প্লাস্টিক যে পরিবেশের জন্য কতটা খারাপ তা আর বলার অপেক্ষা রাখে না। প্লাস্টিক বর্জন করার জন্য নানা রকম ভাবে উদ্বুদ্ধ করছে আমাদের সরকার। নতুন নতুন অনেক নিয়ম হয়েছে প্লাস্টিক ব্যবহার রোখার জন্য। এ বার এক নতুন নিয়ম চালু করল রেল মন্ত্রণালয়। রেল স্টেশনে রাখা প্লাস্টিক ক্রাশিং মেশিনে যদি আপনি আপনার প্ল্যাস্টিক বোতল ফেলে দেন, তা হলে আপনাকে টাকা দেবে খোদ রেল!

প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর প্লাস্টিক বর্জন প্রকল্পের অংশ হিসেবে এই প্ল্যানকে প্রয়োগ করতে চাইছে রেল দফতর। আপনি প্লাস্টিক বোতল নষ্ট করার সঙ্গে সঙ্গে আপনার মোবাইল ফোনের ওয়ালেটে টাকা চলে আসবে।

স্বাধীনতা দিবসে, নরেন্দ্র মোদী, দেশবাসীদের অনুরোধ করেছিলেন প্লাস্টিক ব্যবহার না করতে। প্লাস্টিক বোতলের পরিবর্তে কী ব্যবহার করা যায়, তা ভাবতে বলেছিলেন সকলকে। সরকার যে এই ব্যাপারে কতটা চিন্তিত তা তাদের এই পরিকল্পনা থেকেই বোঝা যাচ্ছে। প্লাস্টিক দূষণ যে কতটা মারাত্মক আকার নিতে পারে, সে বিষয়েও সচেতনা গড়ে তুলতে তৎপর সরকার।

রেল দফতর থেকে জানানো হয়েছে যে আগামী ২ অক্টোবর থেকেই এই নতুন নিয়ম চালু হবে। জাতির জনক গাঁধীজির জন্মদিনেই দেশকে প্ল্যাস্টিক মুক্ত করার দিকে এক ধাপ এগোতে চাইছে সরকার। এমনকি স্টেশন চত্বরেও সিঙ্গল ইউজ প্ল্যাস্টিক ব্যবহার নিয়ে সতর্কবার্তা জারি করা হয়েছে।

রেল বোর্ডের চেয়ারম্যান ভি কে যাদব জানিয়েছেন যে প্রায় ৪০০টি বোতল ক্রাশিং মেশিন বিভিন্ন রেল স্টেশন বসানো হবে। মেশিন ব্যবহার করার জন্য প্রত্যেককে তাঁদের ফোন নম্বর দিতে হবে। বোতল নষ্ট হওয়ার পরে টাকা চলে আসবে ফোনে। তবে পুরো প্রক্রিয়াটি ঠিক কী ভাবে হবে, তা এখনও বিশদে জানা যায়নি।

আপাতত ১২৮টি স্টেশনে ১৬০টি মেশিন আছে। রেলের সমস্ত কর্মীদেরও বলা হয়েছে সমস্ত প্লাস্টিকের বোতল কুড়িয়ে রিসাইকেলের জন্য পাঠাতে। এতে স্টেশন চত্বরও পরিষ্কার থাকবে বলেই অনুমান করছেন ভি কে যাদব। এর আগে সমস্ত বিক্রেতাদের বলা হয়েছে প্লাস্টিকের বদলে পুনর্ব্যবহারযোগ্য ব্যাগে ক্রেতাদের জিনিস দিতে। এতেও প্ল্যাস্টিকের ব্যবহার কমবে বলেই আশা। ৫০ মাইক্রোনের ঘনত্বের নীচে যে সমস্ত প্লাস্টিক তা অবিলম্বে নিষিদ্ধ করা হবে বলেও ঘোষণা করেছে রেল দফতর। নরেন্দ্র মোদীও বলেছেন যে কাপড় বা জুটের ব্যাগ ব্যবহার করাই ভাল। দোকানীদেরও সেরকমই নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *