হু হু করে হাওয়া দিচ্ছে সোহরা ভ্যালি উপত্যকায়। গাড়ির স্পিডে পিছনে পড়ে রইল মেঘের সাদায়ে মিশে যাওয়া ১৮৪৬ এর প্রেসব্যাটেররিয়ান চার্চ, পাহাড়ের উপর থেকে দেখা বাংলাদেশের জলছবি আর চেরাপুঞ্জি ওরফে সোহরার সবজে হলুদ প্যানর‍্যামিক ভিউ। শুরু হল পাহাড়ি পাইন বন, সবুজ খাদ আর শার্প হেয়ারপিন বাঁক । ঘন মেঘের আড়ালে এখন রাস্তা। সঙ্গে টিপটিপ বৃষ্টি। দু’একটা ছোট গ্রাম, খাসি ছানাদের মিষ্টি হাসি আর একটা দুটো গাড়ির শব্দ দুপুরের এক টানা জার্নিতে ব্রেক আনছে মাঝে মাঝে। মন খারাপ। কারণ ছুটি প্রায় শেষ। মেঘের এই দেশ থেকে ফিরে যেতে হবে পরশুই। পাহাড়ি পথে পাক খেয়ে চলতে চলতে যখন একটু ঝিম ধরে এসেছে আমাদের ছোকরা ড্রাইভার জুবান বলল, “সেক্রেড ফরেস্ট মওফলং যাবে?”  

আমরা নড়েচড়ে বসলাম। সেক্রেড ফরেস্টের কথা তো চেরাপুঞ্জিতেই শুনে এসেছি। দেখার সুযোগ যে হবে ভাবিনি। জুবানের একটা কথাতেই হই হই করে উঠলাম। বাড়ি ফেরার আগে কালকের দিনটা তো আছিই শিলং-এ। মওফলং অভিযানটা মন্দ হবে না। 

-তুমি ইতিহাস ভালবাস ম্যাডাম? খাসি উপজাতির এই সেক্রেড ফরেস্টের অনেক ইতিহাস আছে। তোমার রূপকথা মনে হতে পারে। কিন্তু সব সত্যি। সব।

মুচকি হাসলাম। আমরা হলাম হ্যারি পটারে বড় হওয়া একটা প্রজন্ম। তাই প্রাচীন গল্প, পবিত্র বন আর তার রহস্যময় দেবতা, এই সব শব্দগুলো উচ্চারণ করলেই হল, গল্প শুনতে বসে যাব গোল হয়ে। আর সুবিধা হল আমাদের এই রহস্যের ঘনঘটা বিশ্বাস করতে এখনও তেমন অসুবিধা হয়ে না। ভাগ্যিস! আমি ধরে বসলাম জুবানকে। সেক্রেড ফরেস্টের গল্প বল। পবিত্র বন মওফলং -এ পৌঁছানোর আগে একটা প্রস্তুতি চাই তো ! সামনে কালো মেঘে ঢাকা রাস্তা আর তার মধ্যে শতাব্দী প্রাচীন ইতিহাস, অল্পক্ষণেই জমে উঠল গল্প। যাই হোক, জুবান বলল, পবিত্র বন মওফলং -এর একটি পাতাও কিন্তু বনের বাইরে এনো না। ওটা নিষেধ।

-কেন জুবান?

মওফলং এর নিয়ম এটা মাদাম। মেনে চল। খাসি প্রজাতির মানুষরা অত্যন্ত ধর্মপ্রাণ। ওরা প্রকৃতিকে পূজা করে। তার কোনও অংশে ছেদ পরলে মনে করা হয় রক্ষাকর্ত্রীর নিয়ম ভাঙা হল। তার শাস্তি মৃত্যু পর্যন্ত হতে পারে। হয়েওছে। এই নিয়ে অনেক কিংবদন্তি আছে। তাই সাবধান। অনেক রকম দেবতা আছে ওঁদের, যাঁরা নাকি এই সবুজ বনানির রক্ষাকর্তা। সেক্রেড ফরেস্ট ও আছে অনেক, পুরো মেঘালয় জুড়ে। মওফলং তার মধ্যে পবিত্রতম।

ও মা! গল্প করতে করতে কখন যে শিলং শহরে ঢুকে পড়লাম খেয়ালই করিনি। সন্ধ্যার ঝলমলে লাইটুমুখরায় আমাদের ডেরায় পৌঁছে দিয়ে চলে গেল জুবান। ঠিক হল আগামিকাল সকাল আটটার মধ্যেই ও আমাদের পিক আপ করবে। ফ্রেশ হয়ে ঝলমলে স্ট্রীটে সন্ধ্যেবেলার একটা ওয়াকে বেরলাম আমরা। এনার্জি লেভেল দেখে তখন কে বলবে সারা দিন চেরাপুঞ্জি ঘুরেছি টইটই করে! শিলং- ম্যাজিক  বোধহয় এটাই।  

ঘুম ভাঙল একরাশ রোদ এসে মুখে পরতে। ব্যস্তবাগিশ রোদ্দুরে শিলংবাসীর দিন শুরু হয়ে গিয়েছে ভোর থেকেই। জুবান গাড়ি নিয়ে এসে পড়ল বলে। তাড়াতাড়ি তৈরি হয়ে আমরা বেরোলাম এক অন্য রকম শিলং দেখতে। সে এক গল্পগাথায় মোড়া জঙ্গল। মওফলং। আমাদের শিলং ট্রিপের ওয়াইল্ড কার্ড এন্ট্রি। সেই গল্পই বলব এখানে।  

একটা রোড সাইড কাফেতে ব্রেকফাস্ট সেরে গাড়িতে স্পিড তোলা গেল। শনশনে হাওয়ায় লম্বা লম্বা পাইন আর রডডেনড্রনের মিশুকে ছায়া মসৃণ রাস্তার ওপর আলোআঁধারির আলপনা বুনছে অনবরত। আপার শিলং এর চা বাগান পেরিয়ে গাড়ি চলল সোজা। রাস্তা উঠছে নামছে চড়াই উৎরাইয়ের সঙ্গে তাল মিলিয়ে। একরাশ ফুলে ঢাকা নিঝুম, শ্যাওলা ধরা পাথুরে দেওয়ালের প্রেসব্যটেররিয়ান চার্চের গ্রেভিয়ারড পেরোলো।

প্রায় কিলোমিটার পঁচিশেক পেরোনোর পর মাংগাপ বাজারে এসে শিলং-মৌসিনরাম রোড দুই ভাগ হয়ে এক দিকে চলে গেলো মৌসিনরাম, অন্য দিকে মওফলং। তবে মওফলং এ পৌঁছানোর আগে আর একটা সারপ্রাইজ বাকি ছিল। পাহাড়ি পথে বাঁক ঘুরতেই হঠাৎ একটা অপূর্ব খোলা জায়গা। রাস্তা থেকে দেখা যাচ্ছে নিচের দিগন্ত জোড়া পাহাড়ি ল্যান্ডস্কেপ, ঘাসের ফুলে ঢাকা। দমকা হাওয়ায় অনবরত দুলছে। তারই একধার দিয়ে যতদূর দেখা যায় ঘন সবুজ বন। দূরের নীল পাহাড়ের সারি মিশে আছে একে অপরের সঙ্গে হাল্কা কুয়াশায়। কোন নাম না জানা ব্রিটিশ কাউন্টিতে এসে গাড়ি থামল যেন। এলোমেলো হাওয়ার ঝাপ্টা লাগছে মুখে। মওফলং এর সবুজে সবুজ এমন নয়নাভিরাম রূপের প্রেমে পড়তে বাধ্য যে কেউ। পাহাড়ি রাস্তা ঢালু হয়ে নেমে এলাম ওই নিচের উপত্যকায়। ফাঁকা জায়গায় বহু দূর পর্যন্ত দেখা যাচ্ছে কালো রাস্তার আপস-অ্যান্ড–ডাউন্স।  

গাড়ি পার্ক করে টিকিট কাটা হল। একটা হাফ-ওয়াক বুক করলাম আমরা। সিনবাও আমাদের গাইড। ওর সঙ্গেই শুরু হল আমাদের এক অতি প্রাচীন গল্প কথার টাইম ট্র্যাভেল। ফরেস্টে ঢোকার মুখেই দেখা মিলল, মেনহির আর ডোলমেনের। মেনহির হল খাসি পুরুষদের সমাধি। লম্বাটে, দাঁড়ানো পাথরের ফলক। এই ফলক অত্যন্ত পবিত্র। খাসি জাতির মানুষ ছাড়া এই পাথরে হাত দেওয়া নিষিদ্ধ। ডোলমেন হল মেয়েদের সমাধি ফলক। টেবিল এর মতো রাখা পাথর। এই পবিত্র আত্মারাই সেই কোন কাল থেকে রক্ষা করছেন সেক্রেড ফরেস্ট। মওফলং প্রায় ১৯২ একর জায়গা জুড়ে বিস্তীর্ণ। স্থানীয় মওফলং গ্রামের খাসি সম্প্রদায়ের লোকজনই বংশ পরম্পরায় গোপন ধর্মীয় নিশেধাজ্ঞার সূত্রে সংরক্ষণ করে চলেছে একে। অবাক লাগে শিলং থেকে মাত্র ৩০ কিলোমিটার দূরেই এই সেকালের “সেক্রেড ফরেস্ট”, এখনও তেমন জনপ্রিয় হয়ে ওঠেনি। তাই ভিড় নেই আর সেই কারণেই খানিকটা হলেও এই অপার সৌন্দর্য অটুট। 

ঢুকে পড়লাম জঙ্গলে। সিনবাও পই পই করে বলে দিয়েছে একটা কুটোও হাতে করে না নিতে। এত ক্ষণের ঘন নীল আকাশ এ বার ঢাকা পড়ল অতি প্রাচীন গাছেদের ডাল পালার নক্সার আড়ালে। ভিজে ভিজে পাতার গায়ে ইতস্তত জলের কণা। টুকটাক রোদ এসে পরলে তাতে সাত রঙের বাহার। সামনের পথ পাথুরে। তার উপর শিরা উপশিরার মতো বিস্তৃত মোটা মোটা শিকড়। পুরু পাতার আস্তরণে পা বসে যায় চলতে চলতে। দুইপাশের বনানী কেমন যেন মায়াবি ঘনত্ব সৃষ্টি করেছে। অনবরত পালটাচ্ছে সবুজের রঙ বিন্যাস। নীলচে সবুজ, হলুদ সবুজ, লাল, খয়েরি এমন হাজারো কমপ্লেক্স শেডের হিউ পুরো জঙ্গল জুড়ে। নিস্তব্ধতার মাঝেও বোধ হয় জঙ্গলের একটা অন্য রকম শব্দ আছে। নিজস্ব, ধীর, শান্ত। শুনতে পাচ্ছি সেটা। নেশা ধরছে মনে। খুব ধীর স্বরে সিনবাও শুরু করলো এই বনের রক্ষাকর্ত্রী দেবী লাবাসার গল্প। ওর মিষ্টি আওয়াজ কোথাও এতটুকু শান্তি ভঙ্গ করে না। একটু একটু করে এগোচ্ছি আমরা ওর সঙ্গে। দেবীর চেহারা অজানা। তবে লেপার্ড বা সিংহের রুপেই তাঁকে কল্পনা করা হয়। রুদ্রবেশে দেবী সাপের আকারে কল্পিত। এ যেন এক বিশ্বাসের আরাধনা। যার প্রাণ ভোমরা রাখা আছে এই বনের প্রাচীনতায়। প্রকৃতির সঙ্গে জীবনকে এক ছন্দে বেঁধে চলার এক কখনও না শেষ হওয়া সংস্কৃতিতে। 

হঠাৎ ছেদ পড়ল গল্পে। পাথুরে পথ ছেড়ে আমরা নেমে পড়লাম ফার্ন আর মসের আড্ডায়। একটা লম্বা লগের পিছনে দেখা পাওয়া গেল কালো রঙের মাশরুমের। হাল্কা ধূসর শিন তার গায়ে গায়ে। তার চার পাশে আরও অজস্র মাশরুম হয়েছে। কী সুন্দর রঙ তাদের! পাথরের ওপর ঘন সবুজ মসের লেয়ার। তারই একধারে পড়ে থাকা আর এক লগের পাশে হঠাৎ দেখি কমলা রঙের এক ভারী আশ্চর্য মাশরুম। তার ছাতার তলায় সত্যিকারের ছাতার শিকের মতো কাঠামো । সিনবাও দেখিয়ে চলেছে একটার পর একটা বায়োলজির বইতে পড়া ঔষধি গাছ, রংবেরঙের মাশরুম আর অর্কিড। নতুন পাতা শুকনো হয়ে বায়োমাস হবার স্টেজ বাই স্টেজ স্পেসিমেন। 

পুরনো গাছেদের দল, টাইগার ফার্ন আর অজস্র লতাপাতা একসঙ্গে মিলেমিশে ঘন হয়ে উঠছে ক্রমশ। তাদের দিব্বি চেনা যায় কিন্তু আলাদা করা যায় না। খাসিদের বিশ্বাসে, এটা লিভিং ফরেস্ট। প্রানের বাঁধন বোধহয় এমনই হয়। হাঁটতে হাঁটতে আমরা এসে পড়লাম এক ভারী অদ্ভুত জায়গায়। সামনে লম্বা লম্বি পাথরের সারি। এ হল দেবী লাবাসার মূল পুজা বেদির আগের প্রস্তুতি ফলক। যেকোনো আসন্ন বিপদের হাত থেকে রক্ষা পাবার জন্য খাসিদের দেবী পুজার শুরু এখানেই হতো। প্রাথমিক অনুষ্ঠান গুলো সারা হতো। এতক্ষণে প্রশ্ন এল মনে। সারা হতো মানে? এখন হয় না? সিনবাও বলল, না। যখন কোন ইভিল ফোর্সের মোকাবিলার জন্য এক সুপ্রিম পাওয়ারের প্রয়োজন হয় তখনি এই পবিত্র স্থানে দেবীর আবাহন হয়। শেষবার এইখানে পুজো হয়েছিল ১৯৫০ এর দশকে। তারপর আর প্রয়োজন পড়েনি। দেখো, একেই বোধহয় বলে বিশ্বাসে মিলায় বস্তু…। ইতস্তত ছড়িয়ে আছে মনলিথ। এগুলো হল “স্পট অফ স্যাক্রিফাইস”। পশুবলির সাথে সাথে অনেক অনেক আগে নাকি নরবলির ও রীতি ছিল। সিনবাও বলল, বর্ষার সময় কখনও পারলে একবার এসো। তখনই এই জঙ্গলের আসল রূপ। সে সবুজ চোখে না দেখলে বিশ্বাস হবার নয়। তখন একটা ফুল ওয়াক করো। জঙ্গলের নদীর ধার পর্যন্ত। আর এপ্রিলে মনলিথ ফেস্টিভ্যালে আসতে পারলেও ভাল লাগবে। এই ফেস্টিভ্যাল খাসি সংস্কৃতির  খুব বড় সেলিব্রেশন। ওদের দৈনন্দিন জীবনের চালচিত্রের বাইরে তিন দিনের এক রঙিন উৎসব। 

রাস্তা এবার যেন একটু চওড়া হল। আলোও বাড়ল। ওই হল বাটার ফ্লাই প্ল্যান্ট! গাছের পাতা শুকনো হলে ঠিক যেন প্রজাপতির মতো দেখায়। সিনবাও হাত উঁচিয়ে দেখাল। তারই পাশে দেখা মিলল হলুদ রঙের অর্কিডের। মোমের মতো পাপড়ির গায়ে লাল ছিটে। সবুজের ক্যানভাসে হঠাৎ একটু অন্যরকম রঙ। বেবেরি গাছ ও প্রথম বার দেখলাম। আর দেখা পেলাম এক ঝিঁঝিঁ পোকার। এক্কেবারে পাশ থেকে।

 -দিস ইস দি ওলডেসট খাসি পাইন। সিনবাও-এর কথায় মাথা উঁচিয়ে দেখি এই গাছের সীমা নেই। লম্বা কাণ্ড একহারা সোজা উঠেছে ওই আকাশে। ঘন পাতার আড়ালে ছায়া পড়ছে পুরোটা জুড়ে। পেন্সিলের মতো রোদ তার ফাঁকে ফাঁকে। জঙ্গলের ঠাণ্ডা ছুঁয়ে যাচ্ছে গাল। রুদ্রাক্ষ গাছ পেরিয়ে আমরা প্রায় পৌঁছে গেলাম মূল বেদির কাছে। পবিত্র আত্মাদের এই স্থানের ধর্মীয় গুরুত্ব কতখানি তা বোঝার সাধ্য আমার নেই কিন্তু নিষেধাজ্ঞার পিছনে এই সবুজ রক্ষা করার যে তাগিদ, সেটাই যেন বারবার ঘুরে ঘুরে আসে মনে। এই ট্রাডিশন চলুক। বেঁচে থাক সবুজ খাসি হিলস। আমাদের হাফ ওয়াক এখানেই শেষ হল। অজস্র গাছ চিনিয়ে তাদের নাম বলে চলেছে ছেলেটা। ও যে নিজে বটানির ছাত্র। এখন ছুটি কলেজে। তাই তো পার্টটাইম জব করছে গাইড হিসাবে বটানিরই স্বর্গ রাজ্যে।  

এখান থেকে অভিজ্ঞতা ছাড়া আর কোনও কিছু বাইরে নেওয়ার নিয়ম নেই। তাই প্রান ভরে আরও একবার দেখতে দেখতে ফিরতি পথে রওনা দিলাম। সিনবাও বলে চলেছে খাসি উপজাতির প্রতি, তাদের রাজার প্রতি দেবীর সদয় থাকার কথা। এই মওফলং গ্রামের রাজার নির্বাচন আর অভিষেকের উৎসবের গল্প। ওর প্রতিটি কথা যেন ব্যাক্ত করে শতাব্দী প্রাচীন এক বিশ্বাসের। এই খাসি সম্প্রদায়ের শিরায় শিরায় তা মিশে আছে। জঙ্গল থেকে বেরিয়ে ঘাসের উপত্যকায়ে একটা লম্বা ওয়াকে গেলাম আমরা। গায়ে মাথায় তখন কেবল পাহাড়ি হাওয়ার আদর। এ যেন এক প্রোলঙ্গড ছুটির দেশ। কেউ তাড়া লাগানোর নেই।

সকালের ঝলমলে রোদ এতক্ষণে উধাও। দূরের পাহাড়ে ক্রমশ ঘন হচ্ছে মেঘের ছায়া। ফেরার সময় হল। মওফলং এর রাজত্ব শেষ হয়ে আবার শুরু হল পাইন গাছের ছায়ায় মোড়া ফিরতি রাস্তা। আসার সময় সিনবাও বলেছিল, “আবার এসো”। আমার মন বলছে, এই পাহাড়, ওই মায়াবি আলোয় দেখা সবুজ অরণ্য পুরনো হবে না কখনও। চিরকাল প্রকৃতি সাজিয়ে রাখবে এই মেঘের দেশটিকে পরম যত্নে। তাই ফিরে আসার তাগিদ থাকবে সমস্ত জীবন। মেঘ নেমেছে শিলং পাহাড়ে। খোলা জানলার ফাঁক দিয়ে ভেজা মেঘ ছুঁয়ে যাচ্ছে আলতো করে। 

কিভাবে যাবেনঃ 
শিলং -এ যে কোনও ক্যাব সার্ভিস থেকে মওফলং এর জন্য গাড়ি বুক করে নিতে পারেন। একটু অফবিট তাই কমন স্পট গুলো বেড়ানোর মাঝে মওফলং একটু আলাদা হবে। 

চেক লিসটঃ
# খাবার ও জল সঙ্গে নিয়ে নেবেন। মওফলং এ দোকানপাট নেই।
# লোকাল সংস্কারগুলি একটু মেনে চলতে হবে মওফলং এ। খাসিরা এ ব্যাপারে খুব সেনসিটিভ।
#পথে আরও তিনটি স্পট পড়ে, যে গুলো ক্লাব করে নিতে পারেনঃ এলিফাণ্ট ফলস, আপার শিলং টি এস্টেট ও শিলং পিক।

মাস্ট ডুঃ
ক্যামেরার সদ্ব্যবহার করুন। এতো সুন্দর ল্যান্ডস্কেপ মিস করবেন না।
কোনোমতেই ছাতা নিতে ভুলবেন না। যখন তখন বৃষ্টি নামে এখানে।

ওয়েলকাম টু নেচার।

One Response

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *