তারা-মাঝি, তারা-নৌকা। নদী শেষ হয়ে আসে
কিন্তু তার পাশে এঁকেছি সৌরলতা… নদী ফুরাবার পর
পাথরের নভস্তল জুড়ে সে লতা দুলবে। এই ক্রুদ্ধ জলজ মেধায়
আমি সব শিল্প-রোম, রোমশ তুলির মোহ অস্বীকার করি। কিমিয়া-ল্যাবরেটরি,
বকযন্ত্র সমস্ত আমার। এই সূত্রে যে গান অ্যকোয়া-রিজিয়া মাখা, যে পাখি
খনির ভেতর নীল-গলা, আমি তার অবাক ধারক।
শুধু একবার শালবনে পাথরের থালাবাটিগ্রাম… তুমি বেড়াতে এসেছ
দু’স্তনের মাঝখানে ছায়াপথ; অন্ধ-নভশ্চর আমিও দেখেছি ক্রমশ গভীর
গিরিখাদ… অতি মৃদু লালপথ
ভেসে যাচ্ছে বৃষ্টির দিনে মাটিহারা মৃত্তিকার মতো
তারা-মাঝি, তারা-নৌকা শোনো; নির্জন মাটির
তারা থেকে ভেসে আসছে কান্নাভেজা সৌরলতা নাম…

ছবি সৌজন্য: Needpix

Parthajit Chanda Poet

পার্থজিৎ চন্দের কবি হিসাবে আত্মপ্রকাশ শূন্য দশকের প্রথম দিকে। প্রথম কাব্যগ্রন্থ ‘ছদ্মনকশা ও প্রসাদের গান’ প্রকাশিত হয়েছিল ‘কৃত্তিবাস’ থেকে। তারপর একাদিক্রমে প্রকাশিত হয়েছে
মেষপালকের ডায়েরি, বালিঝড় ও কেবিন বয়, ধান্যলক্ষ্মী, ক্যাসিনোয় লেখা
কবিতা, বাংলা, পর্ণশবরী, দূরগামী আলোর শরীর, মেফিস্টফেলিস ও নরসুন্দর
ইত্যাদি কাব্যগ্রন্থ। সম্প্রতি প্রকাশিত হয়েছে গল্প গ্রন্থ ‘আটলান্টিক ও অক্টোপাস’। প্রকাশিত প্রবন্ধ-গ্রন্থের সংখ্যা দুই। ইংরেজি ভাষা ও সাহিত্যে স্নাতকোত্তর। প্রিয় বিনোদন গান শোনা ও ছবি দেখা।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *