— পকলু বুড়ো, এটা কাকে এঁকেছ সোনা?
— মুছু্দ্দি দাদু।
মুৎসুদ্দি চাচা বাড়িতে মুড়ি নিয়ে আসত। কালোকোলো লম্বা মানুষটা। লুঙ্গি আর ফতুয়া পরে মাথায় ইয়াব্বড় মুড়ির বস্তা চাপিয়ে যখন আসত, তখন মুড়ির বস্তা আর মাথায় বাঁধা গামছার তলায় মুখটা অল্পই দেখা যেত। আর দেখ পকলু কেমন তাকে এঁকেছে মাথায় বাঁধা গামছা আর মুড়ির বস্তা মাথায়!
মুৎসুদ্দি চাচা মাটিতে থেবড়ে বসে। লুঙ্গির তলা দিয়ে কালো লিকলিকে পা দু’টো বের করে। তাপ্পর মাথা থেকে বস্তা নামিয়ে দাঁড়িপাল্লা বের করে। ওহ, পকলুর কী অবাক লাগছে দেখে! কত্তবড় বস্তা! দাদু বড়, না বস্তা বড়? পকলুর ভারী ভালো লেগে যায় বস্তাটা! পকলু তাতে রামধনু রং লাগিয়ে দেয়। মুড়ি খেতে পকলুর বিচ্ছিরি লাগে। কিন্তু তাতে বস্তার কী দোষ?
মুৎসুদ্দি চাচা এবার মুড়ি ওজন করবে। ঠোঙায় ভরবে। পকলু ভাবছে মুছুদ্দি দাদুকে কি একটা করনেটো খেতে দেওয়া যায়?
পদার্থবিদ্যার স্নাতক নীলা পেশায় ছবি আঁকিয়ে। জলরং এবং অ্যাক্রিলিকে স্বচ্ছন্দ। কবিতা লেখেন নিছকই শখে, একাকিত্বের অবকাশ যাপনে। ভালোবাসেন চুপটি করে বসে বসে ভাবতে আর আধ্যাত্মচিন্তার বই পড়তে। তবে হিমালয়ে ট্রেকিং এবং জঙ্গল ভ্রমণও খুব পছন্দের।
লেখা ও ছবির মিলমিশ অনবদ্য।