পড়াশোনা আর কাজের সূত্রে অনেক বছর ধরেই প্রবাসী শরণ্যা, কৌশিক, দেবদীপ আর অয়ন। ঠিকানা বস্টন। চাকরি, সংসার, পরিবারের চাপ সামলে প্রতি সপ্তাহান্তে একজোট হন, কয়েকটা গিটার, তবলা, কিবোর্ড ঘিরে। এরা ফিলোমেলা– মৌলিক বাংলা গানের প্রবাসী ব্যান্ড। পথের পাঁচালির দুর্গা থেকে নবারুণের ফ্যাতাড়ু, ফেলে আসা সংস্কৃতির, শহরের, মাটির টান ফিরে ফিরে এসেছে তাঁদের গানে। বাংলা লোকসঙ্গীত থেকে পশ্চিমী ব্লুজ়, লাতিন বোসা নোভা থেকে রবীন্দ্রসঙ্গীতের অলিন্দেও ফিলোমেলার অবাধ উড়ান। সদ্য মুক্তি পেয়েছে প্রথম অ্যালবাম– আমি অন্য দেশ।

ফিলোমেলার ব্যান্ড হয়ে ওঠা যদিও ২০১৫ সালে, তার অনেক আগে থেকেই ব্যান্ডের সদস্যেরা নিজেদের মতো করে মঞ্চে পারফর্ম করতেন। কলকাতা থেকে বিদেশে গাইতে যাওয়া শিল্পীদের সঙ্গে সঙ্গতও করেছেন। কিন্তু নিজেদের কথা নিজেদের মতো করে বলতে পারার ইচ্ছেটা তাড়া করে বেড়াচ্ছিল। সেই প্রয়োজন থেকেই জোট বেঁধে গান বাঁধা শুরু। আটটা গান নিয়ে তৈরি ‘আমি অন্য দেশ’। একসাথে বেঁধে বেঁধে থাকার মধ্যেও আবার দূরে সরে যাওয়ার ভবিতব্য বাধা হয়ে এসে দাঁড়ায়। এই অ্যালবামে বেস গিটারিস্ট ইন্দ্রনীল সরকারকে যেমন ফিলোমেলা এবং বস্টন ছেড়ে পাড়ি দিতে হয়েছে অন্য শহরে।

প্রবাসী নতুন প্রজন্ম বাংলা গান শোনে কিনা জানতে চাওয়ায় কৌশিক বললেন “সহজপাঠ, ছড়ার বই যা করতে পারেনি, বাংলা গান করে দেখিয়েছে। আমাদের ছেলেমেয়েরা এখন আমাদের গান গুনগুন করে, এমনকি প্যারডিও করে। যেকোনো পারফর্মিং আর্ট নতুন ভাষা শেখানোর শ্রেষ্ট মাধ্যম।”

সম্প্রতি কলকাতা সফরে আসা ফিলোমেলাকে দেখা যাবে কলকাতার সায়েন্স সিটি প্রেক্ষাগৃহে, একটি বিশেষ অনুষ্ঠানে। ‘আমি অন্য দেশ’ অ্যালবামের গান অনলাইন শোনা যাবে স্পটিফাই, অ্যাপল মিউজিক, ইউটিউবের মতো পোর্টালে।

[videopress VCQNpLht w=”500″]

পল্লবী বন্দ্যোপাধ্যায় আকারে স্থূল, প্রকারে কুল এবং জোকার-এ মশগুল। ভালোবাসেন মার্ভেল, ডিসি, আর যা কিছু ফিশি। পূর্বজন্মে ইংরেজি সাহিত্যের ছাত্রী ছিলেন। বর্তমানে বাংলার নেশায় বুঁদ। পরজন্মে গল-দের গ্রামে খোলা আকাশের নীচে গোল টেবিলে নৈশভোজের আসরে বসে বুনো শূকরের রোস্ট খেতে চান।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *