কোতোয়ালির হাতার মধ্যে বাগানঘেরা ছোট একটা একতলা ঘর। সামনে ছড়ানো বারান্দা। বাগানে সার সার ফুলগাছের কেয়ারি। বেল, চাঁপা, টগর, কাঠগোলাপ… কতরকম ফুল যে ফুটে আছে সেখানে। বাগানের একধারে ছোট খুঁটির ওপর পোঁতা মজবুত কাঠের বড়সড় একটা পায়রার বাক্স। অনেকগুলো গোল গোল খোপ। সাদা, কালো, বাদামি, রংবেরংয়ের পায়রার দল… ঢুকছে বেরচ্ছে খোপগুলো দিয়ে।
একটা ছোট ঝাঁটা হাতে নিচু হয়ে পায়রার ঘর পরিষ্কার করছিলেন খোদাবক্স খান। হাতে, কাঁধে উড়ে এসে বসছে পায়রারা। আলতো করে ঠোকর দিয়ে যাচ্ছে কানে মাথায়। যেন বলতে চাইছে, ‘খাওয়ার সময় তো পেরিয়ে গেল। এবার দানাপানি দাও… দেরি করছ কেন?’ পায়রাদের নরম পালকে আলতো করে হাত বুলিয়ে দিচ্ছেন খোদাবক্স। শিশুর মত একটা হাসি খেলে যাচ্ছে দারোগাসাহেবের চোখেমুখে। সকালবেলার এই সময়টা বড় প্রিয় তাঁর। যতই কাজ থাক নিজে হাতে পায়রা আর ফুলেদের যত্ন করবেনই। একদিনের জন্যেও অন্যথা হয়নি এ নিয়মের। অবসর পেলেই মাঝে মাঝে পায়রাদের আকাশে উড়িয়ে দেন খোদাবক্স। লম্বা বাঁশের ডগায় শালু বেঁধে অনেকক্ষণ ধরে পাক খাওয়ান আকাশে। একসময় ক্লান্ত হয়ে বাসায় নেমে আসে পায়রারা।
সেই কবে মুঘল আমলের গোড়ায় দিল্লি থেকে বাংলায় চলে এসেছিলেন ওঁর দাদা-পরদাদারা। সেই সব নবাবী শখ, গুলবাগিচা বানানো, পতঙ্গবাজি, কবুতরবাজি… বাপদাদার খানদান হয়ে আজও রয়ে গিয়েছে দারোগাসাহেবের মধ্যে।
এ এক আজব চিড়িয়া! মাঝে মাঝে অবাক হয়ে ভাবেন খোদাবক্স। যতই আকাশে উড়ুক, যত উঁচুতেই উঠুক দিনের শেষে ঠিক ফিরে আসবে বাসায়। জঞ্জির নেই, পিঁজরা নেই, তবুও পালিয়ে যাবে না কখনই। দুনিয়ার আর কোন পঞ্ছির মধ্যে এই খুবি নেই। খুদাতালার কী অজীব করিশ্মা।
আকাশে কবুতরদের উড়ান দেখতে দেখতে মাঝেমধ্যেই অতীতে চলে যান খোদাবক্স। সেই কবে মুঘল আমলের গোড়ায় দিল্লি থেকে বাংলায় চলে এসেছিলেন ওঁর দাদা-পরদাদারা। সেই সব নবাবী শখ, গুলবাগিচা বানানো, পতঙ্গবাজি, কবুতরবাজি… বাপদাদার খানদান হয়ে আজও রয়ে গিয়েছে দারোগাসাহেবের মধ্যে।
পায়রার ঘরটা ভালোভাবে সাফসুতরো করে দড়িতে ঝুলিয়ে রাখা পরিষ্কার একটা কাপড়ে হাতটা মুছে নিলেন খোদাবক্স। খাঁচার নিচে একটা মাটির জালায় রাখা বাজরা, গম আর ভুট্টার দানা। পাশে ছোট একটা কুঁজোয় জল। কাঠের পাত্রে খাবার ঢেলে দিলেন দারোগাসাহেব। মাটির সরায় জল দিলেন। খাবারের গন্ধ পেয়ে ডানা ঝটপটিয়ে খোপে ঢুকে পড়ল পায়রারা।
শোনেন না খানসাহেব। নিষ্ঠাবান মুসলমান তিনি। হাজার কাজের মাঝেও পাঁচ ওয়াক্ত নামাজ পড়েন নিয়ম করে। মদ স্পর্শ করেননি কোনদিন। পান, তামাক কোনকিছুর নেশা নেই। শখ বলতে স্রেফ এই দুই। গুলবাগিচা আর কবুতর। এর দেখভালের জিম্মাদারি কারো হাতে ছাড়তে চাননা তিনি।
খাঁচার দরজা বন্ধ করে উঠে দাঁড়াতেই খচ করে ঘা মারল পুরনো কোমরের ব্যাথাটা। অনেকদিন আগে কালনায় শিকরে বাজ ঠ্যাঙাড়েদের দলকে তাড়া করতে গিয়ে ঘোড়া থেকে পড়ে গিয়েছিলেন। সেই থেকে পুরনো সহচরের মত রয়ে গিয়েছে চোটটা। থেকে থেকে চাগাড় দিয়ে ওঠে। বিশেষ করে শীত আর বর্ষাকালে। ব্যাপারটাকে তেমন একটা আমল দেন না খোদাবক্স। বেগমসাহেবা এ নিয়ে বকাবকি করেন মাঝেসাঝে। “বয়স বাড়ছে। এসব বাগান আর কবুতরের দেখভাল… এগুলো তো এখন আরদালি-সেপাইদের কাউকে দিয়ে করালেই হয়।” শোনেন না খানসাহেব। নিষ্ঠাবান মুসলমান তিনি। হাজার কাজের মাঝেও পাঁচ ওয়ক্ত নামাজ পড়েন নিয়ম করে। মদ স্পর্শ করেননি কোনওদিন। পান, তামাক কোনওকিছুর নেশা নেই। শখ বলতে স্রেফ এই দুই। গুলবাগিচা আর কবুতর। এর দেখভালের জিম্মাদারি কারও হাতে ছাড়তে চান না তিনি।
খাঁচার সামনে থেকে উঠে বাগানের দিকে এগিয়ে গেলেন খানসাহেব। গাঁদার চারাগুলো সতেজ হয়ে উঠছে বর্ষার জল পেয়ে। ফুলে ফুলে ভরে গেছে স্থলপদ্মের গাছটা। এদের দেখলেই মেহরুনের কথা মনে পড়ে যায়। মেহেরুন্নিসা। এক লৌতি পেয়ারি বেটি। বছর চারেক আগে শাদি হয়ে চলে গেছে সেই ভূপালে। বেগমসাহেবা সারাদিন ব্যস্ত ঘরগিরস্থির কামকাজ নিয়ে। মেহেরুন্নিসার খালি জায়গাটা ভরিয়ে দিয়েছে ফুল আর কবুতরেরা।
এলিয়ট আর ব্লাকুয়ার সাহেব সবাইকে ছেড়ে বিশে দমনের সম্পূর্ণ দায়িত্ব তুলে দিয়েছেন তার হাতে। এটা পছন্দ করেননি জমিদারবাবু আর নীলকর সাহেবদের অনেকে। নিজের চাকরি জীবনে একটি লাল দামড়ি উৎকোচ নেননি অথচ বিশেকে ধরার জন্য যাবতীয় অর্থ খরচ হচ্ছে তারই হাত দিয়ে। সাফল্য না এলে তার সেই ইমানদারি নিয়েও ঝুটা ইলজাম উঠবে সেটা ভালো করে জানেন খোদাবক্স। কামিয়াবি, একমাত্র কামিয়াবিই পারে এ সবকিছুর মুখবন্ধ করে দিতে।
ঘাড় ফিরিয়ে বাগানের এক কোণে তাকালেন। ছোট এক ফালি খালি জমি। মাটি কুপিয়ে তৈরি করে দিয়ে গেছে মালি। শীতকালে মরশুমি সবজি চাষ হবে। এখন থেকেই তৈরি রাখতে হবে জমিকে। জমিও অনেকটা অওরতের মত। ভরপুর পেয়ার না করলে ফসল দেবে না। একবার ফের খুঁচিয়ে দেওয়া দরকার জমিটাকে। নিচু হয়ে পাশে পড়ে থাকা খুরপিটা তুলে নিতে যাবেন, বাগানের বেড়ার গায়ে পায়ের শব্দ।বেড়ার দরজা খুলে বাগানে ঢুকল নিমাই সেপাই।
— হুজুর, হিরা আর পাঁচকড়ি সর্দার এসেছে।
শোনামাত্র চকচক করে উঠলো খোদাবক্সের মুখখানা।
— এক্ষুনি নিয়ে এস ওদের।
চলে গেল নিমাই। ভিতরে উত্তেজনায় ফুটছেন খোদাবক্স। প্রায় একমাসের ওপর হল কাজের ভার দিয়েছেন ওদের। এখনও কোনও খবর আসেনি। এলিয়ট আর ব্লাকুয়ার সাহেব সবাইকে ছেড়ে বিশে দমনের সম্পূর্ণ দায়িত্ব তুলে দিয়েছেন তাঁর হাতে। এটা পছন্দ করেননি জমিদারবাবু আর নীলকর সাহেবদের অনেকে। নিজের চাকরি জীবনে একটি লাল দামড়ি উৎকোচ নেননি। অথচ বিশেকে ধরার জন্য যাবতীয় অর্থ খরচ হচ্ছে তাঁরই হাত দিয়ে। সাফল্য না এলে তাঁর সেই ইমানদারি নিয়েও ঝুটা ইলজাম উঠবে, সেটা ভালো করে জানেন খোদাবক্স। কামিয়াবি, একমাত্র কামিয়াবিই পারে এ সবকিছুর মুখবন্ধ করে দিতে।
ভাবনার মাঝখানেই ফিরে এল নিমাই। সঙ্গে হিরা আর পাঁচকড়ি। পিছনে আরও দু’জন যাদের চেনেন না খোদাবক্স।
— সেলাম হুজুর। সামনে এগিয়ে এল পাঁচকড়ি সর্দার। এদের নাম কাশেম আর শম্ভু।
— আপনি তো জানেন বিশের ডানহাত বোদে গয়লা বিশের অধীনে থাকলেও অনেকদিন হল আলাদা দল খুলেছিল। সেই দলে বোদের স্যাঙাত ছিল এরা দু’জন। কিছুদিন ধরেই নাকি বোদের চালচলন নিয়ে ওর ওপর খুশি ছিল না বিশে। এদিকে ডাকাতির টাকা অর্ধেক দানছত্তর করে দিতে হবে, মেয়েদের ওপর জুলুম করা যাবে না— বিশের এইসব নিদেন মেনে নিতে পারছিল না বোদেও। দিনকয়েক আগে পরিহার ঘাটের কাছে এক বামুনের বউয়ের নৌকো ডাকাতি করতে গিয়ে বিশের হাতে দলবল সমেত ধরা পড়ে যায় বোদে। মাটিচাঁদার ন্যাজের চাবুক দিয়ে ওকে মারণমার মারে বিশে। তারপর ফেলে রেখে চলে যায় ঘাটে। এরা দু’জন বহুকষ্টে বোদেকে উদ্ধার করে নিয়ে আসে শান্তিপুরের নামজাদা কবরেজ ধন্বন্তরি নিমাই চক্কোত্তির কাছে। সেখানেই এখনও চিকিচ্ছে চলছে ওর।
— ঘোড়া চড়তে পার তোমরা?
শোনামাত্র ঝটিতি প্রশ্ন করলেন খোদাবক্স।
— আজ্ঞে না হুজুর, রণপা চড়তে পারি। ছোটছিপ, বড়ছিপ,বাইচ, বজরা সব বাইতে পারি, কিন্তু ঘোড়া চড়তে পারিনে।
কাঁচুমাচু মুখে জবাব দিল পাঁচকড়ি।
— রণপা আছে তোমাদের সঙ্গে?
— এই মুহূর্তে নেই হুজুর।
আমতা আমতা করে বলল হিরা। নিমাইয়ের দিকে ঘুরে তাকালেন খোদাবক্স।
টাকাপয়সা নিয়ে ভাববেন না আপনি। যত দামি ওষুধ লাগে আনান। যা করার করুন। যেভাবেই হোক রোগীকে বাঁচিয়ে তোলা চাই। এখন থেকে পাঁচকড়ি বা হীরা কেউ একজন থাকবে এখানে। যা লাগবে এদের দুজনকে বলবেন। এছাড়াও দুজন বন্দুকধারী সেপাই বসিয়ে দিয়ে যাচ্ছি। চব্বিশ ঘণ্টা আপনার দরজায় পাহারায় থাকবে ওরা। ঠিক আছে?
— তুই এক্ষুনি একটা বয়েলগাড়ির বন্দোবস্ত কর। দু’টো বয়েল চাই, যেন পঙ্খিরাজের মাফিক দৌড়তে পারে। আরও দু’জন সেপাই আর এদেরকে নিয়ে এখুনি রওনা হয়ে যা শান্তিপুর। আমি ঘোড়ায় যাচ্ছি।
— আজ্ঞে হুজুর।
সেলাম ঠুকে জবাব দিল নিমাই।
কড়কড় গর্জনে ঝলসানো আলোয় আকাশ ফুঁড়ে ছুটে যাচ্ছিল বিদ্যুৎচমক। সেই বিকেল থেকে বৃষ্টি শুরু হয়েছে। আধখোলা জানলা দিয়ে ছুটে আসা হাওয়ায় থিরথির কাঁপছে লম্ফের আলো। ছোট ঘরে মুখোমুখি বসা নিশি কবরেজ আর খোদাবক্স খান। পাশে খাটে শোওয়া বোদে। গলা অবধি চাদরে ঢাকা। ঘুমোচ্ছে অঘোরে।
— রুগির হালৎ কী রকম বুঝছেন কবিরাজ মশাই?
ঝুঁকে পড়ে প্রশ্ন করলেন খোদাবক্স।
— এ যাত্রা টিঁকে যাবে মনে হয়। তবে খরচাপাতি প্রচুর হল। বুঝেছেন কিনা খানসাহেব। বেজায় দামিদামি সব লতাপাতা। পঞ্চাশ বছরের পুরনো ঘি। খরচা আরও বাড়বে মনে হয়।
কথার মাঝখানেই হাত তুলে নিশিকান্তকে থামালেন খোদাবক্স।
— টাকাপয়সা নিয়ে ভাববেন না আপনি। যত দামি ওষুধ লাগে আনান। যা করার করুন। যে ভাবেই হোক রোগীকে বাঁচিয়ে তোলা চাই। এখন থেকে পাঁচকড়ি বা হিরা কেউ একজন থাকবে এখানে। যা লাগবে, এদের দু’জনকে বলবেন। এছাড়াও দু’জন বন্দুকধারী সেপাই বসিয়ে দিয়ে যাচ্ছি। চব্বিশ ঘণ্টা আপনার দরজায় পাহারায় থাকবে। ঠিক আছে? এবার তাহলে আমি উঠি। ঝড় বাদলার রাতে অনেকটা যেতে হবে। সেলাম।
বলে ঘর থেকে বেরিয়ে এলেন খোদাবক্স। সামনে এগিয়ে এল শম্ভু আর কাশেম।
— হুজুর আমাদের ইনামটা।
জবাবে পকেট থেকে বেশ কয়েকটা চাঁদির টাকা বের করে শম্ভুর হাতে গুঁজে দিলেন খোদাবক্স।
— এটা শুরুয়াৎ। বহত উমদা কাম করেছ তোমরা। পাঁচকড়িদের সঙ্গে লেগে থাক আর খবরাখবর দাও। আরও তরক্কি হবে তোমাদের। বহত পয়সা কামাবে দু’জনে।
বলতে বলতে দরজায় বাঁধা ঘোড়ার পিঠে চড়ে বসলেন দারোগাসাহেব। “চল মেরে পঙ্খিরাজ,” পা দিয়ে পেটে হালকা ধাক্কা।
ঝড়ের গতিতে ছুটে চলল ঘোড়া।
আগের পর্ব – শোণিতমন্ত্র ১৭
জন্ম ও বেড়ে ওঠা উত্তর কলকাতার পুরোনো পাড়ায়। বহু অকাজের কাজী কিন্তু কলম ধরতে পারেন এটা নিজেরই জানা ছিল না বহুদিন। ফলে লেখালেখি শুরু করার আগেই ছাপ্পান্নটি বসন্ত পেরিয়ে গেছে। ১৪২১ সালে জীবনে প্রথম লেখা উপন্যাস 'দ্রোহজ' প্রকাশিত হয় শারদীয় 'দেশ' পত্রিকায় এবং পাঠকমহলে বিপুল সাড়া ফেলে। পরবর্তীতে আরও দুটি উপন্যাস 'জলভৈরব' (১৪২২) এবং 'বৃশ্চিককাল' (১৪২৩) প্রকাশিত হয়েছে যথাক্রমে পুজোসংখ্যা আনন্দবাজার এবং পত্রিকায়। এছাড়া বেশ কিছু প্রবন্ধ এবং দু চারটি ছোটগল্প লিখেছেন বিভিন্ন পত্রপত্রিকা আর লিটিল ম্যাগাজিনে। তার আংশিক একটি সংকলন বই আকারে প্রকাশিত হয়েছে 'ব্যবসা যখন নারীপাচার' শিরোনামে। ২০১৭ সালে পেয়েছেন পশ্চিমবঙ্গ বাংলা আকাদেমি পুরস্কার।
মানুষ এক অদ্ভুত জন্তু , খোঁচর, সান্ত্রী, গাদ্দার , দালাল , মেয়ে ব্যবসায়ী , বেশ্যার দালাল , ঝুটা আদমি, চোর, তস্কর, সাহেবের পা চাটা তা সে যে ক্যাটাগরি রই হোক না কেন , তার ও একটা মূল্যবোধ থাকে , যাকে সে খুব মানে , কিন্তু অন্যের কাছে যার কোনো গুরুত্ব না ই থাকলো , সে এতেই খুশি, আত্মগরিমায় ভোগে আবার একেই সে ধর্ম মনে করে। পাঠান খোদাবক্স জন্ম দালাল, জন্ম পা চাটা , সে কিন্তু সাদা সাহেব কে পার্বরদিগারের মতো মান্য করে, তার কাছে ব্রিটিশের দালালি নেক তারাক্কী , এক ধর্মীয় বোধ ! সেটা সে করে বেওয়াফাই এর মহিমায়। এরকম এক খলচরিত্র তে যে ভালোবাসা থাকে তার এক মডেল খাড়া করলেন লেখক। লেখকের অনুভূতি টাই আসল , তাই সংক্রমিত হয় পাঠকের মধ্যে। কুর্নিশ প্রিয় লেখক কে।