রাস্তায় কাল থেকে আর হেঁটে যাওয়া যাবে না।
ফেরাও যাবে না সে পথে,
যে পথে ছোঁয়া আছে শূন্যতর জীবনের গান।
প্রতিটা মোড় প্রতিদিন অচেনা হয়ে ওঠে
ছিঁড়ে রাখা দেশজ বিজ্ঞাপনে।
নিজের ভিতরে বড় বেশি শীত লাগে আজ!
নিজেকে বোঝাই অবুঝের কথা।
খাটিয়ে রাখা তালদীঘির ঘাটে
রোদ্দুর রঙের শাড়ি মেলা ছিল বহুকাল। চিলেকোঠা জুড়ে রাখা ছিল
ডোরাকাটা দুপুরের সুখ।
ফিরেও দেখিনি কখনও।
ভুলেও ভাবিনি
সে সবও উধাও হতে পারে
ভুল করে পুষে রাখা মাছরাঙাটার মতো।
আমি তো ওদের
শেখাতে পারিনি কখনও- মানচিত্র সরিয়ে নিলে
যতটুকু ভালোবাসা গড়াগড়ি খায়
জড়াজড়ি শালুকের বন,
ঢিলেঢালা বনজ বাতাস,
ফেলে রাখা দুরন্ত শিশিরে- সেই আমার দেশ।
বিক্ষুব্ধ সেতারও দীর্ঘজীবী হয়
অতিপৃক্ত দেশপ্রেমিক হলে।
চরমপন্থী বালিশের মতো
এও এক
নেশাতুর রাষ্ট্রীয় উল্লাসের কাল।
আমিও তো পৃথক করেছি নিজেকে
প্রাত্যহিক যাপন অভ্যাসে।
আমিও তো বুঝিনি,
অনাদর পেলে আত্মঘাতী হয়
শ্রাবণের সবকটা দিনই।
সব দায় আমার,
সব দায় আমাদের…বহমান সময়ের কাছে।
আজ তাই খুঁজে নিতে হয়
ভেসে থাকা খড়কুটো যত।
বুঝে নিতে হয়
আমাদের একটা
পরিপাটি দুর্গম দ্বীপের বড় প্রয়োজন।
অনুপ ঘোষাল পশ্চিমবঙ্গ সরকারের কর্মচারী। কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে বাণিজ্যে স্নাতকোত্তর করেছেন। কবিতা লেখার শুরু স্কুল ম্যাগাজিনে। বিভিন্ন পত্রপত্রিকায় কবিতা লেখালেখি করেন। তবে লেখার চেয়ে পড়ার আগ্রহ বেশি। সাহিত্য ও ইতিহাস ওঁর প্রিয় বিষয়। এর বাইরে অনুপকে সবচেয়ে আকৃষ্ট করে মানুষ আর প্রকৃতি।