কাকলি গানের বাড়ি – [পর্ব ১]
জুড়ান রায় বলত, তার কাছে খবর আছে পালোধীরা কলকাতায় এসেছিল বাক্স ভর্তি লুঠের সোনাদানা নিয়ে। কতদিন আগের কথা এসব। সত্য মিথ্যা যাচাই হয়নি কোনওদিন। আবার জুড়ান যে ঠিক বলছে, তার প্রমাণ কে দেবে? জুড়ান রায় ঈর্ষায় ওসব কথা বলত না যে, তাই বা কে বলবে? একজন হিন্দু মুসলমান হয়ে আবার হিন্দু হয়ে যেতে পারে? দেশ এক নয় বলে পেরেছে, না হলে পারত না। জুড়ান রায় বলে, সবই একদিন জানা যাবে। সত্য কোনওদিন চাপা থাকে না।
জুড়ান এখন বুড়ো হয়ে গেছে। অবস্থাও বিশেষ ভাল না। পুরনো যে আধো-অন্ধকার ফ্ল্যাটে এসে উঠেছিল তার বাবা, পূর্ব পাকিস্তানে আয়ুব খাঁর শাসন শুরু হলে, ১৯৬০-৬২ নাগাদ, সেই ফ্ল্যাটেেই থাকে এখনও। তার বাবার একটি চায়ের দোকান ছিল বাজারে ঢোকার মুখে। তিনি বাজারের সমস্ত সবজি বিক্রেতা, মাছ- মাংস বিক্রেতাকে চা দিয়ে বেড়াতেন সারা সকাল। জুড়ানও তাই করেছে। চা-বিস্কুট বিক্রি করেই জুড়ানের বাবা বিপিনবাবু সংসার চালাতেন। যে ফ্ল্যাটে ভাড়া থাকত তারা, সেই ফ্ল্যাট কিনতে পেরেছে জুড়ান সস্তায়। অন্ধকার, বাতাস ঢোকে না। তার ভিতরে কাটিয়ে তো গেল জীবনটা। নিজের বলে আর বিশেষ কিছু নেই তার। সে পরোয়াও করে না। নেই তো নেই, সকলের কি থাকে সব কিছু?
টাটার নিজের প্লেন আছে, পালোধীদের আছে? সে নীলমাধবের সঙ্গে কোনওদিন মেশেনি। বলেছিল, তাকে একদিন নীলাম্বর পালোধী ডেকেছিল, সে যায়নি। একদিন গাড়িতে লিফট দিতে চেয়েছিল, সে নেয়নি। ওপার থেকে বড়লোক হয়ে এপারে এসেছে পালোধীরা। যশোর যাও, মধুতলা যাও, সব খবর পাবে। যশোর কোর্টে যে মুহুরিরা বসে, তাদের কাছে খোঁজ নিলেই জানা যাবে সব। কিন্তু কে যশোর যাবে সীমান্ত পেরিয়ে? সীমান্তের ওপার মানে যোজন যোজন দূর। আর পালোধীরা আসার পর এখানকার সার্বজনীন দুর্গোৎসব খুব নাম করেছে। কলকাতার দুর্গোৎসবের মানচিত্রে জায়গা পেয়েছে। একবার কোন কোম্পানির প্রাইজও পেয়েছে। আগে কোনওদিন এসব হয়নি।
নীলাম্বর পালোধী শেয়ার বাজারে টাকা খাটাতেন। তা ব্যতীত আর কী করতেন, সব অজানা। শোনা যায় কলকাতার সন্নিকটে অনেক জমি কিনেছিল নীলাম্বর। পরে তা প্লটিং করে করে বিক্রি করে টাকা করেছে। খুব দূরদৃষ্টিসম্পন্ন মানুষ। ভিআইপি রোড হচ্ছে, মানে মাটি পড়েছে, তার গায়ে কেষ্টপুর খাল। খালের ওপারে বালির মাঠে নগরায়ন শুরু হচ্ছে। আগাম বুঝতে পেরেছিলেন কী হতে যাচ্ছে পূর্ব কলকাতা। সবই জুড়ান রায়ের খবর। তারা যশোর থেকে এসে কিছুই করতে পারেনি। জুড়ান ডি-গ্রুপ কর্মচারি। তার দাদা দোকান কর্মচারি। বিয়ে করে আন্দুলে শ্বশুরবাড়ির সামান্য জমি আর বাড়ি পেয়েছে। বোন থাকে বাঁকুড়ায়। অবস্থা বিশেষ ভাল না। জুড়ান এসব বলেই যেন গায়ের ঝাল ঝাড়ত।
নীলাম্বরের দুই ছেলে। যমজ। নীলমাধব আর নীলরতন। মেয়ে বড়, নীলাঞ্জনা। নীলরতন, নীলমাধবের কত হাত খরচ সেই সময়ে! কী ঠাঁট-বাট! পোশাক-আশাক! আমি তো টিউশনি করে পড়া চালাতাম। কয়েক বছরের ভিতরেই নীলমাধব ঢুকল কর্পোরেশনে। যে ডিপার্টমেন্টে ঢুকেছিল, প্রচুর ঘুষ। নীলরতন আরও ক’বছর বাদে আলাদা হয়ে চাকরি নিয়ে দিল্লি চলে যায়। যমজ দুই ভাইকে চেনা যেত শুধু গোঁফে। নীলমাধবের গোঁফ ছিল না, নীলরতনের ছিল। নীলমাধব চকরাবকরা শার্ট, বেলবট্ম প্যান্ট পরত। নীলরতন সাদা পছন্দ করত। এসব বাদ দিয়ে দু’জন একদম এক রকম।
নীলরতন মেধাবী ছিল। শান্ত, চাপা স্বভাবের ছিল। তার মুখ থেকে বাংলাদেশ, পাকিস্তান, মুক্তিযুদ্ধ নিয়ে একটি কথাও বের করা যায়নি। সে কিছুই বলত না। তবে এটুকু বলেছিল, তাদের বাড়ি ছিল মধুতলা গঞ্জ থেকে অনেকটা ভিতরে মধুখালি বলে এক গ্রামে। সে গ্রামের ইস্কুলে পড়ত। এই পর্যন্ত। কলকাতায় আসার আগে সে কোনও শহরে আসেনি। দালানবাড়ির পাকা মেঝেতে শোয়নি। কিন্তু একেবারে উলটো ফাটাত নীলমাধব। তারা নাকি জমিদার ছিল, তাদের দালান নাকি ছিল তিন মহলা! দিঘিতে কত মাছ ছিল, গোয়ালে কত গরু ছিল, নাকি জমি ছিল ২০০ বিঘের উপর! সেই সব ব্যবস্থা করেই এসেছে। কিছু জমি দখল করে নিয়েছে রাজাকারের দল। খবর পাঠিয়েছে তার বাবা ইন্ডিয়া গভর্নমেন্ট মারফত। টাকা আসবে। শেখ মুজিব নাকি তার বাবাকে চিনত। তবে সে কোনওদিন ঢাকায় যায়নি। কিন্তু যাবে এইবার। শেখ মুজিবের সঙ্গে দেখা করতেই যাবে।
জুড়ানের বাবার একটি চায়ের দোকান ছিল বাজারে ঢোকার মুখে। তিনি বাজারের সমস্ত সবজি বিক্রেতা, মাছ- মাংস বিক্রেতাকে চা দিয়ে বেড়াতেন সারা সকাল। জুড়ানও তাই করেছে। চা-বিস্কুট বিক্রি করেই জুড়ানের বাবা বিপিনবাবু সংসার চালাতেন। যে ফ্ল্যাটে ভাড়া থাকত তারা, সেই ফ্ল্যাট কিনতে পেরেছে জুড়ান সস্তায়। অন্ধকার, বাতাস ঢোকে না।
নীলরতন তার অংশ দাদাকে ছেড়ে দিয়ে দিল্লিবাসী। আর নীলাঞ্জনাও তাই। সে থাকে বিদেশে। আমেরিকার ওদিকে। নীলমাধব প্রায়ই বলে, আমেরিকা যাবে, লাস ভেগাস যাবে, ফ্লোরিডা যাবে, সান দিয়েগো যাবে। সান ফ্রান্সিস্কো, লস এঞ্জেলেস। আমরা নামগুলোই শুনি। নীলমাধব সেই কাকলি গানের বাড়ি ভেঙেচুরে দুটি টাওয়ার তুলেছে জি প্লাস ১২ করে। বাড়ির নাম মণিমালিকা অ্যাপার্টমেন্ট। প্রাচীর দিয়ে ঘেরা। সব এগারোশো-বারোশো বর্গফুটের ফ্ল্যাট। আসলে কাকলি গানের বাড়ির ভিতরে অতটা জমি যে ছিল, তা জানা ছিল না আমাদের। অনেকটা বাগান। মেমসায়েবের দেশের উইলো গাছ ছিল নাকি! ওক গাছ ছিল। আর ছিল দেবদারু। আম, কাঁটালও ছিল। সবই নীলমাধবের মুখে শোনা। ভিতরে ব্যাডমিন্টন কোর্ট ছিল। এসব নীলমাধবের কথা। আমরা জানি না।
এখন কথা হবে, গানের বাড়ি ভেঙে মণিমালিকা অ্যাপার্টমেন্ট নিয়ে। এই আবাসন হয়েছে কয়েক বছর। নিজের বউয়ের নামে আবাসনের নাম দিয়েছে। বেঁচে থাকতেই তার নামে এই হাউজ়িংয়ের নাম করেছে নীলমাধব। নীলমাধবের বাবা নীলাম্বর বেঁচে নেই। খুব বড় করে শ্রাদ্ধ হয়েছিল। তখন নাকি ওপার থেকেও লোক এসেছিল। জুড়ান রায় বলে, রাজাকারেরা এসেছিল, তারা কট্টর পাকিস্তানি, কট্টর মোল্লা, এখনও ভাবে পাকিস্তান ফিরে আসবে। তারা এসে দোয়া করেছিল নীলাম্বর পালোধীর হয়ে। জুড়ান খুব বানিয়ে বলে মনে হয় আমার।
এত সময় জুড়ান আর তার কথা নিয়ে কাটিয়ে দিলাম। কথা আসলে চঞ্চলচন্দ্রকে নিয়ে বলতে বসেছিলাম। একদিন নীলমাধব সকলকে নিয়ে প্রাতঃভ্রমণ করতে করতে বলে উঠল,
– লোকটা খুব স্বার্থপর।
– কোন লোকটা নীলমাধব? কার্তিক দত্ত জিজ্ঞেস করেন।
– বলব, সব খোঁজ পাই বলব। নীলমাধব থেমে গেল বিড়বিড় করতে করতে, ডাউটফুল।
নীলমাধব সেই কাকলি গানের বাড়ি ভেঙেচুরে দুটি টাওয়ার তুলেছে জি প্লাস ১২ করে। বাড়ির নাম মণিমালিকা অ্যাপার্টমেন্ট। প্রাচীর দিয়ে ঘেরা। সব এগারোশো-বারোশো বর্গফুটের ফ্ল্যাট। আসলে কাকলি গানের বাড়ির ভিতরে অতটা জমি যে ছিল, তা জানা ছিল না আমাদের। অনেকটা বাগান। মেমসায়েবের দেশের উইলো গাছ ছিল নাকি! ওক গাছ ছিল।
অনন্ত বিশ্বাস রোডের পশ্চিম দিকের নীলাম্বর আবাসনে থাকা আমার সঙ্গে এখন কাকলি গানের বাড়ির নীলমাধব প্রাতর্ভ্রমণ সারে। সেই আবাসনের আর একটি টাওয়ারের সপ্তম তলে থাকেন চঞ্চলচন্দ্র চন্দ্র। সংক্ষেপে সিসিসি। ‘সিসি টিভি’ বলে বিদ্রুপ করে নীলমাধব। লোকটা স্পাই হতে পারে। কিসের স্পাই, কাদের স্পাই, তা অবশ্য বলে না। সেই টাওয়ারের নবম তলে দুটি ফ্ল্যাট নীলমাধবের। একই বাড়ি। চঞ্চলচন্দ্র রোগা, লম্বা, বয়স হবে সত্তরের কাছে, তিনি নাকি একা থাকেন। একা রেঁধেবেড়ে খান, বাজার করেন। সারাদিন বাড়িতে যে থাকেন, তা বলা যায় না। তিনি নিশ্চয় কোথাও যান, কাজে কিংবা অকাজে। তাঁর নিশ্চয় বন্ধু বা আত্মীয় আছে, যাদের সঙ্গে তিনি মোবাইল ফোনে কথা বলেন। তিনি যে চঞ্চলচন্দ্র চন্দ্র, তা তাঁর লেটার বক্স থেকে নীলমাধব মারফত আমরা জেনেছি। লেটার বক্সে চিঠি না আসুক ইলেক্ট্রিক বিল আসবে, ল্যান্ড লাইন থাকলে সেই টেলিফোনের বিল আসবে, জীবন বিমার নোটিস আসবে, পত্রিকার গ্রাহক হলে তা আসবে।
চিঠি যদিও এখন খুব কম আসে। মোবাইল ফোন এবং ঘরে ঘরে টেলিফোন আসার আগে চিঠি যাওয়া আসা করত। এখন পোস্টকার্ড, নীল ইনল্যান্ড লেটার, সাদা এনভেলপ পাওয়া যায় কিনা, জানি না আমরা। এখন প্রেমপত্র লেখা হয় কিনা, জানি না। নীলমাধব বলে, মেসেজ হয়। মেসেজে ছবি যায়। প্রেম নিবেদন হয়। হোয়াটসঅ্যাপ জানেন আপনারা? প্রশ্ন নীলমাধবের। হোয়াটসঅ্যাপ জানে সকলেই। যাদের ছেলে মেয়েরা বাইরে থাকে, তাদের সঙ্গে কথা বলা হোয়াটসঅ্যাপে হয়। বিমলবাবুর নাতি হয়েছে দূর শিকাগোয়, নাতির মুখ দেখেছেন হোয়াটসঅ্যাপে। ইন্টারনেট সংযোগ সকলেরই রয়েছে। আমার মনে পড়ে, যখন চাকরি করতে গিয়েছিলাম, সেই প্রায় পঞ্চাশ বছর আগে, তখন পোস্ট অফিস ভরসা। মেদিনীপুরের চিঠি কলকাতায় আসতে দিন পনেরো লেগে যেত। এখন মুহূর্তেই খবর চলে যায়। যুগ কত বদল হয়ে গেল।
আমরা সবাই বুড়ো হয়েছি। এই কাহিনি বুড়োদের কাহিনি। বাতিল মানুষের কাহিনি। এই সব মানুষের কাজ নেই বিশেষ, বলতে গেলে সব কাজ শেষ। এখন গেলেই হয়। যাবে কোথায়? পৃথিবীর মায়া যে খুব! এখন এই বুড়োরা অবসর জীবন যাপন করছে। শরীর ধীরে ধীরে নড়বড়ে হচ্ছে। কেউ কেউ হরেক রকম ওষুধ খায়। কেউ কেউ খবর পায় তার অমুক বন্ধু, অমুক কলিগ মারা গেছে। কয়েক মুহূর্তের জন্য বিষণ্ণ হয়, তারপর মৃত্যুসংবাদ ভুলে যায়।
এই কাহিনি তাদের কাহিনি। এ পাড়ার সেই বুড়োদের বেশ কয়েকটা দল আছে। তারা সকালে হাঁটে, বিকেলে হাঁটে, দুপুরে অল্প ঘুমোয়, রাতে ঘুমোয় জাগে, জাগে ঘুমোয়। যে সময় ঘুমের দরকার হয়, সে সময় কারওরই প্রায় টানা ঘুম হয় না। তাদের কেউ একটানা ঘণ্টা দুই ঘুমিয়ে একবার ওঠে, আবার ঘুমিয়ে আবার ওঠে। কেউ ঘুমের পিল খেয়ে একটানা পাঁচ-ছ ঘণ্টা ঘুমিয়ে শেষ রাতে ওঠে। রাতে শোয়া-ওঠাই বড় সমস্যা অনেকের। কেউ কতবার যে ওঠে রাতে!
চঞ্চলচন্দ্র সেই দলে আছে কিনা, তা আমাদের জানা নেই। লোকটার সুগার আছে, না প্রেশার আছে, তা আমরা জানি না। হার্টবিট নিয়ে কোনও সমস্যা আছে কিনা, আমরা জানি না। লোকটার ভুলো মন আছে কিনা, তাও জানি না। ভুলো মন হল ভুলে যাওয়ার প্রবণতা। নাম মনে করতে না-পারা। আমাদের যেমন হচ্ছে এখন। পুরনো কথা মনে পড়ে, কাছের কথা ভুলে যাই।
এই সেদিন এক ভদ্রলোকের সঙ্গে দেখা শ্যামবাজারে, মুখ চেনা, আমার কলিগ ছিল, নাম মনেই করতে পারলাম না। দু’দিন বাদে মনে এল, হরিজীবন সাধুখাঁ। এমনি হয় আমার যেমন, তাদেরও তেমন হয়। বিশ্বনাথ বসুকে একদিন দেখলাম আমাদের পাড়ায়। সে আর তার স্ত্রী। বিকেলে। ফিরছিল। থাকে তো জানি টালিগঞ্জে। আমরা একসঙ্গে বালুরঘাটে চাকরি করেছি। আমাকে চিনতে পারেনি যে, তা বুঝতে পারলাম কথা বলতে গিয়ে।
– আপনি এ পাড়ায় থাকেন? ভাল আছেন?
বিশ্বনাথ মনের ভিতরে হাতড়ে দেখছিল আমার মুখ উদ্ধার করতে পারে কিনা। এত চেনা, না-চেনার ভিতরে আমার কিন্তু মনে আছে শ্যামাশ্রীকে। কে শ্যামাশ্রী? বলব। সময় দিন। কিন্তু মনে রেখে কী হবে? এত বছর বাদে আমি কি চিনতে পারব তাকে, না সে চিনবে আমাকে? হায়রে জীবন!
অমর মিত্রের জন্ম ১৯৫১ সালে বসিরহাটে। তবে বহুদিনযাবৎ কলকাতাবাসী। ১৯৭৪ সালে 'মেলার দিকে ঘর' গল্প দিয়ে সাহিত্যিক হিসেবে আত্মপ্রকাশ। প্রথম উপন্যাস 'নদীর মানুষ' ১৯৭৮ সালে প্রকাশিত হয় অমৃত পত্রিকায়। প্রথম গল্পের বই 'মাঠ ভাঙে কালপুরুষ'-ও ১৯৭৮ সালেই। রাজ্য সরকারি চাকরি করেও আজীবন সাহিত্যসাধনায় ব্রতী। ২০০৬ সালে 'ধ্রুবপুত্র' উপন্যাসের জন্য পেয়েছেন সাহিত্য অকাদেমি পুরস্কার। ২০০১ সালে বঙ্কিম পুরস্কার পেয়েছেন 'অশ্বচরিত' উপন্যাসের জন্য। এছাড়াও ২০০৪ সালে শরৎ পুরস্কার ও ২০১০ সালে গজেন্দ্রকুমার মিত্র সম্মান পেয়েছেন তিনি।
এই পর্বের কাহিনি নীলাম্বরের দুই যমজ ছেলে নীলমাধব আর নীলরতনের।শেষে লেখক পাঠকের মনে প্রশ্ন উসকে দিয়ে গেলেন।শ্যামাশ্রী কে?অনুতোষের সঙ্গে তার কীসের সম্পর্ক!সেই কথায় শুনব পরের কোনো পর্বে।অপেক্ষা রইলাম পরের পর্বের জন্য।