১২ই ফেব্রুয়ারি ভোরবেলা মন্ত্রোচ্চারণের সঙ্গে ঘুম ভাঙল। কলকাতা ছাড়ার  আগে চান করা নিয়ে কিছু ভাবিনি। ছোটবেলায় বাবার সঙ্গে গঙ্গাস্নানে যেতাম।  কলকাতার কালচে ময়লা গঙ্গাজল, কাদামাখা ঘাট তবু ভাই-বোনেরা মিলে প্রথম ট্রাম ধরে কত আনন্দ করতে করতে যেতাম। গঙ্গাস্নানের সঙ্গে জড়িয়ে আছে ছোটবেলা। পূর্বপুরুষের বাস ছিল নদীর খাল বিলের ধারে তাই বোধহয় এমন  স্রোতস্বিনী দেখলেই রক্তে ঢেউ জাগে।

 ঠান্ডার কামড় সহ্য করার জন্য মনকে প্রস্তুত করেছিলাম। ভিড়ের মধ্যে ভিজে কাপড় ছাড়া নিয়ে একটু সংশয় ছিল সেই জন্য একেবারে ভোর পাঁচটায় স্নানের জন্য তৈরি হয়ে গেলাম। আকাশ অন্ধকার কিন্তু ঘাট আলোয় আলো হয়ে আছে। শতাব্দী আর ভগীরথ সেতুর রাস্তা বন্ধ করে দেওয়ায় হর কি পৌরি থেকে গৌঘাট একেবারে ফাঁকা। এদিকে হাজার হাজার মানুষের ভিড় উল্টোদিকের ঘাটে। গৌঘাটের ওপর হোটেল বলে আমি নির্বিঘ্নে জনশূন্য ঘাটে এসে দাঁড়ালাম। কুম্ভস্নানের যত বর্ণনা পড়েছি এবং আমিও যা অনুমান করেছিলাম তার সঙ্গে একেবারে মিলল না। এবার আমার অবাক হবার পালা। ভয়ঙ্কর কষ্ট করার জন্য তৈরী হয়ে এসে সহজে কাজ হয়ে গেলে কেমন যেন ছন্দপতন হয়।

এবার আসল কাজ। কনকনে ঠাণ্ডা হওয়া বইছে। সামনে শেষ রাতের তরঙ্গিনী। জলে পা ঠেকানো মাত্র মাথা পর্যন্ত শিউরে উঠল। উল্টোদিকের ঘাটে হাজার মানুষের ডুব দেওয়া দেখে কাজটা আর ততটা শক্ত বলে মনে হল না। মা গঙ্গাকে স্মরণ করে ডুব দিলাম। স্নানের পর কিন্তু এক অদ্ভুত অনুভূতি হল। গ্রহ নক্ষত্রের শুভযোগে হাজার হাজার ভক্ত মানুষের সঙ্গে একাত্ম হবার বোধ। অনন্ত আনন্দ প্রবাহে আমিও লগ্ন হলাম- মুহূর্তের জন্য এই অপূর্ব অনুভব।

শুনেছিলাম নটা থেকে পাঁচটা সাধুদের স্নানের জন্য ঘাট বন্ধ করে দেওয়া হবে। সহৃদয় পুলিশ অফিসারকে ধরে কোথায় সবথেকে কাছ থেকে সাধুদের মিছিল দেখতে পাব জেনে অকুস্থলে গিয়ে দেখি আমরাই সবথেকে দেরিতে এই জায়গাটার খবর পেয়েছি। দড়ির বন্ধনীর বাইরে লক্ষ লক্ষ মানুষের ভীড়। কোনওরকমে জায়গা করে দাঁড়ালাম। মিছিল শুরু হবার আগে স্বেচ্ছাসেবকরা রাস্তার একটি অংশ ভিজিয়ে ঝুড়ির ফাঁক দিয়ে রঙ ঝরিয়ে ইনস্ট্যান্ট আলপনা এঁকে দিল। মুহূর্তের মধ্যে বিরাট রাস্তাটা আল্পনায় ভরে উঠল।

 যে দিক থেকে মিছিল আসবে অধীর আগ্রহে আমরা  সেদিকে তাকিয়ে রইলাম। প্রতিটি বাড়ির জানালা ছাদে থিকথিক করছে মানুষ। ল্যাম্পপোস্ট ধরেও ঝুলে থাকতে দেখলাম কয়েকজনকে। আধাসামরিক বাহিনী, পুলিশ, ভলান্টিয়ার্সে গিজগিজ করছে সমস্ত জায়গাটা। কলকাতাতেও পুজোর সময় এমন মারাত্মক ভিড় হয়। পুলিশ খুবই দক্ষতার সঙ্গে সামাল দেয়। কিন্তু সেখানে মাত্র দুটি দল পুলিশ আর পাবলিক। এখানে তৃতীয় আরেকটি পক্ষ আছে যাঁরা কোনও বাঁধা নিয়মের মধ্যে পড়েন না। রেগে গেলে চন্ডাল। প্রচলিত নিয়ম তাঁদের জন্য নয়। অতএব সমস্ত ব্যাপারটা শান্তিপূর্ণভাবে ঘটাতে গেলে প্রবল দক্ষতার প্রয়োজন।

শঙ্খ বাজিয়ে ঘোড়ায় চড়া একজন নাগা সাধুর পেছন পেছন শুরু হয়ে গেল মহামিছিল। খোলা ট্রাকগুলোকে রথের চেহারা দেওয়া হয়েছে। শ্রী পঞ্চদশনাম জুনা আখড়া দিয়ে শুরু হল মিছিল। প্রতিটা রথের উপর গুরু বসে আছেন সশিষ্য হাসিমুখ। এক হাতে বরাভয় অন্য হাত মাঝেমাঝে পুষ্পবৃষ্টি করছে। সেই দৈব পুষ্প পাবার জন্য জনতার কি আকুলি-বিকুলি।

গুরুর নাগা শিষ্যরা ভস্মমাখা দিগম্বর। হাতে চিমটে তরোয়াল, মাথায় জটা, গলায় রুদ্রাক্ষ, মুখে হরহর ধ্বনিতে চারদিক মুখর করে চলেছেন। এঁরা ধর্মসেনা। ধর্ম রক্ষা করাই এদের কাজ। শিবের মতই কখনও আশুতোষ কখনও রুদ্রমূর্তি। এদের ঘিরে চলেছে আধাসামরিক বাহিনী যাতে সামান্যতম গোলামালও দ্রুত দমন করা যায়।

আমাদের সাহিত্য-শিল্প সঙ্গীত জীবনের সব ক্ষেত্রেই পশ্চিমের প্রশংসা বা স্বীকৃতি ওজন বৃদ্ধি করে এ সত্যটা অস্বীকার করে লাভ নেই। ধর্মের ক্ষেত্রেও যে গুরুর যত বিদেশী চেলা তাঁর তত বৈভব প্রতিপত্তি। কামাখ্যা থেকে আগত সোহম বাবার রাজসিক শোভাযাত্রায় বিদেশী শিষ্যদের হাতে শিশু চারাগাছ মুখে হাসি এবং মুখে হর হর ধ্বনি। সোহমবাবারও এক হাতে বরাভয় অন্য হাতে সবুজ গাছের ডাল। ধর্মপ্রচারের সঙ্গে সঙ্গে পরিবেশ রক্ষার্থেও অনেক কাজ করছেন শুনলাম। এই মিছিলে গুরুদের সঙ্গে অনেক মাতাজীরাও আছেন। একসঙ্গে এত সাধু, তাদের সঙ্গে নানা দেশের নানা বয়সের শিষ্যের দল, তাদের নানা কার্যকলাপ দেখতে দেখতে কখন যে তিন ঘন্টা পেরিয়ে গিয়েছে খেয়াল নেই। হিন্দুধর্মের সবকয়টি শাখার গুরু সাধু ব্রহ্মচারীরা আসেন কুম্ভস্নানে। একসঙ্গে এত সাধু আর কোথাও জমায়েত হন না। কুম্ভ নিয়ে কত ঘটনা, গল্প শুনেছি, পড়েছি। কত মানুষের মহাপুরুষের সংস্পর্শে এসে হঠাৎ আলোর ছোঁয়ায় বদলে গিয়েছে জীবন। এর মধ্যেও নিশ্চয়ই আছেন কেউ সত্যিকারের যুগাবতার পরমহংস। কিন্তু আমার পাপচোখে তা ধরা পড়ছে না।

গঙ্গার তীরে নীলধারার পাড়ে সারি সারি আখড়া যেন যুদ্ধক্ষেত্রে সৈন্যদের তাঁবু। এখানেই সবথেকে বেশী সংখ্যক সাধুদের বাস।পরদিন আমরা রামলীলা গ্রাউন্ডে গেলাম। সেখানে পাঞ্জাব ও গুজরাট থেকে আসা জুনা আখড়ারই বিভিন্ন সাধুদের তাঁবু  দেখতে দেখতে যাচ্ছি। এ এক অদ্ভুত জগত। প্রথম তাঁবুটাই মোহান্ত মহেন্দ্র গিরির। তাঁর সাদর আমন্ত্রণে তাঁবুর মধ্যে ঢুকে বসে পড়লাম। বেশ জমাটি মজলিসি মানুষ। তাঁর তিন শিষ্য শ্মশান গিরি, শীতল গিরি, গরীব গিরি তাঁবুর মাঝখানটায় গোল হয়ে বসে গঞ্জিকা সেবন করছে। আমার হাতেও কলকে  ধরিয়ে দিল তারা। অভিজ্ঞতা থেকেই সাধুরা জানে দেশি-বিদেশি বহু মানুষ শুধু এই প্রসাদ লোভেই আসে ধেয়ে। সাধুর দেওয়া প্রসাদ গ্রহণ করেই ছেলের উপদেশ মনে পড়ল। এর একটি টানেই নাকি আমার দিব্যচক্ষু খুলে যাবে। লেখার যত দুর্বলতা দূর হয়ে সম্পূর্ণ নতুন সব আইডিয়া মাথার মধ্যে গজিয়ে উঠবে। নিখরচায় এই নবজন্মের কথা ভেবে একটু লোভ হয়েছিল কিন্তু চিরকালের ছাপোষা মামুলি কাঠামো হঠাৎ এত পরিবর্তন বরদাস্ত করতে পারবে কিনা সেটাও ভাবনার বিষয়। অতএব সাধুর দান ভক্তিভরে মাথায় ঠেকিয়ে বিনয়ের সঙ্গেই ফিরিয়ে দিলাম।

সাধু মহেন্দ্র গিরির এক বাঙালি শিষ্যের সঙ্গে আলাপ হল। তাকে গুরু সবরং গিরি উপাধি দিয়েছেন। বৃদ্ধ মা-বাবার সেবার থেকে বড় পূণ্য আর কিছু নেই। তাই সব রং গিরি কিছুদিন গুরু সেবা করেই চলে যাবেন মা-বাবার কাছে। তখন জীবিকার্জন সাংসারিক কর্তব্যকর্ম যা করার করবেন।

গুরু মহেন্দ্রগিরির সহজভাবে বলা ধর্মের কথাগুলো বড় ভাল লাগল। উনি বললেন, সংসারের মধ্যে থেকে দায় দায়িত্ব পালন অনেক বড় কাজ। আমরা তো নামকাওয়াস্তে সন্ন্যাসী। সত্যিকারের ত্যাগী সন্ন্যাসী বড় দুর্লভ। স্বয়ং ভগবানকেও কষ্ট করে তাঁর দর্শন পেতে হয়।

 এমন সত্য কজন স্বীকার করতে পারে? 

সেখান থেকে ঘুরতে ঘুরতে গেলাম আরেক জায়গায়। সবথেকে গোপন স্পর্শকাতর নরম অঙ্গে তালা লাগানো নাগা সাধুকে দেখে বিস্মিত হয়ে আমরা তাঁর তাঁবুতে ঢুকে পড়লাম। কাম দমনের জন্য এমন সাংঘাতিক কাণ্ড! শিউরে উঠছি কিন্তু চোখ ফেরাতে পারছিনা। জিজ্ঞেস করার ইচ্ছে ছিল –ক্রিয়াটা না হয় চিরতরে তালাবন্ধ হয়েই রইলো কিন্তু চিন্তাটা যা ইচ্ছে হয়ে ফুটে ওঠে মনের মধ্যে, তা কী করে বন্ধ হবে? 

বেশ কয়েকটা তাঁবুতে  ল্যাপটপ, ফিল্টার জলের ব্যবস্থা রয়েছে দেখলাম। টিভিও আছে অনেক তাঁবুতে। প্রতিদিন দেখেছি আলুমিনিয়াম ফয়েলে সাধুদের কেউ-না-কেউ ভান্ডারা পাঠিয়েছে। খুব যত্নের সঙ্গে বানানো সেসব খাদ্য সামগ্রী। কাঁচা বাজারও আসছে প্রচুর।

এক নাগা সাধু হাসিমুখে হাতছানি দিতেই তার ধুনির পাশে বসে পড়লাম।সাধু জিজ্ঞেস করলেন, কী কর?

-টিচার।

– কত মাইনে পাও?

একটু চিন্তা করে বললাম ৫000।

সাধু বললেন-ঝুট।

আমিও হাসছি। সাধুও হাসছেন।বললেন-ঝুট বল কেন?

-বলতে হয় মাঝে মাঝে।

-তুম পাঁচহাজার কি আদমি নেহি। 

-আপনিই বলুন তবে–

-কমসে কম পচ্চিস হাজার।

ভস্মমাখা জটাধারী দিগম্বর সাধুর বাস্তবজ্ঞানটা বেশ টনটনেই বলতে হবে পাঁচ পঁচিশের ফারাক বোঝেন যখন। 

স্বামী যোগানন্দ গিরির তাঁবু আশ্রম কোলাহলহীন শান্ত। মানুষটি সদানন্দ সহজ। বেশ কয়েকটি অনাথ বাচ্চার ভরণ পোষণ করেন। চা খেতে খেতে ওঁর জীবনের কিছু অভিজ্ঞতার কথা শুনলাম। আশ্চর্য হয়ে দেখলাম প্রায় সব সাধুর আশ্রমেই সাদর আমন্ত্রণ পেয়েছি- ‘আসুন প্রসাদ গ্রহণ করুন’ কিংবা ‘আও ভোজন কর’। সর্বত্যাগী সন্ন্যাসীর দানে কোন কার্পণ্য নেই। যত চিন্তা গৃহী মানুষের।

গঙ্গার ঘাটে সারি সারি লঙ্গরখানা। শহরে দীন দরিদ্র দেখতে আমরা অভ্যস্ত। তারা কাঙাল হাত বাড়িয়েই আছে, আর আমরা উপেক্ষা করে চলে যাচ্ছি। এটাই চেনা ছবি। এখানে দেখলাম অনাথ আতুরকে খাওয়াবার লোকের অভাব নেই। লঙ্গরখানার সঙ্গে ছোট ছোট খাবার দোকানেও সবসময় রুটি হালুয়া প্রস্তুত থাকে। কেউ না কেউ এসে কম করে দশ বারো জনকে খাইয়ে যায়। পাঁচ টাকা প্লেট থেকে শুরু তারপর যার যেমন ক্ষমতা সেই বুঝে পদ বাড়ে। 

মহাকুম্ভের পূণ্যলগ্নে অবিরাম তীর্থযাত্রীর স্রোত। যে যখন আসছে গঙ্গায় ডুব দিচ্ছে। পাড়ে ব্যাগ রেখে স্নান সেরে অবিশ্বাস্য দ্রুততায় ভেজা কাপড় বদলে তৈরি হয়ে চলে যাচ্ছে হাজার হাজার মানুষ। ওই ঠান্ডাতেও গঙ্গার ঘাট কখনও স্নানার্থীহীন দেখিনি। নিরন্তর পুণ্যস্নান চলছে তো চলছেই।

কুম্ভে ফল হাতে হাতে-পূণ্য না হলেও পার্বণী তো বটেই। ফুল দীপ নারকেল পয়সা দিয়ে পুজোর ডালা সাজিয়ে গঙ্গায় ভাসিয়ে দিচ্ছেন কত মানুষ। আর সামান্য দূরে জলের মধ্যে অপেক্ষা করছে কিশোর বাহিনী। সঙ্গে জীবিকা অর্জনের নানা সরঞ্জাম। লম্বা দড়িতে বাঁধা চুম্বক দিয়ে কনকনে ঠান্ডা জলে দাঁড়িয়ে পয়সা তুলছে একদল। একজন আবার খরস্রোতা জলে কাঁচের ভেতর দিয়ে দেখতে পাচ্ছে গঙ্গা মাটিতে গেঁথে থাকা পয়সা বা মূল্যবান ধাতু। ম্যাগনিফাইং গ্লাস নয় সাধারণ কাচ। এ-ও একরকম দক্ষতা। আর একটি ছেলে লম্বা দড়িতে বাঁধা তারের ঝুড়ি জাল ছোঁড়ার কায়দায় ছুঁড়ে দিয়ে তুলে আনছে প্রসাদী নারকেল। শিব চতুর্দশীর দিন দু বস্তা বোঝাই প্রাসাদী নারকেল সে সংগ্রহ করেছিল। তার হাতের কারসাজিতে এক মিনিটের মধ্যেই মা গঙ্গার নৈবেদ্য তাঁর কোলছাড়া হয়ে যায়।

শিবক্ষেত্র হরিদ্বারে গঙ্গা সমান পূজনীয়। রাশি তিথির মহাযোগে গঙ্গাস্নান পূনর্জন্ম  থেকে মুক্তি দেয় — হাজার বছর ধরে এ কথা বিশ্বাস করে ভারতবাসী। এইরকম আকুল বাসনা নিয়ে পৃথিবীর আর কোথাও এত বড় জনসমাবেশ হয়না। এ এক অন্য ভারতবর্ষ যার ট্র্যাডিশন বংশ পরম্পরা ধরে একই থেকে যায়। 

গঙ্গার পাড়ে লক্ষ লক্ষ তীর্থযাত্রীর সঙ্গে মাথা নত করার যে অপূর্ব অনুভূতি তার তুলনা মেলে না। সেই মহা লগনে মনে হচ্ছিল মানুষ ছাড়া কেইবা অনুভব করবে জল স্থল অন্তরীক্ষের এই পূণ্যস্পর্শ, সনাতন ধর্মের আধ্যাত্মিক রহস্যময়তা, অমৃত লাভের আকুলতায় ভক্ত মানুষের কৃচ্ছ সাধনা।

সেইজন্য সবার সঙ্গে ডুব দিয়েছিলাম বটে কিন্তু প্রার্থনা ছিল অন্য। মনে মনে উচ্চারণ করেছিলাম মুক্তির বদলে পূণ্যতোয়া জাহ্ণবীর শীতল কোলটির জন্যই –আবার  আসিব ফিরে।

বাংলা সাহিত্য নিয়ে শান্তিনিকেতন ও প্রেসিডেন্সিতে পড়াশোনা। পরে শিক্ষাঙ্গনকেই বেছে নিয়েছেন কর্মজগত্‍ হিসেবে। তবে লেখালিখিই প্রথম ভালবাসা। ছোটদের ও বড়দের –-- দু'রকম লেখাতেই সমান স্বচ্ছন্দ। ছোটদের ও বড়দের গল্প-উপন্যাসের পাশাপাশি শান্তিনিকেতনের মেয়েদের হস্টেল জীবন নিয়ে তাঁর লেখা 'শ্রীসদনের শ্রীমতীরা' পাঠকসমাজে সমাদৃত। প্রিয় বিষয় সিনেমা, নাটক, রহস্য ও ইতিহাস।

One Response

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *