মাস ছয়েক আগের কথা। নাহ্, সেকেন্ড পিরিয়ডের পর নয়, যতদূর মনে পড়ছে… টিফিন আওয়ার্সেই সঙ্গীতা মাংসের চপের মতো একটা জিনিস হাতে তুলে দিয়ে বলল, খেয়ে বলুন তো, কী এটা? দাঁতে কেটে, রসাস্বাদন করে মনে হল চিকেনের কোনও প্রিপারেশন। বলেও ফেললাম সেটা। সঙ্গীতা হেসে বলল, না, এটা চিতল মাছের মুইঠ্যা। বললাম, তা-ই! তারপর স্বভাবসিদ্ধ রসিকতায় জুড়ে দিলাম, চিতল মাছের মুইঠ্যা খেতেই যদি ছেচল্লিশ বছর অপেক্ষা করতে হয়, তাহলে অমৃতের স্পর্শ পেতে আরও কত জন্ম অপেক্ষা করতে হবে কে জানে!

 আসলে এর আগে চিতল মাছের মুইঠ্যা কখনও চেখে দেখিনি। খাইনি বটে, কিন্তু নামটা শোনা ছিল। তবে এটাও সত্য, চিতল মাছ চিনতাম না। দু’-তিন বছর আগে— কী কারণে ঠিক মনে নেই— স্টাফরুমে চিতল মাছ হয়ে ওঠে আলোচ্য বিষয়। সে সময়েই চিতল সম্পর্কে কিছু জ্ঞান অর্জন করি। চিতল মিঠা জলের মাছ; সেটা পুকুরেও হয়— এমন সব তথ্য আর কী! তখন চিতল মাছ দেখিনিখাওয়ার কোনপ্রশ্নই ওঠে না। বাড়িতে কোনদিন চিতল মাছ ওঠেনি, কোন আত্মীয়-স্বজন, বন্ধুবান্ধবের বাড়িতেও চিতল-ভোগ গ্রহণের সৌভাগ্য অর্জিত হয়নি চিতল মাছ, বিশেষ করে চিতল মাছের মুইঠ্যা যে পাইস হোটেলে, কুলীন রেস্টুরেন্টে বা অভিজাত ফুডপ্লাজায় পাওয়া যায় সেই নবলব্ধ জ্ঞান তখন ছিল নাভিজ্ঞতার বাইরে

Chital Macher muitha
চিতল মাছের মুইঠ্যা

একবিংশ শতাব্দীতে কেউ যদি ঈশ্বরের প্রতিস্পর্ধী হয়ে উঠতে পারে, তা হল সার্চ ইঞ্জিন গুগল। রণে-বনে-জলে-জঙ্গলে গুগলদেবকে স্মরণ করলেই তিনি সহায় হয়ে ওঠেন। এ বিষয়ে তিনি সকল ধর্মের সকল দেবতাকে গুনে গুনে দশ গোল দিতে পারেন। তা সেই গুগলদেবের শরণাপন্ন হয়ে অবশেষে একদিন চর্মচক্ষে চিতল মাছ দর্শনের পুণ্য অর্জন করলাম। দেখে খুব যে মোহিত হলাম তা নয়। অবশ্য অপছন্দেরও কিছু পেলাম না। এ তো আর নিজের ছেলের জন্য পাত্রী নির্বাচন করে বাড়িতে বৌমা নিয়ে আসার ব্যাপার নয়! তবে বুঝলাম চিতলের রূপে এমন বৈশিষ্ট্য আছে যে এরপর তাকে দেখলে অন্তত চিনতে পারব।

আরও পড়ুন- রম্যরচনা: বিজ্ঞানীদের ভ্যালেন্টাইন

 বাড়িতে অকারণে চিতল মাছ রান্না হয়নি এমন নয়। আমার শৈশব-কৈশোরে চিতল রান্না না হওয়াটাই ছিল স্বাভাবিক। বাড়ি, বিশেষ করে আমাদের পরিবারের আর্থ-সামাজিক অবস্থান এমন ছিল, তাতে অন্তত মাছে-ভাতে বাঙালি কথাটা খাটে না। প্রত্যেক দিন তো দূর কি বাত, সপ্তাহে একদিনও মাছ জুটত না। মাছ মাসে হয়তো বড়জোর এক-আধবার, তা-ও বাবা হাট থেকে সন্ধ্যার দিকে ভোলা মাছ নিয়ে ফিরলে। তখন খেয়াল করিনি বলে এখন মনেও পড়ে না সেগুলো লাল ভোলা ছিল, না সাদা! নিজেদের কোনও পুকুর ছিল না। তা-ই পুকুরের চারাপোনা বা অন্য মাছ খাওয়ার প্রশ্ন ওঠে না। বাবার ছিপ ফেলার শখ ছিল না, আমারও নয়। এইভাবে মাছ আসার সব রাস্তাই একরকম বন্ধ ছিল। তবে প্রায় মৎস্যশূন্য জীবনে ভরসা একটা ছিল— শীতকালে শুকিয়ে যাওয়া সরস্বতী খালের চেয়ো-খানা-খন্দ-ডোবা। অবশ্য পাঁক ঘুলিয়ে তুলে ফেলা শাল-শোল-ল্যাঠা-শিঙি-মাগুর ও আরও কত নাম-না-জানা মাছ খুব যে দখল করে বাড়ি আনতে পারতাম তা নয়। কারণ আমাদের মাছ ধরার মতো তেমন জাল বা মৎস্য শিকারের অন্যান্য সরঞ্জাম ছিল না। আমি বা বাবা ঘোলা জলে নেমে খালি হাতে মাছ ধরার ব্যাপারেও একদম পটু ছিলাম না। তবুও কেমনভাবে জানি না খালে মাছ ধরার দিনগুলোতে আমাদেরও মাছ রান্না হত।

মাছ না খাওয়া নিয়ে মায়ের একটা সূক্ষ্ম আক্ষেপ ছিল। প্রায়ই বলত, বিয়ের আগে বাপের বাড়িতে কত রকমের কত মাছ খেয়েছি। আর কিছু না পারুক, তোর দাদু কখনও মাছ-মাংসের অভাব রাখেনি। আমার কপাল আর কী! সেই মাছ-মাংস জোগাড়ে তৎপর দাদু আমার জন্মের আগেই পৃথিবী ছেড়ে চলে গিয়েছিলেন। মামার বাড়ি গিয়ে মাছ খাওয়ার কথা আমার খুব মনে পড়ে না, তবে হাঁসের ডিমভাজা খাওয়ার স্মৃতি বেশ উজ্জ্বল। ঠান্ডা হয়ে যাওয়া একটু শক্ত সেই গাঢ় হলদেটে ডিমভাজা আমার মোটেও ভাল লাগত না, আজও লাগে না।

Chitala chitala
গুগলদেবের শরণাপন্ন হয়ে অবশেষে একদিন চর্মচক্ষে চিতল মাছ দর্শনের পুণ্য অর্জন করলাম

তবে সাম্প্রতিক সময়ে চিতল মাছ পাতে না ওঠার যথেষ্ট কারণ আছে। আমাদের এদিকে চিতল মাছের চল প্রায় নেই বললেই চলে। হাটে-বাজারেও চিতল যে নিয়মিত পাওয়া যায়, তা-ও নয়। বাড়ির লোকজনের পছন্দও চারাপোনা, পাকা কাতলা, মাঝারি পমফ্রেট অথবা ইলিশের মরসুমে ইলিশ ছাড়া অন্য কিছুতে খুব একটা ঘোরাফেরা না করায় বাড়িতে সেগুলোই আসে। চিংড়ি ছেলের খুব পছন্দের। কিন্তু তার মাতৃদেবীর অ্যালার্জির কারণে সেই চিংড়ি রন্ধনশালায় প্রবেশাধিকার-বঞ্চিত। এমতাবস্থায় হঠাৎ বাড়িতে চিতল আনার মতো পরিস্থিতি তৈরি হল কেন, তা একটু খোলসা করে বলি।

ওই যে বলছিলাম না গুগলদেব, তার-ই তুতো ভাই তথা ভাবশিষ্য ইউটিউব। যা নেই ইউটিউবে, তা নেই এই ভবে। ভবজগতের তাবৎ জিনিস টিউবগহ্বরে অপেক্ষমাণ। ‘হুকুম কিজিয়ে আকা’ বলে তার হাজিরা শুধু একটা ক্লিক অথবা ধ্বনি-আহ্বানের অপেক্ষা। তা একদিন গৃহিণীর আমন্ত্রণে ইউটিউবে হাজির হল চিতল— চিতল মাছের মুইঠ্যার রন্ধনপ্রণালী সমেত। আর সেই হাজিরা এমন গভীর ছাপ রেখে গেল যে, আমার উপর ফরমান জারি হল যত শীঘ্র সম্ভব মুইঠ্যা-রন্ধনোপযোগী চিতল মাছ বাড়িতে এনে হাজির করানোর। আমিও— শুধু লিঙ্গে ভুল হবে বলে ‘জো হুকুম, জাঁহাপনা’ উচ্চারণ করতে বাকি রেখে— চিতল আহরণে ব্রতী হব বলে প্রতিশ্রুতিবদ্ধ হলাম। 

বাড়িতে এই প্রথম নভেম্বর থেকে একজন কাজের দিদি সকাল সাড়ে দশটায় আসতে আরম্ভ করেছিলেন। তা তিনি, ডিসেম্বরের মাঝামাঝি একটু শীত পড়তেই জানিয়েছেন, অত্যধিক ঠান্ডায় তিনি জল ঘাঁটার কাজ করতে সক্ষম নন। তা-ই তিনি দিন পনেরো ছুটি নেবেন। কিন্তু গৃহ-সহায়িকায় সদ্য অভ্যস্ত বাড়ির পক্ষে এ যে কী নিদারুণ সংবাদ, তা শৈত্যাবকাশের ছুটি কাটানো দিদির পক্ষে বোঝা সম্ভব নয়! সে কারণে তাঁর পরিবর্তের প্রয়োজন দেখা দিল এবং নতুন গৃহ-পরিচারিকা সুনীতার আসার বন্দোবস্ত হল। আর সুনীতার যেদিন সকালে আসার কথা সেদিনই আমি চিতল ক্রয়ের মানসে বাড়ি থেকে বেরোলাম। গৃহিণী পই পই করে বলে দিয়েছিলেন, সুনীতা সাড়ে দশটায় আসার আগেই আমি যেন মাছ কিনে বাড়ি ফিরি। কিন্তু বাড়ি থেকে বেরোতেই আমার প্রায় দশটা বেজে গেল।

youtube
গুগলদেবের ভাই তথা ভাবশিষ্য ইউটিউব

মাকড়দহ বাজারে গেলে সচরাচর একজন মহিলার কাছ থেকেই দু’-তিন কেজি সাইজের কাতলা নিই। আঁশবঁটিতে বসে মহিলার বোন। কেজি দুয়েকের কাতলাটা সে কাটছিল। এমন সময় তাদের সামনে নিবেদন করলাম চিতল-বাসনা, কিছুটা সংকোচের সঙ্গেই। কিন্তু আমার কথা শুনে মাছ-বিক্রেতা দিদি যে এমন দয়ার অবতার হয়ে উঠবে তা ভাবতে পারিনি। আমাকে অবাক করে দিয়ে উঠে দাঁড়িয়ে সে তার সঙ্গে যাওয়ার জন্য আহ্বান জানাল। আমি মন্ত্রবৎ অনুসরণ করলাম তাকে। আর এক মাছওয়ালির কাছে আমাকে হাজির করিয়ে দিদি তাকে বলল, এই দাদাকে চিতল দাও তো। 

আমি পরিষ্কার জানালাম, দেখো, এর আগে আমি চিতল কিনিনি। মাছটা যদি ভাল হয় তবেই দিয়ো। 

মাছওয়ালি বলল, মাছটা ভাল। চারশো টাকা কিলো। আপনার কতটা চাই? কাটতে গিয়ে কিছুটা বেশি হলে কিন্তু নিতে হবে। এমনিতে আমি গোটা মাছ ছাড়া বেচি না। শুধু এই দিদি এয়েচে বলে।

কৃতজ্ঞ চিত্তে দিদির দিকে একবার তাকিয়ে নিয়ে আমি বললাম, সে ঠিক আছে। তুমি পাঁচশোর মতো কাটো। আর মুইঠ্যার জন্য রেডি করে দিয়ো। 

তারপর মোবাইলে টাইম দেখে নিয়ে বললাম, কিন্তু একটু তাড়াতাড়ি।

মাছওয়ালি আমার দিকে একবার চোখ তুলে জানাল, তাড়া থাকলে সে মাছ রেডি করে দিতে পারবে না। শ’পাঁচেক মাছ শুধু সে গোটামাছ থেকে কেটে দেবে।

আমি প্রমাদ গণলাম। আঁশবটি না থাকা বাড়ির কথা চিন্তা করে বললাম, সময় লাগুক। তুমি রেডি করেই দাও।

চিতল
মাছওয়ালি বলল, মাছটা ভাল। চারশো টাকা কিলো

মাথাটা কেটে বাদ দিয়ে, মাথার দিক থেকে চিতলটাকে মাছওয়ালি এমন কাটল ওজন দাঁড়িয়ে গেল প্রায় সাতশো। দুশো আশি টাকাই লাগবে, জানাতে আমি ওজন নিয়ে একটু খুঁতখুঁত করে বললাম, ওজনে একটু টান হচ্ছিল না! উদার হয়ে মাছওয়ালি বলল, ঠিক আছে, আপনাকে মাছের মুড়োটাও দিয়ে দিচ্ছি।

 আমি মুড়ো নিতে সম্মত হলাম না। দুটো কারণে। প্রথমত, মুড়োটা আমার ঠিক পছন্দসই লাগছিল না। দ্বিতীয়ত, মুড়োটা নিয়ে ঠিক কী রান্না করা সম্ভব, সেটা সম্পর্কে আমি পূর্ব ধারণারহিত ছিলাম এবং মুইঠ্যার বাইরে কোনও পদের কথা আমার অবচেতনেও ছিল না।

 চিতলের গাদাটা মাছওয়ালি একটা ছোকরার দিকে ছুড়ে দিল। ছোকরা একটা শক্তপোক্ত আঁশছাড়ানো-চামচ দিয়ে ঘষে ঘষে চিতল-গাদার আঁশ তুলতে বসল। আমি ভাবলাম আঁশ তোলা হয়ে গেলে চামচ দিয়ে গাদাটা থেকে কুরে কুরে মাছ বের করে দেবে। আমার একটা আবছা ধারণা ছিল মুইঠ্যা করতে গেলে চামচ দিয়ে কোরা মাছ লাগে। কিন্তু মাছ না কুরে ছোকরা মাছটা তুলে দিল মাছওয়ালির হাতে। সে মাছটা নিয়ে গাদা থেকে প্রথমে পেটি আলাদা করল এবং তারপর গাদা-পেটি কেটে পিস পিস করতে লাগল।

 আমি জানতে চাইলাম, এগুলো থেকে মুইঠ্যার মাছ বের করব কী করে?

 মাছওয়ালি বেমালুম বলে দিল, একজন দিদিমণি তো এমন করেই কেটে মাছ নিয়ে যায়। বলে তো, জলে ফেলে পিসগুলো সেদ্ধ করলে ভেসে ওঠে। তারপর কুরে নিয়ে কী করে যেন রান্না করে! আমি বাপু কোনওদিন ওসব রাঁধিনি।

Kalighat pat

আর কথা না বাড়িয়ে মাছের দাম মিটিয়ে চিতল-পিস নিয়ে বাড়ির পথ ধরলাম। ঘড়ির কাঁটা তখন সাড়ে দশটা ছাড়িয়েছে। বাড়ি ফিরে দেখি সুনীতা এসে হাজির। তাকে কাজ বুঝিয়ে দিতে ব্যস্ত গৃহকর্ত্রী আমার দেরি নিয়ে আর মাথা ঘামালো না। স্বস্তির নিঃশ্বাস ফেলে গৃহিণীকে মাছওয়ালির কথামাফিক মাছের পিস সিদ্ধ করে কুরে নেওয়ার কথা বলে, পঁচিশে ডিসেম্বরের ছুটি ছাব্বিশে ডিসেম্বরে পাওয়ায়, তা উপভোগ করার জন্য আড্ডা দিতে বেরোলাম।

 বাড়ি ফিরতে আকস্মিক গৃহিণীর সুমধুর সম্ভাষণ এবং সুললিত বাক্যবাণ বর্ষণের প্রবল তোপে উড়ে যাওয়ার মতো পরিস্থিতির সম্মুখীন হলাম। পরিস্থিতি কিছুটা স্বাভাবিক হলে বিপর্যস্ত আমি সাইক্লোনের প্রেক্ষাপট অবহিত হয়ে নিজের নির্বুদ্ধিতা সম্পর্কে নিঃসংশয়চিত্ত হলাম। কিন্তু ভেবে পেলাম না মাছওয়ালির নির্দেশ ধ্রুব সত্য বলে মেনে নেওয়ায় আমি যদি নির্বোধ বলে প্রতিপন্ন হই, তা হলে নিজেকে রন্ধন-পটিয়সী মনে করা ইউটিউব শিক্ষিত গৃহিণী আমার কথা অনুযায়ী রান্না করতে গিয়ে সব তালগোল পাকিয়ে ফেলার পরও কী করে নিজেকে নির্দোষ মনে করে আত্মতৃপ্তি লাভ করতে পারে এবং নিজের বিবেচনাবোধ সম্পর্কে এমন সংশয়হীন থাকতে পারে!

 তবু সব যে বাতিল হয়ে গিয়েছিল তা নয়। সিদ্ধ চিতল-পিস থেকে যেটুকু মাছ সংগ্রহ করা সম্ভব হয়, তা-ই দিয়েই মুইঠ্যা তৈরি করে ভাতের সঙ্গে পাতে দেওয়া হল। কিন্তু তা মুখে পুরে আর দাঁত দিয়ে কাটার প্রয়োজন অনুভব করলাম না। এমনিই দাঁতে শক্ত কাঁটা লাগল। আর কেমন একটা যেন ল্যাদল্যাদে ভাব। জানলাম সিদ্ধ মাছ অন্যান্য উপাদানের সঙ্গে মিশ্রিত অবস্থায় মুঠি পাকিয়ে ভাজার সময় ভেঙে যাচ্ছিল বলে তাকে ধরে রাখার প্রয়োজনে সামান্য ময়দা মেশাতে হয়। আর তাতেই মুইঠ্যার শক্ত ব্যাপারটা তার মধ্য থেকে অন্তর্হিত হয়েছে। আর সিদ্ধ মাছ থেকে কাঁটা তুলে ফেলার চেষ্টাও খুব একটা ফলপ্রসূ হয়নি। সঙ্গীতার খাওয়ানো মুইঠ্যার মধ্যে যে ভালো লাগার আস্বাদ পেয়েছিলাম, তার প্রায় কিছুই পেলাম না। কিন্তু নেতানো-কণ্টকাকীর্ণ মুইঠ্যা খেতে যেমনই লাগুক, এমন বিপর্যয়ের দিনে তা প্রকাশ করে দ্বিতীয়বার সাইক্লোন আহ্বানের বুকের পাটা আমার ছিল না।

 

*ছবি সৌজন্য: Wikipedia, Wikimedia Commons, WallpaperFlare, Facebook

Dilip Kumar Ghosh Author

পেশায় শিক্ষক দিলীপকুমার ঘোষের জন্ম হাওড়ার ডোমজুড় ব্লকের দফরপুর গ্রামে। নরসিংহ দত্ত কলেজের স্নাতক, রবীন্দ্রভারতী থেকে বাংলা সাহিত্যে স্নাতকোত্তর। নেশা ক্রিকেট, সিনেমা, ক্যুইজ, রাজনীতি। নিমগ্ন পাঠক, সাহিত্যচর্চায় নিয়োজিত সৈনিক। কয়েকটি ছোটবড় পত্রিকা এবং ওয়েবজিনে অণুগল্প, ছোটগল্প এবং রম্যরচনা প্রকাশিত হয়েছে। সাম্প্রতিক সময়ে 'সুখপাঠ' এবং 'উদ্ভাস' পত্রিকায় রম্যরচনা এবং দ্বিভাষীয় আন্তর্জালিক 'থার্ড লেন'-এ ছোটগল্প প্রকাশ পেয়েছে।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *