তোর সুখে দৃশ্যত সামিল আমি।
পাট ভাঙা দামি চাদর বা ফুলদানিতে থিতু হওয়া জলে
দৃশ্যত সামিল হওয়া, একাকিত্বে, কোলাহলে।

আঁটোসাঁটো নিয়মমাফিক ভাল বাসায় সুখ যখন তুই,
তোর ফিকিরেই আপোশ চড়ে নকশি কাঁথার চাদর জুড়ে;
তবুও তো দৃশ্যত সামিল হওয়া অচলতার আঁতুড়ঘরে?

শরীরে রাত্রি গাঢ় করে জানলা খোলা নৈঃশব্দ্য;
ভেতরে বাইরে জমিয়ে বৃষ্টি পড়ে সারা রাত;
ভেজা মন, ভেজা রাত ছুঁয়ে যায় একরোখা হাওয়া;
সুখের মোহ সুখই জানে, আগুন ছোঁব বলেই
প্রেমের পানে চাওয়া?

এত যে সুখের ভারে ঝুঁকি; ভাঙিনি কখনও,
তবু তো আমার কই সুখী লেখা এল না এখনও?


 

ছবি সৌজন্যে Pexels

Rupak bardhan Roy

ড. রূপক বর্ধন রায় GE Healthcare-এ বিজ্ঞানী হিসেবে কর্মরত। ফ্রান্সের নিস শহরে থাকেন। তুরস্কের সাবাঞ্চি বিশ্ববিদ্যালয়ে পিএইচডি করেছেন। বৈজ্ঞানিক হিসেবে কর্মসূত্রে যাতায়াত বিশ্বের বিভিন্ন প্রান্তে। লেখালিখির স্বভাব বহুদিনের। মূলত লেখেন বিজ্ঞান, ইতিহাস, ঘোরাঘুরি নিয়েই। এ ছাড়াও গানবাজনা, নোটাফিলি, নিউমিসম্যাটিক্সের মত একাধিক বিষয়ে আগ্রহ অসীম।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *