উস্তাদ আলি আকবর খাঁ সর্বকালের শ্রেষ্ঠ সরোদবাদকদের মধ্যে একজন। তাঁর শিষ্য কৌশিক রায়ের স্মৃতিচারণে উঠে এল নানা অজানা তথ্য, গল্প। আলি আকবরকে ভালোবেসে তাঁর ছাত্ররা এবং আরও অনেকে ‘বাবা’ বলে সম্বোধন করতেন তাই এই লেখায় ওঁকে ওই নামেই অভিহিত করা হয়েছে। গতকাল অর্থাৎ ১৪ই এপ্রিল  ছিল উস্তাদ আলি আকবর খাঁ -র ৯৮তম জন্মবার্ষিকী।

যদি কখনও এমন হয় যে আপনি বেশ ব্যস্তসমস্ত হয়ে রাস্তা দিয়ে হেঁটে যাচ্ছেন আর হঠাৎ কোনও খোলা জানলা দিয়ে সরোদের এমন একটা পাগল করা সুর ভেসে এল, যে আপনি একেবারে সব ভুলে সেখানেই পাথর হয়ে দাঁড়িয়ে পড়লেন। তা হলে জানবেন সেই সরোদিয়া নির্ঘাত উস্তাদ আলি আকবর খাঁ।

ভারতীয় মার্গসঙ্গীতের চর্চায় আজ সরোদের যে স্থান, তা পুরোপুরি আলি আকবরের অবদান। আমি সৌভাগ্যবান, তাই খুব ছোট বয়স থেকেই ওঁর সান্নিধ্যে আসার সুযোগ পেয়েছি। বাবাকে নানাভাবে নানা পরিস্থিতিতে, নানা মুডে, কাছ থেকে দেখার সুযোগ পেয়েছি। বাবার সঙ্গে তানপুরা হাতে একই মঞ্চে বসতে পেরেছি। উনি শুধুই আমার গুরু ছিলেন না। আমার জীবনের পথপ্রদর্শক, আমার আইডল ছিলেন। জীবনের অনেক কঠিন সময়ে ওঁর সঙ্গীত আমাকে লড়াই করার সাহস জুগিয়েছে, ভরসা দিয়েছে, আশার আলো দেখিয়েছে। অথচ ওঁর শেষ দিনগুলোয় আমি ওঁর পাশে থাকতে পারিনি। তখন আমি ক্যালিফোর্নিয়া থেকে বহু দূরে। এই আক্ষেপ আমাকে আজীবন বয়ে বেড়াতে হবে।

আলি আকবরের সঙ্গে লেখক

বাবা ছিলেন এক ক্ষণজন্মা শিল্পী। সরোদ ওঁর হাতে কথা বলত। ওঁর বাবা উস্তাদ আলাউদ্দিন খাঁ, যাকে বলা হয় ভারতীয় যন্ত্রসঙ্গীতের জনক, গুরু হিসেবে ছিলেন অত্যন্ত কঠোর। নিজের ছেলেকে তিনি পনেরো বছর ধরে দিনে প্রায় আঠারো ঘন্টা করে রেয়াজ করিয়েছেন। তা ছাড়া বেশি কথা বলারও নিয়ম ছিল না। হয়তো সেই জন্যেই বাবা সরোদের মাধ্যমেই নিজেকে প্রকাশ করতে শুরু করেছিলেন। তারপর শিল্পী হিসেবে যত পরিণত হয়েছেন ওঁর সঙ্গীতও এক বাঁধনহারা খরস্রোতার মতো ভাসিয়ে নিয়ে গেছে আমাদের।

উস্তাদ আলাউদ্দিন খাঁ ছিলেন মধ্যপ্রদেশের মাইহারের রাজার সভাশিল্পী। আলি আকবরের ছোটবেলাটা তাই মাইহারেই কেটেছে। পরে রবিশঙ্কর আলাউদ্দিন খাঁর শিষ্যত্ব গ্রহণ করেন। আলি আকবর, রবিশঙ্কর আর অন্নপূর্ণা দেবীকে একসঙ্গেই তালিম দিতেন আলাউদ্দিন খাঁ। পরবর্তীকালে আল্লারাখার সঙ্গতে আলি আকবর আর রবিশঙ্করের যুগলবন্দী যে উচ্চতা লাভ করেছিল তার বীজ বুনেছিলেন স্বয়ং গুরু আলাউদ্দিন খাঁ।

বাবার বয়স যখন কুড়ির কোঠায়, তিনি যোধপুরের মহারাজার সভায় শিল্পী হিসেবে যোগদান করেন এবং সেখানে থাককালীনই তিনি ‘উস্তাদ’ খেতাব পান। বাবার কাছেই শুনেছি, যোধপুরের মহারাজ ওঁকে অত্যন্ত স্নেহ করতেন। মহারাজ যাতে শান্তিতে ঘুমোতে পারেন, সে জন্য নাকি বাবাকে মাঝেমধ্য়েই সারা রাত বাজনা বাজিয়ে যেতে হয়েছে। কিন্তু হঠাৎ একটা প্লেন দুর্ঘটনায় মহারাজের মৃত্যু হওয়ায় বাবাকে যোধপুর ছাড়তে হয়।  যোধপুর থেকে প্রথমে কিছু দিন লখনউ রেডিয়োতে স্টাফ আর্টিস্ট হিসেবে থাকার পর তিনি চলে যান বম্বে এবং অবশেষে ১৯৫৫ সালে ইহুদি মেনুহিনের ডাকে পাড়ি দেন মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে।

আমার কাছে সরোদ মানেই বাবা। বাবার একটা অদ্ভুত ক্ষমতা ছিল। প্রতিটা রস, প্রতিটা মেজাজকে বাবা তাঁর বাজনা দিয়ে ছুঁতে পারতেন। ওঁর যে কোনও একটা বাজনা বার বার শুনেও যেন তার গভীরতার তল পাওয়া যায় না। উস্তাদ আবদুল করিম খাঁর মতোই বাবার বাজনাও– রাগ, লয়, তাল সম্বন্ধে বিন্দুমাত্র জ্ঞান নেই এমন মানুষের– চোখেও জল এনে দিতে পারে। কী করে এক জন শিল্পী যন্ত্রের মধ্য়ে থেকে এমন গায়ে কাঁটা দেওয়া শব্দ বের করতে পারেন, এ এক বিস্ময়! যেন হাত দিয়ে নয়, আত্মার কোনও এক গহীন কোণ থেকে নিঃসৃত হচ্ছে ওই আশ্চর্য সঙ্গীত। আমার মনে আছে, সত্তরের দশকে মহাজাতি সদনের এক অনুষ্ঠানের শেষ শিল্পী ছিলেন বাবা। যখন বাজাতে শুরু করলেন তখন রাত সাড়ে তিনটে। রাগ কৌশি ভৈরব ধরলেন। শুনতে শুনতে মনে হয়েছিল আমি যেন কোথাকার কোন এক ভগ্নস্তূপে পৌঁছে গিয়েছি, একেবারে একা। সে দিন এমন কান্না কেঁদেছিলাম যে, আমার বাবা আমাকে বাড়ি ফিরিয়ে নিয়ে যেতে বাধ্য হয়েছিলেন।

Ali Akbar photo courtesy Kaushik Roy
বাবার কাছে উপহার পাওয়া ছোট্ট সরোদ হাতে

আলি আকবরের তাৎক্ষণিক সুরসৃষ্টি করতে পারার আশ্চর্য ক্ষমতা ছিল । আর যে পদ্ধতিতে সেটা করতেন তা অভাবনীয়। একটা রাগ বাজাতে গিয়ে এমন সব সূক্ষ্ম স্বর লাগাতেন যা শ্রোতার মনে গভীর প্রভাব বিস্তার করত। ১৯৮২ সালের ডোভার লেন মিউজিক কনফারেন্সের অনুষ্ঠানে ওঁর শেষ রাগ ছিল মিশ্র ভৈরবী। একটা উপজ শেষ করে শরজে যাওয়ার আগে কোমল রেখাব লাগালেন এবং ধরেই রইলেন। শরজে ফেরার ঠিক আগে একটা আন্দোলন করে একটা শ্রুতি যেন ছুঁয়ে ফিরে গেলেন শরজে। আমরা যারা শ্রোতার আসনে ছিলাম, যেন ভেসে গিয়েছিলাম সেই করুণ সুরের মূর্চ্ছনায়।

ওঁর ক্যালিফোর্নিয়ার স্কুলে শেখার সময়ও অনেক বার এমন হয়েছে। এক দিন তিনতালের ওপর জিল্লা কাফী রাগের একটা আলাপ শেখাচ্ছিলেন। একই গৎ বার বার বাজাচ্ছিলেন যাতে আমরা সুরটা তুলতে পারি। হঠাৎ অনুভব করলাম আমি আর বাজাতে পারছি না। সরোদটা নামিয়ে রেখে বুঝলাম শুধু আমি না, সকলেই যে যার সরোদ নামিয়ে রেখেছে। প্রত্যেকের চোখেই জল। বাবার সরোদের কান্না শুধু ঘরের দেওয়ালে, মেঝেয়, সিলিঙে ঘুরে ঘুরে বেড়াচ্ছে আর জিল্লা কাফী যেন সশরীরে আমাদের সামনে এসে দাঁড়িয়েছে। বাবা কিন্তু ঘুরিয়ে ফিরিয়ে সেই একই বিলম্বিত গৎ বাজিয়ে চলেছেন। কোনও পরিবর্তন ছাড়াই। শুধু তিনিই পারতেন একটা সাধারণ গৎ-এর মধ্যে এত সংবেদ, এত সংবেগ ফুটিয়ে তুলতে।

বাবা অনেকগুলো রাগ সৃষ্টি করেছেন। চন্দ্রনন্দন, হিন্দোল-হেম, মেধাবী, গৌরী মঞ্জরী, প্রভাকালী, ভৈরবী ভাটিয়ার, মধু মালতী, আলমগিরি, জোগিয়া কালেঙ্গরা, জোগিয়া মল্লার, আলম ভৈরব, মেঘ সারঙ্গ, চন্দ্রধ্বনী, এসবই বাবার তৈরি রাগ। রাজস্থানি লোকসঙ্গীতের মান্ড সুরকেও তিনি রাগের মর্যাদা দেন। ওঁর তৈরি রাগগুলোর মধ্যে সবচেয়ে বিখ্যাত চন্দ্রনন্দন। শেষ রাতের রাগ। সত্তরের দশকে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে এক অনুষ্ঠানে তিনি এই রাগটার সঙ্গে শ্রোতাদের পরিচয় করিয়ে দিতে গিয়ে বলেন, “পূর্ণিমার রাতে ব্রহ্মান্ডের” যা মেজাজ এই রাগেরও তাই। রাগ শ্রী, দরবারি কানাড়া, বাগেশ্রী কানাড়া, মেধাবী, ইমন কল্যাণ, রামদাসী মল্লার এর ওপর ওঁর বাজনা ভারতীয় রাগসঙ্গীতের জগতে দৃষ্টান্ত হয়ে রয়ে যাবে।

Ali Akbar And Kaushik Roy
ক্যালিফোর্নিয়ায় বাবার সঙ্গে মধ্যাহ্নভোজন

শুধু শিল্পী এবং রাগস্রষ্টা হিসেবেই নয়, গুরু হিসেবেও বাবার অবদান কম নয়। পন্ডিত নিখিল ব্যানার্জি যদিও প্রথমে উস্তাদ আলাউদ্দিন খাঁর শিষত্ব্য গ্রহণ করেন, পরে বাবার ছাত্র হন। শ্রীমতী শরন রানী, শ্রী ব্রিজ ভূষণ কাবরা, শ্রী দামোদর লাল কাবরা, শ্রী ব্রিজ নারায়ণ, ওঁর কয়েকজন প্রতিষ্ঠিত শিষ্য। সরোদবাদক শ্রী বুদ্ধদেব দাশগুপ্তও ওঁর দ্বারা প্রভাবিত ছিলেন। শচিন দেব বর্মন নাকি ছেলে রাহুলকে কিছু দিন তালিম নেওয়ার জন্য বাবার কাছে পাঠান। “শোলে” সিনেমায় অভিনেতা সচিনের চরিত্রের মৃত্যুর দৃশ্যে আবহসঙ্গীতে সারেঙ্গিতে ভৈরবীর যে সুর বাজছিল, তার সারা গায়ে আলি আকবরের ছাপ। হেমন্ত মুখোপাধ্য়ায়ও বাবার কাছে তালিম নিয়েছেন কিছু দিন। পণ্ডিত যশরাজ যখনই ক্যালিফোর্নিয়া  যেতেন, বাবার কাছে তালিম নিয়ে আসতেন।

বাবার পছন্দের পানীয় ছিল শিভাস রিগাল। অনুষ্ঠানের পরে শিভাস নিয়ে বসে স্মৃতিচারণ করতেন, ছেলেবেলার গল্প শোনাতেন। গুরু হিসেবে আলাউদ্দিন খাঁ কতটা কড়া ছিলেন,  রবিশঙ্করের কথা, এমনকি বোন অন্নপূর্ণার কথাও বলতেন কখনও সখনও। একদিন নাকি আলাউদ্দিন খাঁ বাবাকে একটা গৎ শিখিয়ে সেটা বাজাতে বলে বাজারে গেছেন। এ দিকে উনি চলে যাওয়ার পর বাবা আর কিছুতেই গতটা ঠিকঠাক মনে করতে পারছেন না। বোন অন্নপূর্ণা দেবী এতক্ষণ পাশের ঘরে ছিলেন। দাদা গৎটা তুলতে পারছে না দেখে এই ঘরে এসে হুবহু গৎটা শুনিয়ে দিয়েছিলেন। আলাউদ্দিন খাঁ বাজার থেকে ফিরে স্তম্ভিত। তার পরের দিন থেকেই অন্নপূর্ণাকে সুরবাহার শেখাতে শুরু করেন। বাবা নিজে উস্তাদ বিলায়েত খাঁ এবং উস্তাদ আমির খাঁর বিরাট ভক্ত ছিলেন। যোধপুরে থাকার সময় বিলায়েত খাঁ কিছুদিন ওঁর সঙ্গে ছিলেন। সেই সময় ওঁরা একসঙ্গে রেওয়াজ করতেন।

মঞ্চের বাইরে বাবা খুব সাধারণ এক জন মানুষ ছিলেন। ছাত্রদের নিজের সন্তানের মত স্নেহ করতেন। গাড়ি চালাতে খুব ভালোবাসতেন। আশির দশকের গোড়ার দিকের কথা। বাবা তখন একটা বুইক চালাতেন। আমি আর বাবা একসঙ্গে হাইওয়ে থ্রি ধরে আনসেলমো থেকে সান্তা ক্রুজ গেছিলাম। সমুদ্রের ধার দিয়ে চলে যাওয়া সেই রাস্তার সৌন্দর্য অপরূপ। গাড়িতে যেতে যেতে আমরা বাবার বিখ্যাত বসন্ত মুখারি জোগিয়া রাগ শুনছিলাম। বাবার মতে এই রাগের আলাপ ওঁর সেরা আলাপগুলোর একটা। ঝাঁপতালের বিলম্বিত গৎ-এর সঙ্গে সঙ্গত করছিলেন পণ্ডিত স্বপন চৌধুরী।

Ali Akbar Ravi Shankar
বাঁ দিক থেকে মেরি, সুকন্যা, রবিশঙ্কর, আলি আকবর

বাবার পছন্দ ছিল মোগলাই খানা। কলকাতায় এলেই সিরাজের মাটন বিরিয়ানি খেতে যেতেন। বিলায়েত খাঁ যখন ক্যালিফোর্নিয়া গেছিলেন, দুজনে মিলে রান্না নিয়ে প্রচুর এক্সপেরিমেন্ট করেছেন। আমাকে একটা মাছের পদ রান্না করা শিখিয়েছিলেন, যেটা এখন আমি প্রায়ই রাঁধি। রেসিপিটা এরকম –  রুই মাছে নুন-হলুদ মাখিয়ে হাল্কা করে ভেজে নিতে হবে। তারপর তেলে পাঁচফোড়ন আর শুকনো লঙ্কা ফোড়ন দিতে হবে। তারপর একটা কুচনো টম্যাটো সেই তেলে দিয়ে ভাজতে হবে। টম্যাটো রান্না হয়ে গেলে হলুদ আর লঙ্কা গুঁড়ো দিতে হবে। তারপর এক চামচ ফেটিয়ে রাখা দই দিয়ে দিতে হবে। এরপর ভেজে রাখা মাছগুলো কড়ায় দিয়ে নেড়েচেড়ে জল ঢেলে দিতে হবে। সিল্যান্ট্রো পাতা দিয়ে, গ্রেভি ফুটে এলে ঢাকা দিয়ে গ্যাস বন্ধ করে দিতে হবে। ব্যাস!

২০০৯ সালের ১৮ই জুন বাবা আমাদের ছেড়ে চলে যান। শরীর একেবারেই ভালো ছিল না। ভালো করে বসতে পর্যন্ত পারছিলেন না। কোনওরকমে সোফায় হেলান দিয়ে বসে গান গেয়ে ছাত্রদের ক্লাস নিচ্ছিলেন। হঠাৎ শরীর খারাপ হতে শুরু করায় ধরাধরি করে ওঁকে বিছানায় নিয়ে গেলে উনি বলেন “গান গাওয়া বন্ধ কোরো না। রাগ দুর্গা গাও।“ ওঁর কথামত সকলে গাইতে শুরু করে। ওই রাগ শুনতে শুনতেই চলে গেলেন।

উস্তাদ আলি আকবর খাঁ ভারতীয় মার্গ সঙ্গীতের ব্রহ্মা। যখন সরোদ বাজাতেন আমরা যেন মা সরস্বতীর দর্শন পেতাম। আমরা যারা ওঁর বাজনা শুনে বড় হয়েছি, উনি চলে যাওয়ার পর তাঁদের জীবন বদলে গেছে। আমি আজকাল আর বাজনা প্রায় শুনিই না। ভালো বাজিয়ে অনেকেই আছেন। কিন্তু তাঁরা কেউ বাবা নন। সরোদের সেই শব্দও আর নেই। যে সুরের মুর্চ্ছনায় আনন্দ-দুঃখ-বিরহ-মিলন এসে ধরা দিত, যে বাজনা শুনে মনে হত ঈশ্বরকে দেখতে পাচ্ছি, বাবার সঙ্গেই তা পাড়ি দিয়েছে দূরে। ভারতীয় সঙ্গীতের উজ্জ্বলতম জ্যোতিষ্ক আমাদের ছেড়ে এক অনন্ত সঙ্গীতলোকের উদ্দেশে যাত্রা করেছেন।

দীর্ঘদিনের প্রবাসী কৌশিক থাকেন হিউস্টনে। কর্মসূত্রে তেল গ্যাস ও খনিজ সম্পদ ক্ষেত্রের সঙ্গে যুক্ত। কিন্তু কৌশিকের প্রথম প্রেম সঙ্গীত এবং দ্বিতীয় বই। বেশ কয়েক বছর তালিম নিয়েছেন কিংবদন্তী সরোদ শিল্পী উস্তাদ আলি আকবরের কাছে। এছাড়া ভালোবাসেন বেড়াতে আর ছবি তুলতে।

3 Responses

  1. আলী আকবর খাঁ সাহেব সরোদের জাদুকর ছিলেন, তিনি সরোদ বাজাচ্ছেন এই ছবি দেখতেই আমরা অভ‍্যস্ত। এই প্রথম দেখছি(উপরের ছবিটিতে) যে উনি সেতার বাজাচ্ছেন!

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *