কর্মসূত্রে গেছিলেন শহরের বাইরে। সেখানে গিয়ে হঠাৎই জড়িয়ে পড়েন যৌন সম্পর্কে। কিন্তু সঙ্গমরত অবস্থাতেই মৃত্যু হয়ে ফরাসি ভদ্রলোকের। ঘটনা স্বাভাবিকভাবেই আদালত পর্যন্ত গড়ায়। প্যারিস কোর্টের মতে অবশ্য এটি কোনও গুরুতর ঘটনা নয়, স্রেফ ওয়র্কপ্লেস অ্য়াক্সিডেন্ট। সহজভাবে বললে, কাজ করতে গেছিলেন এবং সেখানে একটি দুর্ঘটনায় মৃত্যু হয় সেই ব্যক্তির। এর জন্য ব্যক্তির পরিবারকে কোর্ট আর্থিক ক্ষতিপূরণ দিতে বলেছে। সূত্রের খবর অনুযায়ী, মৃত ব্যক্তি একটি রেলওয়ে কনস্ট্রাকশন সংস্থার সঙ্গে যুক্ত ছিলেন। সেই সংস্থাকে বলা হয়েছে যেহেতু ব্যক্তির মৃত্যু বিজনেস ট্রিপে হয়েছে, তাই সংস্থার মালিকপক্ষ ক্ষতিপূরণ দিতে বাধ্য।

সংবাদমাধ্যমে এই খবর প্রকাশিত হওয়ার সঙ্গে সঙ্গেই চার দিক থেকে নানা মন্তব্য ধেয়ে আসে। অনেকেই আদালতের রায় দেখে হতবাক। জানা গেছে ব্যক্তির নাম এম. জেভিয়ার। উনি ওঁর অফিস টিএসও-র তরফ থেকে কাজে গেছিলেন লয়রে অঞ্চলে। সেখানে এক মহিলার সঙ্গে তাঁর আলাপ হয়। কিন্তু যৌন সম্পর্ক পরিণতি পাওয়ার আগেই হার্ট অ্যাটাক হয়ে যায় ওঁর। প্যারিস আদালতে মামলা দায়ের হয় ২০১৩ সালে। দীর্ঘ মামলা চলার পর অবশেষ কোর্ট তার রায় ঘোষণা করে। টিএসও-কে ক্ষতিপূরণ দিতে বলা হয়।

কিন্তু আদালতের এই রায় মানতে নারাজ সংস্থা। তাঁদের দাবী, জেভিয়ার ব্যক্তিগত কারণে মারা গেছেন, অফিসের কাজ করার সময় নয়। ফলে তারা ক্ষতিপূরণ দিতে রাজি নয়। তারা এ-ও জানিয়েছেন যে জেভিয়ার সম্পূর্ণ অচেনা মহিলার সঙ্গে সঙ্গমে লিপ্ত হয়েছিলেন, তা-ও অফিসের কাজে ফাঁকি দিয়ে, সুতরাং তাঁর মৃত্যুর জন্য সংস্থা কোনওভাবেই দায়ী নন। এমনকি তাঁর মৃত্যু হয়েছে যে হোটেলে, সেই হোটেলে সংস্থা তাঁর থাকার ব্যবস্থা আদৌ করেনি। সুতরাং শুধুমাত্র তিনি সংস্থার কর্মী বলেই তাঁর পরিবারকে ক্ষতিপূরণ দিতে হবে, এই রায়ে সংস্থার মালিকপক্ষ বেজায় অসন্তোষ প্রকাশ করেছেন।

তবে আদালতের যুক্তি একেবারেই আলাদা। কর্মসূত্রে যখন ব্যক্তি বাইরে গেছিলেন এবং সেই স্থানেই তাঁর মৃত্যু হয়েছে, তখন সংস্থা তার দায় এড়িয়ে যেতে পারে না। একই সঙ্গে আদালত আরও জানিয়েছে, যৌনমিলন প্রাত্যহিক জীবনের গুরুত্বপূর্ণ অংশ। রোজ যেমন আমরা স্নান, খাওয়া করি তেমনই সুস্থ জীবন যাপন করতে সঙ্গম প্রয়োজন।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *