অন্ধকারের ব্যাকরণ 

অভ্যাস করি অন্ধকারের ব্যাকরণ।
লণ্ঠন হাতে দাওয়ায় পা দিলেই –
ঝুঁটিবাঁধা ঝিঁঝিঁ, জোনাকি,
দপদপিয়ে বেড়ায়, লম্বা কথা বলে,
কত আবদার, ভয়ার্ত ছোঁক্ ছোঁক্।

আর একটু দূরে, ভয়াল জিহ্বা।
শাণিত দাঁত আর ক্ষিপ্র নখ নিয়ে
বড়সড় কিউবিকল জুড়ে–
একটা পৃথিবী বসে আছে।
লণ্ঠনের আলোর-বর্শার থেকে অনেকটা দূর।

করাল দৃষ্টির থেকে চোখ সরিয়ে–
আলো নিচু ক’রে, ফিরে আসি ভাবতেই-
কামড়াল কিছু, জ্বলে যাচ্ছে একপাশের গাল।
সজোরে এক চড়, প্রাণহন্তা।
অপরাধের তো একটা বিহিত হওয়া চাই!

পতঙ্গরা ঠিক জানে না, কোথায় কামড়াতে হয়-
তাই, প্রাণ যায়।

অলিপাব

ঘুরে চলেছি– আলো থেকে আলোয়,
পেরিয়ে যাচ্ছি – একের পর এক রেস্তোরাঁ।
কোথাও কোনও জায়গা নেই।
এপারে প্রহরী রেস্তোরাঁয়,
কাচের ওপারে কেউ এঁটো খাচ্ছে,
কেউ খাচ্ছে নিজেরটা,
কেউ নিজের চামচ অন্যের পাত্রে ডুবিয়ে দিল।

আমার কেমন ভয় করছে, শক্ত করে ধরে আছি
তোমার নিটোল বাইসেপ।
তুমি বললে, চলো, একটু দূরের দিকে যাই,
গোরস্থানের বেড়ার বাইরে, জাপটে ধরি-
ঠোঁট খাই।
সবাই তো আর জনময় হতে পারে না!
নির্জনতা সবার জন্য।
শুধু স্বাদই এসব মৌলিক তথ্য জানে।

 

*ছবি সৌজন্য: Pixabay

লেখক পেশায় ইঞ্জিনিয়ার। যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয় থেকে পড়াশোনা। কর্মসুত্রে দীর্ঘ কুড়ি বছর দিল্লিবাসী। তবুও বাংলা থেকে দূরে নন। কবিতা লেখার শুরু স্কুলজীবন থেকেই। দীর্ঘদিন 'এবং এখন' লিটল ম্যাগাজিন সম্পাদনা করেছেন। বিভিন্ন পত্রিকা আর অনলাইন ম্যাগাজিনের নিয়মিত লেখক।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *