এই বিভাগে প্রকাশিত প্রবন্ধের মতামত, দৃষ্টিভঙ্গি, বিশ্লেষণ ও আলোচনা লেখকের ব্যক্তিগত। প্রবন্ধের কোনও বক্তব্যের জন্য বাংলালাইভ ডট কম পত্রিকা দায়বদ্ধ নয়।
ভারতীয় অর্থনীতির আধুনিকীকরণের উদ্দেশ্যে ১৯৯১ সালে ভারত সরকার ইতিপূর্বেকার অর্থনীতি প্রায় সম্পূর্ণ পরিমার্জন করে এবং “উদারীকরণ, বেসরকারিকরণ এবং আন্তর্জাতিকীকরণ” পদ্ধতির সূচনা করে। এই আধুনিকীকরণের অন্যতম উদ্দেশ্য ছিল বৈদেশিক বিনিয়োগ, প্রযুক্তি এবং পরিষেবা দেশের অভ্যন্তরে আনয়ন। এই পরিবর্তিত অর্থনৈতিক পরিকল্পনায় সেই সময় কৃষিক্ষেত্র অন্তর্ভুক্ত করা হয়নি।
যদিও দেশের জিডিপি অর্থাৎ সামগ্রিক অর্থকরী উৎপাদনের ক্ষেত্রে কৃষির অবদান তুলনামূলকভাবে কম, তা সত্ত্বেও এই ক্ষেত্রটি বিশেষ গুরুত্ব দাবি করে কারণ আন্তর্জাতিক ক্ষুধা সূচক (গ্লোবাল হাঙ্গার ইনডেক্স)-এর সমীক্ষা অনুসারে একশো সাতটি দেশের মধ্যে ভারতের স্থান ৯৪ এবং সারা দেশের মোট শ্রমশক্তির ৫০ % কৃষিক্ষেত্রে নিযুক্ত।
কৃষিপণ্যের বাজার অনেক বেশি প্রযোগিতামূলক করে তোলার জন্য ২০০৩ সালে ভারতে কৃষি বাজার সংস্কার (এগ্রিকালচার মার্কেট রিফরমস) করা হয়। এর পর কৃষি বাজার সংক্রান্ত আইন সংশোধন করা হয় ২০১৭ সালে। এই আইন বলছে এগ্রিকালচারাল প্রোডিউস মার্কেট কমিটি (এপিএমসি)-র পাশাপাশি বেসরকারি ক্ষেত্রও কৃষিপণ্যের বাজার নিয়ন্ত্রণ করতে পারবে। এই আইন অনুযায়ী, কৃষকরা কৃষক সমিতির মাধ্যমে এবং কৃষি ও উত্পাদক সংস্থার (এফপিও মাধ্যমে স্বাধীনভাবে উৎপাদিত কৃষিজ পণ্য পাইকারি বাজারে দিতে পারেন, চুক্তিভিত্তিক কৃষি পণ্য উৎপাদন করতে পারেন, অঙ্গীকারবদ্ধ বিনিয়োগের (প্লেজ ফাইনানসিং) মাধ্যমে চাষ করতে পারেন, এবং পারস্পরিক চুক্তির ভিত্তিতে শস্য মজুত রাখতে পারেন। ২০১৬ সালে জাতীয় বৈদ্যুতিন কৃষি পণ্য মাণ্ডি (ই-নাম) প্রবর্তিত হয়েছে।
ভারতে কৃষি প্রাদেশিক নীতির আয়ত্তাধীন। এর ফলে পনেরোটি রাজ্য এপিএমসি আইন সংস্কার করেছে,তিনটি রাজ্য কেন্দ্রীয় সরকার প্রণীত আইনের আংশিক প্রণয়ন করেছে,দুটি রাজ্য এপিএমসি আইন প্রহণ করেনি। এগারোটি রাজ্যে ফল এবং সবজি এপিএমসি আইনের অন্তর্ভুক্ত নয়। যে রাজ্যগুলি এপিএমসি আইন অনুযায়ী রাজ্যের কৃষি আইন প্রণয়ন করেছে সেখানেও সেই আইন বাস্তবে এখনো সার্বিকভাবে প্রযুক্ত হয়নি। ২০২০ সালে প্রণীত কৃষি আইন সংশোধন অনুমোদিত হয়েছিল কেন্দ্রীয় সরকারের আনা অর্ডিন্যান্স বা অধ্যাদেশ অনুযায়ী।এই অধ্যাদেশ প্রয়োগে সংশোধিত আইন দ্বারা কেন্দ্রীয় সরকার দেশের আভ্যন্তরীণ এবং বহির্দেশীয় বাণিজ্যের ক্ষেত্রে বিশেষ বাণিজ্যিক অঞ্চল গড়ে তুলেছে যা এপিএমসি-র নিয়ন্ত্রণ বহির্ভূত। প্রাথমিকভাবে অধ্যাদেশের মধ্যমে এই বিল উপস্থাপিত হয় এবং পরে সংসদে অনুমোদন পায় এবং এই বিলকে সম্পূর্ণ আইনের মর্যাদা দিতে রাষ্ট্রপতি তাতে স্বাক্ষর করেন।
২০২০ সালে প্রণীত তিনটি সাম্প্রতিক আইন এইরকম:
১। দ্য ফারমার্স প্রোডিউস ট্রেড অ্যান্ড কমার্স (প্রোমোশন অ্যান্ড ফেসিলিটেশন) আইন ২০২০ (এফপিটিসি)
২। দি এসেনশিয়াল কোমোডিটিজ অ্যামেন্ডমেন্ট অ্যাক্ট ২০২০ (ইসিএ)
৩। ফারমার্স (এমপাওয়ারমেন্ট অ্যান্ড প্রোটেকশন) এগরিমেন্ট অফ প্রাইস এসুয়োরেন্স অ্যান্ড ফার্ম সার্ভিসেস অ্যাক্ট ২০২০ (এফএপিএএফএস)
এই তিনটি আইন পরস্পর সম্পর্কযুক্ত এবং নির্ভরশীল। প্রথম আইনটি খোলা বাজারের কথা বলে এবং প্রতিযোগিতার অনুমোদন দেয়। দ্বিতীয় এবং তৃতীয় আইনটি এই প্রতিযোগিতাকে সুনিশ্চিত করে। একে বলা যেতে পারে ভারতীয় কৃষিক্ষেত্রে ‘১৯৯১ মুহূর্ত’।
এই তিনটি সংশোধিত কৃষি আইন ভারতীয় অর্থনীতিতে একটি উল্লেখ যোগ্য অধ্যায় হিসেবে গণ্য হতে পারে। এই আইনের বলে কৃষক তাঁর উৎপাদিত পণ্য অবাধে বিক্রয় করতে পারেন, পণ্যের বাজারে যে মূল্যশৃঙ্খল, তার মধ্যে নিজস্ব পণ্য অন্তর্ভুক্ত করতে পারেন এবং কৃষিজাত পণ্যের বিক্রয়ার্থে একটি বৃহত্ সর্বসাধারণের জন্য উন্মুক্ত বাজারের অন্তর্ভুক্ত হতে পারে। এই আইনের বলে কৃষিক্ষেত্রে বেসরকারি বিনিয়োগ অর্গলমুক্ত হয়েছে। কৃষকেরা বৃহত্ পুঁজিসম্পন্ন ক্রেতার কাছে নিজের পণ্য বিক্রয় করতে পারছেন, যেমন খাদ্য প্রক্রিয়াকরণ সংস্থা, রফতানিকারক সংস্থা, বৃহত্ খুচরো বিক্রেতা । এছাড়াও বেসরকারি বিনিয়োগ মাধ্যমে কৃষকরা আরো অন্যভাবে উপকৃত হতে পারেন। ১৯৫৫ সালে প্রণীত এসেনশিয়াল কোমোডিটিজ আইন (ইসিএ)-এর নিয়ন্ত্রণ থেকে বেরিয়ে এসে তাঁরা কৃষি পণ্য মজুত সংক্রান্ত বিধিনিষেধের বাইরে চলে আসতে পারেন, এছাড়া হিমঘরের সুবিধা, কৃষিপণ্য মজুতের জন্য গুদামঘরের সুবিধা, পরিবহণ ও অন্যান্য সুবিধা তাঁরা বেসরকারি বিনিয়োগের থেকে পেতে পারেন।
কৃষি ক্ষেত্রকে অন্যান্য ক্ষেত্রের সঙ্গে এক করলে চলবে না কারণ এই ক্ষেত্রে উত্পাদন ও মূল্য নির্ধারণের নিয়মাবলি একেবারেই আলাদা। কৃষি ক্ষেত্রকে বুঝতে প্রয়োজন সহানুভূতি ও যত্ন।
উপরোক্ত বিষয়গুলি ছাড়াও এগ্রিকালচার ইন্ফ্রাস্ট্রাকচার ফান্ড (এআইএফ)-এর মাধ্যমে কৃষিপণ্যের বাজারের পরিকাঠামোগত উন্নয়ন, কৃষিপণ্যর স্বাস্থ্যসম্মত পরিচ্ছন্নতা, মাননির্ণয়, প্যাকেজিং, প্রাথমিক প্রস্তুতিকরণ ইত্যাদি বিষয়ে কৃষকেরা অনেক বেশি সুযোগসুবিধা লাভ করতে পারেন। ক্ষুদ্রচাষিদের রক্ষা করার জন্য এবং চাষিরা যাতে ন্যায্য মূল্যের জন্য দরদস্তুর করতে পারেন, সেই উদ্দেশ্যে সরকার কয়েকটি প্রকল্প রূপায়ণ করছে। যেমন দশহাজার কৃষক-উৎপাদক সংস্থা (এফপিও) গড়ে তোলা হয়েছে, যারা সরকার এবং ন্যাবার্ড (ন্যাশনাল ব্যাঙ্ক ফর এগ্রিকালচার এবং রুরাল ডেভেলপমেন্ট)-এর সাহায্য পাচ্ছেন।
এই তিনটি আইন একত্রিতভাবে ভারতে বাজার-সম্পৃক্ত কৃষিপণ্যে বিপ্লব আনতে সক্ষম হতে পারে।
কৃষি অর্থনীতির ভবিষ্যত্
গ্রাহক ব্যতীত দীর্ঘমেয়াদি লাভ তৈরি হতে পারে না। অধিকাংশ ক্রেতা শস্য ক্রয়ের জন্য সরকার নিয়ন্ত্রিত নির্ধারিত মূল্যের (এমএসপি)* অধিক মূল্য প্রদান করেন, যদিও সেই মূল্যের প্রায় কিছুই কৃষকের হাতে পৌঁছয় না। কৃষকরা যাতে তাঁদের ন্যায্য অধিকার অনুযায়ী মূল্যের ভাগ পান তার জন্য কৃষক ও গ্রাহকের মধ্যে প্রত্যক্ষ সংযোগ ঘটিয়ে তোলা প্রয়োজন। ১৯৯১ সাল থেকে বিভিন্ন কৃষক সংগঠন ঠিক এই দাবিটিই জানিয়ে আসছেন।
এখানে তিনটি সম্ভাবনা আছে:
১। সমস্ত এপিএমসি বাজার কৃষকদের হাতে তুলে দেওয়া, যাতে কৃষকসভাগুলি দালালচক্র হঠিয়ে দিতে পারে । এভাবে কৃষকরা এপিএমসি বাজার এবং তার বাইরেও বাজারগুলির এবং কৃষিপণ্য মূল্য নির্ণয়ের ক্ষেত্রটি সম্পূর্ণ নিজেদের নিয়ন্ত্রণে আনতে পারেন। ক্রেতার ক্রয়ক্ষমতার নিরিখে কৃষকরা তাঁদের উত্পাদিত কৃষি পণ্যের মূল্য নির্ধারণ করতে পারেন। এপিএমসির নিয়ন্ত্রণ কৃষকের হাতে ছেড়ে দিয়ে রাজ্য সরকারগুলি কৃষকদের সাহায্য করতে পারে না কি? কৃষকরা আমুল এবং এই জাতীয় আরো কয়েকটি সংস্থা পরিচালনা করছেন। একই ভাবে তাঁরা এপিএমসিও পরিচালনা করতে পারেন। ক্রেতার সঙ্গে সরাসরি সংযোগের মধ্যমে কৃষকের পক্ষে বোঝা সহজ হবে কী ধরনের শস্য উত্পাদন করা প্রয়োজন।
২। আন্তর্জাতিক বাজারের কাছ থেকে অনেক কিছু শিক্ষণীয় আছে। ক্রমবর্ধমান এমএসপি বেসরকারি ক্ষেত্রে আমদানিকে উস্কে দেবে এবং ভারতের অর্থনীতিকে তা সরাসরি আঘাত করবে।
৩। ভারতবর্ষ আন্তর্জাতিক অর্থনীতির অঙ্গ। পণ্যের মূল্যবৃদ্ধির কারণে ভারতবর্ষ কোণঠাসা হয়ে পড়বে। কৃষিপণ্য প্রক্রিয়াকরণ শিল্পও মূল্যবৃদ্ধির কারণে ক্ষতিগ্রস্ত হবে। আমদানি বৃদ্ধি পাবে এবং রপ্তানির ক্ষেত্রটি অসুবিধের মধ্যে পড়বে। সুতরাং, মূল বিষয় হল কীকরে কৃষি ক্ষেত্রকে কৃষকদের জন্য লাভজনক করা যায় এবং পণ্যের বাজারে প্রতিযোগিতায় টিকিয়ে রাখা যায়। কৃষকদের জন্য. কৃষিক্ষেত্রের উন্নয়নের জন্য প্রয়োজন উন্নত প্রযুক্তি, উন্নত পরিকাঠামো, বাজার সম্পর্কে তথ্যলব্ধ জ্ঞান এবং নির্ভরযোগ্য পরামর্শ।
আইনের শৃঙ্খলে বাঁধা এমএসপি কৃষক ও অন্যান্য স্টেকহোল্ডারদের জন্য সমাধানের পরিবর্তে বহু সমস্যা নিয়ে আসবে। আমদানিকৃত কম মূল্যের পণ্য যদি বাজারে সুলভ হয়, তাহলে ক্রেতা ভারতীয় কৃষকের কাছ থেকে অধিক মূল্যে শস্য কিনতে চাইবে না।
পরিশেষে বলা যায় যে ভারতীয় কৃষিক্ষেত্রে কাঙ্খিত পরিবর্তন আনতে গেলে সরকারি পরিকাঠামোর ভেতরেও ব্যাপক পরিবর্তন আনা প্রয়োজন। সরকারের বিভিন্ন পরিসরে প্রস্তাবিত সংশোধিত আইন প্রয়োগের সঙ্গে সঙ্গে উন্নত ধরনের শস্য ব্যবহার এবং প্রাকৃতিক সম্পদ ম্যানেজমেন্ট (এনআরএম) প্রযুক্তি কৃষিক্ষেত্র এবং শ্রমিকের উত্পাদন ক্ষমতা বৃদ্ধি করতে পারে, কৃষিক্ষেত্র থেকে উদ্বৃত্ত শ্রমিকদের ফিরিয়ে এনে পুনরায় কৃষিক্ষেত্রে নিয়োগ করতে পারে এবং সেইসব শ্রমিকদের বিভিন্ন কৃষিপণ্য উত্পাদন ক্ষেত্রেও নিয়োগ করা যায়। আধুনিক উত্পাদন-পরবর্তী প্রযুক্তি গ্রহণ করা দরকার, যাতে যুবশক্তি কৃষিক্ষেত্রের প্রতি আকৃষ্ট হয় এবং এই ক্ষেত্রটি যুগোপযোগী প্রযুক্তির ফলাফল লাভ করে। কৃষিক্ষেত্রকে জীবনধারণের উপযুক্ত মাধ্যম হিসেবে গড়ে তোলাই আমাদের লক্ষ্য হওয়া উচিত্ এবং প্রাকৃতিক দুর্যোগ ছাড়া অন্য কোনও ক্ষেত্রে কৃষকদের অনুদান দেবার প্রবণতা বর্জন করা উচিত্। কৃষিক্ষেত্রের আইন সংশোধনীর মাধ্যমে যে ক্রেতা-কৃষক সরাসরি যোগসূত্র নির্মাণের ওপর জোর দেওয়া হচ্ছে তা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। সেইসঙ্গে খাদ্য ও পুষ্টি সুরক্ষা অর্জন করার লক্ষ্যে এগিয়ে যেতে হবে। কৃষি ক্ষেত্রকে অন্যান্য ক্ষেত্রের সঙ্গে এক করলে চলবে না কারণ এই ক্ষেত্রে উত্পাদন ও মূল্য নির্ধারণের নিয়মাবলি একেবারেই আলাদা। কৃষি ক্ষেত্রকে বুঝতে প্রয়োজন সহানুভূতি ও যত্ন।
*এমএসপি অর্থাত্ মিনিমাম সাপোর্ট প্রাইস হচ্ছে ভারত সরকার নির্ধারিত কৃষিপণ্যের মূল্য যে মূল্যে সরকার কৃষকের থেকে পণ্য ক্রয় করে।
**ছবি সৌজন্যে Pixabay
ড. সুমনকুমার মুখোপাধ্যায় একজন অর্থনীতিবিদ ও শিক্ষাবিদ। সুদীর্ঘ ৪৬ ধরে তিনি অধ্যাপক এবং গবেষক হিসেবে বিভিন্ন দেশী বিদেশি সংস্থার সঙ্গে যুক্ত ছিলেন যার মধ্যে এক্সএলআরআই, আইআইএসডব্লুবিএম, সেন্ট জেভিয়ার্স কলেজ কলকাতা, আইআইটি দিল্লি, উল্লেখযোগ্য। এছাড়াও সুমন কেন্দ্র ও রাজ্য সরকারের একাধিক উপদেষ্টা পর্ষদের সদস্য হিসেবে কাজ করেছেন। তিনি সেন্ট জেভিয়ার্স কলকাতা, সেন্ট স্টিফেনস দিল্লি ও দিল্লি স্কুল অফ ইকনমিকসের প্রাক্তনী। বর্তমানে অ্যাডভাইসরি বোর্ড অন অডুকেশন, গভর্নমেন্ট অফ ওয়েস্ট বেঙ্গলের সদস্য, চেয়ারম্যান ইন্টারন্যাশনাল মার্কেটিং অ্যান্ড বিজনেস কমিউনিটির সদস্য, ফেডারেশন অফ স্মল অ্যান্ড মিডিয়ম ইন্ডাস্ট্রিজের সদস্য, ওয়েস্ট বেঙ্গল ইকনমিকস সাব কমিটি, বিসিসিঅ্যান্ডআই, এমসিসিঅ্যান্ডআই, অ্যাসোচ্যাম ইত্যাদি বোর্ডের সদস্য। তিনি সেনার্স-কে নামক আন্তর্জাতিক উন্নয়ন বিষয়ের গবেষকদের সংগঠনের আজীবন সদস্য। বর্তমানে ভবানীপুর গুজরাটি এডুকেশন সোসাইটি কলেজের ডিরেক্টর জেনেরাল।