লাল মাটির রাস্তার চারদিকে এখন আগুন রাঙা পলাশ, কোনও এককালে পলাশ কুড়োনো ছিল নেশার মতো। ঝুড়ি ভরে পলাশ এনে শুকিয়ে নিয়ে ফুটিয়ে আর গুঁড়ো করে বানানো রং নিয়ে খেলা হত দোল— পলাশের রং মিশত আবির আর পিচকারির রঙের সঙ্গে, সারা পাড়া মেতে উঠত আনন্দে আর রঙের নেশায়। বড়দের প্রণাম আর রং মাখাতে গেলেই আবির-মাখা মুখে একটু আধটু আবির গুঁড়োর সঙ্গেই খাওয়া হত রকমারি মিষ্টি। নানার বাড়ির দোলের মিষ্টির স্বাদও আলাদা আলাদা। রকমফেরও কম না— কখনও মিষ্টি, কখনও ঠান্ডা শরবত, কখনও বা কুলফি।
বাঙালির জীবনে যে উৎসবই হোক না কেন, তা শেষ পর্যন্ত পরিণত হয় খাদ্য উৎসবে। আগের দিন রাতে পুরনো ঝরা পাতা, পুরনো জঞ্জাল আর পুরনো সব মলিনতা জ্বালিয়ে হোলিকা দহন দিয়ে উৎসবের সূচনা। আর পরদিন আবিরখেলা, দোল উৎসবের শেষের রেশ থাকে মিষ্টি মুখে। রাধা-কৃষ্ণের প্রেমের দোল হোক, বা শ্রীচৈতন্যদেবের জন্মতিথি উদযাপন, বা নিছক খুশির রং খেলা— সর্বত্রই মিষ্টি মুখ… মঠ, খাজা, গজা, জিলিপি, মালপোয়া, শরবত, প্যাঁড়া, ইত্যাদি কী নেই সেই লিস্টে!
আবির আর রঙের সঙ্গে মিষ্টিমুখের সেই স্মৃতিময় দিনগুলোর কথা মাথায় রেখেই এবার শুরু করা যাক রঙের উৎসবের প্রস্তুতি। এই পর্বে আপনাদের জন্য রইল হোলি স্পেশাল চাররকম মিষ্টি—

ঘি পোয়া

লবঙ্গ লতিকা

গুজিয়া

ঠান্ডাই শরবত
শ্রুতি অনেকদিন ধরে চক ডাস্টার নিয়ে স্কুলের ব্ল্যাকবোর্ডে ফিজিক্স লিখতেই স্বচ্ছন্দ। সামান্য ও এত ক্ষুদ্র মানুষ, যে জীবনেও কখন হাইজে়নবার্গস আনসার্টেনটি প্রিন্সিপল কাজে লেগে গেছে অজান্তে। বর্ধমানে থাকার অবস্থানটি এতটাই সুনিশ্চিত, যে পিএইচডি উত্তর, উচ্চশিক্ষার মোমেন্টাম সম্পূর্ণ অনিশ্চিত। হাজার মানুষের সঙ্গে কথা বলা শেষ হলেও বাকি থাকে নিশ্চিন্তে আকাশ নদী পাখি আর প্রজাপতির গল্প শোনা।