একেবারে উধাও হয়ে যাব এবার —
যাকে বলে নিরুদ্দেশ।
বন্ধুরা মাথা চুলকোবে: হল কী হঠাৎ ?
ছেলেটা তো লিখছিল ভালই।
ছাত্ররা হতবাক: স্যার যে কোথায় গেলেন,
ল্যাবের দরজা পর্যন্ত খোলা।
তার পর যা হয় —
বহু শরৎ দিন কেটে যাবে অগোচরে;
কবিতার বই তে জমবে ধুলো
ল্যাবের দরজায় পড়বে তালা।
বন্ধু রা হাল ছেড়ে দেবে শেষে,
প্রিয়তমা হয়ে যাবে পরস্ত্রী।
শতাব্দী পরে এক গোধূলিতে শোরগোল শুনে
আপনি হয়ত বাইরে আসবেন।
অনামিকার আলো ঠিকরে বলবেন,
সে কি! তুমি? এত দিন পরে?
আর আমি বলব,
ঘ্যাঁঘ্যাঁসুরের পালক আনতে গিয়ে একটু দেরি হয়ে গেল।
তার সঙ্গে একটা নতুন কবিতাও এনেছি;
পড়বেন?
অমিত চক্রবর্তীর জন্ম সোনারপুর অঞ্চলের কোদালিয়া গ্রামে ১৯৫৯ সালে। কবিতা লেখার শুরু ন'বছর বয়সে, স্কুল ম্যাগাজিনে। পড়াশোনার সূত্রে আমেরিকা আসা ১৯৮২-তে। ক্যানসাস স্টেট ইউনিভারসিটিতে পদার্থবিদ্যার অধ্যাপক ১৯৮৯ থেকে। ২০১৬ থেকে কলেজ অফ আর্টস অ্যান্ড সায়েন্সের ডিন।
দূর্দান্ত!