নিভৃতে পুড়েছ। ছাই পশ্চিমে সূর্যাস্ত রেখে উড়ে গেছে
শিশুর নিকটে।
সে এত বোঝে না, ভাবে ধুলো বুঝি জ্বলে গিয়ে কালো।
খেলা ফেলে গিয়েছে সে শ্মশানবন্ধুর পদচ্ছাপ
খুঁজে খুঁজে দাহক্ষেত্রে;
স্বৈরিণী আগুন তাকে দেখে
মাতৃভাবে গদগদ— আরও তীব্র রূপ ধরে কাঁপে।

তোমারই তো ছেলে। তুমি চিতার অন্দর থেকে ভয়ে
প্রবল চিৎকার করো, “সরাও, ও-শিশুমূর্তি
বহুদূরে নিয়ে যাও। সরাও! সারল্য মরে যাবে…”
অথচ শব্দের পশু মৃত্যু ঘটে গেলে আর আরোহীর লাগাম মানে না।

অতএব চিতাকাঠ, অতএব ডোমের প্রলাপ
সমস্ত শিশুর রন্ধ্রে ধীরে ধীরে ঢুকে যায়…
কৌতূহল ভাঙা কুম্ভ; যত জল ছিল তাতে রাখা,
সমস্ত গড়িয়ে গিয়ে শৈশব ভঙ্গুর করে দিল!

নিভৃতে পুড়েছ। অগ্নি তোমার বাৎসল্য, ভয় ধোঁয়া ক’রে ঊর্ধ্বাকাশে ছোঁড়ে।

অনাথ আশ্রম এসে শুঁকে গেছে খোকার শরীর…

 

*ছবি সৌজন্য: Facebook

তমোঘ্নর জন্ম ১৯৯৮ সালে হুগলির আরামবাগে। বর্তমানে তারকেশ্বরের স্থায়ী বাসিন্দা। রবীন্দ্র মহাবিদ্যালয়ে ইংরেজি সাহিত্য নিয়ে স্নাতক পাঠরত। শখ বলতে গান শোনা আর বই পড়া। 'মাসিক কবিতাপত্র', 'কবিতা আশ্রম', 'যাপনচিত্র', 'শুধু বিঘে দুই', 'তবুও প্রয়াস', 'বাক্'-সহ বিভিন্ন ওয়েবজিন ও লিটল ম্যাগাজিনে কবিতা প্রকাশিত হয়েছে।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *