আগের পর্বের লিংক: [পর্ব ১] [পর্ব ২] [পর্ব ৩] [পর্ব ৪] [পর্ব ৫] [পর্ব ৬]

কথাটা বলেছে  জুড়ান রায়। জুড়ান তাহলে ফেসবুকে আছে? হ্যাঁ আছে। জুড়ান গুণেনকে বলেছে,  ফেসবুকে সে নীলমাধবের বন্ধু ছিল বেশ কিছুদিন। বাইরে খারাখারি কিন্তু ফেসবুকে বন্ধু। না। নীলমাধব ধরতেই পারেনি জুড়ানের সঙ্গে সে কথা বলছে। নীলমাধব ফেসবুক করে মেয়ে ধরার জন্য। কী করে? জুড়ান বলে, সে ফেসবুকে এলিজা ইসলাম (লীনা) নামে ছিল।

– তা আবার হয় নাকি? গুণেন জিজ্ঞেস করেছিল।
– সব হয়। নীলমাধব বোকা তাই বুঝতে পারে না, কে মেয়ে, কে নয়। জুড়ান বলেছে। সে নীলমাধবের উপর নজর রাখতেই ফেসবুকে ঢুকেছে, ফ্রেন্ড হয়েছে, তার নাম ওই, তার ছবি হল এক তামিল নায়িকার মুখ।  

গুণেন সরকার কত কিছু জানে! আসলে গুণেন নয়, জানে জুড়ান রায়। আমার মনে হল একদিন সরাসরি জুড়ান রায়ের সঙ্গে কথা বলি। আমার যে ফোন, এতে কি ফেসবুক  করা যেতে পারে? রবিবার সকালে জুড়ানের সঙ্গে নিভৃত আলাপের সুযোগ হতে পারে। রোববার আমাদের সকালের ভ্রমণ বন্ধ রাখি। একদিন অফ দেয় নীলমাধব। আর নীলমাধব না এলে কে আসবে? কিন্তু সেই অফ ডে-তেই নাকি জুড়ান রায় পার্কে আসে। তার ছুটি থাকে কিনা! গুণেনও আসে। ওদের কথা হয় নাকি এখানেই।

আমি বললাম:
– জুড়ানের সঙ্গে বাজারে আমার কথা হয় না। আমি তাহলে সামনের রোববারে আসব।
নীলমাধব জানলে রেগে যাবে। নীলমাধব জুড়ানকে পছন্দ করে না। গুণেন বলল। গুণেনের কথায় আমি বললাম:
– রেগে যাওয়ার কী আছে? আমি রোববারে বেরব কি বেরব না, সে আমার সিদ্ধান্ত। নীলমাধব ইচ্ছে করলেই বেরতে পারে।

না। জুড়ান যে রোববার সকালে পার্কে আসে, তা নীলমাধব জানে। তাই আসে না। এলে জুড়ানের সংস্পর্শ এড়িয়ে চলতে চায়। জুড়ান খুব তেজি লোক। মাধব তাকে কিছুই করতে পারবে না, পারেওনি তো। ওপেনলি নীলমাধব আর পালোধীদের নিয়ে কথাবার্তা যা বলে, নীলমাধবরা ওর মুখ বন্ধ করতে পেরেছে?  

 

আরও পড়ুন: সেবন্তী ঘোষের গল্প: কুমার বিশাখ

 

আমি এক রোববারে বেরিয়েছি। বাহ! চমৎকার লাগছে। দলবেঁধে বেরনো একরকম আর একা বেরনো অন্যরকম। একা হওয়ারও একরকম সুখ আছে। কারও কথা শুনতে হবে না। কারও কথায় হুঁ হাঁ করতে হবে না। সমর্থন করতে হবে না। বিরক্ত হতে হবে না। তর্ক করতে হবে না। আজ আমাদের দল নেই। একা মানে স্বাধীন, দলের পিছনে পিছনে হাঁটতে হবে না। সকালকে সকাল বলে মনে হচ্ছে। অন্যদিন সকালের এই স্নিগ্ধতা বুঝতে পারি না। আমার মনে হল সকালে একা বেরিয়ে পড়া অনেক সুখের। ভোর হয় একা মানুষের জন্যই যেন। কয়েকজন জিজ্ঞেস করল, আজকে হঠাৎ, রোববারে তো আপনারা আসেন না?

সকলেই সব লক্ষ করে, খোঁজ রাখে। মানুষের কৌতূহল অপরিসীম। কৌতূহল মিটলে যেন নিশ্চিন্ত হয়।  আমার মুখ দিয়ে বেরিয়ে এল, আগামীকাল হবে না, তাই। এর মানে রোববার বেরনোর একটি যুক্তি তৈরি করে রাখা। কেন রাখা? না পাল মশায় সন্দেহের চোখে তাকাবেন খবর পেলে। আর পাল মশায়কে সন্তুষ্ট করতে কতজন কিছু না কিছু খবর দিতে চান। খবর না হলেও এইটি খবর, ‘আপনার বন্ধু রোববারে একা বেরিয়েছিল, কিংবা জুড়ান রায়ের সঙ্গে হাঁটছিল। এতে  সন্তুষ্ট হবেন মাধববাবু। পয়সাওয়ালা লোকের ক্ষমতা থাকে। তাঁর গা ঘেষতে কে না চায়? আমি শুধু শুধু বিরূপ হব কেন তাঁর?

জুড়ান রায় আর গুণেন সরকার বসেছিল বেঞ্চে। আমাকে দেখে হাত তুলল গুণেন। আমি গিয়ে বসলাম। তাদের হাতে জিলিপির ঠোঙা। জলের বোতল। আমি বুঝলাম মর্নিংওয়ক উদ্দেশ্য নয়, উদ্দেশ্য হল আড্ডা। জুড়ান আমাদের বয়সী, কিন্তু এখনও চাকরি করে। অবসর নেওয়ার পর আবার ঢুকেছে ডেইলি ওয়েজ বেসিসে। সরকারি দফতরে এখন অবসর নেওয়া লোকের ভিড়। তাদের পুনর্নিয়োগ দিয়ে নতুন নিয়োগ বন্ধ। আমি অবশ্য সরকারি চাকরি করলেও অবসরের পর আর ও পথ মাড়াইনি। চাকরি শেষ হলে মনে হয়েছিল বাঁচলাম। কত ঝক্কি, কত উদ্বেগ, মন্ত্রী, জেলাশাসকের মিটিং, জবাবদিহি…। তার চেয়ে পেনশন নিয়ে ঘরে থাকা ভাল। তা ব্যতীত সুদ আছে। এক লেখক লিখেছিলেন, সুদখোর বেকার। সে গল্প ছিল ভয়ানক। কিন্তু আমি তো সুদখোর বেকারই বটে। 

সকলেই সব লক্ষ করে, খোঁজ রাখে। মানুষের কৌতূহল অপরিসীম। কৌতূহল মিটলে যেন নিশ্চিন্ত হয়।  আমার মুখ দিয়ে বেরিয়ে এল, আগামীকাল হবে না, তাই। এর মানে রোববার বেরনোর একটি যুক্তি তৈরি করে রাখা। কেন রাখা? না পাল মশায় সন্দেহের চোখে তাকাবেন খবর পেলে। আর পাল মশায়কে সন্তুষ্ট করতে কতজন কিছু না কিছু খবর দিতে চান। 

জুড়ান বেঁটে মানুষ। একটু চোয়াড়ে চেহারা। গালে পাতলা না-শেভ করা দাড়ি। চশমার নীচে চোখের কোলে কালি। মাথার চুল সাদায় কালোয়। চেক শার্ট আর কালো টেরিকটন প্যান্ট। প্যান্টের কালো রং ফ্যাকাশে হয়ে গেছে বহুদিন। জুড়ানের পায়ে কমদামি চটি। শার্টটি ক’দিন ধরে পরছে মনে হয়, গা দিয়ে বোঁটকা ঘামের গন্ধ বেরিয়ে বাতাসে ভেসেছিল। বেঞ্চিটিকে ঘিরে ছিল। জুড়ান বলল:
– তুমি কম বয়সে কি আমার সঙ্গে মেশোনি অনুতোষ?
– এ কথা বলছ কেন জুড়ান? বিব্রত বোধ করি।  বড় ঠ্যাঁটা লোক জুড়ান। যা মনে আসে বলে দেয়।
– তোমরা সাতক্ষীরে, খুলনার লোক। আমরা যশোরের লোক। খুলনা যশোরে খুব ভাব ছিল। এক সময় যশোর ছিল, খুলনা ছিল না। তুমি কেন ফরিদপুরের চ্যালা হলে? জুড়ান বলে।
– যশোর খুলনা বাদ দাও তো। সে অন্য দেশ। আমরা ইন্ডিয়ার লোক। আমি খুলনা, সাতক্ষীরে দেখিনি।
তুমি কি ওই হারামি, পালের গোদাকে ভয় পাও? জুড়ান জিজ্ঞেস করল। তার কথার ধারাই এমন। আমি একটু ক্ষুব্ধ হলাম, তা লুকিয়েও রাখলাম না। জিজ্ঞেস করলাম:
– ওভাবে কথা বলছ কেন?
আমার সঙ্গে কথাই বল না, তাই দেখি। জুড়ান খুব স্পষ্ট করে বলল। এড়িয়ে যাও, আমি পিয়নের চাকরি করতাম, তাই?
কী যে বল জুড়ান, তোমার সঙ্গে দেখা হয় কোথায়?

কথাটা বললাম বটে, কিন্তু দেখা কি হয় না? হয়, বাজারে। আমি দ্রুত জুড়ান রায়কে পার হয়ে যাই, ওর মুখোমুখি হতে চাই না। কথা আরম্ভ হলে ফুরোয় না,  দেরি করিয়ে দেয়। তার উপর এত জোরে জোরে কথা বলে, যে আলাপের বিষয় অন্যরাও বুঝে উঠতে পারে। জুড়ান কী বলে, কী বলে না তার কোনো হিসেব নেই। একদিন আমি শুনেছিলাম গণেশ চৌধুরীর সঙ্গে তক্কে মেতেছে প্ল্যাস্টিক কত খারাপ এই নিয়ে। গণেশ থলে ছাড়া বাজার করে। সব বিক্রেতার কাছ থেকে ক্যারিব্যাগ নেয়। দু’হাতে সেগুলো ঝুলিয়ে থপথপ করে হেঁটে বেড়ায় বাজারের ভিতরে। এই নিয়ে  বিরাট ঝগড়া লেগে গেল। কিন্তু গণেশের বিপক্ষে বা জুড়ানের পক্ষে কেউ কিছু বলল না। আমিও বলিনি, খামোকা বিতর্কে গিয়ে লাভ কী? গণেশ লোকটা মাতব্বর প্রকৃতির, আর বদও। তার বিপক্ষে কোনও কথাই সে মেনে নেবে না। তক্কোবাজ।

জুড়ান আবার বলল:
– আমার বাবা চা দিয়ে বেড়াত লুঙ্গির উপরে শার্ট পরে, মনে আছে তোমার অনুতোষ?
কেন থাকবে না? আমি বললাম। 
– আমার বোন রাখিকে প্রেমপত্র দিয়েছিল হারামি মাধব পালোধী। সে থু করায়, তাকে চা-উলি বলে ডাকত। তুমি এসব জানো?
কী যে বলো তুমি!
আমি ঠিক বুঝতে পারছিলাম না, কী বলব। এসবে আমার যোগ নেই, আর আমি জানিও না নীলমাধবের এসব কীর্তির কথা। রাখি বিয়ের পর পাড়া ছেড়ে চলে গেছে তা প্রায় চল্লিশ বছর। রাখিই জানবে তার কথা।
জুড়ান বলল:
– আমার তেমন প্রেস্টিজ নেই পাড়ায়। কিন্তু আমি একদিন বোম ব্লাস্ট করব। বুঝলে? জিলিপি খাও, আমার কাছে অনেক খবর আছে।

 

আরও পড়ুন: মৈনাক পালের ছোটগল্প: উত্তরাধিকার

           

নীলমাধব পাল ফেসবুকে কেমন আছে তা আমাকে বলল জুড়ান। কত কচি কচি মেয়ে তার বন্ধু। দিল্লি, মুম্বই, ঢাকা, বরিশাল আবার বাগবাজারেরও। জুড়ান সব জানে। সেও ওই সব মেয়েদের একজন হয়ে নীলমাধব পালের বন্ধু হয়েছিল। পরে সেই মুখোশ-মেয়ের নাম বদল করে দিয়েছে, ‘নিরীহ মানুষ জগদীশ’ হয়ে। ফেসবুকে এমনি সব নাম হয়। ক্ষ্য়াপা হাবুল। ‘তুমি শুদু আমার’। নিজের আসল নাম দেয়নি  জুড়ান। তাহলে অফিসেও অসুবিধে হতে পারে। বস একদম ফেসবুক পছন্দ করে না। মাধবকে নজরে  রাখতেই তার ফেসবুকে আসা। নীলমাধব বেশ কয়েকটা মেয়েকে পাকড়েছে ফেসবুক থেকে।

আমি অনুতোষ মজুমদার। আমি রোববারের সকালে নীলমাধব পালের কেচ্ছা শুনতে বাড়ি থেকে বেরিয়েছি। কেচ্ছা শুনতে কে না ভালবাসে? নিজের কেচ্ছা লুকিয়ে অন্যের কেচ্ছা নিয়ে আলাপ করার লোকই বেশি। সুমিতাভকে আমন্ত্রণ জানিয়েছিল গুণেন। সুমিতাভ আসেননি। জুড়ান বলল, নীলমাধব শুধু সেক্স চ্যাট করতে চায়। তার সঙ্গেও করতে এসেছিল, কিন্তু সে পারেনি তেমন। আসলে পুরুষ হয়ে মেয়েদের কথা লিখতে তার সংকোচ হয়। মাধবের ভিতরে শুধু পাপ, সে ভালভাবে সাড়া দিতে পারেনি বলে মাধব তাকে পরিত্যাগ করেছে। সেও আবার পুরুষ হয়ে গেছে সেই অ্যাকাউন্টের নাম বদল করে। 

আমি বুঝি না এসব কী করে হয়? জুড়ান রায় বলল, সে আমৃত্যু নীলমাধব পালোধী আর তার বাপ নীলাম্বর পালোধীর স্বরূপ প্রকাশ করার চেষ্টা চালিয়ে যাবে। তবে বড় পালোধী মরে গিয়ে বেঁচে গেছে, না হলে তার সব্বোনাশ করে দিতাম আমি, নরক করে দিতাম তার জীবন। জুড়ানের কথা আমার প্রলাপ মনে হয়। জুড়ানের ভিতর খুব ঈর্ষা। ৫০ বছরেও তো কিছু করতে পারেনি। আর কবে করবে? জুড়ানের খুব রাগ পালোধী ফ্যামিলির প্রতি। হ্যাঁ রে, আমরা চাষাই ছিলাম। ঠাকুরদা লাঙল দিত জমিতে। বাবাও দিয়েছে দেখেছি। চোরাকারবারি তো ছিলাম না। তোরা ছিলি মিথ্যে জমিদার! ভিতরের রাগ থেকেই যেন এসব বলে  জুড়ান  রায়। 

এইচ এস পাশ করেনি, তখন মাধ্যমিক ছিল না। ফলে চাকরিতে তার প্রমোশন হয়নি। জুড়ান বলে, নীলমাধব কি এইচ এস পাশ করেছিল? ওর হয়ে পরীক্ষা দিয়েছিল নীলরতন। নীলরতন তো আগের বছর পাশ করেছিল ফার্স্ট ডিভিশনে। যমজ। তাই ধরা পড়েনি। না হলে নীলমাধব ফার্স্ট ডিভিশনে পাশ করেও গ্র্যাজুয়েট হতে পারল না কেন? আমি কি সব জানি না?

কথাটা মন্দ বলেনি। তখন এসব হত। তখন কেন, এখনও হয়। একজনের পরিবর্তে আর একজন চাকরি করে, ফলস নামের পক্ষে মাইনে তোলা হয়। সত্যিই তো নীলমাধব ফার্স্ট ডিভিশন পায় কী করে? পেয়েছে। সুতরাং অবিশ্বাস করার কিছু নেই। বিএ পরীক্ষা ওভাবে পার করতে পারেনি মনে হয়। নীলরতন পারেনি। সে সায়েন্সের ছাত্র। আর নীলমাধব আর্টস, বিএ। বিএসসির ছাত্র তো বিএ-র হয়ে পরীক্ষায় বসতে পারে না। জুড়ান এইচ এস পাশ না করলেও, সে ইন্টারনেট জানে খুব ভাল, যা সকলে জানে না, যেমন আমি। জুড়ান মোবাইল ফোনে বাংলাদেশ টিভি দেখে। আমার সে অভ্যাস নেই। অ্যান্ড্রয়েড ফোনে দেখা যায় ইন্টারনেটের ডেটা থাকলে। আমার আছে। আমি তাহলে দেখব চেষ্টা করে। জুড়ান পারলে আমি পারব না কেন? 

 

আরও পড়ুন: প্রপা দে-র গল্প: টেলিপ্যাথি

 

জুড়ান বিশ্বব্রহ্মাণ্ডের খবর জানে। আমি কিছুই জানি না। জুড়ান এগিয়ে আছে অনেক। জুড়ানের কাছে খবর পেলাম নীলমাধব দিল্লি, আগ্রা, বৃন্দাবন, ফতেপুর সিক্রি হয়ে জয়পুর, রাজস্থানের মরুভূমি, সোনার কেল্লার জয়সলমের গিয়েছিল বর্ধমানের একটি ফ্যামিলিকে নিয়ে। সেই ফ্যামিলির মেয়ের বয়স কুড়ি-একুশ। নীলমাধবের ক্ষমতা ছিল, মেয়ে আর তার বাপ-মাকে সঙ্গে করে নিয়ে যাওয়ার। সকলের যাওয়া মানে নির্দোষ যাওয়া। বাপ-মাকে বৃন্দাবন পাঠিয়ে মেয়েকে নিয়ে নীলমাধব হোটেলেই। এমনি করে নীলমাধব সেই মেয়েকে নিয়ে ফুর্তি মেরেছে ক’দিন ধরে। কী করে জানল জুড়ান রায়? নীলমাধব যে এসব জায়গায় গেল, সেও কি পিছু পিছু গিয়েছিল? না। জুড়ান রায় বলে, ফেসবুক সব সন্ধান দেয়। মাধব পাল কতবার দিল্লি আগ্রা গেছে, আবার একা গিয়ে কী করবে? মাধব কি কবি? প্রেমের কবিতা লিখতে গিয়েছিল তাজমহলের সামনে বসে?

Amar Mitra

অমর মিত্রের জন্ম ১৯৫১ সালে বসিরহাটে। তবে বহুদিনযাবৎ কলকাতাবাসী। ১৯৭৪ সালে 'মেলার দিকে ঘর' গল্প দিয়ে সাহিত্যিক হিসেবে আত্মপ্রকাশ। প্রথম উপন্যাস 'নদীর মানুষ' ১৯৭৮ সালে প্রকাশিত হয় অমৃত পত্রিকায়। প্রথম গল্পের বই 'মাঠ ভাঙে কালপুরুষ'-ও ১৯৭৮ সালেই। রাজ্য সরকারি চাকরি করেও আজীবন সাহিত্যসাধনায় ব্রতী। ২০০৬ সালে 'ধ্রুবপুত্র' উপন্যাসের জন্য পেয়েছেন সাহিত্য অকাদেমি পুরস্কার। ২০০১ সালে বঙ্কিম পুরস্কার পেয়েছেন 'অশ্বচরিত' উপন্যাসের জন্য। এছাড়াও ২০০৪ সালে শরৎ পুরস্কার ও ২০১০ সালে গজেন্দ্রকুমার মিত্র সম্মান পেয়েছেন তিনি।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *