একদিন স্বপ্নে, হয়ত এক মন্থর নিঃস্ব দুপুরে, স্বেচ্ছায় সজ্ঞানে দেখেছি লোকটাকে।
সে একটা পুরনো কাঠের সিঁড়ি বেয়ে উঠছে, পিছনে নিদ্রাতুর মহাজগৎ
দিবাস্বপ্ন থেকে উধাও অনুভূতি, মরচে পড়েনি এখনও, বহুপ্রাচীন এই সিঁড়ি।

লাল একটা বিশাল দৈত্য হয়ে গেলে সূর্যটাই একদিন গিলে নেবে পৃথিবীকে।
আহ্নিকগতির খোঁজে সেদিন নতুন গ্রহে যাবো। সিঁড়ি বেয়ে উঠে যাচ্ছি,
লোকটার পেছন পেছন। মহাজাগতিক এক বিপরীত টান

যেমন শিশিরকণা এক জলস্তম্ভের ধারণায় আকাশের দিকে তাকিয়ে
পিছুটানহীন উঠে যাওয়া। সিঁড়িট এসে মিলে যায় পুরাতন ঘরে

ভেজানো দরজা, কাঠের পাল্লা, চৌকাঠ পেরোতেই খাঁ খাঁ শূন্যতা!
সে আমাকে পিছু ফিরে দেখে
শরীরে, চাহনিতে, অনন্ত জিজ্ঞাসায়।

স্তূপাকৃতি খবরের কাগজ, পুরনো প্রেসের শব্দ, শুধু শব্দ।
মিলিয়ে যাচ্ছে মহাজাগতিক বিস্ফোরণের ভাষা, জেগে রয়েছে ছাদের কড়িবরগা,
মেঝের লাল, চেনা মেরুনরং শার্ট আর কমলা পাড় শাড়ি, যা কিছু স্বপ্ন আমাদের,
জিওল মাছের মতো জীবিত অথচ মিথ্যে কুহক

রিমি দিল্লিনিবাসী, অর্থনীতির শিক্ষক। খবরের কাগজে ফ্রিলান্স সাংবাদিকতা ছাড়াও লেখেন গল্প, কবিতা ও প্রবন্ধ। তাঁর প্রকাশিত বই দুটি। ‘মিথ্যে ছিল না সবটা নামে কবিতা সংকলন ও দময়ন্তীর জার্নাল নামে গল্প সংকলন। ভালবাসেন এরোপ্লেনের ডানায় ভেসে থাকা মেঘ আর সেই উথালপাতাল ঢেউ ও চাপচাপ কুয়াশায় খুঁজে পাওয়া নতুন কোনও ক্যানভাস।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *