[দ্বিতীয় ঘরে আলো জ্বলে। সোফায় বসে প্রখ্যাত বর্ষীয়ান অভিনেতা ইন্দীবর খুরানা (বয়স ৭০)। পাশে তাঁর ছেলে অভিনেতা কোকনদ খুরানা (বয়স ৩২)। একজন ভৃত্য লস্যি ও সন্দেশ দেয়। ওঁরা নেন।]

ভৃত্য: স্যার আপনারা এই ঘরেই বসুন। এইটা ম্যাডাম ভি.ভি.আই.পি-দের জন্য বরাদ্দ করেছেন। খুব কম লোক এ ঘরে বসতে পারবে।

ইন্দীবর: ম্যাডাম অরোরা কোথায়?

ভৃত্য: আসছেন। ছোটস্যার খুব কান্নাকাটি করছেন। ওঁকে সান্ত্বনা দিতে গেছেন।

কোকনদ: ভিকিভাই আছে ওঘরে?

ভৃত্য: হ্যাঁ, ছোটস্যার সকালেই এসেছেন। খুব ভেঙে পড়েছেন।

ইন্দীবর: ঠিক আছে। আমরা এখানেই বসছি। ভিকিদের একটু বলে দিও ভাই।

[ভৃত্য ঘাড় নেড়ে চলে যায়।]

ইন্দীবর: (কোকনদকে বলেন) পাপ্পু শোনো, জাফর একটু পরে এখানে আসতে পারে। এলে হয়তো এই ঘরেই জাফরকে নিয়ে আসবে। আমি তখন থাকব না। বেরিয়ে যাব। তুমিও আমার সঙ্গে চলে যাবে। জাফরকে দেখে আবার এখানে থেকে যেও না।

কোকনদ: আপনি কোথায় যাবেন?

ইন্দীবর: আমার একটা অ্যাড শ্যুট আছে। সরষের তেলের। ওই মনচন্দানিদের কোম্পানিরা বানাচ্ছে। আমার বিকেল থেকে শ্যুটিং। তাও ওদের বলে দিয়েছি আমার ফ্লোরে যেতে আধঘণ্টা দেরি হতে পারে।

কোকনদ: দেরি তো আপনার কোনওদিন হয় না স্যারজি।

ইন্দীবর: তাই তো জানে লোকে। চল্লিশ বছর ধরে ওই সুনামটুকু অন্তত অর্জন করেছি।

কোকনদ: তো আপনি চলে যাবেন। আমার তো আজ কিছু নেই। আমি ওদের সঙ্গে একটু আড্ডা মেরে যাই?

ইন্দীবর: এই, এইটাই আমার তোমাকে নিয়ে প্রবলেম।

কোকনদ: কেন? কী হল?

ইন্দীবর: জাফরকে দেখে তুমি গলে যাও। বারবার বলেছি ওর সঙ্গে একটা রাজকীয় দূরত্ব বজায় রাখবে।

কোকনদ: সে তো আপনিও ওর সঙ্গে পরপর অতগুলো সিনেমা করলেন। দূরত্ব রাখলেন কই?

ইন্দীবর: হ্যাঁ, সিনেমায় অভিনয় করেছি। কিন্তু কখনও দেখেছ তোমার মতো ওকে দেখে আদেখলেপনা করছি? (থামেন) পাপ্পু, তুমি ভুলে যেও না তুমিও একজন স্টার। হয়তো জাফর এখন সুপারস্টার, কিন্তু কে বলতে পারে নেক্সট ছবিটাই হয়তো তোমাকে ওর থেকেও উঁচুতে তুলে দেবে।

কোকনদ: আপনি এখনও আমাকে নিয়ে এসব স্বপ্ন দেখেন? আমি এখন বুঝে  গেছি, আমি যা পেরেছি তাও আমার সাধ্যের বাইরে গিয়ে করেছি। এর থেকে বেশি কিছু আমাকে দিয়ে হবে না।

ইন্দীবর: কে বলেছে তোমাকে? অর্জুন আমাকে নিজে বলেছে, ও তোমাকে নিয়ে ওর পরের ভেঞ্চারে বড় করে ভাবছে।

কোকনদ: আমি তো অর্জুন মেহরোত্রার তিনটে ছবি করেছি স্যারজি। বড় বড় পার্ট। কিছু হল? কারণ সব কটা ছবিতেই জাফর খান মেন হিরো ছিল। লোকে আমাকে দু’নম্বর বলেই জানে। আজীবন তাই জানবে।

ইন্দীবর: পাপ্পু, পাপ্পু, আমি তোমাকে বারবার করে বলেছি বাইরের পৃথিবীর বাস্তবতাই একমাত্র সত্যি নয়। তোমার মনেও একটা সমান্তরাল পৃথিবী চলছে। সেখানে নিজেকে সবসময় উঁচু মর্যাদায় রাখবে।

কোকনদ: কিন্তু সেই পৃথিবী তো মিথ্যে বাবা। আপনি যেভাবে বলেন, আমি সেভাবেও চলে দেখেছি। নিজের ভেতরে ওই কাল্পনিক পৃথিবীকে রঙচঙ দিয়ে নানাভাবে সাজিয়েছি। বৈশাখীতে বাড়ি সাজানোর মতো। কোনওভাবে নিজেকে উঁচুতে রাখতে পারি না। সেই ছেলেবেলার স্লিপে চড়ার মতো নীচে পড়ে যাই।

ইন্দীবর: তার কারণ তুমি ভেতরে ভেতরে ওই জাফর, সাকিব, রোহনদের তোমার থেকে বেশি গুরুত্ব দাও।

কোকনদ: ভয় পাই বাবা ওদের। ওরা মানসিকভাবে আমার থেকে অনেক জোরালো। অনেক শক্ত। হয়তো অনেক হিংস্রও। আপনি আমাকে যে প্রোটেকশনের মধ্যে বড় করেছেন, অতটা মরিয়া হতে জীবনে কখনও শিখিনি।

ইন্দীবর: পাপ্পু, তুমি মানসিকভাবে কেমন, জোরালো না দুবলা, শক্ত না নরম তার ওপর তোমার সামাজিক গ্রহণযোগ্যতা নির্ভর করে না।

কোকনদ: করে বাবা করে। আমার ওই নরম মন আমার পারফরমেন্সে চুঁইয়ে পড়ে। আমি ওই জাফরকে দেখেছি, ও একটা শটের জন্য নিজের সর্বস্ব দিয়ে দিতে পারে। মরেও যেতে পারে। আমি পারি না। আমার হাসি পেয়ে যায়। মনে হয়, লোকগুলো একটা শটের জন্য এরকম পাগলামো করছে কেন?

ইন্দীবর: ওই যে কিলার ইনস্টিংক্ট, ওটাই চ্যাম্পিয়নদের মন পাপ্পু। তোমার ভেতরেও ওটা আছে। কিন্তু তুমি তোমার ভেতরের ওই ইনস্টিংক্টটাকে বিশ্বাস কর না।

কোকনদ: আমি একদম করি না। আমি আপনাকেও দেখেছি বাবা। আপনি এই বয়সেও একটা শটের জন্য কীভাবে নিজেকে ফোকাসড করে রাখেন। নিজেকে যেন বলেন, জীবনে এই শটটাই অভিনেতা হিসেবে আমার শেষ শট্।

ইন্দীবর: এগজ্যাক্টলি। প্রতিটি অভিনেতার এই ইঁদুরদৌড়ের দুনিয়ায় নিজেকে সেইভাবে তৈরি করা উচিত। তোমার এক মুহূর্তের অন্যমনস্কতা তোমাকে নিমেষে এভারেস্টের ওপর থেকে ফেলে দিতে পারে। না, এই বিলাসিতা আমি একদম বরদাস্ত করতে পারি না।

কোকনদ: আর সেইজন্য আপনি আপনার ছেলের বয়সী ওই জাফর, সাকিব, রোহন, সবাইকে প্রতিদ্বন্দ্বী ভাবেন।

ইন্দীবর: অবশ্যই। এই ফিল্ডে কেউ বন্ধু নয় পাপ্পু, সবাই প্রতিদ্বন্দ্বী। এমনকী মদনলাল খুরানা, মানে আমার বিখ্যাত চিত্রকর পিতা যদি চিতা থেকে উঠে এসে আমার উল্টোদিকে এখন শট দিতে দাঁড়ান, আমি আমার ডিরেকটারের থেকে চুপিচুপি জেনে নেব আমার পিতাজির জন্য কত লেন্স ব্যবহার করছেন উনি, আর আমার জন্যই বা কত লেন্স। এটা কতবার তোমাকে বোঝাব পাপ্পু?

কোকনদ: সেই যুক্তিতে তো আমিও আপনার প্রতিদ্বন্দ্বী স্যারজি।

ইন্দীবর: তোমার ব্যাপারটা  অন্য। তুমি আমার। কিন্তু তুমি যদি কোনওদিন আমার সাকসেসে ভাগ বসাও, তখন অবশ্যই তুমিও আমার প্রতিদ্বন্দ্বী। হ্যাঁ, নিশ্চয়ই।

কোকনদ: আমি কোনওদিন আপনার উচ্চতায় উঠতে পারব না বাবা। আমি চেষ্টা করা তো দূরস্থান, ভাবতেও পারি না। আমাকে লোকে দু’নম্বর হিরো বলে জানে, আমি তাতেই জীবনে খুশি।

ইন্দীবর: (ঘড়ি দেখেন) শোনো, কিছুটা সময় আছে। ঘরটাও ফাঁকা। বাড়িতেও আমাদের এসব কথা বলার বিশেষ সময় থাকে না। তোমার মা চানও না যে, আমি তোমাকে এমন কথা বলি যা তোমাকে আঘাত দেয়।

কোকনদ: (হাসে) মা ওইরকমই। সবসময় ভাবে আমি ডিপ্রেসড। আমি যে মায়ের সঙ্গে সারাক্ষণ এত মজা করি, সেটাও মা ভাবে আমার ছদ্মবেশ।

ইন্দীবর: শোনো, যা বলছি মন দিয়ে শোনো। (ওঠেন) আচ্ছা বলতো সবাই যে বলে জাফর আলি খান, সাকিব আলির থেকে বড় অভিনেতা, কিন্তু ওদের কার ছবির বিক্রি বেশি?

কোকনদ: বোধহয় সাকিবের।

ইন্দীবর: কেন?

কোকনদ: সাকিব অবিবাহিত। মহিলা ফ্যান তাই ওর বেশি।

ইন্দীবর: আমি যখন সেভেন্টিজ়ে সুপারস্টার হই, তুমি তখন মায়ের পেটে। বিয়ের সঙ্গে এর কী সম্পর্ক? শোনো, আমাদের সময়েই ‘নমকহারাম’-এর সেকেন্ড লিড মি: বচ্চন, সুপারস্টার রাজেশ খান্নাকে টপকে গিয়েছিলেন। কী করে?

কোকনদ: শুনেছি মি: বচ্চন প্রথম থেকে নিজেকে বেশি ডিসিপ্লিনড রেখেছিলেন।

ইন্দীবর: শুধু তাই নয়। মি: বচ্চনের থেকে রাজেশজির মহিলা ফ্যান অনেক বেশি ছিল। রাজেশজি বিয়ে করার পরেও। দশজন মহিলার মধ্যে সাতজন যদি মি: খান্নাকে পছন্দ করত, তবে হয়তো তিনজন অমিতজিকে। কিন্তু দশজন পুরুষ দর্শকদের মধ্যে ন’জনই বেশি পছন্দ করল মি: বচ্চনকে। ফলে ওই বারো-আট ফ্যানের সংখ্যার হিসেবে উনি সকলকে মেরে বেরিয়ে গেলেন।

কোকনদ: বুঝলাম। কিন্তু আপনি কী বলতে চাইছেন?

ইন্দীবর: তোমাদের সময়ে অঙ্ক অনেক বদলে গেল। কিন্তু ওই বেসিক ইনস্টিংক্ট তো আর বদলায়নি। তুমি ঠিক বলেছ। সাকিবের মহিলা ফ্যান হয়তো বেশি। তুলনায় জাফরের পুরুষ ফ্যান হয়তো বেশি। ধূর্ত ওয়াসিম আলি আবার এই প্রতিদ্বন্দ্বিতার মধ্যে না ঢুকে নিজের অন্যরকম একটা প্রোফাইল তৈরি করল। জাফর আর সাকিব যেখানে সদর দরজায় মারামারি করছে, ওয়াসিম সেখানে রান্নাঘরের জানলা টপকে ঢুকে পড়ল। ওরা প্রত্যেকে নিজের মতো করে প্রতিপত্তি তৈরি করল। এই ধর, রোহন ধাওয়ান, ও-ও তো অভিনেতা বাবার ছেলে, ও কী করে নিজের নাম তিন আলির সঙ্গে ঢুকিয়ে দিতে পারল?

কোকনদ: রোহন ওর প্রথম সিনেমায় ওর পরিচালক বাবার কারণে সুপারস্টার হয়ে গেল যে।

ইন্দীবর: তারপর কি আর সেরকম পারল? ওর বাবা কি আর সিনেমা পরিচালনা করল না? তা নয়। আমি যদিও রোহনের সঙ্গে কাজ করে দেখেছি ও-ও ডিসিপ্লিনড অ্যাকটর।

কোকনদ: আপনি আমাকে কী বলতে চাইছেন, সেটা  বলবেন তো?

ইন্দীবর: তুমি যদি ভেতরে ভেতরে নরম অনুভূতির মানুষ হয়ে থাক, তুমি সিনেমায় তোমার চরিত্রগুলো সেইরকম বাছ। তুমি এবার থেকে অফার পেলে আমার সঙ্গে আর পরামর্শ না করে, নিজের স্বাভাবিক বুদ্ধি দিয়ে চরিত্র নির্বাচন কর। অ্যাকশন ছবিতে অভিনয় বন্ধ করে রোম্যান্টিক ছবিগুলোকে বেশি গুরুত্ব দাও। বলো তো কী করে মি: বচ্চন শোলে করার পরের বছর হৃষিকেশ মুখার্জির ‘মিলি’-তে অভিনয় করেন? উনি ঠিক কীভাবে নিজেকে দেখতে চাইছিলেন? ভাব এগুলো।

কোকনদ: আমি অনেক ভেবে দেখেছি বাবা। অনেক। আপনার জীবন, মি: বচ্চনের জীবন, মি: রাজেশ খান্নার জীবন, মি: রাজ কাপুরের পাশাপাশি মি: শশী কাপুর বা মি: ঋষি কাপুরের জীবন, মি: শাম্মী কাপুরের অন্য প্রোফাইল নিয়ে, মি: দিলীপ কুমারের বা মি: দেব আনন্দের তুলনামূলক জীবন। সব ভেবেছি। কিন্তু ওঁদের সঙ্গে আমার একটা ফারাক আছে বাবা।

ইন্দীবর: কী? কী ফারাক? বোঝাও আমাকে।

কোকনদ: আমার একটা নিয়তি আছে বাবা।

ইন্দীবর: নিয়তি মানে?

কোকনদ: প্রত্যেক মানুষের একটা নির্দিষ্ট নিয়তি থাকে বাবা। সে যতই চেষ্টা করুক, এমনকী তার কর্মফলও তাকে সেই নির্দিষ্ট নিয়তির দিকে টেনে নিয়ে যাবেই।

ইন্দীবর: মানে? ভাগ্যই সব? মানুষের জীবনে নিজের মতো করে ফোকাসড থাকার, কাজ করার, পরিশ্রমের কোনও দাম নেই বলছ?

কোকনদ: আছে হয়তো। হয়তো বলছি কেন, নিশ্চয়ই আছে। কিন্তু আমার ক্ষেত্রে সেই নিয়তি সবসময় হিমালয় পর্বত হয়ে আমার সামনে দাঁড়িয়ে ছিল বাবা।

(ইন্দীবর কিছু একটা বলতে যান, কোকনদ তাকে থামায়)

কোকনদ: আমার সেই নিয়তির নাম ইন্দীবর খুরানা। আপনি। ভারতবর্ষের সিনেমার ইতিহাসে হয়তো সবচেয়ে বড়ো আইকন। আমি যে তাঁর ছেলে। তাঁর ছায়া একটা অভিশপ্ত দুর্ভাগ্যের মতো আমাকে আজীবন তাড়া করে বেরিয়েছে।

 

*ছবি সৌজন্য Pinterest
পরবর্তী পর্ব প্রকাশিত হবে ২২ জানুয়ারি ২০২১
আগের পর্বের লিংক – ১ ২

জন্ম ১৯৬৯, ২৫ সেপ্টেম্বর, মেদিনীপুর। পূর্বতন প্রেসিডেন্সি কলেজ ও কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রাক্তনী। পরবর্তীতে সিটি কলেজে অধ্যাপনা। নাটককার, পরিচালক, অভিনেতা, চলচ্চিত্র পরিচালক, চলচ্চিত্রাভিনেতা, প্রাবন্ধিক, অনুবাদক, গীতিকার সম্পাদক। 'কালিন্দী ব্রাত্যজন' নাট্যগোষ্ঠীর কর্ণধার ও 'ব্রাত্যজন নাট্যপত্রের' প্রধান সম্পাদক। বর্তমান পশ্চিমবঙ্গ সরকারের গুরুত্বপূর্ণ বিভাগের মন্ত্রী। পেয়েছেন বহু পুরস্কার ও স্বীকৃতি। উল্লেখ্য সত্যেন মিত্র পুরস্কার, শ্যামল সেন স্মৃতি পুরস্কার, দিশারী পুরস্কার, রমাপ্রসাদ বণিক স্মৃতি পুরস্কার, খালেদ চৌধুরী স্মারক সম্মান, অন্য থিয়েটারের শ্রেষ্ঠ নাট্য নির্মাণ সম্মান। বাংলা সাহিত্যে অবদানের জন্য পেয়েছেন গজেন্দ্র কুমার মিত্র-সুমথনাথ ঘোষ স্মৃতি সম্মান। তাঁর সম্পাদনায় 'গিরিশ কথা' ও 'শিশির কথা' দু'টি বই তথ্য ও সংস্কৃতি বিভাগ, প: ব: সরকার কর্তৃক প্রকাশিত হয়েছে। পেয়েছেন এবিপি আনন্দ 'সেরা বাঙালি ২০১৯' সম্মান। পেয়েছেন বাংলার নাট্যশিল্প জগতের সর্বোচ্চ সম্মান 'দীনবন্ধু মিত্র পুরস্কার'।

2 Responses

  1. সংলাপ ও অভিনয়- দুটোকেই এমন সুন্দর করে গেঁথে চলেছেন যে পড়তে পড়তে যেন নিজেই ‘চরিত্র’ হয়ে যাচ্ছি। ( কোন ‘চরিত্র ‘ ? সেটা- )
    অপেক্ষায় রইলাম।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *