কবিতার মুহূর্তে এক-একটা আঙুলে চাপ চাপ রক্ত জমে। নখের তলায় জমে শব্দের পুঁজ; রাগি শব্দেরা রাত জাগে; মন-খারাপ শব্দগুলো পড়ে থাকে একা; এভাবেই জমা শব্দের পুঁজে আঙুল ফুলে বাকিটা সহজ হয়ে যায়; অবশেষে জড়তা এলে, নখ থেতলে কবিতা তার কাজ করিয়ে নেয়।

লেখার মুহূর্তে গলার কাছটা দলা পাকিয়ে আসে। দু’চোখ ভাসার মুখে ভারি হয় জিব, এভাবেই চোখ-গলা ধরে এলে বাকিটা সহজ হয়ে যায়। ব্যাথা-ভারে নুইয়ে পড়া গলা-চোখে কবিতা তার ভার বইয়ে নেয়।

কবিতার মুহূর্তে শরীর জুড়ে জ্বালা ধরে। চামড়ার অন্দর-দেহে বয় দহন, মাথায় রগের টান, চারদিকে হুটোপুটি লাগে; এভাবেই শরীর গুলিয়ে উঠলে বাকিটা সহজ হয়ে যায়। ধীর-কষ্ট গা সওয়া হলে; অচেনা-অক্ষরে বাধা চেনা-শব্দ জড়িয়ে আসে ঘুম; শরীর নিঙড়ে লেখা তার কাজ সারে, একান্তে।

Rupak bardhan Roy

ড. রূপক বর্ধন রায় GE Healthcare-এ বিজ্ঞানী হিসেবে কর্মরত। ফ্রান্সের নিস শহরে থাকেন। তুরস্কের সাবাঞ্চি বিশ্ববিদ্যালয়ে পিএইচডি করেছেন। বৈজ্ঞানিক হিসেবে কর্মসূত্রে যাতায়াত বিশ্বের বিভিন্ন প্রান্তে। লেখালিখির স্বভাব বহুদিনের। মূলত লেখেন বিজ্ঞান, ইতিহাস, ঘোরাঘুরি নিয়েই। এ ছাড়াও গানবাজনা, নোটাফিলি, নিউমিসম্যাটিক্সের মত একাধিক বিষয়ে আগ্রহ অসীম।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *