ধন্যি বটে বাঙালনামা ধন্যি বটে পোস্তভাত
অপয়া টাই নিমিত্ত থাক নন্দ ঘোষে কাবার রাত
মনের ভিতর ঘাপটি মেরে উঁকি ঝুঁকি একটু যেই
অমনি পিছল রাস্তা হাজির পায়ের তলায় সর্ষে খই।
পেলে দেখা উলটো বুঝি, লাভ লোকসান গোলেমাল
যতই থাকুক বন্ধ দু চোখ ভাইব টুকুই দেয় সামাল।
অপয়া তাই মন্ত্র পড়ে, লংকা লেবু ভেজাল ঘরে
নষ্ট দেশের কষ্ট জ্বরে নব গ্রহ বেমানান।
তবুও সমাজ ডাইনি পোষে, বিষকন্যা মাঙ্গলিক
অপয়া আর দলিত যারা সমাজ তাদের শাস্তি দিক।
দেখলে যাদের দিনটা মাটি, শাস্ত্র গোত্র ধর্ম ঘাঁটি,
তাদের শরীর নিলাম হলে তখন কেন হাসছি ফিক্।
অন্ধ মানুষ অন্ধকারে মড়া দেহে জিওন প্রাণ,
দেবতা আজ ভাবনা ঘরে সিংহাসনে দড়ির টান।

প্রপা দে গঙ্গোপাধ্যায় পেশায় ডাক্তার, নেশায় কবি-গদ্যকার-লিমেরিকার। কবি ও কবিতার পরিমন্ডলে বড় হয়ে ওঠা প্রপার লেখা শুরু কবিতার হাত ধরে। এক অন্য ধরনের শৈলী-বর্ণ-ছন্দ-ভাবনা নিয়ে পথ চলার সূচনা মায়ের আঙুল ধরে। মা প্রখ্যাত কবি চিণ্ময়ী দে। সমাজ ও সময়, কলম, ষড়রিপু আর মনস্তত্ত্ব নিয়ে জাগলিং করার সাহচর্য ও সাহস যুগিয়েছে। মোদ্দা কথা হল, ইনি জাতে কলমচি তালে ডাক্তার। বোহেমিয়ান, ব্রাউনিয়ান প্রপার বিচরণ সাহিত্যের অন্দরে, বন্দরে।

2 Responses

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *