আগের পর্বের লিংক: [পর্ব ১] [পর্ব ২] [পর্ব ৩] [পর্ব ৪] [পর্ব ৫] [পর্ব ৬] [পর্ব ৭]

জুড়ান রায় বলে, ফেসবুক সব সন্ধান দেয়। ফেসবুকে মানুষ কখন ঘুমোয়, কখন জাগে, কখন প্রেম করে, সব জানিয়ে দেয়।  এই ধর, নতুন বৌ ঘুমুচ্ছে, সেই ছবিও স্বামী ফেসবুকে দিয়ে দেয়। ফেসবুকে সব খোলামেলা, গুপ্ত কিছু নেই। ফেসবুকে গুপ্ত কিছু ঘটাতে গেলেও তা প্রকাশ হয়ে যায়। নভেম্বরে ঘুরতে  গেল নীলমাধব, প্রচুর শপিং করেছিল দিল্লিতে। গুণেন সরকার বলল। সেই সময় যে ফ্যামিলি গিয়েছিল, তার কর্তা, মেয়ের  বাবা কিছুই করে না প্রায়। বর্ধমানে জমির দালালি, কোর্টে ঘোরাঘুরি করে, অর্ডার সাপ্লাইয়ের ব্যবসা ছিল, কিন্তু চলে না ঠিকমতো, উঠে গেছে। মেয়ে বিএ পাশ করেছে, তার ইচ্ছে সিনেমায় নামে। দেখতে মোটামুটি সুন্দর। তো নীলমাধব সিনেমা প্রোডিউস করবে বলেছে। ফালতু কথা, মাসে মাসে বেতন দেয়, মেয়ে কলকাতায় এসে নীলমাধবের বাগুইআটির ফ্ল্যাটে ওঠে। নীলমাধবের এমনি কয়েকটা কচি মেয়ে আছে।

কিন্তু ফেসবুকে এত কিছু জানা যায়? আমি জিজ্ঞেস করতে জুড়ান বলল, ওরাই জানিয়ে দেয়। দিল্লি, রাজস্থানের ছবিতে ভর্তি। গ্রুপ ছবিও আছে, সেখানে সকলে আছে। মেয়ের  নাম অঞ্জনা, সে-ই ছবি দিয়েছে সব। ছবি নীলমাধবও দিয়েছে। তাতে মেয়েটাও আছে। তাদের নাকি হঠাৎ দেখা হয়ে যায় সেখানে। লোকটার হাঁড়ি চড়ে না সবদিন, দিল্লি, রাজস্থান যাবে বেড়াতে। 

জুড়ান এক গোয়েন্দাই বলা যায়। নাহলে ‘নিরীহ মানুষ জগদীশ’ হয়ে সে নীলমাধবের এত খবর রাখতে পারে?  নীলমাধব কি ডিসেম্বরের শেষে ডুয়ার্স যায়নি? হ্যাঁ, গিয়েছিল। তার আগে বউ নিয়ে নবদ্বীপ, মায়াপুর ঘুরে এল দু’দিন। ডুয়ার্স গিয়েছিল নাকি কর্পোরেশনের বন্ধুদের সঙ্গে। মিথ্যে। চুঁচুড়ার হরিদ্রাডাঙার মৌ গিয়েছিল তার সঙ্গে। তার বাড়ির লোক সব জানে। অবস্থা ভাল নয়। মেয়ে তার বন্ধুদের সঙ্গে যাচ্ছে বলে নীলমাধবের সঙ্গে গিয়েছিল। মেয়েটা ডুয়ার্সের ছবি দিয়েছে ফেসবুকে, একা। বন্ধুদের সঙ্গে ছবি আছে বটে, কিন্তু সে ছবি পুরনো। পুরনো ছবির তারিখও জানা যায়। যাওয়ার আগের দিন শপিং করেছিল মেয়েটা নীলমাধবের সঙ্গে। জ্যাকেট, জিনস, টুপি, শু। সেই মলের ছবিও পোস্ট করেছিল। আর সেখানেই জুড়ানের মেয়ে কাজ করে। সে দেখেছে মাধববাবুকে। প্রায়ই দ্যাখে। মাধব জানেই না সব সিসি টিভিতে উঠে যাচ্ছে। 

নভেম্বরে ঘুরতে  গেল নীলমাধব, প্রচুর শপিং করেছিল দিল্লিতে। গুণেন সরকার বলল। সেই সময় যে ফ্যামিলি গিয়েছিল, তার কর্তা, মেয়ের বাবা কিছুই করে না প্রায়। বর্ধমানে জমির দালালি, কোর্টে ঘোরাঘুরি করে, অর্ডার সাপ্লাইয়ের ব্যবসা ছিল, কিন্তু চলে না ঠিকমতো, উঠে গেছে। 

আর দর্জিপাড়ার পিয়ালি মেয়েটা মাধবের সঙ্গে অনেক জায়গায় যায়। শান্তিনিকেতনে সকালে গিয়ে রাতে ফেরে। রবিবার মাধব তাকে নিয়ে ঘুরতে যায় গাড়িতে। নিজেই ড্রাইভ করে। কী আনন্দে আছে সে। দুপুরটা টাকি-হাসনাবাদের রিসর্টে কাটিয়ে সন্ধের পর বাড়ি ফেরে। কিন্তু একদিন ফেঁসে যাবে। এইসব মেয়েরা সহজ নয়। তারা প্রথমে বয়স্কদের ধরে নিশ্চিন্তে। এজেড মানুষ, ক্ষতি করতে পারবে না। আর তাদের ভিতরে স্নেহ মায়া বেশি, তাদের হাতে টাকা থাকে, গিফট পাওয়া যায় পছন্দমতো। আর বয়স্করাও তাদের পছন্দ করে। কচি মেয়ে তো, খাদ্য খাদক সম্পর্ক। কিন্তু বুড়ো মাধব তাদের এনজয় করবে, তারা সব দিতে বাধ্য হবে টাকার জন্য। 

কখনও তাদের তো মনে হতেই পারে, মাধব ডারলিং, তোমার কেন এত টাকা? তোমার টাকা আছে বলে রিসর্টের ঘরে আমাকে বেড শেয়ার করতে বলছ, অত টাকা কেন থাকবে একা তোমার? একদিন যদি তোমার সব সম্পত্তি নিয়ে আসো, ঘুমের ভিতরে গলা টিপে দিয়ে সব সমেত পালিয়ে যাব আমি। তোমার ডেবিট কার্ডের পিন জানতে পারলেই হল। সব টাকা তুলে নেব তোমাকে ঘুম পাড়িয়ে। ইচ্ছে মতো পারচেজ় করে নেব আই ফোন, জুতো, জিন্স, টপ, ব্রা, প্যান্টি, ডিও, হিরে, পান্না, মুক্তো, সোনা… আর জানি না।

এই সব কথা ‘নিরীহ মানুষ জগদীশ’ জেনেছে বেহালার তনিকা রায়ের কাছ থেকে। তনিকাই বলেছিল মাধবকে অপেক্ষা করতে, কিন্তু আসেনি। কথাটা তাকে তনিকাই বলেছে। তনিকাকে প্রোপোজ় করেছিল মাধব। সারাদিন তাকে দিতে হবে, দরকারে বেড শেয়ারও করতে হবে, মাধব তাকে ভরিয়ে দেবে।
– তনিকা হ্যাঁ বলেছিল। ফোন নাম্বার দিয়েছিল। মাধব দেড়ঘণ্টা অপেক্ষা করে ফিরে এসেছিল। তনিকার বয়স কত কম। মাধব একেবারে উন্মাদের মতো ফিরে এসেছিল। ফেসবুকে তখন তনিকা ওকে ব্লক করে দিয়েছে। সেদিন মাধব কতবার ফোন করেছে। ফোনে শুধু একটি কথা, দিজ নাম্বার ইজ় বিজ়ি, প্লিজ ডায়াল আফটার সাম টাইম…! হা হা হা, মোবাইল ফোন অমনি করে দেওয়া যায়।    
– মেয়েগুলোকে পটায় কী করে মাধব? গুণেন বলল।       
– মাধব পটায়, তার চোখ আছে। ঠিক মেয়েদের টোপ দেয়। মেয়েরাও প্রথমে ফোনে রিচার্জ করে নেয় মাধবের টাকায়। দাদা, সুন্দর মানুষ, বিউটিফুল ম্যান, আমার ফোনে… বলতেই হয় না, মাধব রিচার্জ দিয়ে সম্পর্ক শুরু করে। হা হা হা, আমি যখন এলিজা খাতুন (লীনা) হয়েছিলাম, তিনবার রিচার্জ করিয়ে নিয়েছি। তারপর ‘নিরীহ মানুষ জগদীশ’ হয়ে গেলাম।

 

আরও পড়ুন: বাংলালাইভ ফিচার: মশলায় মিলায় স্বাস্থ্য

 

বিস্মিত হচ্ছি জুড়ানের কথা শুনে। জুড়ান এক প্রতিভা। না হলে এমন গোয়েন্দাগিরি করতে পারে? মেয়েরা তখন এলিজা মানে জুড়ানকে সব বলত। মাধবদা অর্থাৎ ‘সুন্দর মানুষ মাধব’, নীলমাধব পালের ফেসবুকের নাম ওইটা। মাধবদা নিজে থেকেই রিচার্জ করে দেয়, নিজে থেকেই ক্লোভিয়া কিংবা ব্লু হেভেনে অর্ডার করে নানা রকম ড্রেস কিনে দেয়। বিনিময়ে না চাইতে এলোমেলো ছবি দিলেই হল। এলিজা বলত, তাকে তো দেয় না রিচার্জ করে। সেই মহুয়া কিংবা মৌলি বলত, এলিজার ব্যাড লাক। মাধবদা ভালোবাসে ইনার দিতে। নিতে কী আছে? অনলাইন অর্ডার করে, পেমেন্ট করে বাড়ির ঠিকানা দিয়ে দেয়, বাড়িতে চলে আসে।
– থাক জুড়ান। ভাল লাগছে না। এর সবই কি সত্যি? গুণেন বলল।
– সত্যি না হলে আমি কি বানাচ্ছি? সব স্ক্রিনশট আমার কাছে আছে।   
– বুঝলাম না। গুণেন বলল।  
– মানে কথার ছবি। মাধব কি আমাকে টোপ দেয়নি? ইঙ্গিত দেয়নি বিউটিফুল এলিজাকে? বলেনি আমি সেক্সি?… হা হা হা… আমি নই তামিল অভিনেত্রী। আমাকে প্রস্তাব দিচ্ছে বিদেশি ইনার কিনে দেবে, সঙ্গ দিতে হবে, আমি তখন ভয় পেয়ে নিরীহ মানুষ জগদীশ হয়ে গেলাম…। জুড়ান বলল। 

এসে লাভই হল। কত কিছুই না জানতে পারলাম। আমি যে পৃথিবীতে বাস করি, সেই পৃথিবীতেই এত কিছু ঘটে যাচ্ছে, অথচ আমি জানি না। আমি এসব থেকে একেবারেই বিযুক্ত। ইন্টারনেট ব্যবহার জানলে এই ভুবনের ভিতর প্রবেশ করা যায়। জুড়ান বলল:
– তুমি কি জানো অনুতোষ, বাংলাদেশের পুলিশ এসে পার্ক স্ট্রিট থেকে এক মাস্টারমশায়কে তুলে নিয়ে গেছে, খবর পেয়েছ? অবাক হয়ে মাথা নাড়লাম। বললাম:
– না খবরের কাগজে তো দেখিনি।
– খবরের কাগজে থাকবে কেন, সিক্রেট নিউজ, ইন্টারনেটে এসে গেছে। জুড়ান পা নাচিয়ে বলল।  
– খবরের কাগজে আসবে না, ইন্টারনেটে এসে যাবে? গুণেন জিজ্ঞেস করল। 
– ইয়েস। ইন্টারনেটে তুমিও যে কোনো খবর প্রকাশ করতে পারো। আমি বাংলাদেশের নিউজ চ্যানেল থেকে জেনেছি। কেন তুলে নিয়ে গেছে জানো?
আমি মাথা নাড়লাম। গুণেনও জানে না বোঝা গেল তার কথায়।

জুড়ান এক প্রতিভা। না হলে এমন গোয়েন্দাগিরি করতে পারে? মেয়েরা তখন এলিজা মানে জুড়ানকে সব বলত। মাধবদা অর্থাৎ ‘সুন্দর মানুষ মাধব’, নীলমাধব পালের ফেসবুকের নাম ওইটা। মাধবদা নিজে থেকেই রিচার্জ করে দেয়, নিজে থেকেই ক্লোভিয়া কিংবা ব্লু হেভেনে অর্ডার করে ড্রেস কিনে দেয়। বিনিময়ে এলোমেলো ছবি দিলেই হল। 

মুজিব হত্যাকারী এক মিলিটারি অফিসার পার্ক স্ট্রিটে নাম ভাঁড়িয়ে থাকত। লোকে বলত, টিউশন মাস্টার। খুব ভাল ইংরেজি জানত, খুব সদাশয় লোক নাকি। উলুবেড়িয়ায় বিয়ে করেছিল। বলেছিল হাওড়া জেলার লোক। আসলে সে শেখ মুজিবকে হত্যা করে নানা দেশে আশ্রয় ভিক্ষে করে না পেয়ে ভারতে ঢুকে পড়ে। কলকাতায়, বুঝতেই পারেনি কেউ আসলে সে বঙ্গবন্ধুর হত্যাকারী। তার সব ভারতীয় ডকুমেন্ট ছিল, ব্যবস্থা করেছিল যেভাবে হোক। বাংলা ভাষার মানুষ, কলকাতায় মিশে গিয়েও শেষ রক্ষা হল না। তেমন অনেক হয়েছে। কত নাৎসি ভিন্ন নামে ভিন্ন দেশে গিয়ে লুকিয়েছিল, এই নিয়ে সিনেমা আছে। শোনা যায় হিটলার নাকি সুইসাইড করেনি, আর্জেন্টিনা না কোথায় অন্য নামে ফ্যামিলি নিয়ে বাস করছিল মৃত্যু অবধি। শোনা যায় তার মেয়েটিও নাম বদল করে বেঁচে আছে আর্জেনটিনা কিংবা আমেরিকায়। এসব কথা একটা ম্যাগাজিনে পড়েছিলাম আমি কিছুদিন আগে। আমি বললাম। জুড়ান বলল:
– সে সব দূর দেশের গল্প। কিন্তু আমাদের কলকাতা, বাংলাদেশেও যে তা হয়, জানতাম না। মুজিব-হত্যার সেই রাত্রির কথা সব ইউটিউবে আছে। তোমরা তা দ্যাখোনি, জান না কী হয়েছিল। এখন বাংলাদেশ তোলপাড় ওই হত্যাকারীকে নিয়ে। আমি তো বাংলাদেশ টিভি থেকেই খবর পেয়েছি অনুতোষ।

ওই যে শেখ মুজিবের হত্যাকারী ভালই গা ঢাকা দিয়ে ছিল। নতুন সংসার পেতেছিল। গরিব ঘর থেকে অল্প বয়সী মেয়ে বিয়ে করে এনেছিল। খুব ধর্মপ্রাণ। পাঁচ ওয়ক্ত নমাজ পড়ত। কুরান হাদিশের ব্যাখ্যা করত। পার্ক স্ট্রিটে সে একজন ধার্মিক ভাল মানুষ নামে পরিচিত ছিল। ইংরেজি জানত ভাল। ইংরেজির মাস্টার নামেও খ্যাতি ছিল তার। কিন্তু মাঝে মধ্যে ঢাকায় তার ফ্যামিলির কাছে ফোন করাই কাল হয়েছিল। হোয়াটস্যাপ কল করত, এমনি ইন্টারন্যাশনাল কলও করত, বাংলাদেশে হোয়াটস্যাপ ভাল হয় না।

জুড়ান বলছে:
– ভেবে দ্যাখো অনুতোষ, বউ, ছেলে, মেয়ে সব পড়ে আছে ঢাকায়। সেই মুজিব হত্যার পর হত্যাকারী  ওদেশে বড় পদ পেয়েছিল। রাষ্ট্রদূত কিংবা সেই অফিসের বড়কর্তা হয়েছিল। বিদেশে কিছুদিন থেকে দেশে ফিরেও বড় পদ পেয়েছিল। অনেক বছর ভাল ছিল। তারপর শেখ হাসিনা ক্ষমতায় আসতেই তাকে পালাতে হল। ২০-২২ বছর পালিয়ে ছিল। কিন্তু বাংলাদেশ পুলিশ খুঁজে বেড়াচ্ছিল তাকে। পুলিশ যদি খোঁজে, কোথায় পালাবে তুমি? পুলিশ সব পারে। 

এভাবে কি বাঁচা যায়? গুণেন বলল। 
– খুনিকে এভাবেই বাঁচতে হয়। তার কি মনে পড়ে না সেই রাতের কথা? শেখ মুজিবের ছোট ছেলে রাসেল, দশ বছর বয়স, তাকেও ছাড়েনি। ঝাঁঝরা করে দিয়েছিল গুলিতে। জুড়ান বলল।

আমি এতটা জানি না যে তা নয়। কিন্তু জুড়ান যতটা জানে, ততটা যেন জানি না। জুড়ান যেভাবে বলছে, সেভাবে আমি বলতে পারব না।  জুড়ানচন্দ্র রায় যেন নতুন রূপ দেখাচ্ছে আমার সামনে। এইচ এস পাশ করতে পারেনি। গ্রুপ ডি কর্মচারি হয়ে সে এতসব জানে? তার মানে জুড়ান রায়, নীলাম্বর পালোধীর যে খবর এনেছিল, তা একেবারে মিথ্যে নয়। সত্য হলেও হতে পারে। জুড়ান কি নীলমাধবের সব পরিচয়  লিখে দেবে ফেসবুকে? জুড়ান একদিন কিছু করবেই।

Amar Mitra

অমর মিত্রের জন্ম ১৯৫১ সালে বসিরহাটে। তবে বহুদিনযাবৎ কলকাতাবাসী। ১৯৭৪ সালে 'মেলার দিকে ঘর' গল্প দিয়ে সাহিত্যিক হিসেবে আত্মপ্রকাশ। প্রথম উপন্যাস 'নদীর মানুষ' ১৯৭৮ সালে প্রকাশিত হয় অমৃত পত্রিকায়। প্রথম গল্পের বই 'মাঠ ভাঙে কালপুরুষ'-ও ১৯৭৮ সালেই। রাজ্য সরকারি চাকরি করেও আজীবন সাহিত্যসাধনায় ব্রতী। ২০০৬ সালে 'ধ্রুবপুত্র' উপন্যাসের জন্য পেয়েছেন সাহিত্য অকাদেমি পুরস্কার। ২০০১ সালে বঙ্কিম পুরস্কার পেয়েছেন 'অশ্বচরিত' উপন্যাসের জন্য। এছাড়াও ২০০৪ সালে শরৎ পুরস্কার ও ২০১০ সালে গজেন্দ্রকুমার মিত্র সম্মান পেয়েছেন তিনি।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *