রুদ্রপ্রয়াগের বেশ কাছেই ২৮০০ মিটার উচ্চতায়, পোখরি-র পথে একটি গ্রাম ‘কনকচৌরি’। হরিদ্বার থেকে দূরত্ব ২০০ কিলোমিটার। এখান থেকেই খুব অল্প দূরত্বে, কমবেশি ৩.৫ কিলোমিটার সহজ চড়াই ভেঙে, অনন্য সুন্দর পরিবেশে প্রায় ৩০৫০ মিটার উচ্চতায় উত্তর ভারতের একমাত্র কার্তিক ঠাকুরের মন্দির, কার্তিকস্বামী। একটি তোরণ পার হয়েই পথ চলা শুরু। হালকা জঙ্গলের পথে নানান পাখি দেখতে ও তাদের বিচিত্র ডাক শুনতে শুনতেই পথ শেষ। কেদারনাথ অভয়ারণ্যের অন্তর্গত এই জঙ্গলে হরিণ, ভালুক, লেপার্ডের উপস্থিতিও আছে। মনে হয় যেন একটি পাহাড়ের মাথা কেটে, মন্দিরটি বসিয়ে দেওয়া হয়েছে। মন্দির-চত্বরের চারপাশে বিভিন্ন মাপের ঘণ্টার উপস্থিতি নজর কাড়ে। মূল হাঁটার পথ কয়েকটি জায়গায় সামান্য পিছল হলেও রাস্তা অনেকটাই বাঁধানো। শেষ পর্বে বেশ কিছু সিঁড়ি ভাঙতে হবে। সাধারণ গঠনের এই মন্দির চত্বর থেকেই ৩৬০° দৃশ্যমানে গাড়োয়ালের বিখ্যাত পর্বতশৃঙ্গগুলির দর্শন মেলে। নন্দাদেবী, চৌখাম্বা, কেদারনাথ, দ্রোনাগিরি, মেরু, সুমেরু, বন্দরপুঞ্ছ শৃঙ্গ ছাড়াও আরও অনেক নামী অনামী শৃঙ্গ নজরে পড়ে। সূর্যোদয় এবং সূর্যাস্তে শৃঙ্গগুলিতে রং-এর বাহার, এক অকল্পনীয় অভিজ্ঞতা।

Anupam Dutta

অবসর প্রাপ্ত ব্যাঙ্ক কর্মচারী। ভ্রমণ এবং ছবি তোলায় আগ্রহী। " ট্রাভেল রাইটার্স ফোরাম " - এর সদস্য।

One Response

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *