বাংলা ছবিতে তাঁকে শেষ দেখা গিয়েছিল শিবপ্রসাদ মুখোপাধ্যায় এবং নন্দিতা রায়ের ‘কণ্ঠ’ ছবিতে। সেখানে তাঁর অভিনয় বিশেষ ভাবে প্রশংসিতও হয়। ক’দিন আগে লন্ডনে বিশ্বকাপ ক্রিকেটে বাংলাদেশের প্রতিনিধিত্বও করলেন জয়া আহসান। সূত্রের খবর, এ বছর এ পার বাংলার তিনটি ছবি রয়েছে জয়ার হাতে। তার মধ্যে একটি অতনু ঘোষের  ‘বিনি সুতোয়’-এর খবর আগেই এসেছে দর্শকের সামনে। ছবিতে জুটি বেঁধেছেন ঋত্বিক চক্রবর্তী এবং জয়া। ছবিতে জয়ার সাদামাটা এবং ঋত্বিকের আটপৌরে চেহারাও সামনে এসেছে। ‘বিনি সুতোয়’-এ একটি গানও গেয়েছেন জয়া। 

এই প্রথম জয়া-ঋত্বিক একসঙ্গে কাজ করলেও জুটি কিন্তু ইতিমধ্যেই জনপ্রিয়। শোনা গিয়েছে, সুরিন্দর ফিল্মসের পরের একটি ছবিতেও আছেন ঋত্বিক এবং জয়া। পরপর বেশ কয়েকটি সফল থ্রিলারের পরে প্রযোজনা সংস্থা একটি অন্য রকম রোম্যান্স দর্শকদের উপহার দিতে যাচ্ছে বলেই খবর। তবে এই মুহূর্তে এর চেয়ে বেশি আর কিছুই জানা যাইনি ছবি সম্পর্কে। যদিও জয়া এবং ঋত্বিক মানেই যে অন্য রকম একটা কেমিস্ট্রির আস্বাদ দর্শক পাবেন, তা আন্দাজ করাই যায়। 

জয়ার তিন নম্বর ছবিটি কলকাতা শহরে তাঁর অন্যতম প্রিয় পরিচালক কৌশিক গঙ্গোপাধ্যায়ের সঙ্গে। কৌশিক অনেক দিন ধরেই জয়াকে মনে রেখে একটি গল্প ভেবেছিলেন কিন্তু মাঝখানে অপরাজিতা আঢ্যকে মাথায় রেখে ‘মোটামুটি লাভস্টোরি’র চিত্রনাট্য লিখছিলেন। তবে আপাটট সেটি পিছিয়ে গেছে বলেই জানা যাচ্ছে। তবে জয়ার সঙ্গে ছবিটি এই মুহূর্তেই হয়তো শুরু হবে না, কারণ সুরিন্দরের ছবিটি আগে হলে সেটি নিয়ে জয়া ব্যস্ত থাকতে পারেন। কৌশিকও এই মুহূর্তে শিবপ্রসাদের প্রযোজনায় ছেলে উজান গঙ্গোপাধ্যায়কে নিয়ে ‘লক্ষ্মীছেলে’র প্রস্তুতি নিচ্ছেন। তবে জয়ার সঙ্গে ছবিটি তার আগেও শুরু করতে পারেন বলে শোনা যাচ্ছে।

এ ছাড়া জয়ার নিজের প্রযোজনায় ‘ফুড়ুৎ’ বলে একটি ছবির কাজও রয়েছে, তবে সেটি বাংলাদেশে। এ ছাড়া বাংলাদেশের প্রথম থ্রিডি ছবি ‘অলাতচক্র’ও নিয়ে আসছেন তিনি। ছবির প্রেক্ষাপটে রয়েছে ‘৭১-এর মুক্তিযুদ্ধ। জনপ্রিয় লেখক আহমেদ ছফার জীবনীনির্ভর এই ছবিটি। সিনেমা ছাড়াও অরিন্দম শীলের একটি ওয়েব সিরিজে কাজ করার কথা ছিল জয়ার। উনিশ শতকের বাঙালি মহিলা সিরিয়াল কিলার ত্রৈলোক্যকে নিয়ে সিরিজটি। তবে সেটি শেষ অবধি জয়া করবেন কি না, তা নিয়ে সন্দেহ রয়েছে।

banglalive logo

বাংলালাইভ একটি সুপরিচিত ও জনপ্রিয় ওয়েবপত্রিকা। তবে পত্রিকা প্রকাশনা ছাড়াও আরও নানাবিধ কর্মকাণ্ডে জড়িয়ে থাকে বাংলালাইভ। বহু অনুষ্ঠানে ওয়েব পার্টনার হিসেবে কাজ করে। সেই ভিডিও পাঠক-দর্শকরা দেখতে পান বাংলালাইভের পোর্টালে,ফেসবুক পাতায় বা বাংলালাইভ ইউটিউব চ্যানেলে।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *