নিভৃতের দিকে হেঁটে গেলে
বৃষ্টিরা বৃষ্টির সাথে মিশে যায়।
মেঘেরাও ফেলে আসে নামডাক,
আদরে জড়িয়ে ধরে কুয়াশা-গন্ধমাখা
মিহিন সন্ধ্যার গান।
এলানো দুপুরগুলো রাখা থাকে নোঙরবিহীন।
গাছে গাছে এলোমেলো শীত ফুটে থাকে!
বড় বেশি মিঠে লাগে
কাকভেজা বিডিও অফিস।
একটু বাঁ দিকে গেলেই
বোধগম্য নদী-ঋণ,
ধোয়ামোছা জাতীয় সড়ক।
এরা সব মুখ বুজে থাকে অবুঝ তালুর ভিতর।
শেষ বাস চলে গেলে
দৃষ্টি সরিয়ে রাখে মাইলফলক।
একসাথে ভিজে যায়
ঝুঁকে থাকা ল্যাম্পপোস্ট,
আনমনা বীজধান আর অনর্গল চাঁদ।
নোনা দেওয়ালের গায়ে সযত্নে
আঁক কেটে যায় কেউ।
ফেলে যায় দোরগোড়া কিছু।
তাকেই সম্পূর্ণ ভাবি!
ভেবে ফেলি শূন্যতর সুখ!
সেই ভুলে,
নিজেকে সাজিয়ে রাখি সম্পন্ন তাঁবুর আড়ালে।
ঠিক যেন তোমাদের পাড়া।
মুড়ে নিতে চাই সবটুকু মায়া সোহাগী থলিতে।
তারপর চড়ে বসি অলীকের পিঠে
অবুঝ শিশুর মতো।
রেডিওটা বেয়াদপ বড়!
বারবার বলে চলে – “এমন দিনে তারে…
অনুপ ঘোষাল পশ্চিমবঙ্গ সরকারের কর্মচারী। কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে বাণিজ্যে স্নাতকোত্তর করেছেন। কবিতা লেখার শুরু স্কুল ম্যাগাজিনে। বিভিন্ন পত্রপত্রিকায় কবিতা লেখালেখি করেন। তবে লেখার চেয়ে পড়ার আগ্রহ বেশি। সাহিত্য ও ইতিহাস ওঁর প্রিয় বিষয়। এর বাইরে অনুপকে সবচেয়ে আকৃষ্ট করে মানুষ আর প্রকৃতি।