ঢাকা তে আমার এক বন্ধুস্থানীয় দাদা আর বান্ধবী টাইপ বৌদি আছে। তাদের নাম সোনাদা আর সোনাদি। দাদা আমাকে খুবই স্নেহ করে, আর বৌদি ভীষণ ভালোবাসে। ঢাকা গেলে আমার কোনওই চিন্তা থাকে না। সারাদিন এদিক ওদিক ঘুরঘুর করে, বেকারদের সঙ্গে আড্ডা মেরে বাড়ি ফিরলেই  হল। বাহারি ঢাকাই খাওয়া দাওয়া, দেদার শুঁটকি, ভর্তা, বিরানি, রোজ। তারপর অনেক রাত  পর্যন্ত চলে আড্ডা, ইন্ডিয়া সম্পর্কে স্পর্শকাতর একটা দুটো প্রশ্নের উত্তর দেওয়া, সেটা অভিযোগ নয়, আক্ষেপ। ব্যাস, তারপর ঘুম। যাওয়া হয় নি বেশ কিছুদিন। দিন মানে বছরখানেক তো বটেই। একদিন ফোন এল, ব্যাপারটা কী, ভুলে গেছ নাকি আমাদের? যত বলি, আরে না না, ঝামেলা চলছিল, আসব আসব করছিলামই, শুনতেই চায় না। ঢাকার লোকের ইমোশনাল বহিঃপ্রকাশ একটু  বেশি, ভাষার কিঞ্চিৎ তফাতে সেটা আরো জোরদার শোনায়। সত্যি বলতে কি আন্তরিকতার চাপে  মাঝে মাঝে মুস্কিলেও পড়তে হয়। স্বীকার করছি, একটা কালচার শক হয় প্রতিবার। আর সেটাই ভালোও লাগে। কলকাতায় এই শকটা খুঁজে পাই না আর। মুখে অনেক কথা বলি ঠিকই, ওপারের লোক অনেক বেশি বাঙালি, সেটাও মনে হয়। ফোনের ওপার থেকে তুমুল শব্দবর্ষণের মধ্যে বুঝলাম ওদের মেয়ের  বিয়ে, তাই বৌদি কলকাতায় আসবে গয়না কিনতে, আর আমাকে নিয়ে যেতে হবে। হ্যাঁ হ্যাঁ আসুন আসুন বলতে লাগলাম। প্রতিদানের সুযোগ পাওয়া গেল। এটাও ভাবলাম, গয়না তো দামী জিনিস, ধরবে না তো? গয়নার ভালো মন্দ, দাম কিছুই বুঝি না, বলার আগেই বৌদি বললো তুমি সঙ্গে থাকবে, বাকি আমার ওপর ছেড়ে দাও। আচ্ছা, কোলকাতাটাও একটু ঘুরব কিন্তু, সেই কোন ছোটবেলায় বাবা নিয়ে গিয়েছিল। এসে কোথায় থাকবে জিজ্ঞেস করার আগেই বলে দিল, ও আমাদের ব্যবস্থা আছে, তুমি শুধু সঙ্গে থাকবে। বার বার একটা ব্যাপারে সাবধান করতে লাগল, ঢাকা থেকে এসেছি কাউকে বলবে না কিন্তু। এই ব্যাপারটা বুঝলাম না।

সকাল সকাল বৌদিকে তুলে নিলাম খিদিরপুরের কাছে একটা গেস্ট হাউস থেকে। ওপাড়ায় যাওয়া হয় না বিশেষ। গিয়ে বুঝলাম কলকাতায় এলে বাংলাদেশের লোকজন নিউমার্কেট ছাড়া ওখানেই থাকেন। সারাদিনের জন্য গাড়ি নিয়েছি, ঝাড়া হাত পা। বৌদি প্রথমে বললো, তোমার দাদাকে কিছু বলবে না কিন্তু। কীসের কথা বলছে বুঝতে পারলাম না। কোথায় কোথায় সারাদিন ঘুরব সেটা মনে মনে ছক করে রেখেছিলাম। বৌদি বললো, আগে কাজ সেরে নিই কেমন? তারপর কলকাতা ঘুরব। চল, প্রথমে বরদানে যাই। বুঝতে একটু সময় লাগল, কারণ আমরা ভার্দান মার্কেট বলি, এটা নিয়ে কথা বাড়ালাম না। আমি নিজে যাই নি কখনো। ঢুকে দিশেহারা লাগছিল, দোকানপত্তর গিজগিজ করছে। বৌদি কিন্তু অনায়াসে এগলি সেগলি পেরিয়ে ঢুকে পড়ল একটা গয়নার দোকানে। ঢোকার আগে আবার শোনাল, কী বলেছিলাম, মনে আছে তো? ফিসফিস করে এটাও বলল, আমি তো মুর্শিদাবাদের মেয়ে, বুঝতেই পারবে না। ঢুকে কাউন্টারের সামনের টুলে গ্যাঁট  হয়ে বসে সেলসম্যানকে বললো, নিন, বের করেন। সেও কোনো প্রশ্ন না করে একের পর এক বাক্স ভর্তি সোনাদানা, হীরেমোতি দেখাতে শুরু করল। একসঙ্গে এতো গয়না আমি কখনো দেখি নি। হেলায় নাকচ হতে লাগলো প্রত্যেকটি। ক্রেতা বা বিক্রেতা কারুর মধ্যেই বিরক্তি নেই। বিজাতীয় কথাও কানে আসছিলো, ময়ূরবাহন হাঁসুলী লাগবে না, সুর্পণথা এখন ব্যাকডেটেড, এইরকম। তাল তাল সোনার মাল রিজেক্ট করে বৌদি বললো, যোধা আকবর নিয়ে আসেন। পদ্মাবতও দেখাবেন।  দোকানি একগাল হেসে বিকট চেহারার গলার হার, হাতের বলা, ঝাড়বাতির মতো কানের কীসব  এনে দেখাতেই সবকটা পছন্দ হোলো। বিনীতভাবে বিজয়ীর হাসি হেসে সে বলল, ঢাকা থেকে অনেকেই আসেন, যারা চেনেন, তারা আমাদের এখানেই আসেন, আপনাদের ট্যাস্ট আমরা জানি। বৌদি আর আমি মুখ চাওয়াচাওয়ি করলাম, আমি একটাও কথা বলি নি। বেশ কয়েক বাক্স ভরা গয়না প্যাক করা হল, ঠিক যেন গিরিশ ঘোষের সন্দেশ। বিল দেখে চক্ষু চড়কগাছ, মাত্র কয়েক হাজার টাকা। অর্থাৎ ইমিটেশন গয়না। গাড়িতে উঠে এই ব্যাপারে কিছু জিজ্ঞেস করার আগেই বৌদি বললো, সোনা তো ব্যাংক টু ব্যাংক ট্রান্সফার হয়ে গেছে, এগুলো সাজানোর জন্য। সবাই এরকমই করে।

খিদে পেয়েছিল, বৌদিও বলল, চল ম্যাকডোনাল্ডে যাই, ঢাকায় নাই। ঢাকার লোককে রয়্যালে বিরিয়ানী খাওয়ানোর কোনও মানেই হয় না, তাই ভেবেছিলাম মোকামবোতে নিয়ে যাব। কিন্তু একবার যা বলবে তার থেকে নড়চড় হবার যো নেই। আমি গেলে নিজেরা রান্না করে খাইয়ে প্রায় মেরে ফেলে। বরিশালে আমার আর এক বন্ধু রেজা, হাসতে হাসতে বলেছিল, আমাদের লোক কলকাতা থেকে ফিরলে জিজ্ঞেস করি, ইন্ডিয়াতে চা, চানাচুর ছাড়া আর কী দিল? অস্বস্তিটা  ছিলই। বিনাবাক্যব্যয়ে পার্ক স্ট্রিটে এলাম। কাগজের গ্লাসে কোক খেতে খেতে বার বার কী যেন একটা বলতে চাইছিল, কিন্তু অন্য কথার তোড়ে সেটা আর শোনা হল না। আর কিছু কেনাকাটার নেই, তাই এবারে কলকাতায় ঘুরে বেড়ানোটা শুরু করা যেতে পারে। কালীঘাট যাবে কিনা, জিজ্ঞেস করতেই নাকচ হয়ে গেল। ঢাকায় তো কালীবাড়ি আছে, তুমি গেছ না? বুঝতে পারছিলাম, আমার কোলকাত্তাই কালচার দিয়ে সুবিধে হবে না। বিলেত থেকে আসা সায়েব মেমদের  ট্র্যাভেল প্ল্যান এর ওপর একে সেট করা যাবে না। ভিক্টোরিয়াতে যাই চলো, বলায় রাজি হল। তাজমহলের ডুপলি না ওটা? খবর রাখে। ট্র্যাভেল গাইড হওয়া সহজ নয়, বুঝতে পারছিলাম। নিজের শহরেই হিমশিম খেতে হবে সেটাও টের পেলাম । ভেতরে ঢুকে মস্ত ডোমের ঠিক তলায় পৌঁছে এই প্রথম মোবাইল ফোন বের করল বৌদি। সেলফি তুলল না, মেঝেতে সাদা কালো পাথরের তারার মত নকশাটা দেখতে লাগল ঘুরে ফিরে। বললো, কলকা টা ভালোই করসে। শাড়ি করাব একটা। আমাদের এখানকার মত বাংলাদেশেও সেলফি তোলা, দমাদ্দম পোস্ট করার রেওয়াজ আছে। মনে পড়ল, খুলনায় এক মান্যগণ্য বয়স্ক লোকের সঙ্গে দেখা হয়েছিল। অনেকে ছিলাম। দেখা হতেই উনি সবাইকে নিজের কোটের পাখনার মধ্যে টেনে নিয়ে গ্রুপ ছবি তুলে  ফেললেন। এর মধ্যে একজন, কিঞ্চিৎ আপত্তি করছিল। এরপরেই সে চেঁচাতে লাগলো, ফেসবুকে দিয়েন না, ফেসবুকে দিয়েন না, কে কার কথা শোনে, অসম্ভব ক্ষিপ্রতায় সে ছবি ততক্ষণে মহাকাশে  ছড়িয়ে গেছে। পরে জিজ্ঞেস করেছিলাম, আরে বাবা, কী এমন ব্যাপার, সিনিয়র লোক, আপনারাও  তো তোলেন, পোস্ট করেন, সমস্যাটা কী? উত্তেজিত উত্তর এসেছিলো, আপনারা, ইন্ডিয়ার লোক এসব বুঝেন না। ওই লোকের নামে মার্ডর চার্জ আসে। এখন ভোল পাল্টে অন্য ব্যবসা ধরেছে। কোট পরেছে, টাই পরেছে। ওর সঙ্গে ছবি পাবলিক হলে আমার সমস্যা হবে না? ভিক্টোরিয়া থেকে বেরোনোর সময় বৌদি একবার পিছনে ঘুরে বলল, মেমসায়েবের মূর্তি, কালোপাথরে করলো  কেন? না শোনার ভান করে এগোলাম।

গাড়িতে উঠে বৌদি বললো, কী একটা জায়গা আছে না, যেখানে ব্যর্থ কবিরা সকাল সন্ধ্যে চেঁচামেচি করে আর কফি খায়? দাদা একবার বলেছিল, ঢাকাতে অনেক রেস্ট্রিকশন, জানোই তো। ফটাফট মদ পাওয়া যায় না। অনেক কাঠ খড় পুড়িয়ে জোগাড় করি আমরা। এর একটা সুবিধে হল, নেশা করার একটা ভ্যালু থাকে, গুরুত্ব থাকে। অনেক বেশি এনজয় হয়। সহজেই যা পাওয়া যায় তার কি কোনও ইজ্জত থাকে নাকি? হক কথা। বৌদি মদ্যপান করে না। একবার বলেছিল, আমার কীসে নেশা লাগে তা যদি তোমার দাদা বুঝতো তাহলে কি আর আজ আমার এই দশা হত ? যথারীতি কথা বাড়াই নি। ব্যর্থ কবিদের ব্যাপারটা আমার পছন্দ হল না। কলকাতার বেশিরভাগ বিশ্ববরেণ্য  টপরা আদতে ওপার বাংলার। রবীন্দ্রনাথ, সত্যজিৎ, লম্বা লিস্ট। একটু মেজাজ গরম হল। বৌদির ওপর নয়, বজ্জাত ব্রিটিশদের ওপর। ভূতে মেরে দিলো তারকাঁটা, আমরা হয়ে গেলাম পর। পাসপোর্টে ছাপ্পা মারিয়ে, ইমিগ্রেশন অফিসারের অবিশ্বাসী দৃষ্টিকে হজম করে বৌদিকে আসতে হল মেয়ের বিয়ের নকল গয়না কিনতে, অন্য রাষ্ট্রে। আর আমি বনে গেলাম কলকাতার ট্যুরিস্ট গাইড। রবীন্দ্রসদনের কাছে মোমো খাওয়ানোর মতলব করছিলাম, ইনস্ট্যান্ট নাকচ হয়ে গেলো। সিনাগুলো কি করে, কি খায় কেউ জানে না, ও দোকানে যামু না। যতই বলি, ওটা তিব্বতী, শোনেই না। চোখ পাকিয়ে আমাকে বলল, ইন্ডিয়াতে কি সব লোক সকাল বিকেল মটর পনির খায়? তিব্বতেও কেউ ওই মুমু খায় না। তাছাড়া ওটা তো চায়না, আমায় বাঙাল পেয়েছ? যামু না আমি। তর্ক না করে ড্রাইভারকে বললাম, কলেজ স্কোয়ারের আশেপাশে গাড়ি রাখুন, আমরা ঘুরে আসব। কফি হাউসের বিখ্যাত পকোড়া পছন্দ হোলো বৌদির, মন্তব্য করল, ইন্ডিয়ার ডাল-পেঁয়াজের  চিকেন বড়াটা অন্যরকম। রাস্তায় প্রচুর দোকানের মধ্যে বাংলাদেশের বই দেখতে পেয়ে সোনাবৌদি  খুবই উত্তেজিত হয়ে উঠল। জানাল, ইন্ডিয়ায় বাংলাদেশের কদর নাই একথা বললে পাপ হবে। হাসান চাচাকে পুরস্কার তো কলকাতাই দিলো, তাই না? ঢাকাতে ওদের বাড়িতেই প্রথম আখতারুজ্জামান ইলিয়াস পড়েছিলাম। এবারে আর পারমিশন না চেয়ে সোজা ঢুকে পড়লাম প্যারামাউন্টের সরবতের  দোকানে। এল ডাব সরবত। এক চুমুক দিতেই বৌদির মুখের চেহারা বদলে গেল। এবং একদম চুপ করে রইল। সব ব্যাপারেই জোরালো পছন্দ অপছন্দ জানানোই যার স্বভাব, সে একেবারে নিস্তব্ধ হয়ে রইলো বেশ কিছুক্ষণ। সকাল থেকে একের পর এক ডেস্টিনেশন চেজ চলছে। দুপুর গড়িয়েছে। রোদ্দুরটাও চমকাচ্ছে বাইরে। এখানে প্রথমবার একটা ঠান্ডা বিরতি নেওয়া গেছে। ক্লান্ত শরীরে শুদ্ধ, শুভ্র ডাবের শাঁস, বরফকুচি দেওয়া, সর্বাঙ্গ শীতল করা সুবাসিত মিষ্টি পানীয়টি বৌদিকে অন্যমনস্ক করে রেখেছে। আমিও এই প্রথমবার বৌদির অন্য এক রূপ দেখছি, আড়চোখে, নিজের প্রায় খালি হয়ে যাওয়া গ্লাসে স্ট্র দিয়ে শেষটুকু শুষে নেওয়ার চেষ্টা করতে করতে।

সত্যি বলতে কি এরপর আর কোথাও যাওয়ার মানে হয় না। বৌদিকে খুব সন্তর্পণে বললাম, একটা কথা বলি? আমার সঙ্গে যাবে এক জায়গায়? কেউ যায় না, কিছুই নেই সেখানে। যাব আর ফিরে আসব। বৌদি হ্যাঁ না কিছুই বলল না। আমি নিশ্চিত জানি, আপত্তি নেই । ড্রাইভারকে বললাম, আমাদের সেন্ট্রাল মেট্রো স্টেশনে নামিয়ে দিয়ে আপনি ওয়েট করবেন হাজরা মোড়ের কাছে, কালিকার গলিতে জায়গা পেয়ে যাবেন। ঘুরে এসে ডেকে নেব, তারপর ফিরব। বৌদি আগে  কলকাতার মেট্রো চড়ে নি। এসি মেট্রো এল, উঠলাম। দুপুরবেলা। সিট পেয়ে বসালাম, নিজে সামনে দাঁড়ালাম, মুখ দেখতে, কথা বলতে সুবিধে হবে, তাই। নতুন কোচ, আওয়াজ বেশ কম, হুস হুস করে এসি চলছে, নরম সাস্পেন্সনের মাধুর্যে অদ্ভুত অনুভূতি হচ্ছিল শরীরে। টালিগঞ্জ পেরোতেই আলোয় আলোয় ভরে উঠলো চারপাশ। মেট্রো উঠে পড়ল ওভারহেড ট্র্যাকে। বাঁক নিলো স্বচ্ছন্দে। এর বাড়ির কাপড় শুকোতে দেওয়া বারান্দার পাশ দিয়ে, অজস্র অটো সাইকেল রিকশার  বিনবিনে  স্রোতের ওপর দিয়ে, অজানা মালিকের গাছের থোকা থোকা নারকেলের সমান উচ্চতায় এগোতে লাগলাম শহরের দক্ষিণ দিকে।  জানলা দিয়ে ঠায় বাইরেটা দেখে যাচ্ছিল বৌদি। আমার মোবাইল ফোনে গুগল ম্যাপ খুলে দেখলাম কোথায় রয়েছি এখন, যাচ্ছি কোন দিকপানে। ম্যাপের জায়গা বড় করতে করতে তলার দিকটা নীল হয়ে গেলো। বঙ্গোপসাগর এসে গেছে, তার ওপরেই সুন্দরবন। বললাম, এই দেখো, এরপর বাঁ দিকে ঘুরলে আবার সুন্দরবন, তবে সেটা তোমাদের। বলেই ঝট করে ম্যাপকে লোকেশনে নিয়েএলাম,  এতটাই যে, আমাদের পজিশনাল আইডেন্টিটি নীল ডটটা এগিয়ে চলেছে, তাও দেখা গেল। জানলার বাইরে বহুদূর পর্যন্ত শহরতলি, গাছপালা, নতুন হাইরাইজ দেখতে দেখে বৌদি আস্তে করে বললো, অনেকদিন যাই নি, বাপের বাড়ি গেলে হয়তো কিছুই চিনতে পারব না।

শুভময় মিত্র আদতে ক্যামেরার লোক, কিন্তু ছবিও আঁকেন। লিখতে বললে একটু লেখেন। বয়স বৃদ্ধির সঙ্গে অনেকরকম খামখেয়ালিপনায় সময় নষ্ট করে মূল কাজে গাফিলতির অভিযোগে দুষ্ট হন। বাড়িতে ওয়াইন তৈরি করা, মিনিয়েচার রেলগাড়ি নিয়ে খেলা করা, বিজাতীয় খাদ্য নিয়ে পরীক্ষানিরীক্ষা করা ওঁর বাতিক। একদা পাহাড়ে, সমুদ্রে, যত্রতত্র ঘুরে বেড়াতেন। এখন দৌড় বোলপুর পর্যন্ত।

2 Responses

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *