়ে ফেলল দিব্য। সুহেলির চোখ বোজা এক অপার তৃপ্তিতে। যেন এই নেশা সহজে কাটার নয়। দিব্য জিজ্ঞেস করলো-‘এই,কী খাবে? তাড়াতাড়ি অর্ডার করে দিই।“ চোখ বুজেই সুহেলি জবাব দিল-“যা খুশি বলে দাও। তুমি যা খাবে, আমিও তাই।“ লম্বা দীর্ঘশ্বাস ছেড়ে মেনুকার্ড উল্টে দেখতে দেখতে ইন্টারকম তুলল দিব্য। খাবার অর্ডার করে দিয়ে ফের এসে শুয়ে চুপচাপ সিগারেট টেনে যেতে লাগলো। কিছুক্ষণ পরে বলল -“ বিশ্ব পাবলিকেশন থেকে আমার প্রবন্ধের বইটা বেরোচ্ছে এবারের বইমেলায়। ওরা কাল কনফার্ম করেছে।“ সুহেলি বললো-“তুমি বলনি তো কাল?” দিব্য বললো-“তোমাকে সামনাসামনি বলতে চেয়েছিলাম। আর কাকেই বা বলব!” সুহেলি বললো-“কেন, যাকে বলার তাকে তো বলতেই পার।“ দিব্য বললো-“তুমিও তো তবে সব জেনেবুঝে এ কথা বলছ। যাকে বলতে বলছ সে কিছু বোঝে এসবের? বই বেরোবে তাতে কী! না বেরোলেও বা কী!”  সুহেলি পাশ ফিরে জড়িয়ে ধরল দিব্যকে। সিগারেট নিভিয়ে দিব্যও সুহেলির মাথা চেপে ধরল বুকে।

ঘুম ভাঙল বেলের শব্দে। দিব্য তাড়াতাড়ি উঠে বারমুডা-টিশার্ট গলাতে গলাতে সুহেলিকে বললো-“এই ওঠ। নাইটিটা নিয়ে বাথরুমে চলে যাও। খাবার দিতে এসেছে।“ সুহেলি বাথরুমে ঢুকে গেলে ঘরের সব ক’টা আলো জ্বালিয়ে দরজা খুলে খাবারের ট্রে নিল সে। বিছানাতেই টাওয়েল পেতে প্লেটে খাবার সাজিয়ে নিলো। বাথরুম থেকে বেরিয়ে এসে বিছানায় বসে সুহেলি বললো-“এত কিছু কে খাবে? আমি এই অল্প রুটি আর মাংস নিচ্ছি।“ দিব্য হাল্কা ইয়ার্কির সুরে বললো-“কেন, একটু আগে অত কিছু খেয়ে এখন আর খিদে নেই বুঝি!” সুহেলি দিব্যকে অল্প ঠ্যালা মেরে বললো-“যাহ, কীসব আজেবাজে কথা। তোমার মাথাতেও আসে।“ দিব্য বললো-“সেসব আমি জানি না। এইসব খেয়েও কিন্তু আমার খিদে রয়েই যাবে মনে হচ্ছে। বাকিটা তুমি দেখে নিও!” সুহেলি চোখ বড়ো বড়ো করে বললো-“আচ্ছা!!! দেখব’খন, আরো কতোখানি পেলে তোমার খিদে মেটে!” দু’জনেই হাসিঠাট্টা করতে করতে খাবারে মন দিলো।

খাওয়া শেষ করে ফের বিছানায় আধশোয়া হয়ে দিব্য বললো-“সাড়ে তিনটে বাজছে কিন্তু। আর খুব বেশিক্ষণ টাইম নেই।“ সুহেলি দিব্যর বুকে মুখ গুঁজে বললো-“জানি। প্রতিবারই সময়টা ফুরিয়ে যায় দ্রুত আর আবার অপেক্ষা শুরু হয় আমার। এই একটা দিন বা দু’টো দিন মাসে আমি বড্ড ভালো থাকি।“ প্রবল আবেগে দিব্য জড়িয়ে ধরল সুহেলিকে। ফের জেগে উঠতে লাগলো আদিমতা। গোটা ঘর ভরে উঠল চাপা শ্বাসপ্রশ্বাসের শব্দে। ভীষণ ভরসায় দু’জনেই হারিয়ে যেতে থাকল দু’জনের শেষ বিন্দুতে। ওয়াল পেইন্টিঙে বুদ্ধ পরম প্রশান্তিতেচোখ বুজে ধ্যানে বসলেন…।

ফের পর্দা সরিয়ে রাস্তার দিকে তাকিয়ে ছিল সুহেলি। বাথরুম থেকে বেরিয়ে দিব্য বলল-“ তৈরি তুমি?” জবাব দিল না সুহেলি। আস্তে করে সুহেলিকে পেছন থেকে জড়িয়ে ধরল দিব্য। দিব্যর দিকে ঘুরে ফিরে সুহেলি বলল-“আবার ওই নরকে ফিরতে হবে এখন আমায়। হয়তো আবার কিছু নোংরা কথা শুনতে হবে। সে অবশ্য রোজই শুনি, কারণ থাকুক বা নাই থাকুক। শুধু তোমার সঙ্গে কাটানো সময়গুলো মনে করে মন ভালো করে ফেলি।“ দিব্য বলল-“ আমারও কি তাই নয়! নিজের লেখালিখি,পড়াশোনা এসব তোমাকে বলে সুখ পাই। তুমি মতামত দাও, দু’টো কথা বলো। আমি যে কী শান্তি পাই!” দু’জনে দু’জনকে জড়িয়ে ধরে রইল খানিকক্ষণ। তারপর নিজেকে ছাড়িয়ে নিয়ে দিব্য বলল-“চলো এবার বেরনো যাক। সাড়ে ছ’টা বাজছে।“ সুহেলি একটুক্ষণ চুপ করে রইলো, তারপর বললো-“হ্যাঁ চল, যেতে তো হবেই।“

নিচে নেমে রিসেপশনে বিল মিটিয়ে রাস্তায় বেরিয়ে পড়লো দুজন। পাশের একটা গলির মুখে গিয়ে একটু অন্ধকারে দাঁড়িয়ে ব্যাগ খুললো সুহেলি। দ্রুত হাতে পরে নিলো শাঁখা-পলা। চট করে কপালে ছুঁইয়ে নিলো লিক্যুইড সিঁদুর। এইবার সে ভবানীপুরের দত্তবাড়ির একমাত্র ছেলের বউ। তার বাবার বন্ধুর ছেলের তাকে পছন্দ ছিল ছোটবেলা থেকেই। প্রথমে রাজি না হলেও পরে বাবার মুখ চেয়ে মেনে নেয় সুহেলি। ছেলেটিকে তার খুব পছন্দ ছিল না। আর বিয়ের পর থেকেই শুরু গোলমাল। সুন্দরী বউ পেয়ে ডগমগ শোভন দত্তের যেমন গর্ব, তেমনই শুরু সন্দেহ। কোনও প্রমাণ, কোনও কারণ ছাড়াই গায়ে হাত, কটুকথা। এই পরিস্থিতিতেই লিটল ম্যাগাজিন মেলায় একটা স্টলে তার আলাপ হয় দিব্যর সঙ্গে। সমমনস্ক মানুষটিকে পেয়ে খড়কুটোর মতো আঁকড়ে ধরতে দু’বার ভাবেনি সুহেলি।

দিব্যর হাতটা একটু ছুঁয়ে সুহেলি বলল-“আসি। তুমি সাবধানে ফিরো। পৌঁছে জানিও।“ দিব্য বললো-“তুমিও একটা মেসেজ করে দিও পৌঁছে। আর…চুপচাপ থেকো। কথা বাড়িও না।“ সুহেলি হাল্কা হেসে বলল-“চাপ নেই। আমি তো এখন আলাদা শুই। ঘরে ঢুকতেও দিই না। জোর করলে পুলিশে খবর দেবার ভয় দেখাই। দেখি, কদ্দিন আর এভাবে টানতে পারি! যাক, আসি। সাবধানে যেও।“ রাস্তা পার হয়ে বাস ধরতে চলে গেল সুহেলি।

দিব্য হাঁটা লাগাল মেট্রো স্টেশনের দিকে। অবশ্য তাড়াতাড়ি ফিরেই বা কী করবে! তার বউ দীপা তাকে বুঝেই উঠতে পারল না আজ অবধি। প্রেম করে বিয়ে, তবু বুঝতে ভুল হয়ে গেছে তার। তার নিজস্ব লেখালিখির কথা উঠলে ব্যঙ্গ করে তার বউ। সকালে উঠে অফিস বেরোনোর আগে তার সব টুকিটাকি দরকারি জিনিস, খাবার গুছিয়ে দেবার কথা দীপার, অথচ সে ঘুমিয়ে থাকে বেলা আটটা-ন’টা অবধি। সেই কাজগুলো ভোর পাঁচটায় উঠে সেরে ফেলতে হয় দিব্যর মা’কে। জীবনের ওপর ক্রমশ বিরক্ত হতে থাকা দিব্য মিত্রের এরকম একটা সময়েই আলাপ হয় সুহেলির সঙ্গে। দু’জনে তৈরি করে ফেলে নিজেদের দুনিয়া। মাসে এই একটা কি দু’টো দিন অফিস ছুটি নিয়ে, সবার নজর এড়িয়ে নিজেদের এই খুচরো যাপন। দিব্য জানে না এর শেষ কোথায়, জানে না সুহেলিও। হয়তো একদিন সুহেলিকে সরে যেতেই হবে তার জীবন থেকে, আবার হয়তো কখনও কোনও এক দিন অন্যরকম এক পরিণতি পাবে এই সম্পর্ক।

ততদিন এভাবেই হোটেল বুক করে কাটিয়ে দিতে হবে মাসে দু’এক দিনের এই সাময়িক সংসার। যার কোনও নাম নেই… শুধু মোবাইল অ্যাপে বুকিংয়ের সময় ক্লিক করতে হয় ‘আনম্যারেড কাপলস আর অলসো ওয়েলকাম।‘

পড়ানোটা জীবিকা হলেও আসল নেশা বই পড়া। প্রথম ভালোবাসা কবিতা। কবিতা লিখতেই বেশি স্বচ্ছন্দ। দু'টি ক্ষীণকায় বই তার সাক্ষ্য বহন করছে - প্রতিপক্ষ হেরে যাচ্ছে এবং টেগোর সাব অথবা ছিন্নপত্র। আড্ডা দেওয়াটাও আরেকটা গুরুত্বপূর্ণ কাজ বলে মনে করেন। অলমিতি।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *