মাঠের সীমানায় জঙ্গলের ঝোপঝাড়ের আড়াল থেকে একদৃষ্টে বল্লালগড়ের দিকে তাকিয়েছিলেন খোদাবক্স খান। হাতে হাতে দোনলা প্রিচেট পিস্তলের হাতল থেকে ধোঁয়া বেরোচ্ছে তখনও। কাল রাত থেকেই ফাঁদ পেতে বসে রয়েছেন এখানে। সাঁড়াশির মত কেল্লার তিনদিক ঘিরে ফেলেছে কোম্পানির ফৌজ আর কোতোয়ালির সেপাইরা। সঙ্গে বোদে, পাঁচকড়ি আর ওপরগস্তিদের দলবল। রয়েছে জমিদারদের পাইক-লেঠেলরাও। পিছনে খালের দিকটায় অন্য একটা বাহিনী নিয়ে পাহারায় রয়েছেন স্বয়ং এলিয়ট সাহেব, যাতে ওদিকটা দিয়ে কেউ পালাতে না পারে।
এই পুরো যুদ্ধ পরিকল্পনার ভার খোদাবক্সের হাতে ছেড়ে দিয়েছেন ম্যাজিস্ট্রেট ব্লাকুয়ার সাহেব। এই মুহূর্তে হাতের রাইফেলটা উঁচিয়ে নিজেও বসে রয়েছেন খোদাবক্সের ঠিক পিছনে। ব্লাকুয়ারের দুপাশে দু’টো ভীমকায় কামান। দুজন পাগড়িধারী গোলন্দাজ। কামানে গোলা ভরে দাঁড়িয়ে রয়েছে বারুদ মাখানো পলতের লাঠি নিয়ে। সতর্ক টানটান। নির্দেশের অপেক্ষায়। খোদাবক্সের দু’পাশে বোদে আর পাঁচকড়ি সর্দার।
— তুমি ঠিক দেখেছ? মেঘাই ছিল ওটা? দমচাপা গলায় বোদেকে প্রশ্ন করলেন দারোগাসাহেব। জবাবে ঘাড় ঘুরিয়ে খানসাহেবের দিকে তাকাল বোদে। একটা ঘাতক হাসি চোখের কোণে।
— ষোলো আনার ওপর আঠারো আনা ঠিক দেখেছি হুজুর। জন্ম থেকে ওদের সঙ্গে ঘর করছি আমি। এত্তবড় ভুল হবে না আমার। মেঘা শালাই পড়েছে। নিয্যস করে বলে দিতে পারি আমি।
পাশে বসা পাঁচকড়ি সর্দার। ঘাড় নেড়ে বোদের কথায় সায় দিলো সে-ও। শোনামাত্র চকচক করে উঠলো খোদাবক্সের চোখদুটো।
— হোয়াট হ্যাপেন্ড? পিছন থেকে ঝুঁকে পড়লেন ব্লাকুয়ার সাহেব।
— বিশে বাগদি’জ় রাইট হ্যান্ড মেঘা শেখ ইজ ডেড! খুশিতে ফুটছিল খোদাবক্সের গলা।
— ব্রাভো! সোল্লাসে খোদাবক্সের কাঁধে একটা চাপড় মারলেন ব্লাকুয়ার। “লেটস স্টার্ট দ্য ওয়ার এগেইন!”
শোনামাত্র বন্দুকে টোটা ভরে নিল কোম্পানির ফৌজ আর কোতোয়ালির সেপাইরা। ধুন্ধুমার গুলিবৃষ্টি শুরু হয়ে গেল চারদিক থেকে। জবাবে গড়ের মধ্যে থেকে আগুনের হলকার মত একটা কিছু উড়ে এল জঙ্গলের দিকে। পরমুহূর্তেই আরও অনেকগুলো তীরের ফলায় বাঁধা জ্বলন্ত ন্যাকড়া… ঝাঁকে ঝাঁকে আগুনে তীর উড়ে এসে পড়তে লাগল জঙ্গলের মধ্যে। সঙ্গে পাল্টা গুলি, ছুটে আসছে ফোয়ারার মতো। কাটা কলাগাছের মত ধপাধপ মাটিতে লুটিয়ে পড়ল বেশ কয়েকজন পাইক, লেঠেল আর সেপাই। দাউ দাউ আগুন লেগে গেছে একপাশের জঙ্গলে। লোকজনের আর্তচিৎকার।
— ফায়ার! গোলন্দাজদের দিকে তাকিয়ে চিৎকার করে উঠলেন দারোগাসাহেব।
এই পুরো যুদ্ধ পরিকল্পনার ভার খোদাবক্সের হাতে ছেড়ে দিয়েছেন ম্যাজিস্ট্রেট ব্লাকুয়ার সাহেব। এই মুহূর্তে হাতের রাইফেলটা উঁচিয়ে নিজেও বসে রয়েছেন খোদাবক্সের ঠিক পিছনে। ব্লাকুয়ারের দুপাশে দু’টো ভীমকায় কামান। দুজন পাগড়িধারী গোলন্দাজ। কামানে গোলা ভরে দাঁড়িয়ে রয়েছে বারুদ মাখানো পলতের লাঠি নিয়ে। সতর্ক টানটান। নির্দেশের অপেক্ষায়।
একদৃষ্টিতে কেল্লার দিকে তাকিয়েছিল বিশ্বনাথ। একের পর এক কামানের গোলা এসে পড়ছে গড়ের ওপর। দাউ দাউ আগুন চারপাশে। একটু একটু করে মাটিতে মিশে যাচ্ছে বল্লালগড়ের ঢিবি। সকাল গড়িয়ে বিকেল… এখনও চলছে এই মরণপণ যুদ্ধ। বাঁ দিকে তখনও টিঁকে থাকা গম্বুজটার ওপর দাঁড়িয়ে গুলি আর তীর ছুঁড়ছিল নলে আর ওর সঙ্গীরা। এই সময় একটা গোলা উত্তর দিক থেকে উড়ে এসে সরাসরি আছড়ে পড়ল গম্বুজের ওপর। বিকট গর্জনে বিস্ফোরণ সঙ্গে সঙ্গে, হুড়মুড় করে ভেঙে পড়ল বিশাল গম্বুজটা। আকাশ সমান উঁচুতে লাফ দিয়ে ওঠা আগুনের শিখা। কামানের গোলায় আকাশে উড়ে গেল নলের দেহটা। ছিটকে যাওয়া টুকরো দেহাংশ… ছিন্নভিন্ন লাশের স্তূপ চারিদিকে। তখনই উন্মত্তের মত ছুটতে ছুটতে সামনে এসে দাঁড়ালো জলিল।
— সব শেষ বিশুভাই! একটু আগে ফৌজের গুলিতে মারা গেছে সন্ন্যাসী। খালের দিকের জঙ্গলটাও ঘিরে ফেলেছে কোম্পানির ফৌজ আর পাইক-লেঠেল। একটু একটু করে এগিয়ে আসছে ওরা। আমার ছেলেরা এখনও লড়াই দিচ্ছে খুব জোর। এদিকে বন্দুকের গুলিও শেষ প্রায়, মনে হচ্ছে বেশীক্ষণ আর ঠেকিয়ে রাখা যাবেনা শালাদের।
জলিলের দিকে তাকিয়ে সেই বেপরোয়া হাসিটা ফের হাসল বিশ্বনাথ।
— সবকিছু খতম হয়ে যায়নি রে জলিল। শেষ লড়াইটা বাকি এখনও। তোরা আমাকে কথা দিয়েছিলি সেদিন, আমার পাশে থাকবি। মনে হয় সেই সময়টা এসে গেছে। কোথাও কোনও পাহারা রাখার দরকার নেই। যারা বেঁচে আছে সবাইকে নিয়ে চলে আয় এখানে।
— ঠিক আছে বিশুভাই। দৌড়ে চলে গেল জলিল। বাকিদের নিয়ে ফিরে এল কিছুক্ষনের মধ্যেই। রক্তাক্ত, ক্লান্ত প্রত্যেকে। পাশে দাঁড়ানো প্রেমচাঁদের দিকে তাকাল বিশ্বনাথ।
— কি রে, শেষ যুদ্ধটা লড়বি তো? ভিড়টার দিকে তাকিয়ে চেঁচিয়ে উঠল বিশ্বনাথ।
— একশোবার! স্বগর্জনে প্রত্যুত্তর দিলো সবাই।
— জয় তারা! জোরসে কুলকুলি তোল সবাই মিলে।
দাউ দাউ আগুনে ঢাকা পড়ে গেছে বল্লালঢিবি। কুণ্ডলি পাকিয়ে ওঠা ধোঁয়া আর ধুলোর আস্তরণ ভেদ করে দেখা যাচ্ছে না কিছুই। গোলন্দাজ আর সেপাইদের বিশ্রাম দেওয়া হয়েছে। চোখ থেকে দূরবিনটা নামিয়ে ব্লাকুয়ার সাহেবের হাতে তুলে দিলেন খোদাবক্স। যন্ত্রটা চোখে লাগিয়ে অনেকক্ষণ ধরে খুঁটিয়ে খুঁটিয়ে গোটা কেল্লাটাকে জরিপ করলেন ব্লাকুয়ার। তারপর চোখ থেকে দূরবিন সরিয়ে তাকালেন খোদাবক্সের দিকে।
— আই ডোন্ট থিংক এনিবডি ইজ অ্যালাইভ ওভার দেয়ার। শুড উই প্রসিড?
ঠিক তখনই “হা রে রে রে…” আকাশ ফাটানো ভয়াল গর্জন ভেসে এল ধ্বংসস্তূপের মধ্যে থেকে। ধুলো, ধোঁয়া আর আগুনের আস্তরণ ভেদ করে গড়ের ঢাল বেয়ে নেমে আসছে ওরা। সংখ্যায় চল্লিশ-পঞ্চাশজন হবে। হাতে হাতে সড়কি, তলোয়ার, বর্শা আর তিরধনুক। মাঠে নেমেই তীরগতিতে ধেয়ে আসতে থাকল সবাই। নিখুঁত লক্ষ্যে ছোড়া বর্শা আর ছিলে ছিঁড়ে বেরনো তিরের আঘাতে একের পর এক ঘায়েল হয়ে মাটিতে পড়ে যাছে ফৌজ আর পাইকরা। বিস্ময়স্তব্ধ চোখে সেদিকে তাকিয়ে রয়েছেন খোদাবক্স খান। ধুলো আর রক্তে মাখামাখি… আগুনে জ্বলে যাওয়া কতগুলো শরীর… তির আর বল্লম ছুঁড়তে ছুঁড়তে ছুটে আসছে সামনে। মুখে সেই চিরপরিচিত হাড়হিম করে দেওয়া গর্জন- “হা রে রে রে…”
সকাল গড়িয়ে বিকেল… এখনও চলছে এই মরণপণ যুদ্ধ। বাঁ দিকে তখনও টিঁকে থাকা গম্বুজটার ওপর দাঁড়িয়ে গুলি আর তীর ছুঁড়ছিল নলে আর ওর সঙ্গীরা। এই সময় একটা গোলা উত্তর দিক থেকে উড়ে এসে সরাসরি আছড়ে পড়ল গম্বুজের ওপর। বিকট গর্জনে বিস্ফোরণ সঙ্গে সঙ্গে, হুড়মুড় করে ভেঙে পড়ল বিশাল গম্বুজটা। আকাশ সমান উঁচুতে লাফ দিয়ে ওঠা আগুনের শিখা।
ঘোরগ্রস্ত মানুষের মত খোদাবক্স দেখতে লাগলেন। এরা কারা? সেই সেনরাজ আর বারো ভূঁইয়ার মৃত সৈনিকদের প্রেতাত্মা না মহাবলী হজরত আলির অপরাজেয় অশ্বারোহী সেই গাজি বাহিনী… ! মরুভূমির ধুলো উড়িয়ে ছুটে আসছে মাথায় কাফন বেঁধে… চোখের সামনে সবকিছু ঝাপসা হয়ে যাচ্ছিল খোদাবক্সের।
— খুডাবক্স! পিছন থেকে ব্লাকুয়ার সাহেবের তীব্র হুংকার “গিভ দেম অর্ডার!”
— অ্যাটাক! এক ঝটকায় ঘোরটা কাটিয়ে চিৎকার করে উঠলেন খোদাবক্স।
ততক্ষণে পেছনদিক থেকে বাহিনী নিয়ে ঢিবির ওপর উঠে এসছেন এলিয়ট। চারদিক থেকে খোলা মাঠটাকে ঘিরে ফেলে মুহুর্মুহু গোলাবর্ষণ… ছুটে যাওয়া বর্শা আর বন্দুকের গুলি… একের পর এক মাটিতে লুটিয়ে পড়ছে শরীরগুলো… তবুও দৌড় থামছেনা। মৃত সঙ্গীদের লাশ মাড়িয়ে ছুটে আসছে ওরা। পাঁচকড়ি সর্দারের ছোড়া পাঁচমুখো ভল্লায় এফোঁড় ওফোঁড় হয়ে গেল প্রেমচাঁদ ডোম। সামনে শুধু বিশ্বনাথ আর জলিল। সারা গায়ে বিঁধে থাকা তীর আর গুলির ছিদ্র। দৌড় থামার বিরাম নেই তবুও। ঢিবির উপর থেকে ছুটে আসা একটা গুলি সোজা এসে বিঁধে গেল পিঠের পিছনটায়। ফুটখানেক সামনে উড়ে এসে মাটিতে থুবড়ে পড়ল জলিল। গুলিতে গুলিতে ঝাঁঝরা শরীর।
টলতে টলতে সামনে এগিয়ে এল বিশ্বনাথ। কাঁপা কাঁপা হাতে ব্লাকুয়ার সাহেবের দিকে বর্শাটা তাক করার আগেই খোদাবক্সের দোনলা পিস্তল থেকে ছুটে যাওয়া পরপর দুটো গুলি… মাটিতে আছড়ে পড়ল নাতিদীর্ঘ সুঠাম শরীরটা। সবার আগে ছুটে গিয়ে একটানে মাথার পাগড়িটা খুলে ফেললেন খোদাবক্স। তখনও মৃদু মৃদু কাঁপছে শরীরটা।
— শালা!!!
পিছন থেকে চিৎকার করে বল্লম তুলতে যাচ্ছিল বোদে।
— চোপরাও বেওকুফ! তীব্র ধমক দিলেন খোদাবক্স।
— বাহাদুর কা ইজ্জৎ করনা শিখো।
ততক্ষণে পাশে এসে দাঁড়িয়েছেন ব্লাকুয়ার আর এলিয়ট সাহেব। মাঠময় ছড়িয়ে থাকা এফোঁড় ওফোঁড় রক্তাক্ত লাশ। বেয়নেট আর বর্শা দিয়ে খুঁচিয়ে খুঁচিয়ে দেখছিল ফৌজ, সেপাই আর লেঠেল পাইকরা। চুপিসাড়ে উপুড় হয়ে পড়ে থাকা জলিলের দেহটার সামনে গিয়ে দাঁড়ালো বোদে। পিঠ লক্ষ্য করে বর্শা তোলার আগেই বিদ্যুৎগতিতে ঘুরে গেল জলিল। পরমুহূর্তেই হাতের তলোয়ারটা আমুল গেঁথে গেল বোদের বুকে। জলিলের বুকের ওপর উপুড় হয়ে পড়ে গেল বোদে। দৌড়ে গিয়ে কপাল লক্ষ্য করে গুলি চালাল দু’জন তেলেগু সেপাই। একবার কেঁপে উঠেই স্থির হয়ে গেল জলিলের শরীরটা। আচমকা ঘটে যাওয়া ঘটনাটা উন্মত্ত করে তুলল সেপাই আর লেঠেলদের। মাঠজুড়ে পড়ে থাকা রক্তাক্ত লাশগুলো ছিন্ন বিছিন্ন হয়ে যাছে তলোয়ার, বল্লম আর গুলির আঘাতে।
ঠিক তখনই “হা রে রে রে…” আকাশ ফাটানো ভয়াল গর্জন ভেসে এল ধ্বংসস্তূপের মধ্যে থেকে। ধুলো, ধোঁয়া আর আগুনের আস্তরণ ভেদ করে গড়ের ঢাল বেয়ে নেমে আসছে ওরা। সংখ্যায় চল্লিশ-পঞ্চাশজন হবে। হাতে হাতে সড়কি, তলোয়ার, বর্শা আর তিরধনুক। মাঠে নেমেই তীরগতিতে ধেয়ে আসতে থাকল সবাই। নিখুঁত লক্ষ্যে ছোড়া বর্শা আর ছিলে ছিঁড়ে বেরনো তিরের আঘাতে একের পর এক ঘায়েল হয়ে মাটিতে পড়ে যাছে ফৌজ আর পাইকরা।
— স্টপ ফায়ারিং! চিৎকার করে উঠলেন ব্লাকুয়ার সাহেব।
ততক্ষণে বৃত্তাকারে বিশুর দেহটাকে ঘিরে ফেলেছে বিস্বস্ত কয়েকজন ফৌজ।
— ব্রিং ওয়ান বিগ হর্স কার্ট, কুইক! ইমিডিয়েটলি সদরে নিয়ে যেতে হবে একে। যেভাবে হোক বাঁচিয়ে তোলার চেষ্টা করতে হবে।। উই হ্যাভ টু গেট লটস অফ ইনফরমেশন ফ্রম হিম।
খোদাবক্সের দিকে তাকিয়ে উত্তেজিতভাবে বলে উঠলেন এলিয়ট।
নির্দেশ পাওয়ামাত্র ঊর্ধ্বশ্বাসে দৌড়ল কোতোয়ালির দুজন সেপাই।
জন্ম ও বেড়ে ওঠা উত্তর কলকাতার পুরোনো পাড়ায়। বহু অকাজের কাজী কিন্তু কলম ধরতে পারেন এটা নিজেরই জানা ছিল না বহুদিন। ফলে লেখালেখি শুরু করার আগেই ছাপ্পান্নটি বসন্ত পেরিয়ে গেছে। ১৪২১ সালে জীবনে প্রথম লেখা উপন্যাস 'দ্রোহজ' প্রকাশিত হয় শারদীয় 'দেশ' পত্রিকায় এবং পাঠকমহলে বিপুল সাড়া ফেলে। পরবর্তীতে আরও দুটি উপন্যাস 'জলভৈরব' (১৪২২) এবং 'বৃশ্চিককাল' (১৪২৩) প্রকাশিত হয়েছে যথাক্রমে পুজোসংখ্যা আনন্দবাজার এবং পত্রিকায়। এছাড়া বেশ কিছু প্রবন্ধ এবং দু চারটি ছোটগল্প লিখেছেন বিভিন্ন পত্রপত্রিকা আর লিটিল ম্যাগাজিনে। তার আংশিক একটি সংকলন বই আকারে প্রকাশিত হয়েছে 'ব্যবসা যখন নারীপাচার' শিরোনামে। ২০১৭ সালে পেয়েছেন পশ্চিমবঙ্গ বাংলা আকাদেমি পুরস্কার।
ক্লাইম্যাক্স!
নিখুঁত যুদ্ধের পটচিত্র