কয়েক ঘণ্টা জোরে বৃষ্টি পড়লেই ইস্কুলের মধ্যে জল জমে যেত। রেনফ্রু হাউস, নিউ বিল্ডিং আর ওল্ড বিল্ডিংয়ের মধ্যে যাতায়াতের জন্যে বেঞ্চি লাগানো হত আর টিচার, ছাত্র সব্বাই বেঞ্চির ওপর দিয়ে হেঁটে এক বাড়ি থেকে আর এক বাড়ি যেত। মৌলালিতেও তখন জল জমত বিস্তর। মানা নিজের তৈরি প্লাস্টিকের সেলাই করা রেনকোট পড়ে জল থপথপিয়ে আমায় নিয়ে বাড়ি ফিরে মা-কে গম্ভীরভাবে নিদান দিত, “ইস্কুলে জল জমেছে। ছেলেকে কাল ইস্কুলে পাঠিও না।” মা বেজায় রেগে যেতেন- “এ আবার কী! সাহেবি ইস্কুলে জল জমে? কোনও দিন শুনিনি এমন!”

পরের দিন সব্বাই বেরিয়ে যেত আর জুনিয়র স্কুলে পড়া আমি বাড়িতে পুরনো কিশোর ভারতী, শারদীয়া দেবসাহিত্য কুটির, শুকতারা, চাঁদমামা ওপরের তাক থেকে নামিয়ে বিছানায় গড়াগড়ি খেতাম। বৃষ্টি পড়লে খানিকক্ষণ অন্তর জানালায় পা ঝুলিয়ে হাত বাড়িয়ে বৃষ্টি ধরার চেষ্টা করতাম।

কিন্তু কপাল খারাপ। ইস্কুলের ড্রেনেজ সিস্টেম ঠেলে মেরামত করা হল, মৌলালিতে জল জমা বন্ধ হল আমি কিছুটা বড় হওয়ার আগেই। তাই মুফতে পাওয়া রেইনি ডে আর বিছানায় গড়িয়ে গড়িয়ে বই পড়া আর ল্যাদ খাওয়ার
সেখানেই ইতি হয়ে গেল। 

রেইনি ডে কি জীবন থেকে উবে গেল? এক্কেবারেই না!

কিছুটা বড় হওয়ার পর সকালবেলা আকাশ কালো করে বৃষ্টি এলেই আমার আর ছোটদির একটা কমন গান ছিল, যেটা ডুয়েট গাইতে গাইতে মায়ের পিছু পিছু ঘুরে বেড়াতাম। গলিতে ভিক্ষে করতে আসা এক ব্যক্তির কাছ থেকে চুরি করা এক বিচিত্র সুরে গাওয়া সে গানের মূল কথা ছিল “মা গো,আজকে ইস্কুল যাব না গো!” এক নামী ইস্কুলের শিক্ষয়িত্রী মা, ছেলে-মেয়েদের ইস্কুল কামাই করা নিয়ে ঘোর আপত্তি ছিল। বাবা তুলনায় ছিলেন নরম হৃদয়ের। মাকে আস্তে করে বলতেন “যদি না যেতে চায়, ছেড়ে দাও!” মা কড়া চোখে তাকালেই সুড়ুৎ করে স্নান করতে চলে যেতেন বাবা। আর বৃষ্টিটাও এত বেয়াক্কেলে যে ঠিক ইস্কুলে বেরনোর আগে বৃষ্টি থেমে যেত।

কিন্তু বেড়ালের ভাগ্যেও কখনও শিঁকে ছেড়ে। এক একদিন বৃষ্টির দাপট বেড়ে যেত ইস্কুলে বেরনোর আগেই আর নাগাড়ে পড়তে থাকত। সেদিন ইস্কুলে যাওয়ার জন্যে বেশ তাড়াতাড়ি তৈরি হয়ে গিয়ে মা-কে শুনিয়ে শুনিয়ে ছোড়দিকে বলতাম, “বাস থেকে নেমে স্কুলের গেট পঞ্চাশ মিটার, আর স্কুলের গেট থেকে আমাদের বিল্ডিং দু’শো মিটার… এক ছুটে চলে যাব, কী বলিস? এ যা বৃষ্টি তাতে ছাতা থাকাও যা, না থাকাও তা!” ছোড়দি যাদবপুরে পড়ত। বলে বসত, “তুই তো দৌড়তে পারবি, আমি তো পারব না! বাসস্ট্যান্ড থেকে ডিপার্টমেন্ট তো অনেকটা রাস্তা- আমি বরং আগের ৮বি-টা ধরার চেষ্টা করি!”

মা গুমগুম করে খানিক এ-ঘর ও-ঘর করে বেজার মুখে রায় দিতেন “আজকে আর তোমাদের বেরোতে হবে না!” আমরা দুজনেই ঘোর আপত্তি জানাতাম তাতে। ছোড়দির খুব দরকারি ক্লাস নাকি মিস হয়ে যাবে, আর আমার প্র্যাক্‌টিকাল আছে বলে। মা শুনে বলতেন, “অনেক ক্লাস হয়েছে, জলে ভিজলে আরও বেশি ক্লাস মিস হবে!” খুব বিমর্ষ মুখে দু’জনা পড়ার বই নিয়ে বসে পড়তাম বাবা আর মা বেরনোর জন্যে। তবে চোখ থাকত জানালার বাইরে বৃষ্টির ধারার দিকে… হে ভগবান, বৃষ্টি যেন একনাগাড়ে মুষলধারে পড়তে থাকে!

বাবা অফিস যেতেন চার্টার্ড বাসে। তাই নির্দিষ্ট সময়ে বেরিয়ে যেতেন, মা ইস্কুলে বেরতেন খানিকক্ষণ পরেই। মা-র ইস্কুল যেহেতু বাড়ি থেকে দশ মিনিটের হাঁটা-পথ আর বেশিরভাগ শিক্ষিকাই আসতেন অনেক দূর থেকে, যতই বৃষ্টি হোক, মাকে ইস্কুলে যেতেই হত। মা যেই ইস্কুলে রওনা হলেন, ছোড়দি আর আমি একদৌড়ে ছাদে! তিনতলাটা পা টিপে টিপে পার হয়ে, বাড়িওয়ালি জ্যেঠিমার নজর এড়িয়ে। ছাদে পৌঁছে প্রথমেই কোমরে গুঁজে সাবধানে লুকিয়ে নিয়ে আসা কাপড়টা রেনওয়াটার পাইপের মুখে গুঁজে দেওয়া, যাতে ছাদে জল জমে যায়। বাড়ির সামনে জল জমত না বলে ছোটবেলা থেকে হীনম্মন্যতায় ভুগতাম। সেটা যতটুকু উসুল করা যায় আর কি! হোক না পা-পাতা ডোবা জল, নেই মামার চেয়ে তো কানা মামা ভালো! এরপর দু’জনে মিলে ডানা মেলে দু’হাত ছড়িয়ে খানিক ভিজে নেওয়া। ইতিমধ্যে ছাদে কিছুটা জল জমে গিয়েছে। ব্যাস! জমা জলের ওপর লাফালাফি করে একে অন্যজনের গায়ে জলের ঝাপটা দেওয়া চলত। এক সময়ে আগাপাশতলা ভিজে পা টিপেটিপে আবার নিচে নেমে আসতাম।

একবার কেস খেয়েছিলাম জব্বর। ছাদ থেকে নামার সময় পাইপের মুখ থেকে কাপড়টা সরাতে ভুলে গিয়েছিলাম। যা হওয়ার তাই হয়েছিল। ছাদ থেকে জল উপচে জ্যেঠিমার তিনতলা ভেসে গিয়েছিল এবং জ্যেঠিমা তৎক্ষণাৎ বাবাকে আমাদের কাণ্ড নালিশ করেছিলেন। ফলে ছোড়দি খুব বকুনি খেয়েছিল বাবার কাছে।

সে যাইহোক, অঘটন-বর্ণন আপাতত মুলতুবি থাক। ছাদ-অ্যাডভেঞ্চারের কথায় ফেরা যাক। বিষ্টি-ভিজে ছাদ থেকে নেমেই ছোড়দি মায়ের হোমিওপ্যাথির বাক্স থেকে রাসটক্স নিয়ে কয়েকটা গুলি আমার মুখে দিয়ে নিজেও খেয়ে নিত। সর্দিকাশি থেকে সাবধানতা! এরপর শুরু হতো “অপারেশন রান্নাঘর”। রান্নাঘরের কর্ত্রী মানাকে সেখান থেকে উৎখাত করে ছোড়দি দখল তার নিয়ে চাকা চাকা পেঁয়াজ কাটতে বসতো পেঁয়াজি বানাবে বলে। আর আমার ওপর দায়িত্ব থাকত রান্নাঘরের বিভিন্ন আনাচ-কানাচ, চালের টিন, কুলুঙ্গি হাতড়ে লুকিয়ে রাখা আচারের বয়াম, নারকেল নাড়ু, মোয়া ইত্যাদি দুষ্প্রাপ্য খাবারগুলো বার করার। বাইরে মানার চিৎকার ঢাকা পড়ে যেত পাশের বাড়ির গ্যারেজের টিনের চালে ঝমঝম বৃষ্টির শব্দে। দুপুরে খিচুড়ি খেতে খেতেই মানার সঙ্গে একটা আপস করে নেওয়া হত ওর প্রিয় শতচ্ছিন্ন ‘ব্রহ্মবৈবর্ত পুরাণ’ বাঁধানোর দায়িত্ব নিয়ে, যেটা পরের দিন থেকে প্রত্যেকবার পরের বৃষ্টির দিনের জন্যে সন্তর্পণে পিছিয়ে দেওয়া হত। এরপর ছোড়দি বালিশ বুকে নিয়ে উপুড় হয়ে গল্পের বইয়ে ডুব দেওয়াতে আমি সেই ছোটবেলার আমার মতো জানালায় পা ঝুলিয়ে বসে হাত বাড়িয়ে বৃষ্টি ধরার চেষ্টা করতাম। কখন যেন দুপুরটা গড়িয়ে গড়িয়ে বিকেল হয়ে যেত। 

বেশি দিন নয়, এই বছর দশেক আগের বর্ষাতেই আমি ছিলাম কলকাতা থেকে একশো মাইল দূরে এক শহরতলিতে কর্মরত। আকাশ ভেঙে বৃষ্টি নেমেছে আগের রাত থেকে। অফিসে যেতেই হবে, ব্যাঙ্ক চালু রাখতেই হবে। হেডঅফিস শুনবে কেন শহরতলির নাজেহাল দশার কথা! মুম্বইতে বৃষ্টি হলে তা-ও নাহয় কথা ছিল! ভাগ্যক্রমে ব্যাঙ্কের সব কর্মীই অফিসের পাঁচশো মিটারের মধ্যে থাকত। তাই ছপছপ করে হাঁটু জল ভেঙে একে একে সব্বাই হাজির হলাম। ব্যাঙ্কে একটিও গ্রাহকের দেখা নেই। সকাল থেকে সব্বাই গোল হয়ে বসে জমিয়ে আড্ডা দিচ্ছি আর খানিক বাদে বাদে আলোচনা খিচুড়ির দিকে গোঁত্তা খাচ্ছে। পিওন চন্দন, অপারেশন্‌স ম্যানেজারের নির্দেশে এক ক্রেট ডিম নিয়ে হাজির হয়ে সব্বাইকে ডিমভাজা করে দিল। সেটা খেতে খেতে এবার ইলিশও ঢুকে পড়ল আলোচনাতে।

খানিকবাদে ব্যাঙ্কের পুরনো গ্রাহক বলরামবাবু ঢুকলেন। ভাবলাম অবশেষে একজন কাস্টমার এসেছেন। কিন্তু ও হরি!! উনি এসেছেন বেড়াতে! খানিক গপ্পো করে বেরিয়ে যাওয়ার সময় আমাদের সেলস অফিসার রাজকুমারকে ডেকে কিছু একটা বললেন। রাজকুমার ওর দোসর ঝা-কে ডেকে নিয়ে এক মস্ত ছাতা হাতে বুলেটের মতো বেরিয়ে গেল। অবাক হয়ে ওদের ধাওয়া করে গেট অবধি গিয়ে দেখি, দুই মক্কেল একটা রিক্সা জোগাড় করে চেপে বসেছে।
— স্যার আমরা আসছি গিয়ে।
রাজকুমার ওর নিজস্ব ভাষায় হাঁক দিয়ে চলে গেল। ঘণ্টাখানেকের মধ্যেই ফেরত এল।
সঙ্গে তিনটে ইলিশ! তিনটে মিলিয়ে ওজন তিন কিলোর ওপরে!
তার সঙ্গে রিক্সা থেকে নামল মেসের স্টোভ আর একটা প্লাস্টিকের প্যাকেট। উঁকি মেরে দেখি ভেতরে একটা গামছা। ব্যাঙ্কে সব্বাই হইহই করে উঠল। আমি বেকুবের মতো জিজ্ঞেস করলাম
— কী হচ্ছে এটা? রাজকুমার আর সব্বাই সমস্বরে বলল
— ব্যাঙ্কের গেট বন্ধ হলে আজ ফিষ্টি হবে স্যার!
— ফাজলামি হচ্ছে? রান্না করবে কে?
— স্যার আপনি চিন্তা করবেন না। পেছনের প্যান্ট্রিতে সুব্রত রান্না করবে আর চন্দন জোগাড় দেবে। সামনে থেকে কেউ জানতেই পারবে না!
আমি তাতেও গাঁইগুঁই করাতে রাজকুমার মোক্ষম অস্ত্র দিল।
— আপনি চিন্তা করবেননি স্যার। ওখানে সিসি টিভির ক্যামেরা নেই!
আমি হাল ছেড়ে দিয়ে শুধু জিজ্ঞেস করলাম
— গামছাটা কিসের জন্যে?
জানতে পারলাম, গামছা না পরলে সুব্রত রান্না করতে পারে না।

বাইরে অবিরাম বৃষ্টির নিকুচি করেছে। দু’টো ছেলে চলে গেল বাজারে চাল, ডাল, মশলা, কাগজের থালাবাটি আনতে। দু’টো ছেলে মেস থেকে, আমার বাড়িওয়ালাকে জপিয়ে বঁটি, রান্নার বাসন নিয়ে উপস্থিত হল। একেই কাস্টমার নেই, তার ওপর বাইরে জল জমে গিয়ে রিক্সা পর্যন্ত পাওয়া দুষ্কর ততক্ষণে। কাজকর্ম মাথায় উঠল টাটকা ইলিশের গন্ধে। ব্যাঙ্ক যজ্ঞি-বাড়ি হয়ে গিয়েছে। ভাগ্যে সেদিন ভল্ট খুলে টাকা বার করা হয়নি!

ক্যাশ কাউন্টারে তখন পেঁয়াজ কাটা হচ্ছে, সুব্রত গামছা পরে টহল দিচ্ছে, যাতে তার জোগাড়েরা ফাঁকি না দেয়! সব স্টাফ তখন সুব্রতর অধীনে। মেনু –  খিচুড়ি, ডিম ভাজা (মামলেট তবু বলা যেতে পারে। অম‌লেট কিছুতেই নয়!), ইলিশ মাছের তেল আর ইলিশের ঝোল। ইলিশের গন্ধটা রাতেও হাতে লেগেছিল। কে বলেছে অফিসে রেইনি ডে উদযাপন হয় না? 

একবার রাতে, চার স্টেশন আগের গ্রামে এক সহকর্মীর বাড়ির অনুষ্ঠানে ব্রাঞ্চের সব্বার নেমন্তন্ন ছিল। একদল ট্রেনে করে গিয়েছে, আর আমরা কয়েকজন গাড়ি করে। ফেরার সময় মুষলধারে বৃষ্টি শুরু হল আর তার সঙ্গে আকাশ ফালাফালা করে বিদ্যুৎ চমক। দুই দিকে ধানক্ষেত আর মাঝে রাস্তা। পুরো স্পিডে ওয়াইপার উইন্ডস্ক্রিনের জল কাটতে কাটতে চলেছে, এমন সময় গাড়ির হেডলাইট গেল খারাপ হয়ে। তখন আমরা এক্কেবারে মাঝরাস্তায়। ফেরত যাওয়ার প্রশ্নই ওঠে না, কারণ এ অবস্থায় গ্রামের ভেতর আঁকাবাঁকা পথে গাড়ি চালানো অসম্ভব। গাড়ি রাস্তার একপাশে দাঁড়িয়ে পড়েছে। রাস্তায় লাইটের নামগন্ধ নেই। কিন্তু এত বিদ্যুৎ চমকাচ্ছে যে আমরা চারপাশ দেখতে পাচ্ছি আর বৃষ্টির দাপট উত্তরোত্তর বেড়ে চলেছে। হঠাৎ কী খেয়াল হতে ড্রাইভারকে জিজ্ঞেস করলাম,
— সামনের রাস্তা দেখতে পাচ্ছেন?
— আজ্ঞে হ্যাঁ স্যার, যা ঝিলিক দিচ্ছে! (ওই জেলার মানুষ চলিত ভাষায় বিদ্যুৎকে ঝিলিক বলে জানতাম।) তখন ড্রাইভারকে বললাম,
— তাহলে আমরা দাঁড়িয়ে আছি কেন? আস্তে আস্তে গাড়ি গড়াতে শুরু করুন!
গাড়িতে বসা আমার অন্য সহকর্মীরা হাঁ-হাঁ করে উঠলো শুনে। ওদের বোঝালাম যে সারারাত এ ভাবে বসে থাকার চেয়ে গাড়ি গড়াতে থাকুক আস্তে আস্তে। ড্রাইভারের অসুবিধে হলে গাড়ি থামিয়ে দেবেন। দশ থেকে পনেরো কিলোমিটার স্পিডে বিদ্যুতের আলোয় গাড়ি চলতে লাগল। কিছু দূর যাই, থামি, আবার কিছু দূর যাই… এই করতে করতে একসময়ে আমরা শহরতলিতে পৌঁছলাম। গাড়িতে বসেই ঘামে সপসপে ভিজে গিয়েছি ভয়ের চোটে। বাড়ির কাছাকাছি আসতে সব্বাই গাড়ি থেকে নেমে দু’হাত ছড়িয়ে বৃষ্টির মধ্যে নাচতে লাগল! আমিও একসময় দেখলাম ওদের সঙ্গে জমা জলে ছপাত ছপাত লাফিয়ে লাফিয়ে নাচছি।
একটা অন্যরকম রেইনি ডে উদযাপন করছি। বেঁচে থাকার উদযাপন।  

পুনশ্চঃ ওপরের তলার জয়ন্তী কাকিমা যেদিন আমার কাছে নালিশ করতে আসেন, আমার মেয়ে ছুটকি তিনতলার শুভম আর কুকিকে নিয়ে ছাদের পাইপ বুজিয়ে জল জমিয়ে খেলেছে, আর সেই জল সিঁড়ি বেয়ে নেমে জয়ন্তী কাকিমার বাড়িতে ঢুকেছে, আমি ছুটকিকে বকতে গিয়ে থমকে হেসে ফেলি… আরে! ছুটকির ইস্কুলে তো রেইনি ডে ছিল আজ! 

পেশার তাগিদে সার্ভিস সেক্টর বিশেষজ্ঞ, নেশা আর বাঁচার তাগিদে বই পড়া আর আড্ডা দেওয়া। পত্রপত্রিকায় রম্যরচনা থেকে রুপোলি পর্দায় অভিনয়, ধর্মেও আছেন জিরাফেও আছেন তিনি। খেতে ভালোবাসেন বলে কি খাবারের ইতিহাস খুঁড়ে চলেন? পিনাকী ভট্টাচার্য কিন্তু সবচেয়ে ভালোবাসেন ঘুমোতে।

25 Responses

    1. অসামান্য, অনবদ্য ! শুধু কি ছোটবেলার ” আয় বৃষ্টি ঝেঁপে…”,
      বড়বেলার সব ” এমন ঘনঘোর বরিষায়…” অফিস নৈব নৈব চ, স্মৃতিও ফিরে এলো ধাক্কাধাক্কি করে। ছোটবেলা থেকেই যে কোনো রেনি ডে জুড়ে থাকত হিন্দী, বাংলা, ইংরেজি কিছু হিট বা সুপারহিট গান।লেখাটা পড়ার পর সে গানগুলিও যেন বেজে ফিরলো একটা সিক্ত সুরের আমেজ ছড়িয়ে চারিদিকে…

  1. পড়ার সময় মুখে একটা হালকা হাসি লেগেছিল আর মাঝামাঝি এসে জিভে জল । শেষটায় মনে পড়ে গেল আমরা বড় হয়ে গেছি। সব মিলিয়ে সুন্দর অভিজ্ঞতা। আরো পড়ার অপেক্ষায় রইলাম ।

  2. ছেলেবেলার বৃষ্টি মানেই… মন হারিয়ে গেল সেই সময়ে …লেখার হাত ধরে কিছুটা সময় ঘুরে বেড়ালাম নিজের শৈশবে। খুব ভালো লাগল পড়ে

  3. লেখাটা পড়তে পড়তে আমিও কখন সন্তর্পণে জেঠিমাকে এড়িয়ে ছাদে উঠে পড়েছি আর ছেলেবেলার অঝোর ধারাগুলো এক একটা স্মৃতি হয়ে ঝরে পড়ছে। লেখা আর অলংকরণ প্রায় খিচুড়ি আর ডিম ভাজার মতই।
    যাই এবার মাথা মুছে নিই………. পরের দিন তো আবার অফিস।

  4. দারুন লিখেছিস ! একেবারে ভিজতে ভিজতে ছোটবেলায় ফিরে গেলাম । সঙ্গের আঁকা টাও মানানসই । বড়বেলার গল্পগুলো ও মজাদার বেশ । চালিয়ে যা ,থামিস না ।

  5. অসামান্য, অনবদ্য ! শুধু কি ছোটবেলার ” আয় বৃষ্টি ঝেঁপে…”,
    বড়বেলার সব ” এমন ঘনঘোর বরিষায়…” অফিস নৈব নৈব চ, স্মৃতিও ফিরে এলো ধাক্কাধাক্কি করে। ছোটবেলা থেকেই যে কোনো রেনি ডে জুড়ে থাকত হিন্দী, বাংলা, ইংরেজি কিছু হিট বা সুপারহিট গান।লেখাটা পড়ার পর সে গানগুলিও যেন বেজে ফিরলো একটা সিক্ত সুরের আমেজ ছড়িয়ে চারিদিকে…

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *