কঙ্গোতে লিওপোল্ডের কাণ্ড
ইউরোপের বিভিন্ন দেশে শিল্পবিপ্লব ত্বরান্বিত করার জন্য প্রাকৃতিক রাবারের প্রয়োজন। কঙ্গো থেকে তা সরাসরি রপ্তানি করা হত। রাবার সংগ্রহের জন্য দ্বিতীয় লিওপোল্ডের অকল্পনীয় বর্বরতার কথা ক্রমশ বিশ্বের বিভিন্ন প্রান্তে ছড়িয়ে পড়তে থাকে। বিশ্বব্যাপী নিন্দার ঝড় ওঠে। ব্রিটিশরা রজার কেসমেন্টের অধীনে কঙ্গোতে তদন্তের দল পাঠায়। তদন্তে কঙ্গোর জনগণের উপর লিওপোল্ডের অমানবিক নিষ্ঠুরতার বর্ণনা উঠে আসে। এই রিপোর্টের পর দ্বিতীয় লিওপোল্ডের সমালোচনায় যোগ দেন বিখ্যাত লেখক মার্ক টোয়েন এবং গোয়েন্দা গল্পকার স্যার আর্থার কোনান ডয়েল।
আর্থার কোনান ডয়েলের ‘দ্য ক্রাইম অফ দ্য কঙ্গো’ এবং মার্ক টোয়েনের ব্যাঙ্গাত্মক ‘কিং লিওপোল্ড’স সলিলোকি’ পুরো ইউরোপ জুড়ে জনমনে আলোড়ন সৃষ্টি করে। দ্বিতীয় লিওপোল্ডের উপর আন্তর্জাতিক চাপ বাড়তে থাকে। এদিকে দেশের পার্লামেন্টে লেবার পার্টি এবং ক্যাথলিক পার্টি, উভয় শক্তিশালী দলই দ্বিতীয় লিওপোল্ডের বিপক্ষে অবস্থান নেয়। অবশেষে ১৯০৮-এ বাকি ঔপনিবেশিক শক্তিরা দ্বিতীয় লিওপোল্ডের হাত থেকে কঙ্গোর শাসনব্যবস্থা সরিয়ে, সেটা বেলজিয়ান সরকারের (বেলজিয়ান সংসদ) হাতে তুলে দিতে বাধ্য হয়।
রাজা দ্বিতীয় লিওপোল্ড নিজে কিন্তু কোনওদিন কঙ্গো যাননি। নিজের চোখে কখনও দেখেননি তাঁর কর্মচারীদের কত নির্মম অত্যাচার। রাজার নজরে হয়তো পড়েনি কিন্তু তিনি এমন নৃশংস আচরণের খবর পেতেন না, এমনটা বিশ্বাস করা যায় না। রাজার অনুমোদন ছাড়া এমন ভয়াবহ নিপীড়ন কোনওমতেই সম্ভব নয়। অত্যাচার সব ঔপনিবেশিক শক্তিই তো করেছে, তাহলে অন্যদের সঙ্গে দ্বিতীয় লিওপোল্ডের তফাৎ কোথায়? তফাৎ দুটো। প্রথমটা হচ্ছে, ব্রিটেন, ফ্রান্স, নেদারল্যান্ডস্ এবং জার্মানি ইত্যাদি দেশ নিজেদের উপনিবেশগুলোকে সংখ্যায় কম হলেও বেশ কিছু অধিকার দিয়েছিল, যা দ্বিতীয় লিওপোল্ড কোনওদিন দেননি।
আর দ্বিতীয়, ফ্রান্স, ব্রিটেন ইত্যাদি দেশ নিজেদের উপনিবেশগুলিতে ইউরোপীয় ধাঁচের শিক্ষাব্যবস্থা চালু করলেও কঙ্গোয় তা হয়নি। শিক্ষার জন্য তো খরচ করতে হয়। আর তাতে দ্বিতীয় লিওপোল্ডের আপত্তি। যেটুকু শিক্ষার আয়োজন করা হল তার পুরোটাই মিশনারিদের হাতে চলে গেল। তাঁরা কিছু প্রাইমারি স্কুল তৈরি করে সেখানে বাইবেল পড়াতে লাগলেন। ফল হল এই যে, ১৯০৮-এ কঙ্গোতে ছিলেন ৫৮৭ জন মিশনারি, আর ওই চব্বিশ বছরে (১৮৮৪-১৯০৮) প্রাইমারি শিক্ষা পেয়েছিল মাত্র ৪৬,০০০ ছাত্রছাত্রী। যা কঙ্গোর জনসংখ্যার নিরিখে নগণ্য। আর মিশনারিরা ছাত্রদের বোঝালেন যে আফ্রিকার কোনও নিজস্ব ইতিহাস নেই। আফ্রিকার না আছে কোনও ঐতিহ্য, না কোনও কৃষ্টি বা সংস্কৃতি। মিশনারিদের মতে, ঔপনিবেশিক শাসন ব্যবস্থাই আফ্রিকার জন্য আদর্শ। এবং চার্চের পাদ্রি হওয়াই শিক্ষার একমাত্র লক্ষ্য। ফলে যে ক’জনের ইউরোপে গিয়ে উচ্চশিক্ষা নেওয়ার মতো অবস্থা ছিল, তারাও ইউরোপ যেতে পারত না। মজার ব্যাপার হল, শাসনব্যবস্থা বেলজিয়ান সংসদ তথা সরকারের হাতে চলে যাওয়ার পরও শিক্ষার কোনও উন্নতি হল না। বেলজিয়ান সরকারেরও বোধ হয় বদ্ধমূল ধারণা ছিল, যে কঙ্গোর মানুষ শিক্ষার উপযুক্ত নয়।
মুক্তি পেয়েও প্রশ্ন
ফলাফল? ১৯৬০-এ যখন কঙ্গো ঔপনিবেশিকতা থেকে মুক্তি পেল তখন জনসংখ্যা ১ কোটি ৩০ লক্ষ। তার মধ্যে মাত্র ১৬ জন স্নাতক। কোনও ডাক্তার বা ইঞ্জিনিয়ার নেই। আফ্রিকার অন্যান্য উপনিবেশ স্বাধীন হওয়ার পরে শাসনভার হাতে নেওয়ার জন্য দেশের উচ্চশিক্ষাপ্রাপ্ত ব্যক্তিরা তৈরি ছিলেন। কিন্তু কঙ্গোতে তেমন কেউ ছিলেন না। ফলে কঙ্গোর মতো একটা দেশ, যেখানে অনেক জনজাতি-উপজাতি, অনেক ধরনের সংস্কৃতি, স্বাধীনতার পরে সেই দেশকে এগিয়ে নিয়ে যাওয়ার জন্য তেমন কোনও বিদগ্ধ ও পরীক্ষিত নেতৃত্বের খোঁজ পাওয়া কঠিন হয়ে গেল।
ঔপনিবেশিকতার হাত থেকে মুক্তি পাওয়ার পর কঙ্গোর পরিস্থিতি নিয়ে বেলজিয়াম আদৌ চিন্তিত নয়। কঙ্গোর প্রাকৃতিক ও মানবসম্পদ ব্যবহার করে বেলজিয়ামের শ্রীবৃদ্ধি হয়েছে। ব্রাসেলস শহরের সুন্দর সুন্দর অট্টালিকা, বাগান, মিউজিয়াম দেখে সকলে বাহবা দেয়। ধন্য ধন্য করে। ছোট্ট বেলজিয়ামকে ইউরোপের অন্যান্য দেশের সমান করে তোলাই ছিল রাজা দ্বিতীয় লিওপোল্ডের একমাত্র লক্ষ্য। কিন্তু তার দাম কারা দিয়েছিল? ওই নাম না জানা কঙ্গোর মানুষগুলো। কেউ কি খবর নেন যে এগুলি তৈরি করার জন্য কত হাজার মিশ্র-রক্তের ক্রীতদাস নিয়ে আসা হয়েছিল? এদের মধ্যে অনেক ছোট ছেলেমেয়েও ছিল। যাদের পরিচয় metis অর্থাৎ মিশ্র। এদের পরের প্রজন্ম এখন বেলজিয়ান নাগরিক। আর তাদেরই এখন ক্ষোভ সবচেয়ে বেশি।

ব্রাসেলসের সব থেকে সুন্দর পার্ক বা বোটানিক্যাল গার্ডেন, যেটাকে বলে রয়্যাল গ্রিনহাউস, ব্রাসেলসের একটু বাইরে লেকেন বলে একটা জায়গায়। লোক আজকাল কম যায়। অদ্ভুত ভাল বোটানিক্যাল গার্ডেন। কিন্তু কে খবর রাখে যে পুরোটাই কঙ্গোর ক্রীতদাসদের দিয়ে ঘাড়ে ধরে তৈরি করানো হয়েছিল? তবে তাই বলে কি বেলজিয়ানরা খারাপ? একেবারেই নয়। এরকম মিশুকে জাত খুব কম দেখা যায়। অবশ্য নিজেদের অতীত সম্পর্কে অন্যদের মতোই একটু বেশি রকমের নির্বিকার। এটাও হতে পারে, যে তারা লজ্জা পায়। যেমন আজকের দিনে জার্মানিতে নাৎসিদের নিয়ে কথাবার্তা বলাটা শিষ্টাচার বিরোধী, অভদ্রতার পর্যায়ে পড়ে, প্রায় তেমনই ।
ওই বিষয়টা বাদ দিলে, বেলজিয়ামের মতো শান্ত, সুন্দর, ভদ্র দেশে বারবার আসতে ইচ্ছা করবে। কিন্তু বাদ কি সত্যিই দেওয়া যায়? বড় বড় মিউজিয়াম আর গির্জা দেখবার সময় কঙ্গোর ক্রীতদাসদের কথা মনে পড়বেই। ব্রিটিশদের অত্যাচার আর লুঠতরাজ আমরা কি ভুলতে পেরেছি, না ভুলতে চাই? কঙ্গোর লোকেরাই বা কেন চাইবে? কঙ্গোর লোকেরা এসব কথা মনে রেখেছে। আজ চল্লিশ হাজারের বেশি কঙ্গোর মানুষ বেলজিয়ামে থাকেন। কিন্তু তাঁদের রাগ বোধহয় এখনও যায়নি। রাজা দ্বিতীয় লিওপোল্ডের স্মৃতির বিরুদ্ধে যে ধারাবাহিক অভিযান চলছে, তাতে তাঁরাই এগিয়ে। এবং যুব সম্প্রদায়, তাঁরা সাদাই হোন কি কালো, তাঁদের সঙ্গে রয়েছে। তাঁদের দাপটে বন্ধ হয়ে যায় ‘রয়্যাল মিউজিয়াম অফ সেন্ট্রাল আফ্রিকা‘। ওখানে ২৭৬ জন কঙ্গোবাসীর প্রতিকৃতি ছিল। অবশ্য প্রতিকৃতি শব্দটা অতি ভদ্র। বাঘের বা ভালুকের ছালের মধ্যে ভুষো ভরে যেমন ট্যাক্সিডার্মি করা হয়, সেইরকম ২৭৬ জন কঙ্গোবাসীর ছাল ছাড়িয়ে তার মধ্যে ভুষো ভরে রেখে দেওয়া হয়েছিল।
এই রিপোর্টের পর দ্বিতীয় লিওপোল্ডের সমালোচনায় যোগ দেন বিখ্যাত লেখক মার্ক টোয়েন এবং গোয়েন্দা গল্পকার স্যার আর্থার কোনান ডয়েল। আর্থার কোনান ডয়েলের ‘দ্য ক্রাইম অফ দ্য কঙ্গো’ এবং মার্ক টোয়েনের ব্যাঙ্গাত্মক ‘কিং লিওপোল্ড’স সলিলোকি’ পুরো ইউরোপ জুড়ে জনমনে আলোড়ন সৃষ্টি করে। দ্বিতীয় লিওপোল্ডের উপর আন্তর্জাতিক চাপ বাড়তে থাকে। এদিকে দেশের পার্লামেন্টে লেবার পার্টি এবং ক্যাথলিক পার্টি, উভয় শক্তিশালী দলই দ্বিতীয় লিওপোল্ডের বিপক্ষে অবস্থান নেয়।
১৮৯৭-এ ব্রাসেলসের একট আন্তর্জাতিক মেলায় দেশের উপনিবেশের পরিচয় করিয়ে দেওয়ার জন্য মূল শহর থেকে একটু দূরে রাজা দ্বিতীয় লিওপোল্ড একটি অস্থায়ী প্রদর্শনীর আয়োজন করেন। জায়গাটা ব্রাসেলসের মফসসল টারভুরঁ (Tervuren)। তবে এখন ব্রাসেলস থেকে সরাসরি ট্রামে চড়ে যাওয়া যায়। রাজা-রাজড়ার অস্থায়ী শিবির তো আর সাদামাটা হতে পারে না। আমন্ত্রিত অতিথিদের মনে ঈর্ষার উদ্রেক না করাতে পারলে এত আড়ম্বরের সার্থকতা কোথায়! কালক্রমে সেই অস্থায়ী প্রদর্শনীর নাম বহুবার পাল্টিয়ে এখন হয়েছে ‘রয়্যাল মিউজিয়াম অফ সেন্ট্রাল আফ্রিকা‘। এই মিউজিয়ামের এক বাগানের নাম দেওয়া হয়েছিল Human Zoo, অর্থাৎ মানুষের চিড়িয়াখানা। সেখানেই রাখা ছিল মানুষের ট্যাক্সিডার্মি। এই নিয়ে এত জলঘোলা হয়েছে যে ২০১৩ সালে সংস্কারের অজুহাতে কর্তৃপক্ষ বাধ্য হয়ে মিউজিয়ামটাই বন্ধ করে দেয়।
ব্রিনডংক ফোর্ট-ও কঙ্গো থেকে নিয়ে আসা নির্যাতিত ক্রীতদাসদের শ্রমের ফসল। কানে লাগানো হেডফোন বা যান্ত্রিক গাইড এইসব তথ্য অনবরত বলে চলেছে। নির্মাণ কাজ সম্পূর্ণ হওয়ার আগেই ১৯০৯-এ রাজা দ্বিতীয় লিওপোল্ডের মৃত্যু হয়। ১৯১৩ সালে ব্রিনডংক ফোর্ট নির্মাণ সম্পূর্ণ হতে না হতেই শুরু হয়ে গেল প্রথম বিশ্বযুদ্ধ। সেই সময় শত্রুসৈন্যের উপর যথাযথ নজরদারির জন্য প্রতিবেশী শহর উইলেব্রয়েক-এর শ‘দুয়েক বাড়ি গুঁড়িয়ে দেওয়া হয়েছিল।

অন্ধকারের অন্দরে
চতুর্দিকে পরিখা পরিবৃত সিমেন্ট দিয়ে গাঁথা পাথরের ইমারত। আকারে, নকশায় অন্য যে কোনও দুর্গের মতোই। মূল ফটক পেরিয়ে ভেতরে প্রবেশ করতেই সামনে দীর্ঘ করিডর। প্রস্থ কম। ইটের আকারের কালো গ্রানাইট পাথর একের পর এক সাজিয়ে গড়ে তোলা মেঝেতে কোনও জৌলুস নেই। তবে পাথুরে মেঝের উপর ফৌজি জুতোর অবাধ বিচরণ যে ভয়াবহ শব্দ তৈরি করতে পারে, সে বিষয়ে সন্দেহ নেই। করিডরে দাঁড়িয়ে উপরদিকে তাকালে বোঝার উপায় নেই ছাদের উচ্চতা কত। করিডরের বিজলি বাতির আলো মেঝেকে উজ্জ্বল করলেও সিলিং তো অন্ধকারে নিমজ্জিত। সবমিলিয়ে আলো-আঁধারির আবহ।
করিডরে কোনও প্রাণের অস্তিত্ব নেই। বেশ গা ছমছম করা পরিবেশ। করিডরের দু’পাশে একের পর এক ঘর। প্রতিটি ঘরই আলোকিত, তবে ঝলমলে নয়। বাঁয়ে প্রথম ঘরটিতে জ্বলজ্বল করছে বেশ কয়েকটি নাৎসি কন্সেন্ট্রেশন ক্যাম্পের নাম। তালিকায় ব্রিনডংক ফোর্ট জায়গা পায়নি। তবে কি ব্রিনডংক ফোর্ট বনেদী কন্সেন্ট্রেশন ক্যাম্প নয়? কোনও ঘরে রাখা আছে এস এস বাহিনীর কর্মকর্তাদের ছবি। টাঙানো আছে তাঁদের পোশাক পরিচ্ছদ। এবং অবশ্যই তাঁদের নাম পরিচয়। এমনকী পোষ্য কুকুরের ছবিও দেওয়ালে লটকানো রয়েছে।
বন্দিদের উপর কুকুরের ঝাঁপিয়ে পড়ার দৃশ্য নাকি এস এস বাহিনীর কর্মকর্তারা দৈনন্দিন অবসর যাপনের সময় তারিয়ে তারিয়ে উপভোগ করতেন। বন্দিদের চাবুক মারার ছবিরও অভাব নেই। এসব ছবির একটাও নকল নয়। নাৎসি কর্মকর্তারা ওটো ক্রুফ নামের এক পেশাদার ফোটোগ্রাফারকে দিয়ে নিজেদের কীর্তিকলাপ নথিভুক্ত করার ব্যবস্থা করেছিলেন। যুদ্ধের পর এইসব ফোটো সাজিয়ে ঘটা করে প্রদর্শনী করা হবে, এমনটাই নাকি ভাবা হয়েছিল। ফোটোগ্রাফার তাঁর দায়িত্ব পালনে ত্রুটি রাখেননি। নেহাত যুদ্ধের দাপটে কর্তৃপক্ষর কাছে জমা দেওয়ার সুযোগ হয়নি। নিজের কাছেই প্রতিটি ছবি যত্ন করে রাখা ছিল। যুদ্ধের পর ব্রিনডংক ফোর্টকে জাতীয় সংরক্ষণ হিসেবে স্বীকৃতি দেওয়ার পর সেইসব ভয়াবহ দৃশ্যের ছবি সংগ্ৰহ করা হয়। তবে সবমিলিয়ে ৩৭টির বেশি ছবি উদ্ধার করা যায়নি।
ছবি সৌজন্য: অমিতাভ রায় ও উইকিমিডিয়া কমনস
প্রশিক্ষিত প্রযুক্তিবিদ ও পরিচিত পরিকল্পনাবিশারদ। পড়াশোনা ও পেশাগত কারণে দেশে-বিদেশে বিস্তর ভ্রমণের অভিজ্ঞতা। তার ফসল বেশ কয়েকটি জনপ্রিয় বই। জোয়াই, আহোম রাজের খোঁজে, প্রতিবেশীর প্রাঙ্গণে, কাবুলনামা, বিলিতি বৃত্তান্ত ইত্যাদি।
হিউম্যান জু! ট্যাক্সিডার্মি? শিউরে উঠেছি। 60 এর দশকে বেলজিয়ান কঙ্গো, প্যাট্রিস লুমুম্বা, মোবুতু ও ৎসোম্বে নামগুলোর সঙ্গে পরিচিত হয়েছিলাম। কিন্তু শিক্ষার ভয়াবহ অবস্থা !
লেখক অল্প কথায় নাজি সংস্কৃতি ও আজকের প্রেক্ষিতের রেখাংকন করেছেন।
অত্যন্ত দামি লেখা।
Greatly enjoyed. Mr Ray is a born writer. Wish he continues to write such articles.