ছেড়ে আসা সে শহর, অলিগলি
গেস্টরুমের খাড়া সিঁড়ি…
হাঁ করে থাকা ছাদ
শহরটাকে অজগর মনে হত কেমন।
রাতের আলোগুলো ঝকমক করত একমনে,
আমিও তখন কী জানি কার কথা ভাবতাম?

সারাদিন হাড়ভাঙার পর ধোয়া জামাকাপড়
মেলতে যেতাম। 
স্মার্ট সুদৃশ্য অন্তর্বাসে আটকে থাকত চোখ।
আমার মধ্যবিত্ততা কোথাও তখনো তুলসিতলার 
প্রদীপ হয়ে ছিল…মদের গন্ধ এলে ভাবতাম
জাত গেল বুঝি!
তুমিও ভেবেছিলে সে গন্ডি পেরোনোর নয়।
অথচ লক্ষ্মণরেখা পার করে যে সুতো গড়িয়ে গেছে বহুদূর…
দ্বন্দ্ব, তবু লক্ষ্যভ্রষ্ট নয়,
লক্ষ্য তার কাঠের পাখির চোখ।
সবকিছু কি বোঝানো যায় বলে?
ঠিক যেমন আজ বোঝ মনে মনে,
কতটা ভুল ছিলে সেদিন।
সে শহর আমাদের নয়। আমরাও সে শহরের কেউ নই।
তবুও রঙিন বুদবুদ জড়ো হয়েছিল চশমার ঠান্ডা কাচে।
আসলে কী বল তো, একবার পথ ভুলে গেলে, 
ফিরতে বড় দেরি হয়ে যায়!

 

*ছবি সৌজন্য: Facebook

সবর্ণা শূন্য দশকের কবি। জন্ম, বেড়ে ওঠা চন্দননগরে। কম্পিউটার অ্যাপ্লিকেশনে স্নাতকোত্তর। গান, নাচ, ছবি আঁকার সঙ্গে সঙ্গে গড়ে ওঠে নিজস্ব ভাবনার জগৎ। পরবর্তীতে হঠাৎই কবিতাকে আঁকড়ে ধরা। গদ্য কবিতার পাশাপাশি ছন্দে লিখতেও ভালবাসেন। ২০১৮-তে সিগনেট প্রেস থেকে প্রকাশিত প্রথম কাব্যগ্রন্থ 'চারদেওয়ালি চুপকথারা'। ২০১৯-এ পেয়েছেন সোনাঝুরি সাহিত্যসম্মান। ২০২০-তে বইতরণী থেকে প্রকাশ পায় তাঁর 'সাদা হরফের হাঁসগুলি' ই-বুক। ২০২১ সালে পূর্বা থেকে প্রকাশিত হয় ' রোদসংসার ও তারামন্ডল'। বিভিন্ন পত্র-পত্রিকায় নিয়মিত কবিতা ও প্রবন্ধ লেখেন। কিশোর সাহিত্যেও আগ্রহী।

3 Responses

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *