আগুন, বই আর গোলাপ
আগের পর্বের লিংক: [১] [২] [৩] [৪] [৫] [৬] [৭] [৮] [৯] [১০]
[১১] [১২] [১৩] [১৪] [১৫] [১৬] [১৭] [১৮] [১৯] [২০]
যোগদানের দিন ঠিক পৌঁছে গেছিলাম হিন্দুস্থান স্ট্যান্ডার্ডের নিউজ ডেস্কে। খোঁজ নিয়ে আগেই জেনেছিলাম আমায় রিপোর্ট করতে হবে নবনিযুক্ত ডেপুটি নিউজ এডিটর প্রদীপ্ত সেনের কাছে। এসেছেন স্টেটসম্যান থেকে। নিউজরুমে ঢুকে জিজ্ঞেস করতে একজন বেয়ারা আমায় নিয়ে গিয়ে বসিয়ে দিল এক অত্যন্ত সুপুরুষ ভদ্রলোকের সামনে। সুপুরুষ তো বটেই, তার ওপর চোখে খুবই হাই মাইনাস পাওয়ারের চশমা ভদ্রলোককে কেমন একটা বুদ্ধিজীবীর আভিজাত্য দিয়েছে। সাদা শার্টের ওপর মধ্যরাত্রি নীল কোট আর গলায় মেরুন টাই যেন ষোলো আনার ওপর আঠারো আনার চেকনাই। সামনে বসতেই ভদ্রলোকের প্রথম সম্বোধনটাই টিপিকাল নিউজ এটিডরসুলভ। ঘাড় ঘুরিয়ে দেওয়াল ঘড়িতে সময় দেখলেন— কাঁটায় কাঁটায় তিনটে। তারপর আমার দিকে চেয়ে বললেন,
– এখন শুরু হচ্ছে ইভনিং শিফট। এখনই জয়েন করে যান তাহলে?
আমি বললাম,
– ওহ্ শিওর!
প্রদীপ্ত সেন বললেন,
– এখন থেকে তুমি তাহলে ওয়ান অফ আস। এসো।
প্রদীপ্তদার মিস্টার সেন থেকে দাদা হতে তিন মিনিটও সময় লাগেনি। আমাকে ইভনিং শিফটের চিফ সাব প্রবীণ ভদ্রলোক প্রভাসরঞ্জন ভঞ্জর সামনে নিয়ে গিয়ে বললেন,
– ভঞ্জবাবু, এই আপনার লেটেস্ট কলিগ শঙ্করলাল। পাশে নিয়ে কাজ ধরিয়ে দিন।
সাহেবসুবো পোশাকের প্রদীপ্তদা আমায় সঁপলেন এক পরিপূর্ণ বাঙালি পোশাক-আশাক, বাগবুলি ও বিশিষ্ট ভদ্রতার ভঞ্জবাবুর হাতে। তিনি আমায় দেখে মস্ত এডিটিং ডেস্কের এপার-ওপারে বসা তরুণ সাব এডিটরদের বললেন,
– দ্যাখো তো, আবার এক সাহেবই ধরিয়ে দেওয়া হল আমাকে।

‘আবার এক সাহেব’ কথাটার মর্ম বুঝলাম আর একটু পর। আমার রিক্রুটমেন্টের মাসতিনেক আগে জনা চারেক আনকোরা নতুন সাব এডিটর নিয়োগ করেছিলেন অভীকবাবু। তখনকার ঝকমকে স্টেটসম্যানের সঙ্গে পাল্লা দেওয়ার জন্য এক নতুন ব্রিগেড। তাতে যারা হিন্দুস্থান স্ট্যান্ডার্ডে এল তারা প্রত্যেকেই এক একজন ব্রিলিয়ান্ট ছোকরা। ব্রিলিয়ান্ট রেজাল্ট, ইংরেজিতে সুপার দক্ষ এবং জার্নালিজম করার জন্যই কোয়ালিফাইং টেস্ট দিয়ে ঢুকেছে। পরবর্তীতে এরা সবাই দেদার নামও করেছে। সুমিত মিত্রকে কে না চেনে? ভারতে নানা কাগজে কাজ করার পর এখন কলামনিস্টের কাজ করে যাচ্ছে দেশ ও আনন্দবাজারে। বাঙালি এক ডাকে চেনে শাস্ত্রীয় সঙ্গীত সমালোচক নীলাক্ষ গুপ্তকে, যার কলমকে সমীহ করেননি রাগসঙ্গীতে এমন শিল্পী ছিলেন না গত পঞ্চাশ বছরে। প্রেসিডেন্সি কলেজে ডাকসাইটে ডিবেটার ছিল উদয়ন মুখার্জি, সেও দেখি এখানে। বছর তিনেকের মধ্যে লিঙ্কনজ এন-এ আইন পড়তে চলে গেল ইংল্যান্ডে। আর চমৎকার মানুষ ও অর্থনীতি পারঙ্গম শান্তনু সান্যাল, যার সঙ্গে প্রথম দিন থেকেই এক অদ্ভুত ঘনিষ্ঠতা হয়ে গিয়েছিল আমার। বস্তুত শান্তনু আজও বলে আমরা দু’জন নাকি ছিলাম পার্টনারস ইন ক্রাইম, অপরাধের সঙ্গী। অপরাধ কী? না, ছুটি পেলেই শান্তিনিকেতন পাড়ি দেওয়া আর কলাভবনের মাঠে বসে মেয়েদের সঙ্গে গ্যাঁজালি করা। সে সময় তরুণ লেখক বা সাংবাদিকদের হেভি মার্কেট শান্তিনিকেতনে আর কলাভবন যেন মিস ইউনিভার্সদের আখড়া।
আমি ডেস্কে বসা ইস্তক ভঞ্জদার যে স্নেহ ও সঙ্গ পেলাম তা বলে বোঝানো কঠিন। প্রথমেই বললেন,
– কী কী কাগজ পড়া হয়?
– স্টেটসম্যান আর আনন্দবাজার।
– এবার থেকে হিন্দুস্থান স্ট্যান্ডার্ডটাও রেখো। কারণ ওইটারই খবরের সিকোয়েন্স ধরে অপিসের কাজ এগোবে। এই ধরো আজ বাংলাদেশ যুদ্ধে যে-খবর আমরা দিয়েছি, তার সঙ্গেই মিলিয়ে দ্যাখো টেলিপ্রিন্টারের এই লেটেস্ট মেসেজ।
এই বলে সেদিনকার হিন্দুস্থান স্ট্যান্ডার্ডের এক কপি আর টেলিপ্রিন্টারে আসা সংবাদ এজেন্সি পিটিআই ও ইউএনআই-এর চারটে ক্রিড আমার হাতে দিলেন। বললেন,
– খবরটা ছোট, তাই তিন-চার প্যারার মতো করে এডিট করো। সিঙ্গল কলাম নিউজ, তাই তিন লাইনে সিঙ্গল কলাম হেডিং করো একটা। আঠারো পয়েন্টের হেডিং।
সেদিন অবধি বিশেষ তথ্য আসেনি বলে খবরটা ছোট ছিল, দিন দুয়েকের মধ্যে বড় হয়ে প্রথম পাতার জায়গা করে নিল। খবর হল ভারতীয় সেনা খুলনার কাছাকাছি। দু’দিন পরের খবরে জানা গেল খুলনা বন্দরে বোমাবর্ষণে ছিন্নভিন্ন পাকিস্তানি নৌবহরের জাহাজ। আমার পিতৃপুরুষের দেশ খুলনার এই সব খবরে এক অদ্ভুত শিহরণ হত শরীরে। বাংলাদেশের যুদ্ধের খবর পড়তাম নিজের দেশের খবর মনে করে। এইটিন পয়েন্ট সিঙ্গল কলাম হেডিং করে ভঞ্জদাকে দিতে উনি দেখেই বললেন,
– বাহ্! বেশ খাসা হেডিং তো!
তারপর মন দিয়ে কপিটা পড়ে প্রেসে পাঠানোর জন্য বেয়ারা হরিকে ডাকলেন হাতের কাছে বসানো কলিং বেল থাবড়ে। আর পাঠিয়েই আর এক সেট কপি ধরালেন আমাকে। কানের পাশে মুখ এনে গলা নামিয়ে বললেন,
– যত কপি সামলাবে তত তাড়াতাড়ি কাজ শিখে যাবে।
আমার রিক্রুটমেন্টের মাসতিনেক আগে জনা চারেক আনকোরা নতুন সাব এডিটর নিয়োগ করেছিলেন অভীকবাবু। তখনকার ঝকমকে স্টেটসম্যানের সঙ্গে পাল্লা দেওয়ার জন্য এক নতুন ব্রিগেড। তাতে যারা হিন্দুস্থান স্ট্যান্ডার্ডে এল তারা প্রত্যেকেই এক একজন ব্রিলিয়ান্ট ছোকরা। ব্রিলিয়ান্ট রেজাল্ট, ইংরেজিতে সুপার দক্ষ এবং জার্নালিজম করার জন্যই কোয়ালিফাইং টেস্ট দিয়ে ঢুকেছে। পরবর্তীতে এরা সবাই দেদার নামও করেছে।
বড় নিউজ ডেস্কে ভঞ্জদার ঠিক উল্টো দিকে বসেছিল তীর্থঙ্করদা। তীর্থঙ্কর মুখার্জি। প্রসিদ্ধ ইংরেজির অধ্যাপকের মেধাবী পুত্র। পড়াশুনো এবং ইংরেজির দখল দারুণ। ভঞ্জদা দেখলাম গোছা গোছা কপি ওর দিকে ঠেলে দিচ্ছেন। বেজায় রসিক তীর্থঙ্কর একসময় বলেও বসল,
– এরপর বাড়িতে নিয়ে করার জন্যও এক গোছা ধরিয়ে দেবেন তো?
ভঞ্জদা সমেত সবাই আমরা হেসে ফেললাম। এভাবে ঘণ্টাখানেক চলার পর চা এল। চা কিনতে হত টিকিট দিয়ে। দাম দু’ আনা ঠিকই, কিন্তু টিকিট চাই। আর সেই সব টিকিট অফিসেরই এক ডিপার্টমেন্টে বিক্রি হয়। আমার আর টিকিট কোথায়? দেখলাম ভঞ্জদা-ই নিজের টিকিট থেকে ওঁর সঙ্গে আমারও চা কিনলেন। তখন টেবিলের আর একধার থেকে একজনের গলা ভেসে এল,
– ভঞ্জদা চায়ের দায়িত্ব নিলেন। বাকিটা আমি দেখে নেব।
বাকিটা কী? না, ছ’টা-সাড়ে ছ’টার টিফিন। ঠিক সময়ে এসে এক সুন্দর চেহারা ও হাসির যুবক এসে টিকিট কেটে আমার অমলেট, টোস্ট ও চায়ের ব্যবস্থা করল। বিশ্বজিৎ মতিলাল। উত্তর কলকাতার বনেদি পরিবারের ছেলে। সেই প্রথম জলখাবার থেকে যে বন্ধুত্ব গড়ল তা আজও অটুট। যদিও এর মধ্যে বিশ্বজিৎ স্টেটসম্যানে যোগ দিয়েছিলেন এবং কেরিয়ার শেষ করেছিলেন বিড়লাদের ব্যবসায়িক সংগঠনের সংযোগ বিভাগের বড়কর্তা হয়ে। ইদানীং আমি ও বিশ্বজিৎ ‘বইচিত্রকথা’ নামের এক সাহিত্যপত্রের মুখ্য উপদেশক। দেখা হলেই আমরা সেই অর্ধশতাব্দী প্রাচীন কথায় ফিরে যাই।

সন্ধে সাড়ে সাতটা নাগাদ নিউজ ডেস্কের পাশের অফিসঘর থেকে বেরিয়ে এলেন ধুতি-পাঞ্জাবি পরা মাঝারি হাইটের মোটাসোটা হাসিখুশি চেহারার নিউজ এডিটর ধীরেন দাশগুপ্ত মশাই। দীর্ঘদিন ধরে কর্মরত আছেন হিন্দুস্থান স্ট্যান্ডার্ডে। ভঞ্জদার মতো ওঁরও অবসর ঘনিয়ে এসেছে। যে জন্য প্রদীপ্তদাকে আনা হয়েছে স্টেটসম্যান থেকে। ডেস্কে এসে কর্মরত সাব এডিটরদের দিকে এক পাক তাকিয়ে নিয়ে বললেন,
– হাউ আর ইউ ডুইং মাই বয়েজ?
সবাই ওঁর দিকে চেয়ে একটু হাসতে উনি আমার দিকে চেয়ে বললেন,
– তুমি তো আমাদের নতুন ছেলে?
আমি হেসে মাথা নাড়তে বললেন,
– একবার আমার ঘরে এসো।
হাতের কপি শেষ করে ওঁর চেম্বারে যেতে প্রথম প্রশ্ন করলেন,
– চা খাওয়া হয়েছে?
বললাম,
– হ্যাঁ স্যার।
খবর হল ভারতীয় সেনা খুলনার কাছাকাছি। দু’দিন পরের খবরে জানা গেল খুলনা বন্দরে বোমাবর্ষণে ছিন্নভিন্ন পাকিস্তানি নৌবহরের জাহাজ। আমার পিতৃপুরুষের দেশ খুলনার এই সব খবরে এক অদ্ভুত শিহরণ হত শরীরে। বাংলাদেশের যুদ্ধের খবর পড়তাম নিজের দেশের খবর মনে করে।
অমনি কলিং বেল টিপে নিশির নামের বেয়ারাকে ডেকে বললেন,
– আমার জন্য দু’কাপ চা।
এই চা এল দামি চাইনিজ পোর্সিলিনের কাপ-ডিশে। এডিটরদের নিজস্ব ক্যান্টিন থেকে নিশ্চয়ই। কাপে চুমুক দিতেই শুনলাম,
– তোমার সুখ্যাতি করছিল অভীক। তাহলে নিশ্চয়ই জানো এই কাগজ করাই হয়েছিল নেতাজির লড়াইয়ে যোগ দিতে।
আমি নিচু কণ্ঠে বললাম,
– হ্যাঁ স্যার।
সঙ্গে সঙ্গে আমায় সংশোধন করে দিলেন ধীরেনবাবু, “এ কাগজের বুড়োরা সবাই আমরা সুভাষাইট। নেতাজির জন্যই আমরা স্বাধীনতা যুদ্ধে এসেছি। এখানে স্টেটসম্যানের মতো স্যার-ট্যার চলে না। হয় বাবু নয় দাদা। তুমি বড্ড ছোট, তুমি আমাকে বাবুই বোলো।
আমি নিঃশব্দে চা খেয়ে যাচ্ছি। ধীরেনবাবু ফের বলা শুরু করলেন,
– অভীক জেনেছে তুমি খুব ভালো ইংরেজি লেখো। আমি একটা ট্রাই নিতে চাই।
মুখ ফস্কে বেরিয়ে গেল,
– কীরকম স্যার?
তৎক্ষণাৎ ঠিক করে নিয়ে বললাম, “কীরকম, ধীরেনবাবু?” ধীরেনবাবু বললেন,
– পূর্ব বাংলা থেকে যে হাজার হাজার শরণার্থী এসেছে এদিকে, তাদের থেকে দেড় দু’হাজারকে গোবরডাঙারএক ক্যাম্পে রেখেছে আইসিআই কোম্পানি। ওরা চায় ওদের এই কাজটা যদি আমরা ফ্ল্যাশ করি।
আমি বুঝে উঠতে পারছিলাম না এর সঙ্গে আমাকে ট্রাই নেবার কী সম্পর্ক। তাই চুপচাপ চা খাচ্ছিলাম। শুনলাম ধীরেনবাবু বলছেন,
– তুমি গিয়ে সব দেখেশুনে রিপোর্ট লিখবে। আমায় দেবে।
ফের মুখ থেকে প্রায় জেনেবুঝেই বেরিয়ে গেল, “থ্যাঙ্ক ইউ স্যর।” ধীরেনবাবু হাসতে হাসতে ফোন তুলে নিয়ে একটা নম্বর চাইলেন অপারেটারের কাছে। সে-ফোন আসতে ধীরেনবাবু কথা শুরু করলেন,
– গোটলা, দিস ইজ ধীরেন দাশগুপ্তা ফ্রম এইচ এস। আই অ্যাম সেন্ডিং মাই বয় টু কভার ইয়োর ক্যাম্প। প্লিজ অ্যারেঞ্জ টাইম অ্যান্ড ডেট অ্যান্ড অলসো হিজ ট্রিপ। লেট মি নো বাই টুমরো।
এরপর ফোন নামিয়ে আমায় বললেন,
– ব্যাপারটা হয়ে গেল। তৈরি হও যে-কোনও দিন যেতে হতে পারে।
চা শেষ করে ডেস্কে ফিরছি যখন, মনের কোণে এক অদ্ভুত বিস্ময়বোধ। এত সব ঘটে যাচ্ছে একই দিনে! শহরজোড়া অন্ধকারের মধ্যে এত আলো, এত আনন্দ খেলে যাচ্ছে মনের কোণে। বাড়ি ফেরার পথে রাস্তায় ট্রামের জন্য দাঁড়িয়ে দেখছি প্রায় নিশ্ছিদ্র অন্ধকার ধর্মতলা স্ট্রিট। শুধু দূর থেকে আসা বারো নম্বর ট্রামের আলোটাই দেখতে পাচ্ছি। ওই ট্রামেই আমি উঠব। ভাড়ার কুড়িটা পয়সা বার করে হাতে নিলাম। গিয়ে বসলাম সামনের একটা জানলার ধারে। পিছনের দু’সারি সিট জুড়ে আলোচনার বিষয় তখন যুদ্ধ, বঙ্গবন্ধু আর ইন্দিরা। (চলবে)
*পরবর্তী পর্ব প্রকাশিত হবে ৩০ ডিসেম্বর ২০২২
*ছবি সৌজন্য: Old Indian Photos
শংকরলাল ভট্টাচার্যের জন্ম ১৯৪৭ সালের ১৫ অগস্ট, কলকাতায়। ইংরেজি সাহিত্যে স্বর্ণপদক পাওয়া ছাত্র শংকরলাল সাংবাদিকতার পাঠ নিতে যান প্যারিসে। তৎপরে কালি-কলমের জীবনে প্রবেশ। সাংবাদিকতা করেছেন আনন্দবাজার গোষ্ঠীতে। লিখেছেন একশো ত্রিশের ওপর বই। গল্প উপন্যাস ছাড়াও রবিশংকরের আত্মজীবনী 'রাগ অনুরাগ', বিলায়েৎ খানের স্মৃতিকথা 'কোমল গান্ধার', হেমন্ত মুখোপাধ্যায়ের স্মৃতিমালা 'আমার গানের স্বরলিপি'-র সহলেখক। অনুবাদ করেছেন শক্তি চট্টোপাধ্যায়ের কবিতা থেকে সত্যজিৎ রায়ের চিত্রনাট্য পর্যন্ত।