আগের পর্বের লিংক: [১] [] [] [] [] [] []

যে তালতলা মাঠে বালকের প্রথম স্কুলবেলা বা এবিসিডি-বেলা, ঘাসে চাটাই পেতে কোলে স্লেট নিয়ে নীলদিদিমণিদের কাছে ‘এ ফর অ্যাপেল’ শেখা, ‘মে গাড ব্লেস ইউ’ বললে ভোরের বাতাসে ভাসে লালসবুজ লজেন্স আর কিসমিস-বিস্কুট বা বড়ুয়া কেকের গন্ধ, হরেন মুখার্জির বাড়ির জানালার শিকে ঝোলে ব্ল্যাকবোর্ড, সেই মাঠে আপনমনে হাঁটতেন বঙ্গবালা দেবী৷ বর্ষায় মাঠ ডুবে গেলে বকের দলের পাশাপাশি হাঁটতেন জল ভেঙে৷ কী শীত বা বর্ষা বা ঠা ঠা রোদ, তিনি একা একা ঘুরতেন ওই জায়গাটুকুর মধ্যে৷ হাঁটতেন আর কী যেন বলতেন বিড়বিড় করে, কখনও হাসতেন, কখনও দূরের দিকে আঙুল তুলে কিছু দেখাতেন৷ কী বলতেন তা শুনতে চায়নি নীলদিদিমণিদের স্কুলে-আসা বালকের দল, ভলিবল বা ক্রিকেট খেলতে-আসা তুলনামূলক বড়োরা৷ তারা এটুকুই জেনেছে ‘ইনি বঙ্গবালা’ এবং আর পাঁচজনের মতো নন৷ তিনি বুঝতে পারেন না এখন সকাল কি বিকেল, বুঝতে পারেন না ফাঁকামাঠ কি ভিড়েরমাঠ৷ কেউ ‘দিদিমা’ বা কেউ ‘মাসিমা’ ডেকে সরিয়ে দিয়েছে খেলার মাঠের ভেতর ঢুকে-পড়া তাঁকে৷ তিনি শুধু হাসতেন যে সরিয়ে দিয়েছে তার দিকে তাকিয়ে৷

পরনে তাঁতের শাড়ি আর লম্বা হাতার জামা পরা ছিপছিপে গড়নের বঙ্গবালা সম্পর্কে কেউ বালককে বলেছিল, ইনি বাংলার রাজ্যপাল হরেন মুখার্জির স্ত্রী৷ ব্যস্ ওইটুকু৷ সে বাইরে থেকে দেখেছে তাঁর বাড়ি: পাঁচ-ছয় ধাপ সিঁড়ি ভেঙে চাতাল, হেলান-দিয়ে বসবার বেদি দু-পাশে, বড়ো বড়ো জানালা, বড়োসড়ো ছাদ৷ বাড়িতে অনেক লোকজন৷ বাইরের দেয়ালে রং পড়েনি অনেককাল৷ সে শুনেছে, হরেন মুখার্জির সময় থেকে কয়েকটি ক্রিশ্চিয়ান পরিবার এখানে থাকে৷ এরা আশ্রিত, গরিব৷ বাড়ির পেছন দিকে বাগান, নানারকম গাছে গাছে ছায়া হয়ে আছে৷ এখানে জলের ড্রাম থাকত, ঢাকনার ওপর টিনের মগ৷ নীলদিমিণিদের দেওয়া লজেন্স-বিস্কুট বা কেক খাবার পর বা তেষ্টা পেলে জল খেতে এই বাগানে ঢুকেছে বালক৷

Haren Mukherjee memoir
বাংলার দ্বিতীয় রাজ‍্যপাল হরেন মুখার্জির বাড়ি এখন।

বালকবেলায় বেশি জানবার দরকার হয় না৷ খেলায় খেলায় চমৎকার কেটে যায় দিন৷ জেমস, চার্লি, ইমানুল, নওশাদ, সুবল, টুটু, নিলুদা, বেচুদা, রাজুদা, কচিদার সঙ্গে ভলি বা ক্রিকেটে সময় কী দারুণ কাটে! বঙ্গবালা মারা যান ষাট দশকের মাঝামাঝি৷ তখন নওশাদ-ইমানুল-কচিদারা আর এ পাড়ায় থাকে না৷ চলে গেছে ফুলবাগানে৷ চৌষট্টির দাঙ্গার পর৷ একটা মুসলমান বস্তি ছাই হয়ে যায় তালতলা মাঠের গায়ে৷ কেন দাঙ্গা হল, কেন ইমানুলদের ঘর ছাই হল, জানা নেই৷ সেই বস্তির জামরুল গাছ বড়ো প্রিয় ছিল বালকের৷ ডাল ভেঙে খোলার চালে পড়ে একবার কী হেনস্থা! পোড়া ঘর গুঁড়িয়ে জমি হল৷ জমির মালিক হলেন ধবধবে খদ্দরের প্যাকেজে গান্ধীবাদী শিবদা৷ গাছপালা লাগিয়ে তিনি আশ্রম বানালেন৷ কীভাবে এইসব হয় বালক জানে না৷ 

বঙ্গবালা যখন মারা গেলেন, মিশ্র বসতি তখন পুরোটাই পালটে গেছে৷ ঘরের দরজার বাইরে খাটিয়ায় নওশাদের বাবাকে ফেজ পরে উর্দু কাগজ পড়তে আর দেখা যায় না৷ জেমস, চার্লিরা আছে, তবে আগের মতো নেই৷ আগের মতো নেই ট্যাক্সিচালক স্যামদাদা (নাম ছিল হয়তো স্যামুয়েল)৷ রঙিন কাগজের শেকল ঝোলানো ঘরে রাতের দিকে নেশাগ্রস্ত হয়ে গিটার বাজিয়ে গান গায়, নাচে, একা একা তখনও৷ কিন্তু এরা অন্য কোথাও চলে যেতে চাইছে৷ পার্ক সার্কাসে বা বেকবাগানে বা গড়ফায়৷ বইয়ে আছে, এই পাড়া বহুকাল আগে থেকে মুসলমান ও ক্রিশ্চিয়ান-প্রধান৷ প্রমাণও আছে, পাড়ার মাঝখানে সামান্য ব্যবধানে মসজিদ আর গির্জা৷ মন্দির তৈরি হয়েছে অনেক পরে, দেশভাগে উৎখাত ‘বাঙালরা’ এখানে আসার পরে৷ চৌষট্টির দাঙ্গায় ছবিটা পালটে গেল৷ খেলার দল ভেঙে গেল৷ খেলার আবহ নষ্ট হয়ে গেল৷ নীলদিদিমণিদের স্কুল আর বসে না৷ বঙ্গবালা একা একা হাঁটেন মাঠ জুড়ে৷ তাঁকে ডেকে নিয়ে যায় বাড়ির কেউ৷ 

Taltala Maidan memoir
সেই তালতলা মাঠ এখন। এখানে আপনমনে হাঁটতেন হরেন মুখার্জির স্ত্রী বঙ্গবালা। এইখানে বসত নীল সিস্টারদের খোলাস্কুল।

বালক বড়ো হলে বিশদে জানবে কে ছিলেন বঙ্গবালা, কে ছিলেন হরেন মুখার্জি, কেমন ছিলেন তাঁরা, কেন তাঁরা এই বস্তিতে ছিলেন, তালতলা মাঠ ও তার বিস্তৃত চারপাশের বসতি কেমন ছিল৷ নিজের পাড়ার খবর জানবে সে বই থেকে৷ হরেন মুখার্জি মানে হরেন্দ্রকুমার মুখোপাধ্যায়৷ তাঁর বাড়ি বলে যা পরিচিত, সেটা বানিয়েছিলেন লালচাঁদ মুখোপাধ্যায়, হরেন্দ্রকুমারের বাবা৷ ১৮৮০ সালের কাছাকাছি কোনো এক সময়৷ লালচাঁদরা নদিয়ার মানুষ৷ সেখান থেকে প্রথমে হুগলির শ্রীরামপুর, পরে হাওড়া৷ হাওড়া থেকে লালচাঁদ আসেন শেয়ালদার কাছে ২২ নম্বর বৈঠকখানা সেকেন্ড লেনে৷ এখানেই ১৮৭৭-এর ৩ অক্টোবর হরেন্দ্রকুমারের জন্ম৷ দীনদরিদ্র লালচাঁদ যখন তাঁর জ্ঞানবুদ্ধির মাধ্যমে মাসে ১০০ টাকা উপার্জনের ব্যবস্থা করতে পারলেন, এন্টালির ডিহি শ্রীরামপুরে এই বাড়ি তৈরি করেন৷ তখন এই এলাকাকে তালতলা বলা হত কিনা বা এখনও বলা হয় কিনা জানা নেই, তবে পঞ্চাশ-ষাট-সত্তর দশকে তালতলাই বলত৷ লালচাঁদ যখন জমি কিনে বাড়ি তৈরি করেন, তখন সেখানকার বাসিন্দারা বেশিরভাগ মুসলমান আর ক্রিশ্চিয়ান৷ নিম্নমধ্যবিত্ত৷

পাড়াটা অনুন্নত, ঠিকমতো গড়ে ওঠেনি৷ ঘিঞ্জি বস্তি৷ কাঁচা রাস্তা৷ আলোর ব্যবস্থা নেই৷ এখানে থেকেই স্কুলে পড়েছেন হরেন্দ্রকুমার৷ পড়েছেন রিপন (পরে সুরেন্দ্রনাথ) কলেজে৷ রিপন থেকে গেছেন প্রেসিডেন্সিতে৷ যানবাহনের সুবিধা ছিল না৷ ডিহি শ্রীরামপুর থেকে হেঁটে শেয়ালদা ও কলেজ স্ট্রিটে যাতায়াত করেছেন গোটা ছাত্রজীবন৷ ১৮৯৩ সালে প্রবেশিকা, ১৮৯৭-এ বিএ৷ বিএ পড়বার সময় মা প্রসন্নময়ীর জীবনাবসান হয়৷ ১৮৯৮-এ এমএ, প্রেসিডেন্সি থেকে৷ প্রথম শ্রেণিতে প্রথম৷ রেজাল্ট বেরয় যখন, হরেন্দ্রকুমার কলেজ স্কোয়ারে ঘুরছিলেন৷ এক বন্ধুর কাছে রেজাল্ট শুনে তিনি অবাক৷ যদুনাথ সরকার ও পারসিভালের প্রিয় ছাত্র ভাবতে পারেননি, এরকম রেজাল্ট করবেন৷ 

Haren Mukherjee memoir
হরেন মুখার্জির বাড়ির সামনের দিক। ভেঙে পড়তে কতটুকু বাকি!

ওই বছরই শ্রীরামপুর মিশনের গির্জায় চিন্ময়ী দেবীর সঙ্গে বিয়ে হয় হরেন্দ্রকুমারের৷ এই গির্জায় ধর্মান্তরিত হয়েছিলেন তাঁর ঠাকুর্দা কুলীন ব্রাহ্মণ ভৈরবচন্দ্র৷ প্রায় পঁচিশ বছরের দাম্পত্য হঠাৎই থমকে যায় চিন্ময়ীর মৃত্যুতে৷ হরেন্দ্রকুমার আর বিয়ে করতে চাননি৷ বুড়ো বাবার দাবির কাছে নতি স্বীকার করে ১৯২৩ সালে বিয়ে করেন বঙ্গবালাকে৷ বঙ্গবালা লালচাঁদেরই পছন্দ৷ সেই সময় পশ্চিমবঙ্গ শিক্ষাবিভাগে কাজ করতেন৷ ১৯২৭ সালে ৯৯ বছর বয়সে এই ডিহি শ্রীরামপুরের বাড়িতেই জীবনাবসান হয় লালচাঁদের৷ তাঁর কথা পাড়ার কেউ কখনও বলেছে এমন মনে পড়ে না সেদিনের বালকের৷ বালক একথাও শোনেনি কারও কাছে যে এই বাড়িতে শিক্ষাবিদ হরেন্দ্রকুমারের বিরাট গ্রন্থাগার ছিল৷ সে জানত না হরেন্দ্রকুমার সরল জীবন যাপনে বিশ্বাসী জ্ঞানী ও আদর্শবাদী মানুষ ছিলেন৷ এমএ পাস করা ও চিন্ময়ী দেবীর সঙ্গে বিয়ের পরই হরেন্দ্রকুমার স্কুলশিক্ষকের পেশায় যুক্ত হন৷ এরপর কলেজ এবং বিশ্ববিদ্যালয়ে অধ্যাপনা করেছেন ১৯৪০ সাল পর্যন্ত৷ তবে বরাবরই তিনি নিজেকে ‘ইস্কুলমাস্টার’ ভাবতেন৷ একজন স্কুলশিক্ষকের অত্যন্ত সরল ও সাদাসিধে জীবন ছিল তাঁর আদর্শ৷ বাড়িতে পরতেন ধুতি বা লুঙ্গি আর ফতুয়া৷ যখন রাজভবনে তিনি, তখনও একই পোশাক৷ এই পোশাকের জন্য কাজের লোক বা দারোয়ানরা অনেক সময় তাঁকে রাজ্যপাল বলে চিনতে পারেনি৷ মনে করেছে তাদের মতো একজন৷ 

Dihi Serampore Road
সাবেক ডিহি শ্রীরামপুর রোড। বাংলার দ্বিতীয় রাজ‍্যপাল হরেন মুখার্জির ছেলেবেলা থেকে চলবার পথ।

এই সরলতা নিয়ে রাজভবনে অধঃস্তনরা আড়ালে হাসাহাসি করত বলে শোনা যায়৷ ডিহি শ্রীরামপুরের বাড়িতে বিলাসিতার কোনও চিহ্ন ছিল না৷ স্বামী-স্ত্রী দুজনই একই ভাবনার শরিক৷ বাড়ির ছাদে কলের ব্যবস্থা করতে চেয়েছিলেন হরেন্দ্রকুমার৷ বঙ্গবালা আপত্তি করেন৷ নীচের কল থেকে বালতি ভরে জল তোলা স্বাস্থ্যকর বলে মনে করেছেন তিনি৷ এঁরা রাজভবনে যখন গেলেন, ডিহি শ্রীরামপুরের জীবনযাপনটা ছেড়ে যাননি৷ ১৯৫১ সালের ২৫ অক্টোবর পশ্চিমবঙ্গের রাজ্যপাল হলেন ড. হরেন্দ্রকুমার মুখোপাধ্যায়৷ ডিহি শ্রীরামপুরের বাড়িতে বসেই খবরটা পান৷ সাংবাদিকরা আসেন৷ তাঁদের সঙ্গে কথা বলেন৷ মুখ্যমন্ত্রী বিধানচন্দ্র রায় এই মনোনয়নে সন্তোষ প্রকাশ করে বলেন, হরেনবাবু একজন খাঁটি খ্রিস্টান এবং খাঁটি শিক্ষক৷ একজন শিক্ষককে বাংলার রাজ্যপালের দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে, এটা বলবার মতো ঘটনা৷ ১৯৫৬ সালের ৭ আগস্ট প্রয়াত হন রাজ্যপাল হরেন্দ্রকুমার৷ বঙ্গবালা ফিরে আসেন ডিহি শ্রীরামপুরে৷

ফিরে এলেন সেই বাড়িতে, যেখানে বিরাট গ্রন্থাগার৷ স্বামীর স্মৃতিবিজড়িত পরিবেশ৷ হরেন্দ্রকুমার তাঁর স্থাবর অস্থাবর সম্পত্তি-সহ বইপত্রও দান করে গেছেন উইলে৷ হয়তো কিছুকাল সেই পরিবেশ পেয়েছিলেন বঙ্গবালা৷ তাঁর জীবদ্দশায় গ্রন্থাগার চলে যায় কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয়ে৷ এরপরই কি ধীরে ধীরে শূন্য হয়ে যায় বাড়ি? নিঃসঙ্গ হয়ে পড়েন বঙ্গবালা? টাকারয়সার অভাব হয়তো তেমন ছিল না৷ সাদামাটা জীবনে কতই বা ব্যয়! রাজভবনের আনুষ্ঠানিকতার চাপ থেকে মুক্তি পেয়েছেন বটে, কিন্তু বড্ড একা হয়ে গিয়েছেন৷ এই কারণেই কি মানসিক ভারসাম্য হারান? তালতলা মাঠে একা একা হাঁটছেন তিনি৷ বয়স আর অযত্নে কিছুটা মলিন মুখ৷ হাসি শিশুর মতো৷ দৃষ্টি বড়ো আপনজনের৷ বর্ষায় ডুবে গেছে মাঠ৷ জল ভেঙে হাঁটছেন বকের সঙ্গে৷ থেলার ভিড় থেকে তাঁকে সরিয়ে দেয় কেউ৷ বাড়ি থেকে এসে ডেকে নিয়ে যায় কোনও প্রিয়জন৷ সেদিনের বালক দেখতে পায়৷ 

সেই পাড়ার খোঁজে গিয়েছিল সে কয়েক মাস আগে৷ তালগাছগুলো আর নেই৷ আশেপাশের বস্তি প্রোমোটিংয়ের সুবাদে উঁচু উঁচু বাড়ি৷ তালতলা মাঠে ইমারতি মাল পড়ে আছে এখানে সেখানে৷ প্রোমোটিংয়ে যাবে বলে অপেক্ষা করছে বাকি একতলা দোতলা৷ মাঠটাও হয়তো যাবে৷ বাইক চলছে মাঠের ওপর দিয়ে৷ কেমন যেন শুকনো রুগ্ণ চারদিক৷ বাতাসে ভয়ের কাঁপন৷ ধ্বংসস্তূপ হবার জন্য জরাগ্রস্ত দেওয়াল নিয়ে দাঁড়িয়ে আছে লালচাঁদ মুখার্জি এবং হরেন মুখার্জির বাড়ি৷ সেই বাড়ির এক যুবক বাসিন্দা সন্দেহের চোখে দেখে কোনও প্রশ্নের জবাব না দিয়ে শুধু বলে গেলেন, তিনি রাষ্ট্রপতি ছিলেন৷  

 

সব ছবি লেখকের তোলা
*পরবর্তী পর্ব প্রকাশিত হবে ২৬ জুলাই ২০২২
Madhumoy Paul

মধুময়ের জন্ম ১৯৫২ সালে পূর্ববঙ্গের ময়মনসিংহে, কিশোরগঞ্জে। লেখাপড়া কলকাতায়। শৈশব-যৌবন কেটেছে স্টেশনে, ক‍্যাম্পে, বস্তিতে। গল্প লিখে লেখালেখি শুরু। পরে উপন‍্যাস। বই আখ‍্যান পঞ্চাশ, আলিঙ্গন দাও রানি, রূপকাঠের নৌকা। অনুসন্ধানমূলক কাজে আগ্রহী। পঞ্চাশের মন্বন্তর, দাঙ্গা-দেশভাগ, নকশালবাড়ি আন্দোলন নিয়ে কাজ করেছেন। কেয়া চক্রবর্তী, গণেশ পাইন তাঁর প্রিয় সম্পাদনা। প্রতিমা বড়ুয়াকে নিয়ে গ্রন্থের কাজ করছেন চার বছর। মূলত পাঠক ও শ্রোতা।

2 Responses

  1. আজকের বাস্তবতায় দাঁড়িয়ে হরেন্দ্রকুমার মুখার্জির আদর্শ ও সাধাসিধে যাপনের কথা কেমন যেন রূপকথার মতো অবিশ্বাস্য শোনায়! আর হাহাকার জাগে মনে, এত তাড়াতাড়ি সব কেন শেষ হয়ে গেল!

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *