ঠিক কী নামে ওঁকে ডাকা হবে, তা নিয়ে নিজেই সন্দিহান ছিলেন নারায়ণ সান্যাল। কলেজ স্ট্রিটে দে’জ পাবলিশিং-এর কাউন্টারে বসে নিজেই শুনতে পেতেন অফিসফেরতা মানুষগুলো শেষবেলার যাই যাই ট্রেন ধরার আগে ছুটে এসে কিনে নিতেন ওঁর লেখা বই। কাউন্টারে এসে চাইতেন “আমাকে একখানা বিশ্বাসঘাতক নারায়ণ সান্যাল”, “এদিকে একখান না-মানুষ নারায়ণ সান্যাল” কিংবা “রাস্কেল নারায়ণ সান্যাল দেখি।” শুনে কাউন্টারে বসে থাকা প্রকাশক মশাইয়ের রক্তচাপ বেড়ে গেলেও তিনি স্বয়ং তা সানন্দে উপভোগ করতেন। নিজেই লিখেছেন।
আসলে ঠিক এটাই নারায়ণ সান্যাল।
করবেন না-ই বা কেন? সারা জীবনে প্রায় দেড়শো বই লিখেছেন।
আর একটা বইতেও নিজেকে পুনরাবৃত্তের চেষ্টাও করেননি। তাঁকে দেগে দেওয়া যায়নি কোনও একটা বই বা একটা চরিত্র দিয়ে। প্রকাশক গলদঘর্ম হয়েছেন তাঁর লেখা বইকে বিষয়ভিত্তিক সাজাতে। যদিও কোনওক্রমে উনিশটি বিষয়ে সাজিয়েছেন তাঁর লেখাকে, তবুও প্রতিটি বই আবার দু’ তিনটি ভিন্ন ভিন্ন বিষয়ভুক্ত। তাঁর বহুপঠিত ‘বিশ্বাসঘাতক’ উপন্যাসটিকেই ধরা যাক। গতে বাঁধা উপন্যাস বলতে বাধে একে, কারণ উপন্যাসে কেমিস্ট্রির ফরমুলা অপ্রত্যাশিত। বিজ্ঞান বিষয়ক গ্রন্থও না, কারণ সেক্ষেত্রে রোম্যান্টিক কাহিনি অপাঙক্তেয়। শেষ দৃশ্যে অপরাধী নিজেই ধরা দিচ্ছে, তাই গোয়েন্দা কাহিনি হবার প্রশ্নই নেই। এই উপন্যাস আসলে এই সবকটা ঘরানার অনবদ্য এক মিশ্রণ। বড় যত্নে তৈরি এক ভার্সেটাইল খিচুড়ি।
নারায়ণ সান্যাল জানতেন, ভবিষ্যৎ প্রজন্ম সাহিত্যিক হিসেবে তাঁর জাত নির্ধারণে বারবার অসমর্থ হবে। প্রতিটি গ্রন্থাগারের গ্রন্থাগারিকের হাত একবার হলেও আটকে যাবে তাঁর বই হাতে নিয়ে। কোন তাঁকে রাখা যাবে এই বইকে? বিষয়ভিত্তিক আলমারি তাঁর জায়গা নয়। তাঁর নামে নতুন তাক খোলা হবে। তিনি বিষয়ে নয়, বিষয় তাঁর মধ্যে সম্পৃক্ত হবে। নারায়ণ সান্যাল নিশ্চিত জানতেন।
২
১৯২৪ সালের ২৬ এপ্রিল কলকাতায় জন্ম। বাবার দেওয়া নাম নারায়ণদাস সান্যাল। বেড়ে ওঠা কৃষ্ণনগরে। সেই আবেশ চিরটাকাল সম্পৃক্ত ছিল তাঁর মনে। নিজেকে পরিচয় দিতেন ‘কৃষ্ণকলি’ হিসেবে। সাহিত্যিক হয়ে ওঠার চেনাপথে হাঁটেননি। ১৯৪৮ সালে শিবপুর বিই কলেজ থেকে সিভিল ইঞ্জিনিয়ারিং পাশ করে যোগ দিয়েছিলেন সরকারি পিডব্লুডি বিভাগে। সে জীবন এক সফল বাস্তুকারের। পেয়েছেন ‘ফেলো অফ দি ইনস্টিটিউশান অফ ইঞ্জিনিয়ারস’ আর ‘ফেলো অফ দি অ্যাসোসিয়েশন অফ ইঞ্জিনিয়ার্স’-এর মতো সম্মান।
আর দশটা সাধারণ মানুষ হয়তো এই সাফল্যের ওমটুকু নিয়েই সারাজীবন কাটিয়ে দিতেন। কিন্তু নারায়ণ সান্যাল অন্য ধাতুতে গড়া। ক্রমাগত নিজের কমফর্ট জ়োনকে ভেঙেছেন। একেবারে শুরুর দিকে তাঁর লেখা ‘বকুলতলা পিএল ক্যাম্প’ উপন্যাসে প্রথমবার দেখতে পাই দান্তের ‘ইনফারনো’-র সেই অমোঘ লাইন “ত্যাজ সব আশা, যারা প্রবেশ নিরত এইখানে।” জীবনের শেষ লগ্নে সেই দান্তের জীবন নিয়েই লিখলেন “দান্তে ও বিয়েত্রিচে।” বাংলা ভাষায় দান্তে চর্চার মাইলস্টোন। বৃত্ত সম্পূর্ণ হল।

একদিকে যখন খটোমটো হিসেবনিকাশে ভরা রসকষহীন বাস্তুবিজ্ঞানের টেক্সট বই লিখছেন, প্রায় একই সঙ্গে লিখে চলেছেন শিশুদের জন্য একেবারে যুক্তাক্ষর বর্জিত “হাতি আর হাতি”-র মতো আশ্চর্য বই। শুধুমাত্র একটা সত্যকাম লিখেই অমর হতে পারতেন তিনি। কিংবা ‘রূপমঞ্জরী’ কিংবা ‘অজন্তা অপরূপা’। কী অপূর্ব ছবিই না এঁকেছিলেন এই বইয়ের পাতায় পাতায়! ইতিহাস, শিল্প, ইঞ্জিনিয়ারিং আর সাহিত্যের এমন মেলবন্ধন বাংলা সাহিত্যে আজ অবধি আর হয়নি।
স্বয়ং সুনীতিকুমার চট্টোপাধ্যায় মুগ্ধ হয়েছিলেন এই কাজে। নিজের হাতে সংশোধন করে দিয়েছিলেন বইয়ের বেশ কিছু অংশ। ১৯৬৯ সালের রবীন্দ্র পুরস্কার এই অসামান্য কাজের স্বীকৃতি মাত্র। অন্য যে কেউ হলে এই ‘মৌলিক গবেষক’, ‘প্রাবন্ধিক’, ‘সিরিয়াস লেখক’ তকমার ঢালে পরম যত্নে নিজেকে চিরকাল আগলে রাখতেন। নারায়ণ সান্যাল কী করলেন? এর পরেই প্যারি ম্যাসনের তথাকথিত পাল্প গোয়েন্দাগল্প অবলম্বনে ‘কাঁটা সিরিজ’ লিখতে বসলেন। এখানেই উনি অনন্য।
৩
নারায়ণ সান্যালের বিরুদ্ধে ঘোরতর এক অভিযোগ একটু কান পাতলেই শোনা যায়। তাঁর কোনও উপন্যাসই নাকি সেই অর্থে ‘মৌলিক’ না। বিদেশি উপন্যাস থেকে অনুপ্রাণিত। কথাটা নেহাত ভুল, তা-ও বলা যায় না। ‘বিশ্বাসঘাতক’-এর বীজ রয়েছে রবার্ট ইউংয়ের ‘ব্রাইটার দ্যান অ্যা থাউজেন্ড সানস’ বইতে, ‘তিমি তিমিঙ্গিল’-এর মূল ভাবনা নেওয়া রিডার্স ডাইজেস্ট পত্রিকার এক প্রবন্ধ থেকে, ‘নক্ষত্রলোকের দেবাতাত্মা’ আর্থার সি ক্লার্কের ‘২০০১- এ স্পেস ওডিসি’ থেকে অনুপ্রাণিত, পুরো কাঁটা সিরিজ পেরি ম্যাসন, পোয়ারো, হোমস থেকে আহরিত।
কিন্তু তাতে কী? সমালোচকদের উত্তর নিজেই দিয়ে গেছেন নারায়ণ সান্যাল। নিজের অননুকরণীয় ভাষায়, ভঙ্গিতে “মাকড়সার জাল তার নিজস্ব কীর্তি। মৌমাছির মৌচাক তা নয়। যারা সাহিত্যে মৌলিকতাভিন্ন রস আস্বাদনে অক্ষম, তাঁরা মাকড়সার জাল চর্বন করতে থাকুন, আমার মধুকরবৃত্তিতে বাধা দেবেন না।” সত্যজিতের ‘ভক্ত’ গল্পের সেই মৌলিক মশাইয়ের কথা মনে পড়ে। লেখা ততটা মৌলিক না হলেও তিনি ছিলেন মৌ-লিক। মধু-চাটা বাবু। এ যেন স্বয়ং নারায়ণ সান্যালের বর্ণনা।

একের পর এক মধুর ভাণ্ডার তিনি খুলে দিয়েছেন বাঙালি পাঠকের সামনে। দান্তের দিভিনা কোম্মেদিয়া, লেওনার্দোর নোটবই, ডিজনিল্যান্ডের দরজা, চার্লস লিন্ডবার্গের অভিযান, রোঁদ্যার দ্য থিঙ্কার আর দ্য কিস-এর মতো ভাস্কর্য, ভ্যান গখের চিত্রকলাকে দুই মলাটের বাঁধনে হাতে তুলে দিয়েছেন তিনি। বাঙালি পাঠক সেই মধুভাণ্ড চেটেপুটে খেয়েছে। আবার চমকিত হয়েছে যখন এই লেখকই লিখছেন ‘আমি নেতাজীকে দেখেছি’, ‘আমি রাসবিহারীকে দেখেছি’ কিংবা ‘নেতাজীর রহস্য সন্ধানে’-র মতো গবেষণামূলক বই। পত্রপত্রিকার আনুকূল্য পাননি কোনওদিনই। সেই অর্থে ‘হাই ব্রো’ লেখক ছিলেন না। কিন্তু জীবদ্দশাতেই দেখে গেছেন, তাঁর পাঠকের ঢল নেমেছে বইমেলায়। কলেজস্ট্রিটে। পাড়ার বইয়ের দোকানে।
লেখকের আসল মূল্যায়ন হয় তাঁর মৃত্যুর পরে। আজও যখন তাঁর লেখা বইগুলি পুনর্মুদ্রিত হয়, বেস্টসেলার লিস্টে জায়গা পায়, তখন বনফুলের সেই চিঠির কথা মনে পড়ে “আপনি অনেক খেটেছেন, অনেক পড়েছেন। সস্তা হাততালি নাই বা পেলেন। বাংলা সাহিত্যের যে উপকার আপনি করলেন তার মূল্য তাতে একতিলও কমবে না।”
নারায়ণ সান্যাল নিজেই একবার বলেছিলেন “আমি ক্রমাগত বিষয় থেকে বিষয়ান্তরে গেছি মুখ্যত অন্তরের তাগিদে” আর সেই তাগিদেই তিমি থেকে দেবদাসী, চিত্রকলা থেকে বিজ্ঞান, বিভিন্ন বিষয়ে আগ্রহী পাঠককে তিনি নিজের পাঠক করে নিয়েছিলেন। সারা পৃথিবীর যে কোনও ভাষার যে কোনও সাহিত্যিককে পাওয়া মুশকিল যিনি এককভাবে নারায়ণ সান্যালের সঙ্গে তুলনীয়। তিনি একাই একটা ইন্ডাস্ট্রি।
৪
২০০৫ সালের ৭ ফেব্রুয়ারি, যেদিন আচমকা এই নশ্বর দেহ অপাঙক্তেয় বলে ত্যাগ করে চলে গেলেন, তার পরের দিন কোনও পত্রিকায় প্রথম পাতায় ঠাঁই হয়নি তাঁর। কেউ কেউ নেহাত করুণাবসে ভিতরের পাতায় এক কলাম খবর করেছিলেন। বেঁচে থাকতে এসবকে ফুৎকারে উড়িয়ে দিতেন তিনি। সেই ‘ডোন্ট কেয়ার’ ভাব তাঁর মধ্যে ছিল। ছিল তাঁর তৈরি অমর চরিত্রগুলোর মধ্যেও। হটি বিদ্যালঙ্কার, ক্লাউস ফুকস, বিয়াত্রিচে কিংবা ভ্যান মিগরঁ। এরা তো সব ঐতিহাসিক চরিত্র। কিন্তু কী পরম মমতায় নিজের জাদুকলমে এদের নতুন করে প্রাণ প্রতিষ্ঠা করেছিলেন নারায়ণ সান্যাল। একেবারে নিজের পুত্রকন্যার মতো। সাদাকালো অক্ষরের নিগড় ভেঙে যায়। ইতিহাসের পাতা থেকে উঠে বড্ড মনের কাছের, নিজের মানুষ হয়ে ওঠেন সবাই। এদের সঙ্গে একলা থাকা যায়, কথা বলা যায়, এদের দুঃখে দুঃখ পেয়ে হাপুস নয়নে কাঁদা যায়।

আর কী অপুর্ব তাঁর ভাষা! কখনও একেবারে শরদিন্দুসম মহাকাব্যিক, আবার তারপরেই নেমে আসে মাটির কাছাকাছি। আম্রপালীতে যিনি লেখেন “এমন কত কত পুরুষই তো সম্মোগরাত্রি শেষে যাত্রা করেছে প্রাসাদ ত্যাগ করে; কিন্তু এ প্রস্থান তো শুধু প্রস্থান নয়, এ যে আম্রপালীর জীবনে এক মহাভিনিষ্ক্রমণ!” তিনি আবার ‘নক্ষত্রলোকের দেবাতাত্মা’-তে বিজ্ঞান বোঝান এই ভাষায় “আইন্সটাইন তাঁর স্পেশাল থিয়োরিতে দুয়ে দুয়ে খাঁটি দুধই বানালেন না, ইউনিফায়েড ফিল্ড থিয়োরিতে সেই দুধ জ্বাল দিয়ে ক্ষীরও তৈরি করলেন। দল বেঁধে ফুচকা খেতে অভ্যস্থ তোমার আমার পাকস্থলী যদি সেই ক্ষীর হজম করতে না পারে তবে দোষ আমাদের পাকস্থলীর- ওই খাঁটি ক্ষীরের নয়”। বিজ্ঞান আলোচনায় আচমকা লিখে ফেলেন লিমেরিকও-
বাপরে কি চটপটে পালোয়ান ভোম্বল
বন-বন, সাঁই সাঁই ঘোরাতো সে ডাম্বল!
বিদ্যুৎগতি বেগে
ফিটজেরাল্ড চাপ লেগে
ডাম্বেল চেপ্টিয়ে হল শেষে কম্বল।
শুধু কবিতা! নিজের হাতে আঁকা ছবি, মডেল, ডায়াগ্রামে ভরা থাকত তাঁর বইয়ের পাতার পর পাতা। জটিল তত্ত্ব সব নিমেষেই জল হয়ে যেত। টেলিভিশনের জন্য লিখেছেন “উরু কাতু মদনা”-র মতো টেলিসিরিয়ালের গল্প। নিজে পরিচালনা করেছেন। অভিনয় করেছেন। তাঁর লেখা গল্প থেকে ছবি হয়েছে। সত্যকাম, যদি জানতেম, পাষণ্ড পণ্ডিত, নীলিমায় নীল, অশ্লীলতার দায়ে। সংস্কৃতির কোনও আনাচকানাচে হাত রাখতে বাকি রাখেন নি। তিনি যেন পুরানের ইউলিসিস, যিনি বলেন “আই উইল ড্রিঙ্ক লাইফ টু দ্য লিজ়।”
৫
বাংলা কথাসাহিত্যের ইতিহাসে নারায়ণ সান্যাল এক বিশেষ ব্যাতিক্রম। তাঁকে উপেক্ষা করা যায় না কোনওমতেই। প্রতিভা যদি বহুমুখী হয়, তবে তাঁকে নির্দিষ্ট ধাঁচে দাগানো যায় না। আর ঠিক সেই জন্যেই হয়তো আজও তাঁর সঠিক মূল্যায়ন হল না। তাঁর কাজ নিয়ে বহুলতর, ব্যাপকতর আলোচনার সুযোগ আছে। কিছুদিন আগে ‘দীপন’ পত্রিকা তাঁকে নিয়ে সুবৃহৎ এক সংকলন প্রকাশ করেছিল। তারও আগে ‘অহর্নিশ’ পত্রিকায় ছাপা হয়েছিল তাঁর লেখা ‘ব্যোমকেশের বিশুপাল বধ’-এর উপসংহার। সটীক। কিন্তু তাও গোস্পদে আকাশ দেখার সামিল।
আজ তাঁর জন্মদিন। বেঁচে থাকলে সাতানব্বই বছর বয়স হত তাঁর। সামনেই নারায়ণ সান্যালের শতবর্ষ। আমি নিশ্চিত, সত্যজিতের মতো ভার্সেটাইল মানুষের শতবর্ষে যা উন্মাদনা, নারায়ণ বাবু যতই ভুয়োদর্শী হন না কেন, তাঁর কপালে এর সিকিভাগও জুটবে না। তবে আবারও বলছি, তিনি বেঁচে থাকলে এসব কেয়ারও করতেন না।
*ছবি সৌজন্য: Facebook, Pinterest, Wikipedia
জন্ম ১৯৮১-তে কলকাতায়। স্নাতক, স্নাতকোত্তর এবং পিএইচডি-তে স্বর্ণপদক। নতুন প্রজাতির ব্যাকটেরিয়ার আবিষ্কারক। ধান্য গবেষণা কেন্দ্র, চুঁচুড়ায় বৈজ্ঞানিক পদে কর্মরত। জার্মানি থেকে প্রকাশিত হয়েছে তাঁর লেখা গবেষণাগ্রন্থ Discovering Friendly Bacteria: A Quest (২০১২)। তাঁর লেখা ‘কমিকস ইতিবৃত্ত’ (২০১৫), 'হোমসনামা' (২০১৮),'মগজাস্ত্র' (২০১৮), ' জেমস বন্ড জমজমাট'(২০১৯), ' তোপসের নোটবুক' (২০১৯), 'কুড়িয়ে বাড়িয়ে' (২০১৯) 'নোলা' (২০২০) এবং সূর্যতামসী (২০২০) সুধীজনের প্রশংসাধন্য। সম্পাদনা করেছেন ‘সিদ্ধার্থ ঘোষ প্রবন্ধ সংগ্রহ’ (২০১৭, ২০১৮)'ফুড কাহিনি '(২০১৯) ও 'কলকাতার রাত্রি রহস্য' (২০২০)।
এক জীবনে ওনার সকল সৃস্টি কে জানা প্রায় অসম্ভব, যদিও এ আমার ব্যাক্তিগত উপলব্ধি। এখনো অবধি ওনার লেখা যে কয়েকটি বই পড়া সম্ভব হয়েছে আমি তা নিয়েই বিভোর হয়ে আছি।