জওহরলাল নেহরু বিশ্ববিদ্যালয় বললে ছবিটা ঠিক ফুটে ওঠে না। সে ছবি ঠিকঠাক দেখার জন্য বলতে হবে— জেএনইউ। জেএনইউ কেবল একটি বিশ্ববিদ্যালয় নয়, জেএনইউ একটি প্রতীক। এক ধরনের মানুষের কাছে স্বাধীন, নির্ভীক, প্রতিবাদী চেতনার প্রতীক। আর এক ধরনের মানুষের কাছে সুবিধাভোগী, উচ্ছৃঙ্খল, জাতীয়তাবিরোধী মানসিকতার প্রতীক। বিভিন্ন উপলক্ষে, বিভিন্ন ঘটনাকে কেন্দ্র করে জেএনইউ বার বার উত্তাল হয়ে ওঠে আর তার ঢেউ এসে লাগে দেশের সমাজের নানা পরিসরে, ওই দুই দল মানুষ দু’ভাগে ভাগ হয়ে পরস্পরের উদ্দেশে সওয়াল-জবাবের চোখা চোখা বাক্যবাণ ছুড়ে দিতে থাকে। জেএনইউ মাঝখানে দাঁড়িয়ে প্রশ্ন করে: বলো তুমি কোন দিকে? হুইচ সাইড আর ইউ অন?
গত কিছু দিন ধরে জেএনইউ’তে ধুন্ধুমার কাণ্ড চলছে হস্টেলের খরচ বাড়ানোর সিদ্ধান্তকে কেন্দ্র করে। যে খরচ অস্বাভাবিক রকমের কম, তা অস্বাভাবিক পরিমাণে বাড়ানোর কথা ঘোষণা করেছেন বিশ্ববিদ্যালয়ের কর্তৃপক্ষ। তার প্রতিক্রিয়ায় অস্বাভাবিক রকমের জোরদার প্রতিবাদে ফেটে পড়েছেন ছাত্রছাত্রীরা, দাবি তুলেছেন: ওই সিদ্ধান্ত সম্পূর্ণ ফিরিয়ে নিতে হবে। এ ধরনের ঘটনাপরম্পরার সঙ্গে শুধু এই বিশ্ববিদ্যালয় নয়, এ দেশের বহু প্রতিষ্ঠানই অত্যন্ত পরিচিত। যে পরিবর্তন একটা দীর্ঘমেয়াদি পরিকল্পনার মধ্যে দিয়ে সুষ্ঠুভাবে করা যেত, সেটাই হঠাৎ চাপিয়ে দেওয়ার চেষ্টা এবং তা বানচাল করার জন্য লাগামছাড়া আন্দোলন, তার পর পরিবর্তনের গোটা উদ্যোগটাই বিশ বাঁও জলে। আরও একবার যদি সেই ইতিহাসের পুনরাবৃত্তি ঘটে, তবে ‘সেই ট্র্যাডিশন সমানে চলছে’ বলার জন্য এস ওয়াজেদ আলিকে ডাকতে হবে না।
কিন্তু জেএনইউয়ের আন্দোলন দমন করতে পুলিশ প্রশাসন যেভাবে ঝাঁপিয়ে পড়েছে, সেটা কেবল ওই আন্দোলনের দাবিদাওয়া বা তার আদর্শগত ও বাস্তবগত প্রতিবাদের ব্যাপার নয়, এর মধ্যে লুকিয়ে আছে একটা অনেক বড় প্রকল্প। বস্তুত, সেটা খুব লুকিয়ে আছে এমন বলা যাবে না, বরং বেশ প্রকট হয়ে উঠেছে। সেই প্রকল্প প্রতিবাদী কণ্ঠস্বর দমনের। যেখানে যারা প্রতিবাদ করছে, তাদের বুঝিয়ে দিতে হবে যে প্রতিবাদ করা চলবে না, প্রতিবাদ করলে চাপ আছে। উচ্চশিক্ষার অঙ্গনে এই শিক্ষা দেওয়ার দরকার খুবই বেশি, কারণ সেই অঙ্গনেই মানুষ চিন্তাভাবনা করতে পারে, নিজের মতো করে ভাবতে পারে, নিজের মতো করে কথা বলতে পারে। সব দেশেই বার বার তাই হয়েছে। আমাদের দেশেও। সব বিশ্ববিদ্যালয়ে এই প্রতিবাদী স্বাধীন কণ্ঠস্বর শোনা যায় না, শোনা যায় খুব অল্প কয়েকটিতেই। যেমন কলকাতার যাদবপুর, যেমন দিল্লির জেএনইউ। আর ঠিক সেই কারণেই ক্ষমতাধারীরা বারংবার সেখানে ঝাঁপিয়ে পড়ে। উপলক্ষ পাল্টায়, ক্ষমতার স্বভাব পাল্টায় না।
সঞ্চারী মুখোপাধ্যায় হাসিখুশি, এমনকী যখন সেই মোড-এ থাকেন না, নিজেকে ঠেলে হিঁচড়ে হিহিহোহো’তেই ল্যান্ড করানোর চেষ্টা করেন। জাপটে ভালবাসেন আত্মীয়স্বজন, বন্ধুবান্ধব, সিরিয়াল, গান, রাস্তায় নেড়িবাচ্চার লটরপটর কান। পড়াশোনার সময় ফিল্ড করেছেন, হাতুড়ি দিয়ে পাথর ভেঙেছেন, গ্রামবাসীদের তাড়া খেয়েছেন, এক বার পাহাড় থেকে অনেকটা হড়কে পড়ে মুচ্ছো গেছিলেন, উঠে দেখেন, কবর! এক বার ম্যানেজমেন্ট কোর্সের অঙ্গ হিসেবে চিন গেছিলেন, রাত্তির দুটোয় সাংহাইয়ের রাস্তায় হারিয়ে গিয়েও কাঁদেননি। ফিউজ সারাতে পারেন, পাখার কার্বন বদলাতে পারেন, কাগজের চোঙ পাকিয়ে গাড়িতে পেট্রল ঢালতে পারেন, চিনেবাদাম ছুড়ে দিয়ে মুখে নিপুণ লুফতে পারেন। ব্যাডমিন্টন খেলার ইচ্ছে খুব, কিন্তু জায়গা ও র্যাকেট নেই। অরোরা বোরিয়ালিস যারা দেখেছে, তাদের একাগ্র ভাবে হিংসে করেন। দেশের বাড়িটা উনি বড় হওয়ার পর ছোট হয়ে গেছে বলে, আর আমির খান এক বার কার্টুন এঁকে দিয়েছিলেন— সে কাগজ হারিয়ে গেছে বলে, জেনুইন কষ্ট পান। এক বার ঈগলের রাজকীয় উড়ান আগাগোড়া খুব কাছ থেকে দেখেছিলেন।