শর্বরী দত্তর আকস্মিক প্রয়াণে শোকস্তব্ধ ফ্যাশন-দুনিয়া ও তাঁর অগণিত বন্ধুজন। সে ভাবে বলতে গেলে ও কিন্তু আমার ঠিক ঘনিষ্ঠ বন্ধুবৃত্তে ছিল না। বছরে একবার কি দু’বার দেখা হত মাত্র! কিন্তু ওর এই হঠাৎ করে চলে যাওয়ার পরে মনে হল দু’চার কথা লিখি ওকে নিয়ে। ওর এ ভাবে, সকলের অগোচরে বিদায় নেওয়াটা যেন কিছুতেই মেনে নিতে পারছি না। 

Sarbari Dutta
স্কুলপড়ুয়া শর্বরী। ছবি সৌজন্য – wikibio.com

শর্বরীর সঙ্গে আমার যোগাযোগ ঘটেছিল পাঁচের দশকের একেবারে শেষের দিকে, যখন আমরা দুজনেই কিশোরী। দক্ষিণ কলকাতার এক সাধারণ বাংলা মিডিয়াম স্কুল মুরলীধর গার্লসের ছাত্রী আমি। ঐ স্কুলেই শর্বরী আমার থেকে দু’ এক ক্লাস উঁচুতে পড়ত।  ঋতু গুহঠাকুরতা, যিনি পরবর্তীকালে রবীন্দ্রসঙ্গীত শিল্পী হিসেবে বিখ্যাত, তিনিও ওই স্কুলে পড়তেন। আমাদের স্কুল বাংলা মাধ্যম হলেও তখন বেশ নামডাক ছিল। প্রতিবারই স্কুল ফাইনাল পরীক্ষায় প্রথম দশজনের তালিকায় জ্বলজ্বল করত এই স্কুলের কিছু কৃতী ছাত্রীর নাম। চিত্রিতা রায়চৌধুরী একবার মেয়েদের মধ্যে থেকে প্রথম হলেন। মনে আছে এই উপলক্ষ্যে একদিন স্কুল ছুটি দিয়েছিলেন আমাদের প্রধান শিক্ষিকা অমিয়াদি (দে)। শুধু লেখাপড়ায় নয়, সে যুগে সাংস্কৃতিক দিক থেকেও এগিয়ে ছিল মুরলীধর স্কুল। এই সাংস্কৃতিক পরিমণ্ডলে যে তিন তারকা ছাত্রীকে নিয়ে গর্বিত ছিলাম আমরা, তাঁদের মধ্যে অন্যতম ছিল- অধ্যাপক কবি অজিত দত্তর কন্যা শর্বরী, আর এক কবি অধ্যাপক বুদ্ধদেব বসুর কন্যা দময়ন্তী বসু এবং গুহঠাকুরতা পরিবারের কন্যা ঋতু গুহঠাকুরতা। লেখাপড়া, সঙ্গীত, নৃত্যকলাতে ওঁদের জুড়ি মেলা ভার ছিল। কাজেই শিক্ষয়িত্রীদের নয়নের মণি হয়ে উঠেছিলেন ওঁরা।    

একবার স্কুলের বার্ষিক অনুষ্ঠানে ‘নটির পূজা’ মঞ্চস্থ হল। এখনও মনে আছে, ঋতুদি অভিনয় করেছিলেন নটি শ্রীমতীর ভূমিকায় আর রানি লোকেশ্বরীর ভূমিকায় দময়ন্তীদি। কী অসাধারণ অভিনয়! পুরো নাটকটি পরিচালনা এবং অভিনয়, সঙ্গীতে সুচারু ভাবে তালিম দিয়ে নাটকটিকে মঞ্চস্থ করিয়েছিলেন আমাদের প্রিয় বাংলার দিদিমণি অমিতাদি (চক্রবর্তী)। আজ  প্রায় ছয় দশকেরও বেশি সময় পর এখনও সেই নাটকের দৃশ্য চোখের সামনে ভাসে।

Sarbari Dutta
শংকর ঘোষের বইপ্রকাশ অনুষ্ঠানে লেখকের সঙ্গে। ছবি – লেখকের ব্যক্তিগত সংগ্রহ।

আর একবার রবীন্দ্র জন্মোৎসব উপলক্ষে স্কুলে অনুষ্ঠিত হল ‘কথা ও কাহিনী’ কাব্যগ্রন্থের ‘অভিসার’ কবিতা অবলম্বনে একটি ছোট নৃত্যনাট্য। এই সব অনুষ্ঠানে নেপথ্য পাঠের দায়িত্ব থাকত আমার ওপরে। ততদিনে এখানে ওখানে আবৃত্তি প্রতিযোগিতায় অংশ নিয়ে বেশ কয়েকবার স্কুলের জন্য পুরস্কার জিতে শিক্ষিকাদের নেকনজরে পড়ে গেছি আমি। কৃষ্ণাঙ্গী শর্বরীর কিন্তু সেই বয়সেই চোখে পড়ার মতো চেহারা ছিল। একঢাল ঘন কালো চুলের লম্বা, মোটা বেণি ও স্কুলের ইউনিফর্ম লাল-পাড় সাদা শাড়িতেই তাকে কী যে সুন্দর দেখাত, আমরাও চোখ ফেরাতে পারতাম না। নটি বাসবদত্তার ভূমিকায় শর্বরী অভিনয় করল।
‘নগরীর নটি চলে অভিসারে যৌবনমদে মত্তা’ — নাচে গানে সেদিন শর্বরী মাতিয়ে দিয়েছিল মঞ্চ!
আমি তখন খুব সম্ভবত ক্লাস সেভেনের ছাত্রী আর শর্বরী তখন নাইনে। এখনও মনে আছে, আমি পাঠ করছি…
নিদারুণ রোগে মারীগুটিকায় ভরে গেছে তার অঙ্গ।
রোগমসী-ঢালা কালি তনু তার
লয়ে প্রজাগণে পুরপরিখার
বাহিরে ফেলেছে করি পরিহার বিষাক্ত তার সঙ্গ।
রোগে কাতর প্রায় অচেতন বাসবদত্তার ভূমিকায় শর্বরীর সেদিনের অভিনয়ে দর্শক মন্ত্রমুগ্ধ হয়েছিলেন!

Sarbari Dutta
দুই সখি। ফ্যাশন জগতের দুই তারকাও বলা যায়। শর্বরী দত্ত ও নন্দিতা রাজা। ছবি – লেখকের সংগ্রহ থেকে

ফ্যাশন জগতের আরও এক উজ্জ্বল নক্ষত্র নন্দিতা বসু (বিবাহের পরে নন্দিতা রাজা) এই স্কুলেই আমার সহপাঠী ছিল। পরে অবশ্য ক্লাস নাইনে বিষয় নির্বাচনের কারণে অন্য স্কুলে আমাকে ভর্তি হতে হয়েছিল। হায়ার সেকেন্ডারি পরীক্ষা শেষে আমরা এক এক জন এক এক দিকে চলে গেলাম। বহুদিন যোগাযোগ ছিল না কারও সঙ্গে।। কবে কী ভাবে নন্দিতার সঙ্গে আবার নতুন করে বন্ধুতার সম্পর্কে আবদ্ধ হয়েছিলাম, সে কথা আজ আর মনে পড়ে না। ততদিনে নন্দিতা ও দিলীপ রাজার ‘কণিষ্ক’ বুটিকের নাম দেশেবিদেশে ছড়িয়ে পড়েছে। বন্ধুবৎসল অতিথিপরায়ণ নন্দিতাদের বালিগঞ্জ প্লেসের বাড়িতে শুরু হল আমার নিত্য আসাযাওয়া। এখানেই শর্বরীর দেখা পেলাম। সেও তখন খ্যাতির মধ্যগগনে। পুরুষদের জন্য জমকালো কাজের পাঞ্জাবি আর রঙিন ধুতি এনে ফ্যাশনের দুনিয়ায় বিপ্লব সৃষ্টি করে ফেলেছে। শর্বরী আমাকে সাদরে তার বন্ধুবৃত্তের মধ্যে গ্রহণ করে নিল। নন্দিতার বাড়িতে আড্ডা মানে তার সঙ্গে উপরি পাওনা হিসেবে থাকত গানবাজনার আসর ও বিশাল ভোজের আয়োজন। সেসব সেরে বাড়ি ফিরতে ফিরতে বেশ রাত। অনেক সময়ে শর্বরীর গাড়ি থাকত না। আমার তো স্বয়ংচালিত যান, আর ওর বাড়িও তো আমার বাড়ি থেকে ঢিল-ছোঁড়া দূরত্বে। কাজেই ঐ দিনগুলিতে প্রায়শই শর্বরীকে পৌঁছে আমি বাড়ি ফিরতাম। 

সামান্য দূরত্ব, স্বল্প সময়ের সান্নিধ্য! তার মধ্যে ওর আর আমার প্রাণের আলাপন! কী অসাধারণ স্মৃতিশক্তি ছিল শর্বরীর। কোনও কোনও দিন ওইটুকু সময়ের মধ্যে আমাকে ও কবিতা বা গান শোনাত। কথা বলতে বলতে কবিতা থেকে উদ্ধৃতি… রবীন্দ্রনাথ তো বটেই, অজিত দত্ত, বুদ্ধদেব, শক্তি-সুনীল সব কণ্ঠস্থ্! কী স্পষ্ট উচ্চারণ, কী ভাবময় পরিবেশন! হবে না-ই বা কেন! ও যে কবিতাভবনের মেয়ে! এমনও হয়েছে, শর্বরীর বাড়ির সামনে গাড়ি রেখে দীর্ঘ সময় দু’জনে কথা বলে গেছি। গাড়ি থেকে নামবার সময় ও বলত, একদিন চলে এসো, জমিয়ে আড্ডা হবে। কিন্ত ওই পর্যন্তই! তারপরে কতদিন দেখা হত না,  ফোনালাপও নয়। আবার যেদিন দেখা হত, সেদিন ওর উষ্ণ সৌর্হাদ্য অনুভব করতাম নিবিড়ভাবে!

Sarbari Dutta
বন্ধুসমাগম। (বাঁ দিক থেকে) নন্দিতা রাজা, মণীশ নন্দী, শর্বরী দত্ত ও লেখক। ছবি সৌজন্য – লেখক

আমার আমেরিকাবাসী বন্ধু মণীশ নন্দী ও আর এক বন্ধু সুনন্দা বসুর এক সময়ের প্রেসিডেন্সি কলেজের সহপাঠী ও ঘনিষ্ঠ সুহৃদ ছিলেন শর্বরীর দাদা শঙ্কু ওরফে সত্রাজিৎ দত্ত, যিনি বহু দিন কানাডাবাসী। সেই সুবাদে ওঁদের কাছেই প্রথম শর্বরীর ‘ঝুমা’ নাম শোনা। মণীশ কলকাতায় এলে আমার বাড়ির আড্ডার আসরে সুনন্দার সঙ্গে ঝুমা ও নন্দিতা ছিল নিয়মিত অতিথি। কী আনন্দময় ছিল সেসব সন্ধ্যা! নিজে একজন পাকা রাঁধুনি হয়েও আমার রান্নার ভক্তের দলে নাম লিখিয়েছিল ঝুমা! একথা সে কতবার বলেছে। ওর ঔদার্যে আমি কুণ্ঠিত বোধ করেছি। একবার শর্বরীর জন্মদিনে ওর ব্রডস্ট্রিটের বাড়িতে নিমন্ত্রিত আমি। কত গল্প, কত হাসি, গান, কবিতাপাঠের  মধ্য দিয়ে কেটেছিল সেদিনের সন্ধ্যা।

Sarbari Dutta
জ্যোতিদা (জ্যোতি দত্ত) ও মিমিদির (মীনাক্ষি দত্ত) সঙ্গে চায়ের আড্ডায় আমি আর শর্বরী। ছবি – লেখকের সংগ্রহ

জ্যোতিদা-মিমিদি (দত্ত) আমেরিকার পাট চুকিয়ে পাকাপাকি ভাবে কলকাতায় এলেন। মিমি মানে বুদ্ধদেব-প্রতিভা বসুর জ্যেষ্ঠা কন্যা মীনাক্ষি। এই দম্পতির সঙ্গে আমার বহুদিনের পরিচিতি। ওদের মেয়ে তিতিরের (লেখক কঙ্কাবতী দত্ত) ম্যান্ডেভিলা গার্ডেন্সের বাড়িতে ডাক পড়ল আমার। সেই চায়ের আসরেও শর্বরী। শর্বরীর প্রয়াত স্বামী শিল্পী আলো দত্ত ছিলেন জ্যোতিদার আপন ভাই। এছাড়া কবিতাভবনের সূত্রে এককালে একই বাড়িতে থাকতেন বুদ্ধদেব বসু এবং অজিত দত্তর পরিবার। দুই কবির আমৃত্যু বন্ধুত্বের সম্পর্ক রয়ে গিয়েছিল পরবর্তী প্রজন্মের মধ্যেও। নিজের চোখে দেখেছি কী অসম্ভব স্নেহ করতেন শর্বরীকে জ্যোতিদা-মিমিদি। আত্মীয়তার সম্পর্ক ছাপিয়ে এক নিবিড় ভালবাসার বন্ধনে ওঁরা জড়িয়ে ছিলেন সুখে, দুঃখে, আনন্দে, বিষাদে। শর্বরীর এই আকস্মিক করুণ তিরোধানের খবর এখন পর্যন্ত লুকিয়ে রেখেছে কন্যা তিতির তার বাবা-মায়ের কাছ থেকে! জ্যোতিদা-মিমিদির পক্ষে এই শোক সহ্য করা যে বড়ই কঠিন!

ফ্যাশন দুনিয়ার ঝলমলে দিকের বাইরে শর্বরীর জীবনে যে এ রকম আর একটি দিক ছিল, সে খবর অনেকেরই হয়তো অজানা। বড় টিপ, অক্সিডাইজ়়ড বা রুপোর গয়নার সাজে যে অপরূপা শর্বরীকে আমি-আপনি দেখে অভ্যস্ত, তার বাইরে আরও এক শর্বরী লুকিয়ে ছিল লোকচক্ষুর অন্তরালে। ফ্যাশন ডিজাইনার পরিচয়ের বাইরে তার অন্তরের অন্তঃস্থলে শর্বরী ছিল ২০২, রাসবিহারী অ্যাভিনিউয়ের কবিতাভবনের আদরিনী কন্যা, সাহিত্য সংস্কৃতির বাতাবরণে বড় হয়ে ওঠা আদ্যোপান্ত কবিতাপ্রেমী একজন মানুষ! আজ এই মুহূর্তে সেই অনন্যা শর্বরীকে বারবার মনে পড়ে যাচ্ছে। বছরকয়েক আগে শর্বরী আমাকে জানিয়েছিল ছেলে-বৌমার সঙ্গে তার বৈষয়িক মতদ্বৈধের কথা! বলেছিল, ‘নতুন ক’রে শূন্য থেকে শুরু করলাম। আর তাই আমার নতুন বুটিকের নাম দিলাম ‘শূন্য’!’

বয়সকে তুড়ি মেরে শর্বরী নবোদ্যমে কাজ শুরু করেছিল। চিরদিনের জীবনমুখী শর্বরী দত্ত হারতে শেখেনি কোনওদিন। কে ভেবেছিল অকস্মাৎ মৃত্যু এসে তার যাত্রাপথে এভাবে যতি টেনে দেবে!

পেশা শুরু হয়েছিল সাংবাদিকতা দিয়ে। পরে নামী ইস্কুলের বাচ্চাদের দিদিমণি। কিন্তু লেখা চলল। তার সঙ্গে রাঁধা আর গাড়ি চালানো, এ দুটোই আমার ভালবাসা। প্রথম ভালবাসার ফসল তিনটি ব‌ই। নানা রাজ্যের অন্নব্যঞ্জন, মছলিশ আর ভোজনবিলাসে কলকাতা।

19 Responses

  1. বড় ভাল লিখেছ গো, আল্পনাদি। নতুন করে মনে করিয়ে দিলে কত নাম। বিশেষ করে অমিতাদি আর আলো দত্তের কথা। নন্দিতা রাজা তোমার সহপাঠী জেনেও খুব মজা লাগল। আমার আদর নিও।

  2. লেখাটি পড়ে মুগ্ধ হলাম। লেখিকা আমার শিক্ষিকা, শ্রদ্ধেয়া এবং মাতৃসমা। তাঁর লেখনী বরাবরই আমাকে আকর্ষণ করে।আজ তাঁর এই লেখায় নতুন করে চিনলাম এক অসামান্য ব্যক্তিত্ব শ্রীমতী শর্বরী দত্ত কে যিনি পুরুষ পোশাকে এক যুগান্তকারী বিপ্লবের পথিকৃৎ।আজ লেখিকার হাত ধরে নতুন করে জানলাম এই মহীয়সী নারী কে যিনি একাধারে শিল্পী, স্রষ্টা, অন্দরসজ্জা নিপুণা, সুরন্ধনকারিণী ও সুমিতা।
    তাঁর কাছে শিখলাম জীবনের কোন বিপর্যয়েই হার না মেনে, শূন্য থেকে শুরু করাই প্রকৃত শিক্ষা।
    এই সুমহান ব্যক্তিত্বের আকস্মিক ও অকালপ্রয়াণে তাঁর প্রিয় সুধীগোষ্ঠী আজ শোকস্তব্ধ।
    তিনি তাঁর আলোকময় লোকে গমন করুন-এই প্রার্থনা।

  3. আন্তরিক কথন মন ছুঁয়ে গেল ।
    শর্বরীদির খুব ভক্ত ছিলাম । বন্ধু তিতিরের বাড়িতে ও নবনীতাদির বাড়িতে দেখা সাক্ষাৎ , কথা হয়েছে অনেক বার কিন্তু এখন আপশোষ হচ্ছে অন্তরের “মুগ্ধতা ” টুকু সেভাবে জানাতে পারিনি ।

  4. খুব ভালো লাগলো পড়ে। আমারও কিছু ক্ষীণ স্মৃতি আছে শর্বরী (ঝুমা, ঐ নামেই পরিচয়) আর তাদের বাড়ি জড়িয়ে। কবি অজিত দত্ত ও বুদ্ধদেব বসু তখন একই বাড়িতে থাকতেন।যাদবপুরে পড়ি তখন। নতুন আলাপে যে আন্তরিকতার ছোঁয়া পেয়েছিলাম জুমার কাছে তা এখনও অমলিন। দুর্ভাগ্য আমার যে বন্ধুর সূত্রে আমার ওর সাথে আলাপ তার সঙ্গে বিচ্ছেদ হওয়ার দরুণ স্বভাব লাজুক আমি আর জুমার সাথে বন্ধুত্ব বাড়াতে পারলামনা। খুব আক্ষেপ হতো।আজ ওর এই অকাল বিসর্জনে আমি শোকস্তব্ধ।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *