*আগের পর্বের লিংক: [] [] [] [] [] [] [] [] [] [১০] [পর্ব ১১] [পর্ব ১২]

ছোটবেলাকার সন্ধ্যাগুলি কেমন এক বিষাদের রঙে ডুবে থাকত। আমি হয়তো একটু বেশি ভাবতাম বলেই আমার মনে জমে উঠত উদ্বেগ। রোজ সেই একই উৎকণ্ঠা। বাবা ঠিক সময়ে বাড়ি আসবেন তো? বাড়ি ফিরবেন তো বাবা? এই উদ্বেগ পেয়েছিলাম মায়ের কাছ থেকেই। বাবার অফিস ছিল ডালহৌসিতে। পরে সেন্ট্রাল অ্যাভিন্যু ও তারও পরে কাউন্সিল হাউস স্ট্রিটে। ওখান থেকে ছটার কাছাকাছি সময় বেরিয়ে সাতটা সাড়ে সাতটার মধ্যে বাড়ি পৌঁছনো খুব সহজ ছিল না। বাবা একেবারেই সংসারী মানুষ ছিলেন। অফিসের বাইরে তাঁর একটিও বন্ধু ছিল না। অফিসের কাজের সময় কারো সঙ্গে গল্প গুজব না করে তিনি নিজের কাজটুকু শেষ করার চেষ্টা করতেন, যাতে ঠিক সময় বেরতে পারেন।

কিন্তু কলকাতার বাসের যা অবস্থা ছিল তাতে ভিড়ের বাস ছেড়ে পরের বাসের জন্য আরও অপেক্ষা করে ঘণ্টাখানেকের মধ্যে ডালহৌসি থেকে হাজরা মোড় পৌঁছনো প্রায় অসম্ভব ছিল।  এরই মধ্যে কোনও মিটিং মিছিল থাকলে, বৃষ্টি হলে, পথে জল জমলে আরও দেরি হত। আমাদের বাড়িতে ল্যান্ড ফোন আসে বোধহয় ১৯৭৪ সালে। তার আগে কোথাও ফোন করতে গেলে মোড়ের দোকান। কিন্তু কারও দেরি হলে কোথায়ই বা কাকে ফোন করা যাবে? মোবাইলহীন যুগে মানুষের উৎকণ্ঠা বোধহয় সাধারণভাবে কমই থাকত। কিন্তু অফিস থেকে বাবার আসতে দেরি হলে আমাদের ছোট সংসারটির সুখ শান্তি উবে যেত। এটা হত মাসের মধ্যে দশ থেকে পনেরো দিনই।

সন্ধের শাঁখ বাজত গ্রীষ্মকালে সাড়ে ছটায়। শীত সন্ধ্যায় আরও আগে। মা গিয়ে বসতেন জানলার ধারের চেয়ারটিতে, বাবা না ফেরা পর্যন্ত সামনের চেয়ারটি খালিই থাকত। ট্রাম বাসের আওয়াজ, লোকজনের চলাফেরা সবমিলিয়ে হাজরা রোডের জমজমাট সন্ধে। তারপর বাবার আসার আনুমানিক সময় পার হয়ে যেতেই মা ছোট দ্বিতীয় ঘরটিতে ঢুকে দরজা দিতেন। খাটে শুতেন না, আলনার পাশে মাটিতে উপুড় হয়ে শুয়ে অশ্রু বিসর্জন করতেন নীরবে। যে কদিন বাবার আসতে ভীষণরকম দেরি হত, কান্নার শব্দ এ ঘর থেকে শোনা যেত। বুকের মধ্য দলা পাকিয়ে উঠত ভয়, নিজেরও কান্না পেত ভীষণ। কিন্তু কাঁদতে পারতাম না। বড়দা কাঠের মতো বসে চেঁচিয়ে নিজের পড়া করত। ছোড়দা সত্যিই ফুঁপিয়ে কেঁদে উঠত এক এক দিন। ওর মন খুব নরম ছিল।

 

আরও পড়ুন: পীতম সেনগুপ্তের কলমে: সখা ও সচিব

 

তারপর পরিচিত কড়া নাড়ার আওয়াজে ছুট্টে দরজা খোলার কাজ ছিল আমার। বাবা হাত মুখ না ধুয়ে কেবল জুতো খুলেই প্রথমে মায়ের কাছে যাবেন, তাঁকে বোঝাবেন, একটিই বাক্য বারবার বলে, ‘আমি তো আসছিলামই, রাস্তায় ছিলাম—’ মা এলোমেলো চুল নিয়ে উঠে আসবেন, চোখে জল, মুখে হাসি— একটু পরে স্টোভে রান্না গরম হবে, আমরা সবাই মিলে লাল মেঝেতে বসে খাব, কী খাচ্ছি তা খেয়াল না করে, নিছক আনন্দে— এবং এই সব দৃশ্যের পুনরাবৃত্তি হবে আবার কিছুদিন পর, অবধারিতভাবে। পরে ‘সুবর্ণরেখা’তে মাধবীর অনেক রাতে দরজা খোলার দৃশ্য ও দুঃসংবাদের অভিঘাত দেখতে দেখতে মনে পড়ে গেছে নিজেদের ছোটবেলা। আমরাও যদি ওইভাবে হারাতাম প্রাণের অধিক পিতা আর পরিবারের একমাত্র রোজগেরে মানুষকে? কী হত তাহলে?

কলেজে না পড়া, চাকরি না-করা মায়ের তিন সন্তানকে নিয়ে পথে বসার আশঙ্কা আমাদের ছোটবেলাকে তাড়িয়ে নিয়ে বেরিয়েছে। নিজের ইচ্ছেয় পছন্দ করা বর, বাড়ির অমতে না হলেও নিরুৎসাহ সম্মতিতে বিয়ে। কোনও অঘটন ঘটলে ফেরার পথ নেই। কান্নার ভিতর লুকিয়ে থাকা এই সব ছায়া আমাকে ছোটবেলা থেকেই নিজের জীবন নিয়ে সিদ্ধান্তে অনড় করে তুলেছিল। আমি ও রকম শুয়ে শুয়ে কাঁদব না মায়ের মতো। আমি কলেজে যাব, অফিসে যেতে হবে আমাকে। আমার বড়বেলা মায়ের মতন হবে না। আশঙ্কা জড়িয়ে থাকত কেবল বাবার দেরিতে অফিস থেকে ফেরা নিয়ে নয়, ছোটখাট অসুখবিসুখে। মনে হত, আমাদের পৃথিবীটাই ঘষে তুলে দিয়েছে কেউ।

আমি তখন ক্লাস ফোরে, বাবার টাইফয়েড হল। অনেকদিন বিছানায়, উঠতে পারেন না, অফিস যাওয়া বন্ধ। ডাক্তার নিজেই খুব আশান্বিত নন। মাকে কাঁদতে দেখতাম আর একটা ভয়ের মেঘ খুব কাছে চলে আসত আমার। বাবার সহকর্মীরা বাড়িতে এসেছিলেন দেখতে, মনে আছে। ধীরে ধীরে সেরে উঠলেন বাবা। খুব দুর্বল। আমাদের জীবন ও আবার আগের মতন হয়ে গেল। সমাজ ছিল, আত্মীয়স্বজন ছিলেন, কিন্তু প্রকৃত বিপদে তারা সব কোনও কাজে আসবে না, মা মনে মনে জানতেন। জ্যাঠা-কাকারা, বড়মাসি-মেসো  প্রয়োজনে পাশে কেউ দাঁড়াতে পারবেন না। সবাই মধ্যবিত্ত, নিজেদেরই সংসারে টাকার টানাটানি।

১৯৬৮ একটা ভাল মন্দ, উদ্বেগ আনন্দ মেশানো বছর। কোনও কারণে বাবা পরপর কয়েক মাস মাইনে পেলেন না। সরকারি অফিস, স্থায়ী সমস্যা হবার সম্ভাবনা নেই। তবু কেউ জানে না কতদিন এই অবস্থা চলবে। খুব টানাটানি করে সংসার চালাতে থাকলেন মা। মনে হয় ব্যাংক ব্যালান্সের অবস্থা বেশ শোচনীয় ছিল। বাড়িতে যাঁরা আসেন, সেই কাকা জ্যাঠাদেরও মা যেচে বলেন সংসারের কথা। দেখলাম, কেউ খুব মাথা ঘামালেন না। বললেন, এমন তো কতই হয়, সব ঠিক হয়ে যাবে। সত্যিই মাস তিনেক আমাদের খুব অনিশ্চয়তায় রাখার পর পুজোর আগে বাবা একসঙ্গে তিনমাসের মাইনে পেয়ে গেলেন। সেই আনন্দ উদযাপনে টিকিট কাটা হল তুফান এক্সপ্রেসের। হরিদ্বার, দেরাদুন, মুসৌরি যাব আমরা।

পুজোর পর না গরম না শীতের সুন্দর আমেজের মধ্যে আমরা বেরিয়ে পড়েছি। এই বেড়ানোর মধ্যে আনন্দ উত্তেজনা দুটোই বেশি। পুরী গেছি দু’তিন বার। বেনারস গেছি। তা ভাল মনে নেই। এই প্রথম এত দূর যাওয়া। হিমালয় পর্বত শ্রেণীর কাছে। সমতল থেকে অনেকটা উঁচুতে। ট্রেনে তিনদিন দু’রাত। এসি টেসির বালাই নেই। সাধারণ বগি। থ্রি টিয়ার। মোগলসরাই এর পর গাড়ি মোটামুটি খালি। দিনের বেলাও লম্বা হয়ে বার্থে ঘুমনো যায়। হু হু করে বাতাস ঢুকে পড়ে কামরার ভিতর। দূরের আকাশ গভীর নীল। মেঘের কতরকম পাহাড়। উত্তরপ্রদেশের অরণ্যবহুল গ্রামাঞ্চল দিয়ে চলেছি। রেলপথের দু’ধারে ঘন বন। এসব গাছপালা আমার চেনা নয়। বাতাসে চামর দোলায় বন্য ঘাসের দল। মাইলের পর মাইল বুনো ঘাসের বন। রোদে পোড়া উদ্ভিদ্গন্ধ বয়ে নিয়ে আসে বাতাস। অপরূপ এক মুক্তির আনন্দ জেগে ওঠে মনে।

 

 

আরও পড়ুন: আলপনা ঘোষের কলমে: ম্যাকাওবাসের স্মৃতি

 

 

এই তো চেয়েছি আমি! প্রকৃতির গভীর সান্নিধ্য। কলকাতার ফ্ল্যাটবাড়ির নিগড় থেকে বেরিয়ে পড়া। বাড়ি থেকে আনা টিফিন ক্যারিয়ারের খাবার কখন শেষ হয়ে গেছে। আমরা ট্রেনের ট্রে থালায় করে হাপুস হুপুস খাচ্ছি বিস্বাদ ডাল, ঝোল। তাতেই কী আনন্দ! চানাওলা, মুম্ফলি বাদামওলা উঠছে ট্রেনে। তাদের কাছ থেকে কিনে খাচ্ছি সেই সব জিনিস যা বাড়িতে সেধে খাওয়ানো যায় না। দূরপাল্লার ট্রেন হলে কী হবে, সব স্টেশনে থামতে থামতে যাচ্ছে। তাতে আমাদের কোনও অসুবিধে নেই। দাদা আর আমি ঝগড়া না করেই দুটো আলাদা জানলা পেয়ে গেছি।

ট্রেনের রাত দু’টিই বা কি মায়াভরা। নীল রাত-আলো জ্বলা কামরা যেন রাক্ষসপুরী। সবাই নানা সুরে নাক ডেকে ঘুমোচ্ছে। আমার ঘুম নেই। গরাদে নাক ঠেকিয়ে জেগে দেখছি, বাইরে অন্ধকারে সটাসট ছুটে যাচ্ছে অন্ধকার গ্রাম, মিটি মিটি আলো মাঝে মাঝে, অন্ধকার ভাঙে এমন সাধ্য কি তাদের? কোনও স্টেশন কাছে এলে আলো এসে পড়ে মুখে। ঘুম জড়ানো গলায় ‘চায় গ্রম চায়’ হেঁকে যায় ফেরিঅলা। অত রাতে কেউ চা খায়? লোকে ডাকছে তবু। গালার চুড়ি, পোড়ামাটির ফুলদানি, কমলালেবু। মা সব কিছুতেই বারণ করে। লেবু টক। চুড়ি তোর হাতে হবে না। ওটা কাঁচা মাটি। তবু আমি কিনবই কিছুএকটা। জানলা দিয়ে জিনিস কেনার অগাধ রোমাঞ্চ।

Train
ঝিম্ ধরা দুপুরে, গভীর রাতে কত ট্রেন দেখি

ট্রেন ছাড়ার সময় হয়ে গেলেও কেউ কেউ ধীরেসুস্থে চা খায়। পয়সা বার করেনি। চা অলা জানলার পাশে পাশে হাঁটছে, দৌড়চ্ছে, পিছিয়ে যাচ্ছে ক্রমশ। পেতে রাখা খালি করতল তার, ধীরে ধীরে পিছিয়ে যায়। আমার চোখে জল আসে চাওলার জন্য, মানুষের অসাধুতায় কান্না পায়। ঝিম্ ধরা দুপুরে, গভীর রাতে কত ট্রেন দেখি। কেউ পাশ দিয়ে চলে যাচ্ছে ঝক ঝক করে, কেউ সাইডিংয়ে মলিন দাঁড়িয়ে। মালগাড়িদের ভিতর মানুষ যাত্রী থাকে না, ঢিমে তালে তারা আপন মনে চলতে থাকে। আবার দাঁড়িয়ে পড়লেও  তাদের কিছু বলবে না কেউ। এটা যেন ট্রেনেদেরই পৃথিবী। মানুষেরা অন্য গ্রহের অধিবাসী। ট্রেনরা যে মানুষেরই মতো ভাবে, মন খারাপ করে, পরস্পরের সঙ্গে কথা বলে, এই সফর থেকেই আমার মনের মধ্যে তা বদ্ধমূল হয়ে যায়।

 

 

আরও পড়ুন: যশোধরা রায়চৌধুরীর কলমে: আমার দেখা অনীশ দেব

 

 

হরিদ্বার পৌঁছনোর দিন সকাল থেকে আকাশে পর্বতশ্রেণীর বঙ্কিম রেখা, নীল নীল ছায়া। বোঝা যায় অনেক দূরে চলে এসেছি বাড়ি থেকে। ছোট ছোট স্টেশনে ট্রেন থামছে, দই অলা, হররাঅলা। কেমন অদ্ভুত সব নাম। পুরো সফরেই আমার সঙ্গী কবিতার খাতা ও কলম। মাঝে মাঝে কবিতা লিখছি। দাদুর অনুপ্রেরণা মনে করে ইংরিজি অনুবাদও করছি। আগের দিন ধুলো-ওড়া দুপুরে ট্রেনে বসে একটা কবিতা লিখেছিলাম, তার প্রথম কয়েকটা লাইন মনে আছে— ‘উড়ে যায় মনের কথা, ঝড়েতে বৃন্তহতা ফুলের মতন, তবুও ঘুরি পথে, কুড়িয়ে নিতে আমার হারা-রতন!’ রবীন্দ্রনাথ আর বাংলা আধুনিক গানের ব্লেন্ড যদি মনে হয়, বারো বছরের কিশোরী আর কী বলবে!

সকালে জানলার ধারে বসে সেই লেখারই অনুবাদ করছি। এমন সময় উল্টোদিকের উপরের বার্থ থেকে গলা বাড়িয়ে সহযাত্রী ভদ্রলোক হিন্দিতে জানতে চাইলেন, আমি কী লিখছি ছোট খাতায়? ক্লাসের পড়া? মধ্যবয়সী এই ব্যক্তি নিজের পরিবার নিয়ে হরিদ্বার চলেছেন। এঁর বার্থটি আমাদের উল্টোদিকে, উপরে। কাল দুপুরেও ইনি আমার কার্যকলাপ দেখছিলেন, কিছু বলেননি। আমি হিন্দিতে কুলিয়ে উঠতে পারব না বুঝে, বাবা বলে দিলেন, আমি কবিতা লিখছি। নিজের কবিতা অনুবাদও করছি একইসঙ্গে। বিস্মিত সহযাত্রী আমার খাতাটি চেয়ে নিয়ে উল্টে পাল্টে দেখে বললেন, ‘এসব তোমার লেখা? নিজে নিজে লিখেছ? কী করে লেখ? ভেবে ভেবে? তুমি তো এইটুকু মেয়ে!’ তারপর, মাথা নেড়ে খাতা ফিরিয়ে দিয়ে বাবাকে বললেন, ‘বাঙালিরা অন্যরকম। আমি জানি।’

চলন্ত ট্রেনে সেই প্রথম আমার বাঙালি কবি হিসেবে স্বীকৃতি লাভ। ঐ খাতাটি হারিয়ে গেছে বহু স্থান পরিবর্তনে। তবে ১৯৬৯-এ সন্দেশ পত্রিকায় যে কবিতা ছাপা হয়, সেটি এই সফরেই লেখা। এক দুঃখী ট্রেনকে নিয়ে।

কলকাতায় জন্ম, বড় হওয়া। অর্থনীতির পাঠ প্রেসিডেন্সী কলেজ ও কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয়ে। কবিতা দিয়ে লেখক জীবন আরম্ভ। সূচনা শৈশবেই। কবিতার পাশাপাশি গল্প, উপন্যাস, ভ্রমণকাহিনী, প্রবন্ধ, ছোটদের জন্য লেখায় অনায়াস সঞ্চরণ। ভারতীয় প্রশাসনিক সেবার সদস্য ছিলেন সাড়ে তিন দশকেরও বেশি সময়। মহুলডিহার দিন, মহানদী, কলকাতার প্রতিমা শিল্পীরা, ব্রেল, কবিতা সমগ্র , দেশের ভিতর দেশ ইত্যাদি চল্লিশটি বই। ইংরাজি সহ নানা ভারতীয় ভাষায়, জার্মান ও সুইডিশে অনূদিত হয়েছে অনিতা অগ্নিহোত্রীর লেখা। শরৎ পুরস্কার, সাহিত্য পরিষৎ সম্মান, প্রতিভা বসু স্মৃতি পুরস্কার, কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয়ের ভুবন মোহিনী দাসী স্বর্ণপদকে সম্মানিত। পশ্চিমবঙ্গ বাংলা আকাদেমীর সোমেন চন্দ পুরস্কার ফিরিয়েছেন নন্দীগ্রামে নিরস্ত্র মানুষের হত্যার প্রতিবাদে। ভারতের নানা প্রান্তের প্রান্তিক মানুষের কন্ঠস্বর উন্মোচিত তাঁর লেখায়। ভালোবাসেন গান শুনতে, গ্রামে গঞ্জে ঘুরতে, প্রকৃতির নানা রূপ একমনে দেখতে।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *