বৃটিশ রাজের এককালের মুকুটের মণি, ভারতের তৎকালীন রাজধানী কলকাতা, কেমন করে বাদাবন থেকে দেশের সংস্কৃতির পীঠস্থান হয়ে উঠল, সে গল্প আজ আর অজানা নয়। কিন্তু এই শহরের আনাচে কানাচে এখনও খুঁজলে কি মিলবে সেই পুরনো গরিমার তলানিটুকু? নাকি ইতিহাসের পাতাতেই শুধু রয়ে গেছে সেইসব গল্পের খোঁজ? ক্যামেরার লেন্সে কীভাবে ধরা দেয় কলকাতার কল্লোলিনী রূপ? এইসব প্রশ্নের উত্তর খুঁজতে, তার্কিক বাঙালির আবেগ এবং যুক্তি উস্কে দিতেই আসছে ‘ইম্প্রেশন’-এর ফটোগ্রাফি ওয়ার্কশপ, যার বিষয় – ‘কলকাতা কি আজও সংস্কৃতির পীঠস্থান?’
বৃটিশ সাম্রাজ্য যখন সমৃদ্ধির একেবারে শিখরে, যখন আফিম, মশলা, তুলো, রেশমে ঠাসা জাহাজের নিত্য যাওয়া আসা কলকাতার বন্দরে, তখন থেকেই কোম্পানি এবং কলকাতার বাবুদের দৌলতে একের পর এক দালান কড়িকাঠ খিলানওয়ালা অট্টালিকা মাথাচাড়া দিয়েছে শহরে। তার মধ্যে খাঁটি ইয়োরোপিয় স্থাপত্য ছাড়াও, দেশি বিদেশি স্থাপত্য শিল্প মিলেমিশে তৈরি হয়েছে এক নতুন নির্মাণশৈলি, যার কিছু উদাহরণ এখনও ছড়িয়েছিটিয়ে রয়েছে শহরে; বহন করে চলেছে ফেলে আসা এক সময়ের নিদর্শন। কলকাতার ইতিহাস ও সংস্কৃতির গুরুত্বপূর্ণ স্তম্ভ এইসব অট্টালিকা। পুরনো কলকাতার বাড়ি, পুরনো কলকাতার বাজার, পুরনো কলকাতার তস্য গলির অন্দরে ক্যামেরা বসিয়ে অর্থবহ ছবি তোলার সন্ধান করতেই চলবে এই ওয়ার্কশপ।
এই ওয়ার্কশপে থাকছে শহরের ঐতিহাসিক এবং সমকালীন সংস্কৃতির ইন্টারেস্টিং বিষয়ে আলোকপাত, দুনিয়ার বহু খ্যাতনামা ফটোগ্রাফারদের কাজ নিয়ে আলোচনা, এবং ক্যামেরা নিয়ে শহর ঘুরে ছবি তুলে সেই ছবির পুঙ্খানুপুঙ্খ বিশ্লেষণ করার সুযোগ। এই কাজে অংশগ্রহণকারীদের সঙ্গে থাকবেন শিল্প ইতিহাসবিদ দেবদত্ত গুপ্ত এবং আলোকচিত্রশিল্পী শুভময় মিত্র। আর্ট ভিলা গ্যালারিতে এই ওয়ার্কশপ চলবে দুদিন – ১২ই জানুয়ারি এবং ১৯শে জানুয়ারি। প্রথম দিনে চলবে আলোচনা এবং ইতিহাসের সুলুকসন্ধান। দ্বিতীয় দিনে থাকছে ওয়ার্কশপে অংশগ্রহণকারীদের নিজেদের তোলা ছবির পুঙ্খানুপুঙ্খ বিশ্লেষণ। ওয়ার্কশপ শেষে প্রত্যেককে দেওয়া হবে শংসাপত্র। এই ওয়ার্কশপের ওয়েব পার্টনার বাংলালাইভ।
ওয়ার্কশপ সম্বন্ধে আরও জানতে ক্লিক করুন https://banglalive.today/event/suvomoy-mitra-photography-workshop/
[videopress bqWh4iz8]
পল্লবী বন্দ্যোপাধ্যায় আকারে স্থূল, প্রকারে কুল এবং জোকার-এ মশগুল। ভালোবাসেন মার্ভেল, ডিসি, আর যা কিছু ফিশি। পূর্বজন্মে ইংরেজি সাহিত্যের ছাত্রী ছিলেন। বর্তমানে বাংলার নেশায় বুঁদ। পরজন্মে গল-দের গ্রামে খোলা আকাশের নীচে গোল টেবিলে নৈশভোজের আসরে বসে বুনো শূকরের রোস্ট খেতে চান।