মালতী অনেক করে বারণ করেছিল।
– আজ যেওনি। খপরে বারে বারে কইচে পোচন্ড ঝড় উইঠবে।
একটু থেমে অস্ফুটে বলেছে,
– সেবারের থিকেও পোকান্ড। বুকের ভিতরটা ধড়পড় করে আমার।
বউয়ের এমনধারা কথা শুনলে রতনের পাথুরে বুকের ভিতরে আউলা বাতাস বয়ে যায়। মালতীর কাজলা চোখে ঘনীভূত মেঘেদের আকুতি। স্খলিত আঁচলের পাহারা গলে উপচে পরা মধুভাণ্ডের ডাক রতনকে আউল বাউল করে তোলে। জাল ফেলা পেশিবহুল শরীর অবশ হয়ে আসে। ক্ষণিকের দ্বিধা ঝেড়ে ফেলে বউকে কাছে টানে। আদর করে বলে,
– চিন্তা করিসনি। একদম চিন্তা করিসনি, সোনা বউ। কাইল সন্ধ্যি, খুব বেশি হলি পরে পরের দিন দুকুরের মধ্যি বান্দা তর বুকের মধ্যি হাজির। কতা দিলাম।
ত্বরিত পায়ে জাল কাঁধে নদীর দিকে হাঁটতে থাকে। মনে মনে বলে,
– ঝড়েরে আর যেই ভয় পাক, এই রতন বাউরি পায় না। সব তো নিয়ে নিছিস, দেখি আর কী নিতি পারিস? পারিস তো এই বান্দারে নে দেখি, কত তর খেমতা।
নৌকার কাছি খুলতে খুলতে অজান্তে চোয়াল শক্ত হয়ে ওঠে। শরীরে বাঘের শক্তি আসে। এক অদৃশ্য প্রতিপক্ষের বিরুদ্ধে লড়াইয়ের মানসিক প্রস্তুতি নেওয়া শুরু হয়। মালতীর মুখ মনে পড়লে রতনের ভিতরের ক্রোধ স্তিমিত হয়ে আসে। বৈঠা চালানো হাত শ্লথ হয়। দুটো বিড়ি ধরিয়ে রতনের ঠোঁটে একটা গুঁজে দিতে দিতে কানাইদা বলে,
– কী রে রতনা, কী ভাবতিসিস? বউডার মুখ মনে পড়তিসে?
বিড়িতে টান দিয়ে জোরে জোরে বৈঠা ঠেলতে থাকে রতন। সত্যি আজ মনটা বড় আনচান করছে। মালতীর মুখটা বারে বারে মনে পড়ছে কেন? রতন ঠাহর পায় না। কচি কুমড়ো ডগার মতো নরম ওর বউ। বড় মায়া তার প্রাণে। আর তারেই কিনা ভগমান? একটা ক্রোধের বহ্নি বৈঠা-ঠ্যালা হাতে গতি আনে।
***
বিকেল গড়িয়ে আসা আকাশের লালিমা ক্রমশ ঘন কালো মেঘে ঢাকা পড়ছে। গতি বাড়ছে শনশন করে বয়ে যাওয়া হাওয়ার। ঘন ঘন বিদ্যুৎ চমক যেন বিপক্ষের তরবারির মতো ত্বরিতগতিতে নেমে আসছে। আবহাওয়া দফতর আজকাল অনেক আগে থেকে প্রকৃতির রুদ্র রূপের খবর জানিয়ে দেয়। নানা মাধ্যমে। সতর্ক হয়ে যায় পুলিশ, বিডিও অফিস, জলপুলিশ-সহ সংশ্লিষ্ট দফতরগুলি। রতন, কানাইরা অবশ্য জলের পোকা। আকাশের চেহারা, থমকে যাওয়া বাতাস, মেঘেদের আনাগোনা লক্ষ করে প্রকৃতির রূপ বদলের আঁচ পায়। কানাইও বলেছিল,
– আইজ কি না বেরুলে নয় রে, রতনা?

পুরন্দরের কাছে এসে মাতলা দু’ভাগে ভাগ হয়ে গেছে। একভাগ কুলতলি গরানবস হয়ে সুন্দরবনের দিকে গেছে। অন্য শাখা বাসন্তী, পাঠানকালি, সূর্যবেড়িয়া, মসজিদবাটি হয়ে বিদ্যেধরীর সঙ্গে মিশে যায়। আজ নৌকাকে পুরন্দর অবধি নিয়ে যেতে রতনের অনেক বেশি সময় লেগে যাচ্ছে। এলোপাথাড়ি ঝোড়ো হাওয়া যখন নৌকার গতিপথের উল্টোদিক থেকে বইছে, নৌকার গতি শ্লথ হয়ে পড়ছে। হাওয়া ভেদ করে ভেসে আসে মানুষের গলা,
– হেঁইও। কে যায়? রতন নাকি?।
গলাটা চেনা লাগে। নদীবক্ষে ঝাপসা আবহাওয়ায় অবয়বটাও। রতন চেঁচিয়ে উত্তর দেয়,
– রেজাবুলদা নাকি? হ্যাঁ গো আমি রতন। সঙ্গে কানাইদা আচে।
– হ, ঠিক কইছ রতন। অবস্থা ভালো না। আল্লার কী মতি কে জানে?
ক্রমশ দূরত্ব বাড়ে দুটো নৌকার। বড় অনিশ্চিত এই যাত্রাপথ। তবু বের হতে হয়। দুবেলা দুমুঠো গরম ভাতের তাগিদে। কথা বললে বুকের খাঁচায় হাওয়ার সঙ্গে সাহস মেশে। সব কোলাহল, বসতি থেকে ক্রমশ সরে যেতে থাকে। দূরে আরও দূরে। উত্তাল জলরাশির মধ্যে বৈঠা ঠেলতে ঠেলতে জানান দেয়,
– আমিও আছি, সাথী। তুমি একা নও।
বউয়ের এমনধারা কথা শুনলে রতনের পাথুরে বুকের ভিতরে আউলা বাতাস বয়ে যায়। মালতীর কাজলা চোখে ঘনীভূত মেঘেদের আকুতি। স্খলিত আঁচলের পাহারা গলে উপচে পরা মধুভাণ্ডের ডাক রতনকে আউল বাউল করে তোলে। জাল ফেলা পেশিবহুল শরীর অবশ হয়ে আসে। ক্ষণিকের দ্বিধা ঝেড়ে ফেলে বউকে কাছে টানে। আদর করে বলে, চিন্তা করিসনি। একদম চিন্তা করিসনি, সোনা বউ। কাইল সন্ধ্যি, খুব বেশি হলি পরে পরের দিন দুকুরের মধ্যি বান্দা তর বুকের মধ্যি হাজির। কতা দিলাম।
আরও দামাল হচ্ছে নদী। রেজাবুলের বলা ‘আল্লার কী মতি কে জানে’ যেন একঝলক বিদ্যুতের মতো বুকের মধ্যে আছড়ে পড়ে। জেদ করে বের হয়েছে বটে, বুকের মধ্যে একটা অজানা আশঙ্কা আকাশের মেঘের মতো গুড়গুড় করছে। তাছাড়া কানাইদার জন্যেও একটা চিন্তা রয়েছে। ওর বয়েস হচ্ছে। আগের মতো ঝড়ঝাপটার ধকল নিতে পারে না। কানাইদার ইচ্ছেও ছিল না। রতনের জেদের কাছে হার স্বীকার করে অনিচ্ছাসত্ত্বেও সঙ্গ দিয়েছে।
– ঠিক আছে চল। ঠিকই কইচিস, ঘরে বসি থাকলি কিছু হবেনি। বড়টার বে দিতি হবে। পয়সার দরকার।
গতবছর দুজনে মিলে আগের নৌকাটা বিক্রি করে আরও বড়সড় মজবুত নৌকা কিনেছে। নৌকার জন্য ব্যাঙ্কের ধার শোধ করা বাকি। নূতন জাল কিনেছে। জালের দাম রহমানদা ধার দিয়েছে। মহাজন হিসেবে রহমানদা মানুষটা খারাপ না। মায়ামমতা আছে। আপদে বিপদে, দরকারে অদরকারে এদের টাকা পয়সা দিতে দু’বার ভাবে না। অবশ্য এটাও ঠিক রতন, কানাইদের সুনাম আছে। ঠিক সময় সুদসমেত ধার শোধ করে দেয়।
– পুরন্দর আসতিসে গো কানাইদা…
– সে তো আসতিসে, কিন্তু হেই দূরে পুলিশ লঞ্চ মনে হচ্ছে না? রতনা, একখান দুইখান লয় রে, তিন তিনখান…
– ব্যাপার কী দাদা?
– কী আবার? ঝড়ের মধ্যে বেইরেছিস। ধমক খেতি হবে। ফেরত যেতি হতি পারে।
কানাইয়ের ধারণাই সত্যি হল। দুটো লঞ্চে পুলিশ আর লাইফবেল্ট-সহ ডুবুরি। অন্য লঞ্চটাতে এডিএম, এসডিপিও, অ্যাডিশনাল এসপি। প্রথম লঞ্চ থেকে কোস্টাল থানার বড়বাবু মাধব পুরকাইত বাজখাঁই গলায় ধমক দিয়ে ওঠে।
– তোমাদের সাহস তো বড় কম নয়, কানাই। মাইকে এত করে অ্যানাউন্স করার পরেও বেরিয়েছ। এক্ষুনি নৌকা ঘোরাও!
মাধব পুরকাইত এই এলাকায় অনেকদিনের দারোগা। পথঘাট, জেলেদের নাম, ঠিকুজি কুষ্ঠি সব ওর মুখস্থ। রতন কিছু বলতে যাচ্ছিল, তার আগেই আবার জোর ধমক,
– কোনও কথা নয়। এক্ষুনি নৌকা ঘোরাও। তা নাহলে নৌকা সিজ় করে নেব।
কানাই উঠে এসে রতনের হাত চেপে ধরে। ইশারায় কিছু বলতে বারণ করল। বড়বাবুকে বলল,
– আজ্ঞে বড়বাবু আপনের আদেশ শিরোধার্য। ফেরত যাচ্ছি। কিসু হয়েসে নাকি? সাহেবরাও রয়েছেন দেকচি। অ্যাতো সেজিগুজি যাচ্চেন।
বিষণ্ণ মুখে রতন ততক্ষণে প্রাণপণ চেষ্টায় নৌকার মুখ ঘুরিয়ে ফেলেছে। তাই দেখে বড়বাবু কিছুটা নরম হল। বলল,
– মেসেজ এসেছে নৌকাডুবি হয়েছে। শুনেছি বাংলাদেশ থেকে বেআইনিভাবে ঢুকেছিল। এদিকে কোনও বিয়ের অনুষ্ঠানে আসছিল। যাই হোক, কোনও খবর পেলে, বডি টডি দেখতে পেলে থানায় খবর দিও। সাবধানে ফিরে যাও। আমরা চাই না তোমাদের ক্ষতি হোক।’
আরও পড়ুন: অঞ্জন বন্দ্যোপাধ্যায়ের ছোটগল্প: সাঁতার
বড় সাহেবদের লঞ্চ আগেই এগিয়ে গিয়েছিল। বড়বাবুর লঞ্চও এগিয়ে গেল। ইতিমধ্যে ঝড়ের তাণ্ডব বেড়েছে। রতন প্রাণপণে বৈঠা ঠেলে চলেছে। ঝোড়ো বাতাসের আওয়াজের সঙ্গে জলের উথালি পাথালি বেড়ে চলেছে। হাওয়ার দাপটে চোখ মেলা দুষ্কর হয়ে পড়ছে। রতনের বারণ সত্ত্বেও কানাইও বৈঠা চালাচ্ছে। একটা সুবিধা হয়েছে। ঝড়ের অভিমুখে চলার কারণে নৌকাটা যেন এক ক্ষুধার্ত হাঙরের মতো ছুটছে। রতনের কাছে সেলফোন আছে। মালতীর দুশ্চিন্তাগ্রস্ত মুখখানা মানসচক্ষে ভেসে উঠল। ওকেও একটা কমদামি মোবাইল কিনে দিয়েছে। সে তো ভয়ে একসা।
– ইসব আমি পারবনি।
রতন যত্ন করে ফোন রিসিভ করা, কল করা আর কী করে চার্জ করতে হয় শিখিয়েছে। কখনও সখনও কানাইয়ের কান এড়িয়ে আদি রসাত্মক প্রেমালাপ। নিজেকে রিচার্জ করে নেয়। ঘরের আলোছায়ায় বেচারি হয়তো সিঁটিয়ে আছে। কিন্তু এখন এই অবস্থায় ফোন বের করার অর্থ অনেকটা মূল্যবান সময়ের অপচয়। শ্লথ হবে ফেরার গতি।
***
ঝড়ের দাপট প্রায় স্তিমিত। এদিক ওদিক ছোট বড় ডালপালা ভেঙে পড়ে আছে। একটা শান্ত স্তব্ধ রূপ। দুজনের ভেজা শরীরে শীত শীতে শিহরণ। নৌকাটাকে মোটা কাছি দিয়ে বেঁধে কানাই ঝোলা থেকে একটা বোতল বের করল।
– রতনা, একবারে ভোর হলি পরে বাড়ি যাবখন। শরিলটা একটু গরম না করলি লয়।
কথাটা রতনের মনঃপুত হল। গায়ের ফতুয়া খুলে দু’জনে ঘাটের শেডে গিয়ে বসল। এই মেহফিলে কোনও আইসকিউব থাকে না। থাকে না খিদে উসকে দেওয়া কোনও কাবাবের গন্ধ। সরাসরি গলায় ঢালা।
– হ্যাঁরে রতন, রেজাবুলদের কী খপর বল তো? পুলিশ লিশ্চয় ওদেরও ফেরত পাঠিয়েচে।
– অন্য কোন ঘাটে নাও বেঁধেছে হয়তো।
আঁধার কেটে যাচ্ছে। রাতের গভীর নিদ্রা শেষে সূর্যদেব আড়মোড়া ভাঙছেন। রতন বলল,
– চল কানাইদা, ঘরে চল।
কানাই সাড়া দিল না। একদৃষ্টে ঘাটের থেকে খানিক দূরে কিছু নিরীক্ষণ করছে।
– রতনা, ভাল কইরে দ্যাখ দিনি ওইটা। লাশ মনে হচ্ছি না? মেইয়েছেলের মতন লাগে।
রতন দৃষ্টি সজাগ করে। কানাইদার চোখ যেন বাজপাখি।
– ঠিক বলেছ গো কানাইদা। এস দিনি। যদি পরাণ থাকে!

কানাইয়ের জন্য অপেক্ষা না করে কাদার মধ্যে হ্যাঁচোড় প্যাঁচোড় করতে করতে এগিয়ে যায় রতন পাড়ের দিকে। কাছে গিয়ে বিদ্যুৎস্পৃষ্টের মত চমকে ওঠে রতন। এক কাতে হাঁটু মুড়ে কাদার মধ্যে শুয়ে আছে বছর সাত আটেকের এক জলপরি। ঝুঁকল রতন। গলার নিচ দিয়ে একটা হাত ঢুকিয়ে মাথাটা কিছুটা তুলে নাক আর বুকের কাছে মুখ নিয়ে নিরীক্ষণ করল। ততক্ষণে কানাইও চলে এসেছে। ভোরের আলোর উদ্ভাস রতনের চোখে মুখে। উত্তেজিত গলায় বলে,
– বেঁচে আছে গো, বেঁচে আছে। পেটের জল বের করতি হবে।
কাদা থেকে তুলে এনে ঘাটে শুইয়ে নানাভাবে জল বের করতে লাগল রতন। কানাই ক্রমাগত কখনও হাতের পাতা, কখনও পায়ের পাতা ঘষতে ঘষতে মেয়েটির কানের কাছে কোমল স্বরে ডেকে যেতে থাকে। বেশ খানিকক্ষণ কসরত করার পরে ছোট্ট শরীরটা নড়ে ওঠে।
– গরম দুধ পেলি ভাল হত। ভিজা জামা ছাইড়ে সারা শরিলে গরম তেল মালিশ, ব্যাস।
আরও দামাল হচ্ছে নদী। রেজাবুলের বলা ‘আল্লার কী মতি কে জানে’ যেন একঝলক বিদ্যুতের মতো বুকের মধ্যে আছড়ে পড়ে। জেদ করে বের হয়েছে বটে, বুকের মধ্যে একটা অজানা আশঙ্কা আকাশের মেঘের মতো গুড়গুড় করছে। তাছাড়া কানাইদার জন্যেও একটা চিন্তা রয়েছে। ওর বয়েস হচ্ছে। আগের মতো ঝড়ঝাপটার ধকল নিতে পারে না। কানাইদার ইচ্ছেও ছিল না। রতনের জেদের কাছে হার স্বীকার করে অনিচ্ছাসত্ত্বেও সঙ্গ দিয়েছে।
রতন বিহ্বল চোখে কানাইয়ের দিকে তাকায়। সেই চাউনিতে সমর্থনের প্রত্যাশা। পরম যত্নে তুলে ধরা ছোট্ট শরীরের দিকে চেয়ে বিড়বিড় করে। আবছাভাবে কানাইয়ের কানে আসে
– টুসি! টুসি!
দীর্ঘদিনের সাথী কানাই। এই দৃষ্টি চেনে। কিছু বলতে চায়। বলতে চায়,
– এ যে পরের ধন। পরের ধনকে আপন করতে নেই রে রতনা!
বলতে পারে না। সাহস হয় না। উল্টে চোখের পাতার মৃদু পতনে যেন সম্মতির বার্তা। মেয়েটাকে বুকের মধ্যে তুলে নিয়ে হরিণ গতিতে এগিয়ে যায় রতন।
সেদিনও নিজের আদরের কন্যার থেঁতলে যাওয়া মাথাটা বুকের মধ্যে চেপে ধরে উন্মাদের মতো ছুটেছিল এক পিতা। সেদিনও আইলার প্রবল আঘাতে উত্তাল ছিল পৃথিবী। কোন ফাঁকে চার বছরের টুসি সবার চোখ এড়িয়ে ঘরের বাইরে পা রেখেছিল। ভেঙে পড়া ডালে কচি মাথা ভেঙে চৌচির। মহকুমা হাসপাতালে পৌঁছনোর আগেই বাপের বুকের মধ্যে নিষ্প্রাণ হয়ে গেছিল ছোট্ট শরীরটা। কানাই জানে ক্রমশ দূরে মিলিয়ে যেতে থাকা অবয়বটার গন্তব্য এবার কোনও হাসপাতাল নয়। বিভ্রান্ত কানাই বুঝে উঠতে পারে না কোন মায়ায় রতন নিজেকে জড়াতে চলেছে। আর সেই সঙ্গে মালতীকেও। শূন্য দৃষ্টিতে ওপরের দিকে তাকাল কানাই। বিড়বিড় করে বলল,
– ঠাকুর, তোমার লীলা বোজার খ্যামতা আমার নাই। যা ভাল বোজো করো। খালি বুক ভাঙা মানুষ দুটোর দুঃখ আর বাড়িওনি বাপু।
*ছবি সৌজন্য: Saatchiart, Pinterest, Artpal
পার্থ রায়ের জন্ম আসামে। সুরেন্দ্রনাথ কলেজ থেকে স্নাতক। পশ্চিমবঙ্গ পুলিশের বেতার বিভাগে কর্মরত। বিভিন্ন লিটিল ম্যাগাজিন ছাড়াও আনন্দবাজার পত্রিকা, সানন্দা, অদ্বিতীয়া, আজকের সম্পূর্ণা, তথ্যকেন্দ্র এবং উত্তরের সারাদিনে গল্প, কবিতা প্রকাশিত হয়েছে। রা-প্রকাশনী থেকে প্রথম গল্প সংগ্রহ প্রকাশিত হয়েছে।