নটগুরু গিরিশচন্দ্র প্রয়াত হন ১৯১২ সালে। তাঁর হাত ধরে বাংলা নাট‍্যজগৎ সাবালকত্ব পায়। যাকে আমরা বলি, ‘গিরিশ যুগ’। গিরিশবাবুর আমল থেকেই থিয়েটারের পৃষ্ঠপোষকতায় এগিয়ে আসেন ব‍্যবসাদার ও ধনী অভিজাত শ্রেণির একাংশ। সেইভাবেই, ১৯২০-২১ সালে তখনকার এক নামকরা সিনেমা তৈরির সংস্থা ম‍্যাডান কোম্পানি, থিয়েটারি ব‍্যবসায় এসে, “বেঙ্গল থিয়েট্রিক‍্যাল কোম্পানি” নামে একটি বঙ্গীয় নাট‍্যশালা খোলে। কিন্তু, শুরুর দিকে যখন কিছুতেই তা জমছিল না,সেই সময়ে তাঁরা খবর পেলেন, ইউনিভার্সিটি ইন্সটিটিউট, বউবাজারের ওল্ড ক্লাব ইত‍্যাদি জায়গায় অপেশাদার থিয়েটারে শিশিরকুমার ভাদুড়ী (Sisir Kumar Bhaduri) নামে এক অভিনেতা বেশ আলোড়ন ফেলেছেন। পেশায় তিনি তখন মেট্রোপলিটন ইন্সটিটিউশনে (পরে বিদ‍্যাসাগর কলেজ) ইংরেজি সাহিত্যের অধ‍্যাপক। থিয়েটার তাঁর শখ। কিন্তু অভিনয়ে দারুণ দক্ষ। অনেকেই তখন শিশিরকুমারের নাম করছেন। ম‍্যাডান কোম্পানির নজর পড়ল তাঁর দিকে। কারণ, কোম্পানি বাঁচানোই তখন তাদের লক্ষ্য। ম‍্যাডান-এর প্রধান মালিক জে.এফ.ম‍্যাডানের জামাই রুস্তমজী ধোতিওয়ালা ছিলেন ‘বেঙ্গল থিয়েট্রিক‍্যাল কোম্পানি’-র দায়িত্বে। তিনিই যোগাযোগ করলেন শিশিরকুমারের সঙ্গে। সেই প্রস্তাব শুনে প্রথমেই কিছু বললেন না শিশিরকুমার। দুদিন ভেবে, তিনি গেলেন স্বনামধন্য আশুতোষ মুখোপাধ‍্যায়ের কাছে এ ব‍্যাপারে পরামর্শ নিতে। আশুবাবু মত দিলে, শিশিরকুমার চাকরি ছেড়ে দিয়ে পুরোপুরিভাবে যোগ দিলেন থিয়েটারে। এ ব‍্যাপারে তাঁর অভিন্নহৃদয় বন্ধু, আরেক নাট‍্য-নক্ষত্র নরেশচন্দ্র মিত্রের প্রবল উৎসাহও কাজ করেছিল।

আরও পড়ুন- প্লেব্যাক থেকে অভিনয়: বহুমুখী অনুভার দীপ্তি

থিয়েটার কোম্পানিতে যোগ দিয়ে, প্রথমেই শিশিরকুমার মঞ্চস্থ করলেন, ক্ষীরোদপ্রসাদ বিদ‍্যাবিনোদের ‘আলমগীর’। নাটক সম্পাদনা থেকে শুরু করে, সামগ্রিক উপস্থাপনার প্রতিটি ক্ষেত্রে এমন নতুনত্বের ছোঁয়া এর আগে দর্শক সেভাবে দেখেননি নাট‍্যমঞ্চে। ফলে, শুরুতেই বিপুল জন-সমাদর। সময়টা ১৯২১ সাল। এর পরের বছর, ১৯২২ সালে একই নাট‍্যকারের ‘রঘুবীর’-এ নাম ভূমিকায় ও দ্বিজেন্দ্রলালের ‘চন্দ্রগুপ্ত’ নাটকে ‘চাণক‍্য’ চরিত্রে রূপদান করে চারিদিকে হৈচৈ ফেলে দিলেন। বাংলা নাট‍্যমহলের কর্তাব‍্যক্তিরা মনে মনে বেশ সমীহ করতে শুরু করলেন নবীন প্রতিভাটিকে। এই সমীহের ধরন কোন পর্যায়ের ছিল, তা বোঝা গিয়েছিল বছরখানেক পরেই।

Sisir Kumar Bhaduri

যতই থিয়েটারে প্রবেশ ঘটুক, আদতে তো কোম্পানির অধীন। শিশিরকুমারের ভেতরে হয়তো তখন থেকেই ধীরে ধীরে কাজ করছিল সম্পূর্ণ নিজে কিছু করার ভাবনা। কিন্তু তখনও তা সেভাবে দানা বেঁধে ওঠেনি অন্তরে। এইসময়, একইসঙ্গে দু’দিক থেকে অনুকূল হাওয়া বইলো। একদিকে যেমন হাতে পেয়ে গেলেন একঝাঁক নতুন প্রতিভা, অন‍্যদিকে তেমনই মিললো ইডেন গার্ডেন্স-এ অনুষ্ঠিত “ক‍্যালকাটা ফেস্টিভ্যাল”-এ নাট‍ক মঞ্চস্থ করার সুযোগ। সময়টা ১৯২৩ সালের ডিসেম্বর। পরাধীন দেশে ভারতীয়দের হাতে থাকা কলকাতা করপোরেশন প্রতি বছর ঐ সময়ে আয়োজন করত এই উৎসবের, যেখানে মানুষ আসতেন প্রচুর। শিশিরকুমার এখানে অভিনয়ের জন্যে বাছলেন দ্বিজেন্দ্রলালের ‘সীতা’ নাটক। নাম ভূমিকায় প্রতিভাময়ী প্রভা দেবী এবং ‘রামচন্দ্র’ শিশিরকুমার স্বয়ং। বাকি যে তরুণদল বিভিন্ন চরিত্রে অভিনয় করলেন, তাঁরা হলেন— বিশ্বনাথ ভাদুড়ি, ললিতমোহন লাহিড়ী, যোগেশচন্দ্র চৌধুরী, মনোরঞ্জন ভট্টাচার্য, জীবন গঙ্গোপাধ‍্যায়, রবি রায় প্রমুখ। দারুণ জমে গেল নাটক। দর্শক ও কর্তৃপক্ষের অনুরোধে পরপর ক’দিন শো করতে হল। এর ফলে, ঘটল একটি মোড়-ফেরানো ঘটনা। ‘সীতা’-র এহেন সাফল‍্য দেখে এবং সঙ্গে পাওয়া তরুণ প্রতিভাদের কথা চিন্তা করে, শিশিরকুমার ভাদুড়ী নিজের দল নিয়ে পাকাপাকিভাবে পেশাদারি রঙ্গমঞ্চে যোগ দেবার সিদ্ধান্ত নিলেন। বাংলা নাট‍্যজগতে ‘শিশির যুগ’-এর বীজটি সেদিন এইভাবেই রোপিত হয়েছিল বলা যায়। কিন্তু এর শুরুর পথ মোটেই মসৃণ হয়নি। দেখা যাক কী হয়েছিল?

Dwijendra Lal Roy
দ্বিজেন্দ্রলাল রায়

শিশিরবাবু ঠিক করলেন, দ্বিজেন্দ্রলালের ‘সীতা’ নাটক দিয়েই স্বাধীনভাবে তাঁর পেশাদারি নাট‍্য-অভিযান শুরু করবেন। সেইমতো ‘অ্যালফ্রেড থিয়েটার’ (পরে গ্রেস সিনেমা) নেওয়া হল। পুরোদমে চলতে লাগল নাটকের মহড়া। আগেই বলা হয়েছে, শিশিরকুমার ইতিমধ্যেই নাট‍্যমহলের কতটা সমীহ কুড়িয়েছেন। তখন স্টার-এ অভিনয় করছে ‘আর্ট থিয়েটার’। যার অধ‍্যক্ষ প্রখ্যাত নট ও নাট‍্যকার অপরেশচন্দ্র মুখোপাধ‍্যায় এবং সম্পাদক প্রবোধচন্দ্র গুহ। শিশিরকুমার পেশাদারি রঙ্গমঞ্চে দ্বিজেন্দ্রলালের ‘সীতা’ নিয়ে আবির্ভূত হতে যাচ্ছেন, এটা আর্ট থিয়েটারের লোকেদের বেশ ভাবালো। তখন দ্বিজেন্দ্রলাল রায় ধরাধাম ছেড়েছেন বছর দশেক হয়েছে (১৯১৩)। স্বভাবতই কপিরাইটের মেয়াদ বহাল আছে। ফলে এই নাট‍্যকারের কোনও নাটক মঞ্চস্থ করতে গেলে, তাঁর আইনত উত্তরাধিকারীর অনুমতি চাই। শিশিরকুমারের ঘনিষ্ঠ বন্ধু ছিলেন দ্বিজেন্দ্র-পুত্র দিলীপকুমার রায়। কিন্তু সেইসময় তিনি কলকাতার বাইরে, ফিরবেন কদিন পর। শিশিরবাবু ভেবে রেখেছিলেন, দিলীপকুমার ফিরলেই অনুমতি নিয়ে নেবেন। যাতে কোনওই অসুবিধে হবে না। এদিকে ‘আর্ট থিয়েটার’ গোপনে খবর নিলো কোন ট্রেনে, কবে দ্বিজেন্দ্র-পুত্র ফিরছেন কলকাতায়। সেইমতো, হাওড়া স্টেশনে তারা লোক পাঠিয়ে, দিলীপ রায়কে মালা পরিয়ে অভ‍্যর্থনা করে সোজা নিয়ে এলেন স্টার-এ এবং কিনে নিলেন ‘সীতা’ নাটকের অভিনয়-স্বত্ব। দিলীপকুমার তো জানেন না, যে শিশিরবাবু নাটকটি করার পথে অনেকদূর এগিয়ে গেছেন। তাই এককথায় অনুমতি দিয়ে দিলেন। কিন্তু, ‘আর্ট থিয়েটার’ সেইসময় কোনওরকম পরিকল্পনা করেইনি নাটকটির প্রযোজনার ব‍্যাপারে। শুধুমাত্র শিশিরকুমারকে চূড়ান্ত বিড়ম্বনায় ফেলাই ছিল তাদের উদ্দেশ্য। এই নিন্দাজনক ঘটনাটি নিয়ে শিশির-ঘনিষ্ঠ হেমেন্দ্রকুমার রায়, তাঁর সম্পাদিত ‘নাচঘর’ পত্রিকায় ‘সীতাহরণ’ নামে একটি অসাধারণ লেখা লিখেছিলেন।

Sisir Bhaduri on Seeta_1933
‘সীতা’ নাটকে শিশিরকুমার

যাই হোক, এই ঘটনায় সবকিছু গোলমাল হয়ে গেল। ডি.এল রায়ের ‘সীতা’ তো করা যাবে না। কিন্তু অনুষ্ঠানের দিনটাকে তো সামলাতে হবে। প্রচার হয়ে গেছে। তখন শিশিরকুমারের বন্ধু সাহিত‍্যিক ও নৃত‍্যবিশারদ মণিলাল গঙ্গোপাধ‍্যায় তড়িঘড়ি ‘বসন্তলীলা’ নামে একটি গীতিনাট‍্য লিখে ফেললেন। গান লিখলেন হেমেন্দ্রকুমার রায়। সংগীত পরিচালনা করলেন গুরুদাস চট্টোপাধ্যায় এবং সেই প্রথম কণ্ঠশিল্পী ও অভিনেতা হিসেবে মঞ্চে অবতীর্ণ হয়ে অভিনয় জগতে পা রাখলেন কৃষ্ণচন্দ্র দে। অধিকাংশ গান গাইলেন তিনি।

অ্যালফ্রেড-এ ‘বসন্তলীলা’ অভিনয়ের দিনটি ছিল ১৯২৪ সালের ২১ মার্চ। কিন্তু, এতে কি শিশিরকুমারের মন ভরে? ‘সীতা’ তাঁর মাথায় ঘুরছে। ভুলতে পারছেন না ঐ হেনস্থা। অবশেষে, যোগেশচন্দ্র চৌধুরীকে দিয়ে নতুন করে লেখালেন ‘সীতা’ নাটক। মনোমোহন পাঁড়ের কাছ থেকে লিজ নিলেন বিডন স্ট্রিটের ‘মনোমোহন থিয়েটার’। নান্দনিকভাবে ঢেলে সাজালেন সেই হলটিকে। নাম দিলেন ‘নাট‍্যমন্দির’। এখানেই পূর্ণ প্রেক্ষাগৃহে ১৯২৪-এর ৬ আগস্ট যোগেশ চৌধুরীর ‘সীতা’ মঞ্চস্থ করে, শিশিরবাবু নাট‍্যদুনিয়ায় তাঁর জয়যাত্রা শুরু করলেন। নাম ভূমিকায় ও ‘রামচন্দ্র’ চরিত্রে সেই প্রভা দেবী ও শিশিরকুমার। এছাড়া, আর যেসব কুশীলব অভিনয়ে ছিলেন, তাঁরা হলেন, বিশ্বনাথ ভাদুড়ি, ললিতমোহন লাহিড়ি, মনোরঞ্জন ভট্টাচার্য, যোগেশচন্দ্র চৌধুরী, তারাকুমার ভাদুড়ি, তুলসীচরণ বন্দ‍্যোপাধ‍্যায়, জীবন গাঙ্গুলি, রবি রায়, কৃষ্ণচন্দ্র দে, পান্নারানী, ঊষারানী, নীরদাসুন্দরী প্রমুখ। গান রচয়িতা হেমেন্দ্রকুমার রায়। সংগীত পরিচালনা গুরুদাস চট্টোপাধ্যায়, নৃত‍্য পরিকল্পনা মণিলাল গঙ্গোপাধ‍্যায়, শিল্পনির্দেশনা ও রূপসজ্জায় চারু রায় এবং আবহ–সুর রচনায় নৃপেন্দ্রনাথ মজুমদার। সামগ্রিকভাবে নাটকটিকে সর্বাঙ্গসুন্দর করার জন‍্যে, বিভিন্ন ব‍্যাপারে যাঁরা তাঁদের মূল‍্যবান মতামত দিতে এগিয়ে এসেছিলেন, তাঁরা হলেন সংগীতবিদ্ দিনেন্দ্রনাথ ঠাকুর, ভাষাচার্য সুনীতিকুমার চট্টোপাধ্যায়, ঐতিহাসিক রাখালদাস বন্দ‍্যোপাধ‍্যায়, শিল্পাচার্য যামিনী রায়, বিদ্রোহী কবি কাজী নজরুল ইসলাম, স্বনামধন্য নলিনীকান্ত সরকার প্রমুখ। নাটকের অসাধারণ গানগুলি, নাটককে ছাপিয়ে জনপ্রিয়তার শিখরে পৌঁছেছিল। ‘বৈতালিক’-এর চরিত্রে কৃষ্ণচন্দ্র দে-র গলায় “জয় সীতাপতি…”, “অন্ধকারের অন্তরেতে…” ইত‍্যাদি গান মানুষের মুখে মুখে ফিরেছিল। কিছু গানে ছিল রবীন্দ্রগানের সুরের প্রভাব। আসলে, রবীন্দ্রনাথ ভীষণ ভালবাসতেন শিশিরকুমারকে। তাঁর প্রযোজনার ব‍্যাপারে কবির ছিল অগাধ আস্থা। ফলে, এই সবকিছুর পেছনে যে তাঁর প্রচ্ছন্ন সমর্থন ছিল, তা ধরেই নেওয়া যায়। তিনি দেখেছিলেন ‘সীতা’। শুধু তিনিই নন— দেশবন্ধু চিত্তরঞ্জন দাশ, শরৎচন্দ্র চট্টোপাধ্যায়, অবনীন্দ্রনাথ ঠাকুর, দিলীপকুমার রায়ের মতো মনীষীরাও দেখেছিলেন; এবং এঁদের প্রত‍্যেকের অকুণ্ঠ প্রশংসা পেয়েছিল প্রযোজনাটি। সারা কলকাতায়, এমনকি বাংলারও অনেক জায়গার নাট‍্যপ্রেমীরা জয়জয়কার করেছিল ‘সীতা’-র। বহু পত্রপত্রিকায় প্রশংসায় ভরা সমালোচনা প্রকাশিত হয়েছিল।

সুতরাং, একথা বলাই যায়, ইডেন গার্ডেন্স-এ যার বীজ রোপিত হয়েছিল, ‘নাট‍্যমন্দির’-এর প্রযোজনা তাকেই ফুলে ফলে শোভিত বৃক্ষে পরিণত করেছিল। অর্থাৎ, বাংলার নাট‍্য ইতিহাসে “শিশির যুগ” প্রতিষ্ঠিত হয়েছিল সেদিনের ‘সীতা’-র সাফল্য থেকে। এ বছর সেই ঐতিহাসিক অধ‍্যায়ের শতবর্ষ। যা অবশ্যই প্রত‍্যেক শিল্প-সংস্কৃতিপ্রেমী মানুষের কাছে শ্রদ্ধার সঙ্গে স্মরণযোগ্য।

 

 

 

*তথ‍্যঋণ :

১) নাট‍্যাচার্য শিশিরকুমার রচনা সংগ্রহ : সম্পাদনা― দেবকুমার বসু (নাট‍্যচিন্তা, জানুয়ারি ২০০৭)
২) এখন যাঁদের দেখছি― হেমেন্দ্রকুমার রায় (এম.সি.সরকার অ্যান্ড সন্স, জানুয়ারি ১৯৯৩)
৩) বাংলার নট-নটী (দ্বিতীয় খণ্ড)― দেবনারায়ণ গুপ্ত (সাহিত‍্যলোক, ভাদ্র ১৩৯৭)
৪) বাংলা নাট‍্যাভিনয়ের ইতিহাস― ড.অজিতকুমার ঘোষ (পশ্চিমবঙ্গ রাজ‍্য পুস্তক পর্ষদ, জুলাই ১৯৮৫)
৫) অতীতের সুরে(প্রথম খণ্ড)― গীতা সেন (এম. সি. সরকার অ্যান্ড সন্স, মাঘ ১৪০৬

 

 

*ছবি সৌজন্য: Wikipedia

Aveek Chottopadhyay Author

জন্ম ১৯৬৫-তে কলকাতায়। বেড়ে ওঠা চন্দননগরে। স্কুল জীবন সেখানেই। কলকাতার সিটি কলেজ থেকে স্নাতক। ছোটো থেকেই খেলাধূলার প্রতি আগ্রহ। গান শেখাও খুব ছোটো থেকেই। তালিম নিয়েছেন রামকুমার চট্টোপাধ্যায়ের কাছেও। দীর্ঘদিন মার্কেটিং পেশায় যুক্ত থাকার পর, গত বারো বছর ধরে পুরোপুরি লেখালেখি, সম্পাদনার কাজে যুক্ত। পুরনো বাংলা গান, সিনেমা, খেলা ইত্যাদি বিষয়ে অজস্র প্রবন্ধ লিখেছেন। আনন্দবাজার পত্রিকা, এই সময়-সহ বহু পত্রপত্রিকায় নিয়মিত লেখেন। সম্পাদিত বইয়ের মধ্যে উল্লেখযোগ্য উত্তমকুমারের "হারিয়ে যাওয়া দিনগুলি মোর", হেমন্ত মুখোপাধ‍্যায়ের "আনন্দধারা", রবি ঘোষের "আপনমনে", মতি নন্দীর "খেলা সংগ্রহ"। লিখেছেন "সংগীতময় সুভাষচন্দ্র" বইটি। সাত বছর কাজ করেছেন "মাতৃশক্তি" ও "জাগ্রত বিবেক" পত্রিকায়। বর্তমানে নিজস্ব লেখালিখি ও সম্পাদনা নিয়ে ব্যস্ত।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *