পেঁয়াজ কাটতে গিয়ে নয়, পেঁয়াজের দাম শুনেই এখন নাকের চোখের জলে ভাসছে ভোজনরসিক বাঙালি। পেঁয়াজের দাম কিলো প্রতি ১০০ টাকা ছাড়িয়ে সদর্পে এগিয়ে চলেছে। তবে শুধু বাংলা নয়, সারা দেশেই পেঁয়াজের আকাশছোঁয়া দাম দেখে সাধারণ জনগণের আকাশ থেকে পড়ার জোগাড়। এই মূল্য়বৃদ্ধির প্রতিবাদে বিহারের আরজেডি বিধায়ক শিব চন্দ্র রাম আজ পেঁয়াজের মালা পরে বিধানসভায় এসেছেন। এদিকে কেন্দ্রের আমদানি রপ্তানি নিয়ামক সংস্থা এমএমটিসি মিশর থেকে ৬০৯০ টন পেঁয়াজ আমদানি করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে তাও ভারতের বাজারে এসে পৌঁছতে মাসখানেক লাগবে। একটি লিখিত বিবৃতিতে খাদ্য় মন্ত্রী রামবিলাস পাসওয়ান বলেন ২০১৯-২০ তে বৃষ্টি আসতে দেরি হবার কারণে ফসল বুনতে ৩-৪ সপ্তাহ দেরি হয়। আবার ফসল তোলার সময়ে মহারাষ্ট্র, মধ্য়প্রদেশ এবং কর্ণাটকে বৃষ্টি চলতে থাকার কারণে মাঠেই প্রচুর নষ্ট হয়ে যায়। ফলত খরিফ উৎপাদন ক্ষতিগ্রস্ত হয়।
এই উর্ধ্বমূখী দাম সামাল দিতে নাজেহাল ছোটবড় সমস্ত খাবারের ব্য়বসায়িক সংস্থা। দক্ষিণ কলকাতার জনপ্রিয় ক্য়াফে বিগ ব্য়াং-এর কর্ণধার অভিনব দাশগুপ্ত জানালেন, “খাবারের দাম তো রাতারাতি বাড়ানো সম্ভব নয়, তাই এই বাড়তি দাম হজম করা ছাড়া কোনও উপায় নেই তবে ব্য়বসায় এর প্রভাব পড়ছেই।” শহরের অনেক খাবারের দোকান ইতিমধ্য়েই কাবাব বা ফিশফ্রাই-এর মতো খাবারের সঙ্গে পেঁয়াজ দেওয়া বন্ধ করেছে। নতুন নতুন পেঁয়াজবিহীন আমিষ রেসিপির খোঁজে ইউটিউব হাতড়াচ্ছেন গৃহবধূরাও। গৃহবধূ পৌলমী ব্যানার্জি বাংলা লাইভকে জানালেন “পেঁয়াজ রসুন বাটার বদলে আদা জিরে বাটা, আদা রসুন বাটা দিয়েই আপাতত হেঁসেল চালাতে হচ্ছে।”
অতীতে ১৯৯৮ সালে বাজপেয়ি সরকারের আমলে এবং পরে ২০১০ সালে ইউপিএ সরকারের আমলেও পেঁয়াজের দামে লাগামছাড়া বৃদ্ধি হয়। তারও আগে ১৯৮০ সালে পেঁয়াজের দামকে হাতিয়ার করেই ইন্দিরা গান্ধী ক্ষমতায় ফেরেন। এবার এই পেঁয়াজের পেঁয়াজি দেশের লোককে কতদিন সহ্য় করতে হয়, এখন সেটাই দেখার অপেক্ষা।
স্বতন্ত্র‚ চমকপ্রদ ও মন ভালো করা খবর পেশ করার চেষ্টা করি আমরা | প্রতিবেদন বিষয়ে আপনাদের মতামত জানান 'কমেন্ট' বক্সে | আপডেট পেতে ফলো করুন https://www.facebook.com/banglaliveofficial/