কোরক বসুর কণ্ঠে এই ফিচারটির পডকাস্ট শুনতে হলে ক্লিক করুন

আলোকময় জীবন ছিল, আমার, সেই চোদ্দো বছর। যে চোদ্দো বছর আমি পণ্ডিত রবিশংকরজির সান্নিধ্যে কাটিয়েছি। পোশাকি ভাবে বলতে গেলে, আমি তখন ওঁকে সঙ্গত করেছি। কিন্তু প্রকৃত অর্থে একটা আলোকবৃত্তে ঢুকে গিয়েছিলাম। যা আমার যাপন, আমার মনন, আমার ভাবনা, আমার চিন্তা, আমার দৃষ্টিভঙ্গির মধ্যে একটা অনন্য চেতনা জাগিয়ে তুলেছে। এ আলোকবৃত্ত অবশ্য আমি প্রথম ছুঁয়েছিলাম ১৯৮২ সালে, যে বছর ডোভার লেন মিউজিক কনফারেন্স-এর প্রতিযোগিতায় আমি প্রথম পুরস্কার পেয়েছিলাম আর স্বয়ং সুপারস্টার রবিশংকরজি আমার হাতে প্রাইজটা তুলে দিয়েছিলেন।

পণ্ডিতজি কেমন বাজাতেন, কত ধরনের রাগ সৃষ্টি করেছিলেন, কী কী অভিনবত্ব অর্পণ করে গিয়েছেন সঙ্গীত জগতে—এ সব তো বহুচর্চিত। কিন্তু পণ্ডিতজির জীবনযাপনটাই যে বিরাট শিক্ষণীয়, এ কথা আমি তাঁর খুব কাছে থেকে জেনেছি। এক জন সঙ্গীত-সাধক তাঁর সাধনায় মগ্ন থাকবেন, এ তো স্বাভাবিক। কিন্তু একজন সাধক যে জীবনের প্রতিটি মুহূর্তে মগ্ন থাকতে পারেন, এ কথা তাঁকে না দেখলে বিশ্বাস করা শক্ত। তিনি নিজেই একটা পৃথিবী ছিলেন। তাঁর শিক্ষা, তাঁর জ্ঞান, তাঁর বিস্তার সর্বত্র ছিল, কেবল সঙ্গীতে আটকে ছিল না। তিনি জীবনে অবগাহন করেছিলেন আর তা থেকে শুষে নিয়েছিলেন প্রতিটি জ্ঞানের কণা।

তাঁর সঙ্গে থাকা মানেই প্রতিটি সময় জীবন উপহার দিয়ে চলেছে নতুন কিছু। যেমন, পণ্ডিতজির সান দিয়েগো-র বাড়িতে সকালে বসে ব্রেকফাস্ট করছি। তিনি হঠাৎ জিজ্ঞেস করলেন, “আচ্ছা, সাড়ে দশ মাত্রায়, রূপক তালটি কী ভাবে বাজাবে বলতো?” বিড়ম্বনায় পড়ে গেলাম। কিছুতেই বুঝতে পারছি না। তখন উনি বলে দিলেন, “রূপক তো সাত মাত্রার তাল। তাকে তিনগুণ করো, তা হলে ২১ মাত্রা হয়। আর ২১ মাত্রাকে দু’ভাগে ভাগ করলে সাড়ে দশ মাত্রা পাবে, ভেবে দেখো।” উনি যখন বলে দিলেন, তখন ব্যাপারটা জলের মতো সহজ হয়ে গেল। আরে, এ ভাবে তো ভেবে দেখিনি। বাজানো খুবই কঠিন। ব্যাপারটাও বোঝার পক্ষে অত্যন্ত একটা টেকনিক্যাল ব্যাপার। কিন্তু উনি এমন করে বোঝালেন যেন চোখের সামনেই ছিল, আমি দেখতে পাইনি। আবার হয়তো জিজ্ঞেস করলেন, “আচ্ছা একটা তেহাই বলো তো।” কোনও দিন বললেন, “এই বন্দিশটা কেমন হবে বলো তো? ” উনি সব সময় কিছু না কিছু ভাবছেন। আর ধাঁধার মতো আমাদের জিজ্ঞেস করছেন। শেখাচ্ছেন। সব সময় কিছু যেন আবিষ্কার করে চলেছেন। যদি না পারতাম, তবে শিখিয়ে দিতেন। সঙ্গীত ওঁর কাছে কেবল সাধনা, রেওয়াজ বা বাজনার মধ্যে সীমিত ছিল না। তিনি সঙ্গীতের মধ্যে বাস করতেন। সঙ্গীত দিয়েই বুনে চলতেন জীবন।

আবার এই তিনিই পরের দিন টেবিলে হয়তো বলছেন, “কী বই পড়ছ?” আমি জবাব দিয়েছি, “মানে, আমি তো ঠিক অত বই পড়ি না সব সময়।” “সে কী কথা। বই পড়বে সব সময়। তা না হলে ব্যাপ্তি বাড়বে না।” কী বাংলা, কী ইংরেজি, কী ফরাসি—সব সময় পড়ছেন। এয়ারপোর্টে বার্নস অ্যান্ড নোবল কোম্পানির বইয়ের দোকানে সোজা ঢুকে যেতেন। নতুন কী বই বেরিয়েছে খোঁজ করতেন, সন্ধান পেলেই কিনে নিতেন। এমনকী কলকাতায় কী কী নতুন বই প্রকাশ হল, সে খবরও রাখতেন। সে বইও ওঁর চাই। পরের দিন দুপুরে হয়তো কথা হল, কলকাতার কোন কোন পুরনো জায়গায় আসল কলকাতার সন্ধান মিলবে। অথচ কলকাতায় ছিলেনই বা কত দিন পণ্ডিতজি। কিন্তু সব তাঁর জানা। পাক্কা বাঙালি, ঝরঝরে বাংলা বলতেন, রবীন্দ্রনাথ কণ্ঠস্থ, শুক্তোর ভক্ত, উচ্ছে-বেগুন সান দিয়েগো-র বাড়িতেও জাজ্জ্বল্যমান। তাঁর সঙ্গে সকাল-সন্ধে আড্ডা চলেছে সিনেমা নিয়ে। বিশ্বের সিনেমা। ওঁর বাড়িতে দু বার শো-টাইম ছিল। এক বার লাঞ্চের পর, আর এক বার ডিনারের পর। সেই আলোচনা অনায়াসে যাতায়াত করছে সিনেমা থেকে থিয়েটার, থিয়েটার থেকে বিশ্বসাহিত্য, সাহিত্য থেকে জীবনদর্শন। ফলে প্রতিটি মুহূর্তে ঋদ্ধ না হয়ে উপায় ছিল না। জীবনপাত্র অহরহ উপচে যেত।

এক দিন জিজ্ঞেস করলেন, “সার্ক দু-সুলেই দেখেছ?” একটু অপ্রস্তুত হয়ে মাথা নাড়লাম। “সে কী! এটা একটা ফ্রেঞ্চ প্রোডাকশন। এখন কানাডার কুইবেক থেকে হয়। ওখানকার ফ্রেঞ্চ কলোনির লোকজনরা করেন। অবশ্যই দেখবে।” সান দিয়েগোর কাছে সার্ক দু-সুলেই হচ্ছিল এক বার। দেখে এলাম। এই সার্কাসে কোনও জন্তু-জানোয়ার থাকে না। হিউম্যান সার্কাস। এটা একটা অভিজ্ঞতা, যে না দেখেছে, তাকে বলে বোঝানো একটু কঠিন। এক বার জাপান গিয়েছি জ্যাঠামশাইয়ের (পণ্ডিতজিকে আমি তা-ই ডাকতাম) সঙ্গে। কনসার্ট ছিল। পৌঁছেছি দু’তিন দিন আগে। টোকিওর রেডিও সিটি হল-এ অনুষ্ঠান। উনি আমায় ডেকে বললেন, “আরে তুমি তো জাপানি খাবার খেতে ভালবাস। যাও এখানে সকাল-বিকেল ভাল করে চেখে নাও আসল স্বাদ। আচ্ছা, তুমি চপস্টিক ধরতে জানো তো?” আমতা আমতা করে বললাম,“আজ্ঞে একটু একটু। তেমন পারি না।” চোখ পাকিয়ে বললেন, “খুব খারাপ কথা। এখানে যত দিন থাকবে, চপস্টিক দিয়ে খাওয়া শিখে নাও।” দায়িত্ব বর্তাল ওঁর এক ছাত্র, কেনজি-র ওপর। সে তখন আমায় নিয়ে এক নতুন দায়িত্ব পালন করতে শুরু করল। বই নিজে পড়তেন, আমায়ও পড়াতেন। কিছু দিন অন্তর অন্তর খবর নিতেন, এই বই পড়েছি কি না, ওই বই পড়েছি কি না। না পড়লে বইটি দিয়ে দিতেন এবং হুকুম হত পড়ে শেষ করার। আমেরিকায় ওঁর বাড়ির কাছে ছিল এসআরএফ সেন্টার। সেখানে নিয়ে গিয়েছিলেন। স্বামী যোগানন্দ কোথায় বসে ধ্যান করতেন, সেটা দেখিয়েছিলেন। পরে ভেবে দেখেছি, আসলে উনি আমায় সব দিক থেকে তৈরি করছিলেন তখন। উনি চেয়েছিলেন, আমি যেন সবটুকু জেনে যাই। চপস্টিক ধরা, পৃথিবী বিখ্যাত সাহিত্য, সিনেমা, সার্কাস, সঙ্গীত—সব কিছু সম্পর্কেই যেন আমি অবহিত হই। এটাই তো গুরুর কাজ। গুরুগৃহে থাকার এটাই তো উদ্দেশ্য। সত্যিকারের গুরু তো জীবনযাপন শেখান। কোনও নির্দিষ্ট বাজনা, কোনও নির্দিষ্ট দর্শন, কোনও নির্দিষ্ট বিধিতেই তো আটকে থাকে না তাঁর জ্ঞান। তিনি তালিম দেন জীবনের।

Birth Centenary salutations to the greatest of all times BHARATRATNA PDT RAVI SHANKAR JI

Birth Centenary salutations to the greatest of all times BHARATRATNA PDT RAVI SHANKAR JI Ravi Shankar Norah Jones Anoushka Shankar Bonnya Bose

Tanmoy Bose ಅವರಿಂದ ಈ ದಿನದಂದು ಪೋಸ್ಟ್ ಮಾಡಲಾಗಿದೆ ಸೋಮವಾರ, ಏಪ್ರಿಲ್ 6, 2020

এ সব কথা শুনলে মনে হবে যেন বৈদিক যুগের গুরুর বাড়িতে কঠিন শৃঙ্খলায় আটকা পড়ে গিয়েছিলাম। কখনওই তা নয়। তাঁর মতো রসিক মানুষও হয় না। ওঁর বাড়ির কাছে একটা বড় মাঠে খুব বড় হ্যালোউইন-এর পার্টি হত। দু’তিন বার আমি আর বিক্রমও গিয়েছি। এবং ভাবলেও অবাক লাগে, জ্যাঠামশাই, চিনাম্মা, অনুষ্কা, আমি, বিক্রম—সবাই আমরা অদ্ভুত সমস্ত পোশাক পরে দারুণ হুল্লোড় করেছি। কেউ পাইরেট, কেউ ভূত, কেউ পেত্নি সেজে মহানন্দে মেতে উঠেছি। আমি আবার জন্ম থেকেই একটু দুষ্টু প্রকৃতির। এক বার আমরা মেক্সিকো যাচ্ছি। জ্যাঠামশাই সামনের রো-এ বসে রয়েছেন ফ্লাইটে। আমি আর বিক্রম কয়েকটি রো পরে। এয়ারহোস্টেস কোনও এক জন হিসপ্যানিক লোককে খুঁজছেন। বেশ কয়েক বার “মিস্টার মেন্দোসা, মিস্টার মেন্দোসা” করে ডাকার পর দেখি কেউ সাড়া দেয় না। আমি তখন হাত তুলে চেঁচিয়ে আমাকে আর বিক্রমকে দেখিয়ে বললাম, “হিয়ার! উই আর মিস্টার বোসা অ্যান্ড মিস্টার ঘোষা!” জ্যাঠামশাই হেসে কুটিপাটি। উনি কিন্তু এক বারও পেছনে ফিরে তাকালেনও না, বুঝেই গেলেন আমি করেছি। আমার দুষ্টুমির প্রতি ওঁর এমনই অগাধ আস্থা ছিল।

আর এক বার একটু বেশি বাড়াবাড়ি করে ফেলেছিলাম। ফ্লোরিডায় বাজাতে গিয়েছি। সেখানে গুরুজির এক বন্ধু এসেছেন। বহু কালের চেনা। ডাক্তার। বিস্তর বড়লোক। বাজনার পর রাতে ওঁর পেল্লায় বাড়িতে ডিনার। ফার্মহাউস-টাউস পেরিয়ে ওঁর বাড়ি। সারা ডিনারের সময়টা উনি আমায় নানাবিধ প্রশ্ন করে ব্যতিব্য়স্ত করে তুলেছেন। “তুমি কত দিন গুরুজিকে চেনো?  কত দিন বাজাচ্ছ ওর সঙ্গে? বাড়িতে কে কে আছে?” আমি তো লক্ষ্মী ছেলে নই। আমি এত প্রশ্নে একটু বিরক্ত হয়ে উঠলাম। এক সময় ডাক্তার-বন্ধুটি আমায় জিজ্ঞেস করতে লাগলেন, আমি কত বড় বড় বাজিয়েদের চিনি। তার মধ্যে গুরুজির অনেক শিষ্যের নামও ছিল। উনি এক এক জনের কথা জিজ্ঞেস করেন, আর আমি বলি—ওঁর হাত কাটা গেছে, তাঁর প্যারালিসিস হয়েছে, উনি হার্ট- অ্যাটাকে কাবু। সমস্ত মর্মান্তিক ঘটনা। পরের দিন সকাল বেলায় হোটেলের রিসেপশন থেকে ঘরে ফোন—জ্যাঠামশাই এখনই আমায় ওঁর ঘরে দেখা করতে বলেছেন। আমি তো বুঝে গিয়েছি যে উনি জেনে গিয়েছেন আমার অপকর্মের কথা। দেখি সুইটের দরজা খোলা, উনি বসে রয়েছেন, আর চিনাম্মা (সুকন্যা শংকর) খুব রেগেমেগে পায়চারি করছেন। আমি তো বেগতিক বুঝে সটান সাষ্টাঙ্গে প্রণাম। জ্যাঠামশাই মিটিমিটি হাসছেন, আর চিনাম্মা আমাকে আর জ্যাঠামশাইকে বকছেন, “তুমি কখনও কিছু বলো না ওকে। তোমার আস্কারা পেয়ে এই অবস্থা। কাল রাত আড়াইটের সময় ডাক্তার-বন্ধু ফোন করে শোক প্রকাশ করছেন। এ সব কী, শিষ্যরা জানতে পারলে কী হবে!” জ্যাঠামশাই কিন্তু বেশ মজা পেয়েছেন বোঝা যাচ্ছে। উনি আমায় মিটিমিটি হসে বললেন, “আহ! তুমি কী যে করো। এ সব দুষ্টুমি কেউ করে!” সুতরাং আমি বুঝে গেলাম এই রসিক মানুষটির কাছে আমার পরবর্তী দুষ্টুমির লাইসেন্সটি মিলে গেল।

আবার এই মানুষটাই কী উতলা! নিজের কনসার্টের ব্যাপারেই হোক বা আমাদের পৌঁছসংবাদের ব্যাপারেই হোক। প্রতিটি কনসার্টের আগে বলতেন, “আজ আমার শরীরটা ঠিক ভাল ঠেকছে না। কী যে হবে। কেমন যে বাজাব! তোমরা সব সামলে নিও।” আমরা বলতাম, “কী যে বলেন, আপনি ঠিকই বাজাবেন এবং মাত করবেন।” এবং সেটা তো প্রমাণিত সত্য। সান দিয়েগো থেকে কলকাতা ফিরব। বার বার বলতেন, “বাড়ি ফিরে পৌঁছসংবাদ দিও।” ফোন করতে একটু দেরি হলে নিজেই ফোন করে জিজ্ঞেস করে নিতেন, ঠিকঠাক পৌঁছেছি কি না।

আবার এই মানুষটিই মনে মনে গুনগুন করতেন, “তবু মনে রেখো।” আমি বলতাম, জ্যাঠামশাই, আপনি কেন এ গান গাইছেন, আপনাকে কি কারও ভোলা সম্ভব? বলতেন, “জানো না, মানুষের স্মৃতি বড় ক্ষণস্থায়ী। আমি চলে গেলে, মানুষ আমায় ভুলে যাবে।” আমার এখন বলতে খুব ইচ্ছে করছে যে, দেখুন মানুষ আপনাকে কী ভাবে মনে রেখেছে। পরের প্রজন্মও মনে রাখবে। তাঁর জীবনের শেষ কনসার্টেও আমি বাজিয়েছি জ্যাঠামশাইয়ের সঙ্গে। ২০১২-র নভেম্বর মাসে। শরীর খুব খারাপ। নাকে অক্সিজেন মাস্ক। উইংসের ধারে দু’জন ডাক্তার। নার্স হইলচেয়ারে করে মঞ্চে নিয়ে এলেন তাঁকে। এবং তিনি টানা দেড় ঘন্টা বাজালেন। স্তব্ধ করে দিলেন হলের মানুষজনকে। বোধ হয় তাঁর জীবনের সবটুকু রস নিংড়ে দিয়ে দিয়েছিলেন সেইদিন।

এমন সম্পূর্ণ মানুষ আমি আর কখনও দেখিনি। সঙ্গীত-জ্ঞানে শিখরে, সেলেব্রিটি সংজ্ঞায় কেবল ওঁর নাম বললেই হয়, পৃথিবীর মানুষ ওঁর দর্শনের জন্য আকুল—অথচ উনি স্থিতধী, উনি বিনত, উনি নরম, উনি মগ্ন।  কোনও খ্যাতি, কোনও মালিন্য, কোনও তর্ক—কিছুই ওঁকে ছুঁতে পারেনি। উনি তাঁতির মতো নিষ্ঠায় ও পরিশ্রমে জীবনের প্রতিটি সুতো টানা-পড়েন করে বুনে চলেছিলেন আর এক আশ্চর্য জীবন।

ঈশ্বর কেমন দেখতে আমি জানি না, তবে নিশ্চিতভাবেই উনি আমার কাছে ঈশ্বরকণা।  

অনুলিখন: সঞ্চারী মুখোপাধ্যায়

শাস্ত্রীয় সঙ্গীতের জগতে পরিচিত নাম তন্ময় বসু দীর্ঘ চোদ্দ বছর পণ্ডিত রবিশঙ্করকে তবলায় সঙ্গত করেছেন। কাজ করেছেন ভি জি যোগ, আমজাদ আলী খান, মুনাওয়ার আলী খানের মত শিল্পীদের সঙ্গে। সঙ্গীতচর্চা ছাড়াও ব্যস্ত থাকেন গবেষণা এবং সুরসৃষ্টির কাজে।

3 Responses

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *