“পটভূমিকায় শহীদ মিনার… নাগরিক চাঁদ উঠেছে আবার…” শুনতে শুনতে রাত নেমে এসে গভীর হয়েছে কতবার। সুরগুলো মনে গেঁথে যেতে এমন একটা মান চিনিয়ে দিয়েছে যেখান পৌঁছতে গেলে অনেক প্রতিভা, অনেক সাধনা, অনেক যুদ্ধ, অনেক সাহস আর মনের জোর প্রয়োজন হয়। রোম যেমন একদিনে গড়ে ওঠেনি, তেমনই আজ লতা মঙ্গেশকর বলতে আমরা একবাক্যে যাঁর সামনে শ্রদ্ধায় ভালবাসায় ঝুঁকে দাঁড়াই, তাঁরও এই হয়ে ওঠা একদিনের সফর ছিল না। আজকের যুগে যখন ওয়ান সং ওয়ান্ডাররা আজ তৈরি হচ্ছে তো কাল মিলিয়ে যাচ্ছে কালের গর্ভে, সেই সময়ে দাঁড়িয়ে গত শতকের তৃতীয় দশক থেকে সঙ্গীতের যাত্রা শুরু করা এই কিংবদন্তীর সঙ্গীতজীবনের নির্যাসকে বোঝা খুবই কঠিন। আজ তিনি জীবনকে যে চূড়ার থেকে ছেড়ে চলে গেলেন, সেখানে জীবন কিন্তু তাঁকে ছেড়ে আর চলে না কখনও।
লতাজিকে সঙ্গীতের প্রথম পাঠ দিয়েছিলেন তাঁর বাবা দীননাথ মঙ্গেশকর। নাট্যকার এবং সঙ্গীতকার বাবার ছায়ায় বটের চারার মতো বেড়ে ওঠার সময়টাও খুব যে সচ্ছল ছিল তা নয়। মারাঠি নাটকে গানের জায়গা ছিল বিরাট এবং দীননাথ প্রধানত মারাঠিতে “সঙ্গীত নাটক” অর্থাৎ গীতিনাট্যই লিখতেন এবং মঞ্চস্থ করতেন। এছাড়াও মারাঠি ভক্তিসঙ্গীত, লাওনি, অভঙ্গ ইত্যাদি গাইতে গেলে মার্গ সঙ্গীতে যথেষ্ট তালিম না থাকলে চলে না। ছাপোষা নিম্নমধ্যবিত্ত পরিবারে পড়াশোনা করা হোক না হোক, গানবাজনাটা ঠিকই চলত। মাত্র পাঁচ বছর বয়সে একজন শিশু-শিল্পীর অনুপস্থিতিতে গীতিনাট্যে প্রথম অভিনয় দিয়ে লতার মঞ্চে পা রাখা। দীননাথ কিছুটা আপনভোলা মানুষ ছিলেন, গান-নাটক নিয়েই মশগুল থাকতেন এমন, যে তিনি জানতেনও না তাঁর কন্যাটি এত ভাল গায়। রিহার্সালে শুনে শুনেই লতা কণ্ঠস্থ করে ফেলেছিলেন পার্টটি।

জন্মসূত্রে নাম ছিল হেমা কিন্তু দীননাথ তাঁর নাটকের একটি চরিত্রের “লতিকা” নাম থেকে হেমাকে লতা নামে ডাকা শুরু করলেন। অতএব বলা যায় “লতা মঙ্গেশকর” এর জন্ম মঞ্চেই। কিন্তু বারো বছর বয়েস পেরোতে না পেরোতেই ১৯৪২-এ যখন পিতৃহারা হলেন লতা, তখন তিনবোন, কোলের ছোট্ট ভাইটি আর মাকে নিয়ে এই সংসারের পাশে এসে দাঁড়িয়েছিলেন দীননাথেরই এক বন্ধু বিনায়ক দামোদর কর্ণাটকী। তিনি লতাকে কাজ দিলেন তাঁর ‘নবযুগ চিত্রপট’ নামে ফিল্ম কোম্পানিতে অভিনেত্রী ও গায়িকা হিসেবে। লতার কিশোরীবেলা কখন আস্তে আস্তে মিলিয়ে গেল দায়িত্ব আর কর্মজীবনের চড়াই-উতরাইয়ে তা যেন তিনি নিজেও টের পেলেন না।ধীরে ধীরে লতা মাস্টার বিনায়কের এবং অন্যান্য প্রযোজনা সংস্থার মারাঠি ছবিগুলিতেও গান গাইতে এবং অভিনয় করতে শুরু করলেন। কিন্তু অভিনয় লতাকে কোনওদিনও টানেনি। তাঁর ভালবাসার জায়গা ছিল সঙ্গীত। হিন্দি ছবির জগত ও বম্বে মায়ানগরীর হাতছানি তখনও অনেক দূরে।

মারাঠি ছবিতে যখন অল্পকিছু গান গাওয়া চলছে, সেই সময়েই ১৯৪৫-এ মাস্টার বিনায়ক নবযুগ চিত্রপটকে নিয়ে এলেন বম্বে শহরে। ষোড়শী লতাও এলেন দলের সঙ্গেই। এই যাত্রা সহজ ছিল না, সেইযুগে পুরুষশাসিত বম্বে ফিল্ম ইন্ডাস্ট্রিতে, কর্মরতা একা, পিতৃহীন্ তার উপরে গায়িকা মেয়ের সেই স্রোতে ঝাঁপ দিয়ে পড়ার জন্য যে সাহস প্রয়োজন ছিল তা তাঁকে তৈরি করে নিতে হয়েছিল নিজের ভেতরে, কারণ পিছু হটবার কোনও জায়গা ছিল না তাঁর। স্বাধীনতার আগের বম্বে তখন গমগম করছে গায়িকা নায়িকাদের ভিড়ে এবং সেইসময় যে ধরনের কণ্ঠস্বর ব্যবহৃত হত ছায়াছবির গানে, লতার গলা ছিল তার থেকে অনেক মিহি। তাই প্রত্যাখ্যানও কম পেতে হয়নি তাঁকে। তিনি নতুন করে তালিম নেওয়া শুরু করলেন আমান আলি খান এবং আমানত আলি খান সাহেবদের কাছে। এবং একটি দুটি মারাঠি ছবিতে কাজ করতে করতেই একদিন মাস্টর বিনায়কের একটি গানের রেকর্ডিং-এর সময় রেকর্ডিং স্টুডিওতেই আলাপ হল বসন্ত দেসাই-এর সঙ্গে।

পরিচিতি বাড়ার সঙ্গে সঙ্গেই একসময় তিনি হারালেন পিতৃতুল্য বিনায়ককেও। কিন্তু শোক কখনও লতা মঙ্গেশকরকে দমাতে পারেনি, তিনি ঠিক খুঁজে নিয়েছেন নতুন রাস্তা। ঠিক যেমন রাগের চলন জানা থাকলেও নিজের মতন করে নতুন করে তার রাস্তাঘাট তৈরি করতে সব শিল্পী পেরে ওঠেন না, তেমনই জীবনে বেঁচে থাকার উপকরণ ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকলেও সব মানুষ তা থেকে এক অননুকরণীয় যাপন তৈরি করে নিতে পারেন না। লতার সেই সাহস, নিজের শিল্পের প্রতি সেই বিশ্বাস, যোগ্যতার প্রতি আস্থা এবং সর্বোপরি প্রতিনিয়ত নিজেকে আরও অব্যর্থ করে তোলার চেষ্টা ছিল, যা তাঁকে এগিয়ে নিয়ে গেছে বহুদূর। এরপর তিনি পেয়েছিলেন গুলাম হায়দরের মতো মেন্টরকে। শশধর মুখার্জী যখন লতাকে মিহি গলার জন্য ফিরিয়ে দিয়েছিলেন তখন সেই গুলাম হায়দারের এতটাই আস্থা ছিল লতার প্রতিভা ও ক্ষমতার উপরে যে তিনি বলেছিলেন “এই মেয়েরই পা ধরে সাধবে একদিন সমস্ত সঙ্গীত-পরিচালকেরা”। আর তাঁরই ছবি ‘মজবুর’-এর গান ‘দিল মেরা তোড়া’ লতার প্রথম হিন্দি ছবির হিট গান হয়ে উঠল।
এরপরও রাস্তা যে খুব মসৃণ হয়ে উঠেছিল তা নয়। মিহি, রিনরিনে, সুরেলা আওয়াজ নিয়ে জায়গা পেতে যখন অসুবিধা হচ্ছে তিনি গাওয়ার টেকনিক বদল করে নিলেন। প্রথমদিকের বেশ কিছু গান শুনলেই তা বোঝা যায়। অন্যান্য অগ্রজ এবং সফল গায়িকাদের লক্ষ্য করতেন লতা এবং খোঁজার চেষ্টা করতেন তাঁদের গান থেকে কী কী আত্মস্থ করলে তিনি আরও একটু এগিয়ে নিতে পারবেন নিজেকে। এই মনোভাবটাই আসলে প্রকৃত শিল্পীর জাত চিনিয়ে দেয়। সে কখনও প্রতিযোগিতাকে ভয় পেয়ে সরে আসে না বরং তার মাঝখানে দাড়িয়ে নিজেকে উন্নত করে তোলে, আরও মার্জিত করে তোলে।
এরপর তো যাকে বলে “রেস্ট ইজ হিস্ট্রি।” লতাজির সঙ্গীতজীবনের যাত্রা থেমে থাকেনি। বরং অষ্টাদশী লতা প্রথম একটি হিলম্যান গাড়ি কিনে ফেলেন নিজের উপার্জনে, যা আজকের দিনে দাঁড়িয়ে দেখলেও অসম্ভব মনে হয়।
আসমুদ্র-হিমাচলের মন তাঁর গানে দুলে উঠেছে। আমাদের হাসি কান্না সুখ দুঃখের সঙ্গে জড়িয়ে রয়েছে তাঁর গান। বম্বের এমন কোনও সঙ্গীত-পরিচালক ছিলেন না যিনি লতাজির সঙ্গে কাজ করতে চাননি। আর আমরা যারা গানকে ভালবাসি বা জীবিকা হিসেবে বেছে নিয়েছি আজ, তাদের সৌভাগ্য যে লতাজিকে গুরু দ্রোণের মতো সামনে রেখে আমরা একলব্যের মতো চেষ্টা করার সুযোগ পেয়েছি। গায়িকা অনেকেই হতে পারেন কিন্তু দৃষ্টান্ত হয়ে ওঠার যোগ্যতা সবাই অর্জন করতে পারে না।

দেশ থেকে বিদেশে যেমন তার খ্যাতি ছড়িয়েছে, নিজেকে প্রতিনিয়ত অতিক্রম করে গেছেন তিনি। জীবনকে তিনি সঙ্গীতের থেকে আলাদা করে দেখেননি কখনও। শোনা যায় কম বয়সে এমন সম্পর্কও তৈরি হয়েছে যেখান থেকে সংসারের স্বপ্ন উঁকি দিয়ে গেছে। কিন্তু জীবন হয়তো তাঁর কাছে অন্য দাবি নিয়ে এসেছিল সেই পাঁচ বছর বয়সে। সংসার বা সন্তানের সুখ তিনি অন্যভাবে খুঁজে নিয়েছিলেন। একজন নারীর পক্ষে এই দ্বন্দ্ব অতিক্রম করে যাওয়া সহজ নয়, কিন্তু ভারতবর্ষের এই গান-গাওয়া পাখিটির ডানায় শক্তি ছিল অনেক। আত্মিক শক্তি। নিজেকে ভেঙে পড়তে দেননি তিনি কখনও কোনও অবস্থাতেই। শুধু সুরের কাছেই তিনি নতজানু হয়েছেন। ‘ভারতরত্ন’, ‘দ্য নাইটিঙ্গেল অফ ইন্ডিয়া’, ‘ভয়েস অফ দ্য মিলেনিয়াম’ লতা মঙ্গেশকরের তবু কি কোনও আক্ষেপ ছিল না জীবনে?

এত পাওয়ার মধ্যেও কোথাও কোনও না পাওয়া কি ছিল না মুখ লুকিয়ে? নিশ্চয়ই ছিল, নাহলে তিনি সাক্ষাৎকারে বলতেন না যে তিনি আর জন্মাতে চান না, আর যদি জন্মাতে হয়ও, লতা মঙ্গেশকর হয়ে আর জন্মাতে চান না। আসলে হয়তো অনেক না-পাওয়ার ক্ষিদেই একজন প্রকৃত শিল্পীকে গড়ে তোলে। লতাজির জীবনযুদ্ধকে না বুঝলে ওঁর শিল্পকেও বোঝা হয় না। আন্তর্জাতিক খ্যাতি তাই তাঁর শিকড় থেকে কোনওদিন তাঁকে আলাদা করতে পারেনি। পিতা পণ্ডিত দীননাথ মঙ্গেশকরের স্মৃতির উদ্দেশ্যে তিনি একটি শাস্ত্রীয় সঙ্গীত সমারোহ এবং পুরস্কার চালু করেছিলেন। বাবা একবার সেখানে গাইতে এবং পুরস্কার গ্রহণ করতে গেছিলেন। লতাজি নিজে সমস্তকিছুর তত্ত্বাবধান করতেন সেখানে। তিনি নিজে যেমন স্মৃতিতে ধরে রেখেছিলেন তাঁর বাবাকে তেমনই সঙ্গীতপ্রেমীদের মনের মধ্যেও তিনি যাতে থেকে যান, তার চেষ্টা করে গেছেন।

তবে এত প্রতিভা, এত সাধনা, এত অর্জন, এত খ্যাতি সত্ত্বেও কোথাও গিয়ে আমি লতাজিকে সবকিছু ছাপিয়ে আমি একজন অগ্রজা, সুরময়ী, প্রতিভাময়ী, সুদক্ষ সহযোদ্ধা হিসেবে দেখি, যিনি নারী-স্বাধীনতার ইতিহাসকে একাই অনেকটা দূর এগিয়ে নিয়ে গিয়েছেন এই দেশে। কোনও পুরুষের সাহচর্য থেকে যে নিরাপত্তা পাওয়া যাবে বলে ধরে নেওয়া হয়, তার তোয়াক্কা তিনি করেননি। বরং নিজেই সেই চারা থেকে এমন এক বটগাছ হয়ে উঠেছেন যে তার ছায়া পেয়ে বেঁচে উঠেছে অনেক মানুষ। তাঁর নিজস্ব মিউজিক লেবেল এলএম মিউজিকের স্টুডিওতে দু’বার গান রেকর্ড করার সৌভাগ্য হয়েছে আমার। ফ্লোরে অসংখ্য ছবিগুলিতে লতাজির প্রিয় শিল্পীরা, সতীর্থরা, গীতিকার, সুরকার, প্রোডিউসার, ডিরেক্টর- ক্রিম অফ মুম্বই ফিল্ম ইন্ডাস্ট্রি বলা যায়। কিশোর, রফি, আশা, সলিল, নৌশাদ, এসডি, আরডি, মদনমোহন, রাজ কাপুর, সেলিম-জাভেদ, গুলজার … কে নেই! কাজের ফাঁকে ঘুরে ঘুরে দেখতে দেখতে মনে হচ্ছিল এ যদি জীবন হয় তবে কাজ কোনটা? আর এ যদি কাজ হয় তবে জীবন কোনটা?
আসলে আমরা বড্ড ভাগ্যবান যে আমরা ওঁর সময়ে জন্মেছি। আর গত ৬ই ফেব্রুয়ারি তিনি চলে গেলেও তাঁর সময়টা আসলে থেকে গেছে, থেকে যাবে।ওই যে গুলজার লিখেছিলেন, সুর দিয়েছিলেন আর ডি বর্মন আর গলায় পালকের মতন তুলে নিয়েছিলেন লতা মঙ্গেশকর, ওই পংক্তিটাই আসলে সবচেয়ে বড় সত্যি – “মেরি আওয়াজ হি পেহচান হ্যায়, গর ইয়াদ রহে”।
ছবি লেখকের সূত্রে প্রাপ্ত
সঙ্গীতজ্ঞ মানস চক্রবর্তীর সুযোগ্যা কন্যা শ্রীদর্শিনী উত্তর ভারতীয় উচ্চাঙ্গ সঙ্গীতে তালিম নিয়েছেন এক্কেবারে শিশুবয়স থেকে। সঙ্গীত তাঁর শিরা-ধমনীতে। টাইমস মিউজিক থেকে বেরিয়েছে গানের সিডিও। মুম্বইয়ের ইন্ডিয়ান আইডল অ্যাকাডেমিতে মেন্টরের ভূমিকা পালন করেন শ্রীদর্শিনী। লেখালিখিও তাঁর পছন্দের বিষয়।তাঁর প্রকাশিত কাব্যগ্রন্থ 'শীতের অব্যর্থ ডুয়ার্স', 'এসো বৃষ্টি এসো নুন', 'রাজা সাজা হল না যাদের' এবং 'জ্বর-জ্বর ইচ্ছেগুলো' পাঠকমহলে সমাদৃত।
লতা মঙ্গেশকর একটা যুগ । একটা বিষ্ফোরণ । আবার লতা মঙ্গেশকর একটা কঠিন তপস্যার ফল। লতা মঙ্গেশকর রুপোর চামচ মুখে জন্ম নেয়া তুলতুলে শিল্পী নন , সঙ্গীত কে ছাপিয়ে তাঁর পোষাক আর গয়নার বাহারি প্রদর্শন নেই। সারা জীবন শুভ্র শ্বেত সরস্বতী হয়ে আমাদের দৃষ্টি কে আকর্ষণ করে হয়তো বলে গেছেন “” আমি গায়িকা, কিন্তু আমি সরস্বতী’র সাধনা করা এক মীরা বাই সম। লতার এই দিকটা এক উজ্জ্বল দৃষ্টান্ত আমাদের এই প্রজন্মের কাছে , যে সর্বাঙ্গীন সঙ্গীত শিল্পী হাতে হবে। বিনয়ী, নম্র, সদা শিখখুক মন, অথচ আপন দৃপ্ত । ওনার গান আজন্ম আমাদের সঙ্গী । সেই কবে ছোটবেলায় শুনতাম “সাত ভাই চম্পা”,,,,”ওগো আর কিছুই তো নয়”! তারপর অনেক বসন্ত জীবন পার করলো , কিন্তু “”কমবখত, কভি ভি মন সে দূর নেহী হোতি””! আমার তো মনে হয় যে গান ভালবাসে, সারা জীবন লতাবাঈর গান নিয়ে থাকতে পারে। মোজার্ট, বিটোভেন, রবীন্দ্রনাথ, নজরুল , জীবনানন্দ যেমন আমাদের রন্ধ্রে রন্ধ্রেসন্তোষ বন্দোপাধ্যায় ঢুকে আছে লতা মঙ্গেশকর তাই।
Quation ta bhul aache. Bade Ghulam Aali eta bolen ni.
বড়ে গুলাম আলির কোনো কথা তো এখানে নেই!
Quotation ta bhul aache.