রাতে মশা দিনে মাছি, এই নিয়ে কলকাতায় আছি।
ঈশ্বর গুপ্তের ব্যঙ্গ কবিতার উক্ত প্রাচীন পংক্তিদ্বয় আজও সমানভাবে প্রাসঙ্গিক এই বঙ্গদেশে। সন্ধ্যা নামিলেই ঝাঁকে ঝাঁকে মশককুলের আগমন ও সমবেত আক্রমনে মানবজাতির প্রাণ ওষ্ঠাগত এবং চামড়া ফুলিয়া চুলকাইয়া দাগড়া দাগড়া রূপ ধারণ করে। হাতের চাপড়ে ক’খানিকেই বা আর ধরাশায়ী করা যায়! অধিকাংশই কর্ণ ও নাসিকার ছিদ্রদ্বয়ের আশপাশে বিনবিনাইয়া চূড়ান্ত বিরক্তির উদ্রেক করে। এমনকী ডেঙ্গি নামক গৃহশত্রু বিভীষণকে গৃহে ডাকিয়া লইয়া আসে। 

তবে উপরোঙ্কিত ব্যঙ্গচিত্রে মশককুলকে খানিক সন্ত্রস্ত দেখাইতেছে। এর কারণ আর কিছুই নহে, বাঙালির মিষ্টান্নপ্রীতি স্বচক্ষে দেখিয়া তাহারা মধুমেহ রোগের ভয়ে শঙ্কিত। বাঙালিবাবুটি যেভাবে বিশ্বচরাচরজ্ঞানলুপ্ত হইয়া রসগোল্লা দ্বারা উদরপূর্তিতে মনোনিবেশ করিয়াছেন, তাতে সামান্য মশকের আগমন তাঁহার চিত্তবৈকল্য ঘটাইবে না বলিয়াই ধারণা হয়। বরং মিষ্ট রক্ত পান করিয়া মধুমেহ ব্যারামাক্রান্ত হইবার আশঙ্কায় মশকের দল পলায়নে উদ্যত। 
আহা! এই তো নির্ভীক বাঙালি জাতি!
কী হইবে সামান্য মশারি বা মশকনিবারণী তরলে! 
মশক দূরীকরণে এই তো অসমসাহসী বঙ্গসন্তানের সুযোগ্য কর্ম!
জয় বঙ্গদেশ, জয় বঙ্গসন্তানের জয়। 
জয় রসগোল্লা-পান্তুয়া-চমচম-দধিরাবড়ির জয়

অভিষেক পেশায় সফটঅয়্যার ইঞ্জিনিয়ার। খুব ছোটবেলা থেকেই কার্টুন-প্রেম। সেই ভালোবাসার টানেই প্রিয় কার্টুনিস্টদের আঁকা খবরের কাগজ থেকে কেটে নকল করতেন। এইভাবেই নিজের ইচ্ছে, উৎসাহ আর অনুসন্ধিৎসা সঙ্গী করেই কার্টুন আঁকা শেখা। ২০১৫ সাল থেকে কলকাতার কার্টুনদলের একনিষ্ঠ সদস্য।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *