সেদিন রাতে ছাতের ‘পরে
পানসে স্বাদের জোছনা ঝরে
খানিকটা তার থালায় ভরে
এক চুমুকে যেমনি খেলাম–

ওমনি শুরু বেদম হাসি,
হাসির ঠ্যালায় উঠল কাশি,
সত্যি কথা বলছি মাসি
ক্যান যে ওটা চাখতে গেলাম!

দম ফাটান হাসির গুঁতোয়
ছিঁড়ল ফিতে নতুন জুতোয়,
পড়ল যে টান ঘুড়ির সুতোয়
হাসতে গিয়ে  পাগল হলাম।

উঠছে শুধু হাসির আওয়াজ,
পড়ছে যেন বেমক্কা বাজ,
ঘুরছে মাথা ডাইনে যে আজ,
সাহেব, বিবি, টেক্কা, গোলাম।

এসব দেখে ঘাবড়ে গিয়ে
বদ্যি বুড়ো হুড়মুড়িয়ে
ইঞ্চি খানেক নস্য নিয়ে
নাকের দিকে এগিয়ে এলেন।

‘হ্যাঁচ্চো’ বলে বিষম বেগে
যেমনি হাঁচি ভীষণ রেগে
এক হাঁচিতে নাকের থেকে
জোছনা দেখি বেরিয়ে গেলেন।

বেরিয়ে এসেই ওমনি হাওয়া,
দেখতে যে আর যায় না পাওয়া,
বৃথাই এদিক ওদিক চাওয়া,
খুঁজতে গিয়ে ভিরমি খেলাম।

সেই হাওয়াটিই ঝড় বাতাসে
ঠিক দুপুরে মাঝ আকাশে
মেঘ হয়ে যে দিব্যি ভাসে-
এতক্ষণে দেখতে পেলাম।

ভূগোলের অধ্যাপিকা। ছোটবেলা থেকেই আঁকা-লেখার সৃজনশীল জগতে আনন্দ খুঁজে পান। ২০১৯ সালে প্রকাশিত হয়েছে প্রথম বই "দাড়িওয়ালা বুড়োটার"। এডওয়ার্ড লিয়রের ননসেন্স লিমেরিক ও ছড়ার বাংলা রূপান্তরের এই সংকলনের অলংকরণও তাঁর নিজের করা।

8 Responses

  1. এই দম বন্ধ পরিবেশে এইরকম একটা দমকা হাসির প্রয়োজন ছিল। সুকুমার রায়ের পরে এই nonsense ছড়াগুলি আমাদের জীবন থেকে হারিয়ে যাছছে। তাকে বাচিয়ে রাখার দায়িত্ব তোমাদের কাধে।

    1. অপূর্ব 👌 যেমন আঁকা তেমন ছড়া
      এক নিশাসে হল যে পড়া
      হলো যে ভারী গরবো
      মনের কথা কেমনে যে পূরাবো
      বন্ধু তুমি যেন কখোনি
      থামিয়ো না তোমার লেখনী….

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *