তোমাকে চিনি না যুবকঅতলের ডাকটি ভাসাও … 

প্রতিটি মুহূর্ত যেন ঘন, গভীর
মরুপ্রদেশ থেকে ভেসে আসা গোলাপ, আতর
এ শরীর নেশাচ্ছন্ন…
এ শরীর তাহাকেই চায় যার নাম শোনেনি দিগন্ত প্রান্তর 

এই ডাক একা ও ব্যক্তিগত
গভীর রজনীকালে আমাকেই হত্যা করে যায়

তোমার গভীর ঠোঁট আমাকেই আয়ু দিয়ে যায় 

ধীরে ধীরে লিখে ফেলি জন্ম, মৃত্যু, সামান্য সংসার 

শরীরে অধিক ক্ষত।  মৃত বলে ভাবে না জীবন
এখানে সন্দেহাতীত ভাব ও ভাবনা
এখানেই গোলাপ, বাসর

জিন আসে, পরী আসে
আসে সেই নবীন যুবক 

রাত অন্ধকার, চাকু তীব্র ঝকমক করে ওঠে 

যুবক, এ কাহিনি তোমাকেই লেখা
আমি কথিকা শেহরাজাদ 

কতকাল বিনিদ্র কেটেছে রাত
নিদ্রাতুর চোখে সুরা আর লোহার শেকল 

পারস্য সকাল জানে
প্রতিটি গোলাপ কেন টকটকে লাল! 

মৃত্যুর অধিক ক্লান্ত এই বাহুডোর, প্রেম ও প্রত্যাখ্যান
সূর্য নিভে যাবে এই জেনে অসূর্যস্পর্শা আমি,
শেহরিয়ার, রক্তপাত দাও
তোমাকে প্রেমের ফাঁসে মারি! 

রজনী বিনিদ্র হলো, কাকে দেব ডাক! 

পারস্যের পথ ভেঙে চলে যায় বণিক ও বানিজ্যের রথ

শহরের প্রতিটি কবিতা আজ মৃত
গোলাপের বনে সেই কদাকার জিন, ষড়যন্ত্র 

পানশালায় শুয়ে আছে একা সেকেন্দর
তীক্ষ্ণ, জিঘাংসাপ্রবণ 

এ প্রেম মাংসাশী বড়দু-টুকরো শরীর দিও তাকে!

 

*ছবি সৌজন্য: istock

বেবী সাউ মূলত কবিতা এবং প্রবন্ধ লেখেন। জন্ম পশ্চিমবঙ্গের ঝাড়গ্রাম জেলায়। বর্তমানে ঝাড়খণ্ডের জামশেদপুর শহরে থাকেন। জামশেদপুর আকাশবাণীতে কর্মরত। কবি বেবী সাউ-এর "কাঁদনাগীত: সংগ্রহ ও ইতিবৃত্ত" বইটি 'কৃত্তিবাস মাসিক পুরস্কার ২০১৯' এবং 'বাংলা একাদেমি তাপসী বসু স্মারক সম্মান ২০২০' পুরস্কারে পেয়েছে। তাঁর কবিতার বইগুলিও একাধিক সম্মান পেয়েছে। যেমন- রাঢ় বাংলা রোদ্দুর সম্মান, বইতরণী পুরস্কার, শব্দপথ যুব সম্মান এবং 'এখন শান্তিনিকেতন' পদ্য সম্মান।

One Response

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *