করোনায় কোথায় কতজনের মৃত্যু হয়েছে, কোথায় কতজন সংক্রমিত, এসব তথ্য এখন সমস্ত সচেতন পাঠকের আঙুলের ডগায়। সেসব প্রসঙ্গে না গিয়ে সরাসরি চলে আসি ভারতের কথায়। এখানে করোনা সংক্রমণের গ্রাফ এখনও ঊর্ধমুখী বা এক্সপোনেনশিয়াল। সকলের মনে প্রশ্ন উঠছে, আমাদের মুক্তির উপায় কী? এখানেই আসবে আমাদের ইমিউন সিস্টেম নিয়ে প্রাথমিক কিছু কথাবার্তার প্রসঙ্গ।

কোভিড-১৯ বা করোনা ভাইরাস ঘটিত যে ভয়ঙ্কর সংক্রমণের সময় আমরা অতিবাহিত করছি সেটা একেবারেই অচেনা, আগন্তুক। মানুষের শরীরের সঙ্গে এর কোনও পূর্ব পরিচয় ছিলনা। আরএনএ ভাইরাস ঘটিত যে মহামারি অতীতে হয়েছে – যেমন, ২০০২-৩-এ সার্স-কোভ-১ বা ২০১২-তে মূলত মধ্যপ্রাচ্যে সীমাবদ্ধ মার্স (MERS) – সেগুলোর থেকে এর চরিত্র ভিন্ন। এর গায়ে থাকা স্পাইক প্রোটিনের ফলে সাধারণ ফ্লু-র চেয়ে দশ গুণ বেশি এর সংক্রমণ ক্ষমতা। যদি আমাদের শরীরের ইমিউন সিস্টেম এর বিরুদ্ধে প্রতিরোধ ক্ষমতা বা ইমিউনিটি তৈরি করতে পারে তাহলেই একমাত্র স্থায়ী সমাধান হবে, যেমনটা হাম, পোলিও বা স্মল পক্সের ক্ষেত্রে হয়েছে। বিক্ষিপ্ত কিছু ঘটনা ছাড়া এ রোগগুলো এখন পৃথিবী থেকে নির্মূল হয়ে গেছে।
কীভাবে ইমিউনিটি গড়ে তুলব?
দু’ভাবে আমরা করোনা সংক্রমণের বিরুদ্ধে স্থায়ীপ্রতিরোধ ক্ষমতা বা ইমিউনিটি গড়ে তোলার কথা ভাবতে পারি। এবং এ দুটোই একমাত্র পরীক্ষিত কার্যকরী পথ।
১) সমষ্টিগত ইমিউনিটি বা হার্ড ইমিউনিটি – যদি ৭০% থেকে ৯০% জনসংখ্যার মধ্যে সংক্রমণ ঘটে (১০.০৪.২০২০-তে জন্স হপকিন্স বিশ্ববিদ্যালয়ের ব্লুমবার্গ স্কুল অব পাব্লিক হেলথের দেওয়া তথ্য অনুযায়ী) তাহলে আমরা হার্ড ইমিউনিটি অর্জন করেছি এমনটা ভাবতে পারি। এরকম একটা পরিসংখ্যান প্রায় অসম্ভব। নিউ ইয়র্কের মতো করোনা-বিধ্বস্ত শহরে যেখানে মৃত্যু হয়েছে ২৪,২৯৯ জনের (সমগ্র ভারতের চেয়ে অনেক বেশি) সেখানে শহরের সমগ্র জনসংখ্যার মাত্র ১২.৩ থেকে ১২.৭% আক্রান্ত হয়েছে। ফলে ওখানেও হার্ড ইমিউনিটির কোন ভরসা বৈজ্ঞানিকেরা দেখতে পাচ্ছেন না।
২) টীকা বা ভ্যাক্সিন
আমরা দুটো বিষয় নিয়েই একটু বিস্তারে কথা বলি। ভাইরাসের প্রজনন সংখ্যা (রিপ্রোডাকশন নাম্বার) দিয়ে এর গতিপ্রকৃতি এবং সংক্রামিত করার ক্ষমতা মাপা হয়। একে বলা হয় R0 – যা দিয়ে বোঝা যায় একজন সংক্রমিত মানুষ ক’জনের মধ্যে এই ভাইরাসকে ছড়িয়ে দিতে পারে। সংক্রমণের সময় সাধারণভাবে এ সংখ্যা ২-২.৫। চিনের য়ুহানে একসময়ে এটা ৪ অব্দি পৌঁছেছিল। এখন এর সংখ্যা ০.৩২-এর নীচে এসে পৌঁছেছে। এখানে আরও পরিষ্কার করে বলা দরকার।
এপিডেমিওলোজির ভাষায় সংখ্যাটি ১-এর নীচে গেলে সম্পূর্ণ সংক্রমণমুক্ত বলা যেতে পারে না। যেটা হয় তা হল সংখ্যাটি ১ এর নীচে গেলে নতুন করে সংক্রমণ হয়ে মহামারীর আকার ধারণ করার ক্ষমতা আর থাকে না। ১ এর নীচে গেলে নতুন সংক্রমণের সম্ভাবনা কমে যায়, নতুন ক্লাস্টার হবার সম্ভাবনা কমে যায়। একে সঠিক অর্থে সংক্রমণ মুক্ত বলা যায় না। Effective Reproduction Number 0.২৫ মানে আগে যদি R = ২ হয়ে থাকে যেখানে একজন মানুষ দুজনকে সংক্রমণ করছিল (R = ২ ), এখন উল্টোটা, ৪ জন সংক্রমিত ও আক্রান্ত লোক লাগবে একজনের মধ্যে সংক্রমণ ছড়াতে। অর্থাৎ, খুব বড় ক্লাস্টার ছাড়া আর রোগ টিকবে না। ফলে সংক্রমণ ছড়াতে প্রায় পারবেনা বললেই চলে। এটা ঠিক সংক্রমণমুক্ত নয়, তবে হার্ড ইমিউনিটি কিছুটা অর্জিত হয়েছে একথা বলা যায়। ক্লাস্টারগুলো খুলে গেলে আবার ছোট বড় মহামারী হতে পারে, যেমনটা চিনে কিংবা সিঙ্গাপুরে হচ্ছে।

হার্ড ইমিউনিটির ভরসায় আমরা বসে থাকলে সমগ্র দেশ উজাড় হয়ে যেতে বেশি সময় লাগবেনা। সর্বোপরি, এটা একটা দীর্ঘস্থায়ী প্রক্রিয়া। তাহলে বর্তমান মুহূর্তে আমাদের একমাত্র ভরসার জায়গা হ’ল ভ্যাক্সিন। ১৬ মার্চ, ২০২০-র খবর ছিল ন্যাশনাল ইন্সটিটিউটস অব হেলথ-এর তরফে করোনাভাইরাসের প্রথম ভ্যাক্সিন সফলভাবে প্রয়োগ করা হয়েছে। এর নাম দেওয়া হয়েছে mRNA-১২৭৩।
করোনার টীকা
সাধারণভাবে যে ভ্যাক্সিন তৈরি হয় এই ভাক্সিন তার থেকে ভিন্ন। এটা নিউক্লিক অ্যাসিড (ডিএনএ বা আরএনএ, এক্ষেত্রে আরএনএ) ভ্যাক্সিন। এ ভ্যাক্সিন দেওয়া হয় তুলনামূলকভাবে নতুন মাইক্রোনিডল অ্যারে (MNA) পদ্ধতিতে। আমাদের মনে সঙ্গত প্রশ্ন উঠবে এই Microneedle array ব্যাপারটা কী? সহজ করে বললে একজন মানুষের আঙ্গুলের ডগায় একটি প্যাচ (ছোট ব্যান্ড এইডের টুকরোর সঙ্গে তুলনীয়) লাগিয়ে দেওয়া হবে। এতে ৪০০টি ছোট ছোট স্পাইক প্রোটিনের নিডল বা সূচ থাকবে। এই সূচগুলো ত্বকের উপরিস্তরে (যেখানে ইমিউন প্রতিক্রিয়া সবচেয়ে বেশি ও শক্তিশালী হয়) দ্রবীভূত হবে। এই সূচগুলো সবকটাই শুগার এবং প্রোটিন দিয়ে তৈরি। ফলে সহজেই ত্বকে দ্রবীভূত হয়ে যায়।

আরেকটা উল্লেখযোগ্য ব্যাপার হল যে এই ভ্যাক্সিনকে সংরক্ষণের জন্য কোল্ড চেইনের আলাদা করে প্রয়োজন নেই। এমনকি গামা রশ্মি দিয়ে একে পরিশুদ্ধ করলেও এর কার্যকারিতা নষ্ট হয়না। উল্লেখ করা দরকার, যেকোনও ওষুধ, প্রযুক্তি বা ভ্যাক্সিনকে ৩টি ফেজের ট্রায়ালের মধ্য দিয়ে যেতে হয়। এখানে ফেজ-১, ২ এবং ৩ কিভাবে হয় জেনে নেওয়া ভালো।
Effective Reproduction Number 0.২৫ মানে আগে যদি R = ২ হয়ে থাকে যেখানে একজন মানুষ দুজনকে সংক্রমণ করছিল (R = ২ ), এখন উল্টোটা, ৪ জন সংক্রমিত ও আক্রান্ত লোক লাগবে একজনের মধ্যে সংক্রমণ ছড়াতে।
ফেজ-১-এ কয়েক ডজন স্বাস্থ্যবান ভলান্টিয়ারকে নিয়ে পরীক্ষা করা হয়। ফেজ-২-এ নেওয়া হয় কয়েক’শ মানুষকে। ফেজ-৩-এ সে পরীক্ষা করা হয় কয়েক হাজার মানুষের ওপরে – একে বলে ক্লিনিক্যাল ট্রায়াল। এখনও অবধি জেনেটিক মেটেরিয়াল – আরএনএ কিংবা ডিএনএ – থেকে তৈরি ভ্যাক্সিন FDA-র অনুমোদন লাভ করেনি। কিন্তু বর্তমান বিশ্ব পরিস্থিতি সম্পূর্ণ ভিন্ন। একধরনের আপতকালীন পরিস্থিতি তৈরি হয়েছে। সেই জন্যই সমস্ত সম্ভাবনা খোলা রাখা হয়েছে।
করোনা ভাইরাসের প্রতিরোধী ভ্যাক্সিন তৈরির দৌড়ে ৯০টিরও বেশি কোম্পানি রয়েছে। এর মধ্যে আমেরিকার মডার্না, চিনের সাইনোবায়োটেক এবং অক্সফোর্ডের বিজ্ঞানীরা অন্যদের থেকে এগিয়ে। কিন্তু আমাদের কাছে চিন্তার বিষয় হল অক্সফোর্ড বিশ্ববিদ্যালয়ের বিজ্ঞানীদের প্রথম ভ্যাক্সিন ট্রায়াল সফল হয়নি। মডার্না-র ব্যাপারেও নিশ্চিত করে কিছু বলার মতো অবস্থা এখনও আসেনি। ভ্যাক্সিনের ভবিষ্যৎ এবং কার্যকারিতা নিয়ে নেচার-এর মতো পত্রিকায় মন্তব্য করা হচ্ছে – “The picture is so far murky…Coronavirus Vaccine Trials Have Delivered Their First Results — But Their Promise is Still Unclear” (ছবিটা আখনও আশাব্যঞ্জক নয়। করোনা ভাইরাস টীকার পরীক্ষার প্রাথমিক ফল পাওয়া গেছে কিন্তু তার কার্যকারীতা সম্পর্কে নিশ্চিত করে কিছু বলা যাচ্ছে না)।
ফেজ-১-এ কয়েক ডজন স্বাস্থ্যবান ভলান্টিয়ারকে নিয়ে পরীক্ষা করা হয়। ফেজ-২-এ নেওয়া হয় কয়েক’শ মানুষকে। ফেজ-৩-এ সে পরীক্ষা করা হয় কয়েক হাজার মানুষের ওপরে – একে বলে ক্লিনিক্যাল ট্রায়াল।
ফলে আরও কিছুদিন অনিশ্চয়তা এবং আতঙ্কের প্রহর গোনা ছাড়া সামান্য বিকল্পই আমাদের সামনে খোলা আছে, যেমন সবাই জানেন – (১) পার্সোনাল/সোশ্যাল ডিস্ট্যান্সিং দূরত্ব রক্ষা করা (অন্তুত ৬ ফুটের বেশি), (২) যেকোন জিনিস ব্যবহারের আগে এবং পরে সাবান জলে ২০ সেকেন্ড ধরে হাত ধোওয়া বা অন্তত ৬০% অ্যালকোহল যুক্ত স্যানিটাইজার ব্যবহার করা, (৩) বাইরে বেরোলে আবশ্যিকভাবে ফেস মাস্ক (১০” লম্বা ও ৬” চওড়া টি-শার্টের দুটি খণ্ডকে ভালো করে সেলাই করে) ব্যবহার করা, এবং (৪) সামাজিক জমায়েত এড়িয়ে চলা। এগুলো কতদিন রক্ষা করতে হবে তা আমরা এবং বিজ্ঞানীরা জানেন না। কারণ, ভাইরাসটি এখনও এর শক্তি, সংক্রমণক্ষমতা এবং মারণক্ষমতা হারায়নি। এর প্রায় ২০০টি বিভিন্ন স্ট্রেন পাওয়া গেছে বিভিন্ন অঞ্চলে। এর দ্রুত মিউটেশনের ক্ষমতাও আছে।
ইমিউনিটির গোড়ার কথা
আমাদের ইমিউন সিস্টেম একটি জটিল নেটওয়ার্ক যার মধ্যে শরিরের শ্বেত কণিকার বিভিন্ন কোশ আছে, আছে রক্তে সংবাহিত প্রোটিন এবং তার বিভিন্ন রূপ যেমন অ্যান্টিবডি, কমপ্লিমেন্ট সিস্টেম, ইন্টারলিউকিন-১। আছে বিভিন্ন ধরনের ন্যাচারাল কিলার সেল। এছাড়াও রয়েছে রয়েছে মানবদেহের লিম্ফ্যাটিক সিস্টেম বা লসিকাতন্ত্র, প্লিহা, রক্ত মজ্জা বা বোন ম্যারো এবং থাইমাস।

এরা সবাই মিলে একজন আরেকজনের সঙ্গে সংযোগ রক্ষা করে এবং জুড়ে কী করে? শরীরকে ব্যাক্টেরিয়া, ভাইরাস, টিউমার, ক্যান্সার কোশ এবং অন্যান্য অজানা আক্রমণকারীর হাত থেকে বাঁচানোর চেষ্টা করে যায় শেষ অবধি। একে আমরা বলি ইমিউনিটি। ভ্যাক্সিন এই ইমিউনিটিকে বাড়িয়ে তোলে। কিছু ক্ষেত্রে এই ইমিউনিটি সারাজীবন কাজ করে, যেমন স্মল পক্স। আবার কোনও ক্ষেত্রে কয়েক মাস বা এক বছর যেমন, ফ্লু, হেপাটাইটিস, টিটেনাস ইত্যাদি।
ইমিউনিটি প্রধানত দুধরনের হয় – (১) সহজাত বা innate, (২) অ্যাডাপ্টিভ বা অর্জিত। এছাড়াও আরেকধরনের ইমিউনিটির হদিস বিজ্ঞানীরা পেয়েছেন। একে বলা হচ্ছে “ট্রেইন্ড ইমিউনিটি” – উদ্ভিদে বা অমেরুদণ্ডীদের ক্ষেত্রে একে দেখা গেছে। এই বিশেষ ইমিউনিটিকে মানুষের ক্ষেত্রে ভ্যাক্সিনের কার্যকরী সহযোগী ইমিউনিটি হিসেবে ব্যবহার করা হচ্ছে। সায়ান্স পত্রিকায় (২২.০৪.২০১৮) এই বিশেষ ইমিউনিটি সম্বন্ধে ব্যাখ্যা করা হয়েছে যে মানুষের ইমিউন সিস্টেমের ক্ষেত্রে আগের থেকে “আনরেকগনাইজড” এক নতুন ইতিবাচক চরিত্র।
শরীরে প্রাথমিক আক্রমণের প্রতিরোধ দূর্গ হচ্ছে সহজাত বা innate ইমিউনিটি। এটা নন-স্পেসিফিক বা অনির্দিষ্ট। অজানা আক্রমণকারী দেখলেই শ্বেতকণিকার B cell রে রে করে প্রচুর অ্যান্টিবডি তৈরি করে ঝাঁপিয়ে পড়ে। আর অ্যাডাপ্টিভ বা অর্জিত ইমিউনিটির ক্ষেত্রে শ্বেতকণিকার T cell অংশগ্রহণ করে। নির্দিষ্টভাবে শত্রুকে চিনে নিয়ে আক্রমণ করে। এর মধ্যে আবার কিছু মেমরি সেল থাকে যারা স্মৃতি থেকে বুঝে নেয় শত্রুটিকে আগে দেখেছিল কিনা। সে অনুযায়ী প্রতিরোধের হাতিয়ার সাজায়।
এই ইমিউনিটিকে নিয়েই, এদের সংসারকে নিয়েই আমাদের বেঁচে থাকা, সুস্থ থাকা। করোনা আক্রমণের সময়ে একটি ভ্যাক্সিনের সন্ধানে ছুটে চলা যাতে মানব জাতি বাঁচে।
পেশায় ডাক্তার। শিক্ষা, স্বাস্থ্য, সংস্কৃতি বিষয়ে গবেষণায় নিযুক্ত। বিভিন্ন পত্রপত্রিকায় লেখালেখি করেন। বর্তমান ঠিকানা রায়গঞ্জ।
সময়োপযোগী দারুণ লেখা, অনেক কিছু জানলাম
বাংলায় সহজবোধ্য লেখা। আমি বুঝলাম।সকলে বুঝলে তবেই শান্তি আপাতত হলেও। কি বলো ?
মাতৃভাষায় এ এক অভূতপূর্ব রিসার্চ ওয়ার্ক। খুবই ভাল লাগল আপনার সাবলীল বাংলায় তথ্য সমৃদ্ধ লেখাটা পড়ে।
ভ্যাকসিন তৈরী নিয়ে আরো একটু বিস্তারিত লিখলে ভাল হত।বিশেষত NIH এর RNA vaccine এবং অক্সফোর্ড এর Vaccine।
জটিল বিষয়কে খুব সহজে ও সাবলীল ভাবে উপস্থাপন করেছেন। উপকৃত হলাম
আপনার লেখা বরাবরই ভালো হয়। এটাতেও বেশ সমৃদ্ধ হলাম।
পরবর্তী কোন লেখায় – এখানে কিংবা অন্যত্র – ভ্যাক্সিন তৈরি নিয়ে আরও বিস্তারিত আলোচনা করবো। অক্সফোর্ড ট্রায়াল নিয়ে খুব বিশদে কিছু বলার। কারণ যেটুকু ডেটা পাওয়া গেছে তা খুব বিস্তৃত আলোচনার মতো নয়। তবে যে দ্রুততায় ভ্যাক্সিন তৈরির চেষ্টা চলছে তাতে সবসময় নির্ভুল হবে তেমনটা বৈজ্ঞানিক যুক্তি বলেনা।
এবং যদি ভ্যাক্সিন তৈরি হয় তা প্রধানত আমেরিকার জনতার কাজে ব্যবহৃত হবে। এটাকে ট্রাম্প প্রশাসন বলছে Warp Speed এবং America-First নীতি।
অক্সফোর্ড ট্রায়াল নিয়ে বিশেষ কিছু বলার নেই। এখনো পুরো ডেটা পাওয়া যায়নি। উল্লেখ করার আমেরিকার ভ্যাক্সিন তৈরি হচ্ছে আমেরিকার জন্য। সায়ান্স পত্রিকায় বলা হয়েছে (১২.০৬.২০২০) আমেরিকা ফার্স্ট নীতি নিয়ে ভ্যাক্সিন তৈরি হচ্ছে। ফলে অতি উচ্চ মূল্যে এই ভ্যাক্সিন কর্পোরেট পুঁজির মুনাফা বাড়াবে। মানুষের কতটা উপকার হবে বলা মুশকিল।
এ নিয়ে এখানে কিংবা অন্যত্র নিশ্চয়ই আবার লিখবো।
puro article ta porlam. Shotti vishon vabe opekkha korchi vaccine er jonno jate manob jati bache.