একটি কবিতার বই হাতে এল, পরম্পরা প্রকাশনের, যে-বইয়ের নাম ‘আমি ফের অসম্ভবে।’
নামকরণটি আমার মনকে আকর্ষণ করে নিল প্রথমেই। বইয়ের প্রবেশক কবিতা হিসেবে দু’টি মাত্র কবিতার লাইন ব্যবহার করা হয়েছে, বইটির একদম প্রথমে, একটি সাদা পৃষ্ঠার একেবারে তলার দিকে লাইন দু’টি মুদ্রিত। পাঠকের সামনে আগে তুলে দিই সেই লাইন দু’টি:
ভোরের ট্রেনে পালিয়ে যাব ভিন-স্টেশনে নেমে
সাত পা হাঁটলে যৌথ চারণ, নাম দেব না প্রেমের
আমার মনে পড়ল এক বহু প্রচলিত প্রবাদের কথা। সাত পাঁ হাটলে বন্ধু হয়। এই অনবদ্য দু’টি লাইনের মধ্যে সেই প্রবাদটিকে গোপনে ঢুকিয়ে দেওয়া হয়েছে। এবং বন্ধুত্ব আর প্রেমের মিলেমিশে যাওয়া আবার ভিন্নতা বজায় রাখা –– এই দু’টি মনোভাবই তো যৌবনের সম্পর্কগুলির মধ্যে প্রবেশ করে, আবার দূরেও সরে যায় –– এমন একটি জটিল অথচ অমোঘসুন্দর হৃদয়বৃত্তিকে খুবই সংযত একটি পরিসরে প্রকাশ করা হয়েছে এই দুই লাইনে। এই দু’টি লাইন পড়ে আমি মুগ্ধ হয়ে গেলাম। তারপর পড়ে চললাম বইটির কবিতাগুলি।
কিছু কিছু লেখা পাঠকদেরও জানাতে ইচ্ছে করছে। যেমন একটি কবিতা এই রকম:
তোমায় নিয়ে পালিয়ে যাওয়ার ইচ্ছে আমার অনেকদিনের
সত্যি বলছি, খোদার কসম
মানছ না যে!
এই দেখ এই সূর্য ডোবে মানুষবিহীন সাগরতটে
ফোন বেজে যায় ফোন বেজে যায় —
ব্যস্ত কাজে?
ইচ্ছে হলে পাল্টে নিও পুরনো সব লেখার খাতা
কেউ কি আমার, যারা আমায়
হাসায়, কাঁদায়?
যেমন জ্বলো আলোর মতো রাত্রি বা দিন অনিঃশেষে,
তেমন করে নিশুত রাতের
ট্রেন চলে যায়।
লাস্ট স্টেশনে দাঁড়িয়ে থাকা, বোকার মতো, বুকের ক্ষত
সারিয়ে তোলার কারণ তো নেই
নতুন করে,
দু-এক কলি রবি ঠাকুর চলকে ওঠা গলার কাছে
হে উদাসীন, ঠোঁট পেতেছি
ঘুমের ঘোরে।
অসাধারণ সুন্দর এই প্রেমের কবিতাটির নাম ‘তালসারি থেকে।’ নির্ভুল ও শ্রুতিমধুর এই কবিতার ছন্দ প্রথম লাইন থেকেই পাঠকের মন টেনে নেয় ‘তোমায় নিয়ে পালিয়ে যাওয়ার ইচ্ছে’-র কথাটি উল্লেখ করা মাত্রই। ছন্দের মাধুর্যে বাঁধা থাকলেও এ লেখা একমাত্র প্রতি স্তবকের শেষের দিকে অন্ত্যমিল ব্যবহার করে নিজেকে সম্পূর্ণ করেছে। বাকি লাইনগুলোর মধ্যে অন্ত্যমিলে ঘন ঘন ব্যবহার না-থাকায় একটি উচ্চাবচ ধ্বনিসুষমা তৈরি হয়ে উঠেছে।

এর পরে যে কবিতাটি পাঠকদের পড়াতে ইচ্ছে করছে, সে লেখাও এক অবাক করা কবিতা। কবিতার নাম ‘বোরো ধানের মাসে’:
পায়ে পায়ে পথ চলেছি আমরা ক’জন
দু’ধারে ধানজমি আর বসতভিটে
গড়িয়ে দুপুর এবার বিকেল হবে
আকাশের পশ্চিমে ওই আসকে পিঠে।
চই চই খয়েরি হাঁসের পালক জুড়ে
সোনালি রোদের মতন ইচ্ছেডানা
দলছুট চড়াইপাখির আস্কারাতে
খুঁটে খাই সবজি খেতের মটরদানা।
দেখি এই কয়ালপাড়ার মধ্যেখানে
খড়ো ঘর আগলে রাখে ইন্দুমতী
‘মে’র নাম কী রেখেছ মন্টুর মা?’
শুধোলে আলতো জানায় –- ‘সরস্বতী’
স্বামী তার আরব গেল সোনার কাজে
ছেলে তিন, তখন মাসিক বন্ধ দু’মাস
পৌষেই সরস্বতীর পাঁচ পেরল
ঘরে তাই আতপ চালের অচিন সুবাস।
উঠোনে চাটাই পেতে আমরা সবাই
‘এতসব কোথায় পেলে ইন্দুমতী?’
‘সারাদিন বাসন মাজি ছয়বাড়ি আর
খিচুড়ির ইশকুলে যায় বুদ্ধিমতী।
মে’ আমার খুব সেয়ানা, হ্যাঁ গো দিদি
বলেছে চাঁদ পেরবে আমায় নিয়ে’
কালোরঙ হাড্ডিসারের সরস্বতী
শোনে আর ভীষণ হাসে খিলখিলিয়ে।
এ গ্রামেও শিল্প হবে, মোটরগাড়ি
ইন্দুর কলাই থালায় তৃপ্ত আহার,
কয়ালের পাড়ায় পাড়ায় কল্পনারা
এ ভাবেই স্বপ্নে ডিঙোয় চাঁদের পাহাড়।
এ লেখা আগের কবিতাটির মতো ব্যক্তিগত প্রেমবাসনার কবিতা নয়। এই কবিতা বলছে গ্রামজীবনের কথা, অভাবগ্রস্ত এক মা-মেয়ের জীবন ও তাদের স্বপ্ন দেখার কাহিনির বিবরণ আমরা পাচ্ছি এখানে। প্রথমেই বলে রাখি, আদ্যপর্বিক স্বরবৃত্ত ছন্দের চমৎকার ব্যবহার পাওয়া যায় এ কবিতায়। উপরন্তু প্রথম স্তবকের শেষে এসেই দেখা যায় অত্যাশ্চর্য একটি চিত্রকল্পের প্রয়োগ। ‘আকাশের পশ্চিমে ওই আসকে পিঠে।’ আসকে পিঠে যাঁরা খেয়েছেন, তাঁরা জানেন, চালের গুঁড়ো জলের মধ্যে খুব ঘন করে গুলে নিয়ে মাটির সরায় রেখে উনুনে তপ্ত জাল দিয়ে গোল গোল একরকম পিঠে বানানো হয়, যা মাটির সরার আকার পায়। সূর্যের আকার যেমন। আখের গুড় বা খেজুরে গুড় দিয়ে এই পিঠে খেতে হয়। গুড়ে মাখালেও লালচে দেখায় আসকে পিঠেকে। পশ্চিমে ঢলা পড়া সূর্যকে আসকে পিঠের সঙ্গে তুলনা করা হয়েছে এমন অন্তত আমি আমার পড়া কোনও বাংলা কবিতায় দেখিনি। এই চিত্রকল্পটি সত্যিই অভিনব।
এরপর কবিতাটির মধ্যে প্রবেশ করলে আমরা কয়ালপাড়ার কথা পাই। কয়ালপাড়া নিশ্চিত কোনও গ্রামের নাম। এই কবিতা চলেছে চার লাইনের স্তবকবন্ধ অনুসরণ করে। প্রতি স্তবকের দ্বিতীয় এবং চতুর্থ লাইনে অন্ত্যমিল রাখা আছে। এইসব অন্ত্যমিল এমন স্বাভাবিক ও স্বতঃস্ফূর্ত যে আলাদা করে কোনও অন্ত্যমিল কবিতাকে ছেড়ে উঠে দাঁড়িয়ে নিজেকে নির্দেশ করে না। লেখার মধ্যেই মিলেমিশে যায়। এই কবিতায় সংলাপের ব্যবহারও আছে। সেই সংলাপের আসাযাওয়াও অত্যন্ত স্বাভাবিকভাবেই ঘটেছে। যেমন: ‘মে’র নাম কী রেখেছ মন্টুর মা?’ এখানে মেয়ে কথাটি না-লিখে মেয়ে শব্দটির পরে একটি অ্যাপোস্ট্রফি বা ঊর্ধ্বকমা ব্যবহৃত হয়েছে। তার ফলে ছন্দের টানে খুব মানিয়ে গেছে সংলাপটি। কথ্য বুলির টানও এসেছে সুন্দরভাবে। কবিতার সূক্ষ্ম কারিগরিবিদ্যা এই কবি, অবন্তিকা পাল, যত্নের সঙ্গে আয়ত্ত করে নিয়েছেন, সে কথা স্পষ্ট বোঝা যায়। এই ‘মন্টুর মা’ যার নাম ইন্দুমতী, যার মেয়ের নাম সরস্বতী, তার স্বামী আরবদেশে সোনার কাজ করতে চলে গেছে। ছেলের যখন তিন বছর বয়স, সেই ইন্দুমতী যে তখনও আবার গর্ভধারণ করে রয়েছে, এ-কবিতা ইঙ্গিতে সেই সংবাদও জানিয়ে রাখে পাঠককে। মেয়ে বড়, যার নাম সরস্বতী, সে ইশকুলে যায়, এমন ইশকুল যেখানে মিড-ডে মিলে খিচুড়ি দেওয়া হয়। এই মন্টু আর সরস্বতীর মা ছয় বাড়ি কাজ করে, বাসনমাজা, ঘর মোছার কাজ। তবু কবি অবন্তিকা পাল, এই মা-মেয়ের দারিদ্রপীড়িত জীবনকে কোনও অন্ধকারের মধ্যে নিমজ্জিত রেখে কবিতাটি সম্পূর্ণ করেননি। কলাই করা থালায় ইন্দুমতী তৃপ্ত হয়ে আহার করে। মানে এনামেলের থালায়। মেয়ে মা-কে স্বপ্ন দেখায়। ভবিষ্যতের উজ্জ্বল আলোর স্বপ্ন। কবিতার শেষের দিকে উল্লেখ না-থাকলেও আমরা ধরে নিতে পারি, আরব থেকে কিছু উপার্জন করে মেয়ের বাবা একদিন তার গ্রামে ফিরে আসবে আবার। তখন তাদের পরিবার দেখতে পাবে সুদিনের মুখ। পাশাপাশি, এ-কবিতা কোনও অনুমানের সাহায্য ছাড়াই এ কথাও জানিয়ে দিতে ভোলে না, ‘এ গ্রামেও শিল্প হবে মোটরগাড়ি।’
সবদিক থেকে সমসময় সম্পর্কে এক সচেতনতা পাওয়া যায় অবন্তিকার কবিতায়। যেমন আমাদের সমকালীন দু’জন গুরুত্বপূর্ণ শিল্পীর অকালপ্রয়াণ অবন্তিকাকে শোকাহত করে। কিন্তু আমরা সে কথা কীভাবে জানতে পারি? অবন্তিকা তাঁর কবিতায় দু’জনের প্রতিই শোকগাথা অর্পণ করেছেন, কিন্তু কারও নাম উল্লেখ করেননি। দু’জনের একজন কবি ও কথাসাহিত্য রচয়িতা। অন্যজন চলচ্চিত্র পরিচালক ও পত্রিকা সম্পাদক। নবারুণ ভট্টাচার্য এবং ঋতুপর্ণ ঘোষ। নবারুণ ভট্টাচার্যের একটি কবিতার বইয়ের নাম ‘বুলেটপ্রুফ কবিতা’ এবং পরিচালক ঋতুপর্ণ ঘোষের একমাত্র গ্রন্থের নাম ‘ফার্স্ট পার্সন।’ এই গ্রন্থনাম দু’টি অবন্তিকা ব্যবহার করেছেন তাঁর দু’টি কবিতার শিরোনাম হিসেবে –– তলায় ছোট অক্ষরে লিখে দিয়েছেন, এই দুই মহৎ শিল্পীর মৃত্যুর তারিখ দু’ টি। নবারুণ ভট্টাচার্যকে নিয়ে তিনি যে কবিতাটি লিখেছেন সেটি ছয় মাত্রার মাত্রাবৃত্তে রচিত এবং ঋতুপর্ণ ঘোষের তর্পণ তিনি করেছেন একটি সাত মাত্রার মাত্রাবৃত্তের কবিতায়। ছন্দে অবন্তিকার হাত অত্যন্ত স্বচ্ছন্দ। আমি অবাক হয়ে গেলাম, একটি কবিতায় তিনি চার মাত্রার মাত্রাবৃত্তকেও ব্যবহারে এনেছেন দেখে। চার মাত্রার মাত্রাবৃত্তের প্রয়োগ সচরাচর চোখে পড়ে না। কবিতাটি থেকে একটুখানি বলছি।
কান্নার গুঁড়ো তুমি এভাবে ভিজো না
দুই হাতে অম্লান বৃষ্টির জল
সাদাকালো কালশিটে কোমরের দাগে
ভেবে দেখ কী রঙিন ব্যথা সম্বল
… …
এইবার তোরঙের রংচটা ঘুমে
দেখে নেব কত আর কালশিটে বাকি
তর্জনী তুলে ধরা অভ্যেস জানে
ডানাভাঙা একা কাক কতটা একাকী।
কবিতাটির নামটিও আমাদের আশ্চর্য করে: ‘ছাদকে লেখা চিরকুট।’
আমাদের মনে থাকতে পারে কয়েকবছর আগে কলকাতার তরুণ-তরুণী ছাত্রছাত্রীদল ‘হোক চুম্বন’ নামে একটি মিছিলে শামিল হয়েছিলেন। সেই ‘হোক চুম্বন’ নামেই একটি কবিতা লিখেছেন অবন্তিকা। তারও কয়েকটি লাইন তুলে দিই:
ঠোঁটে ঠোঁট রেখে দিন গুজরান মানে
গোপনে ছোঁয়ানো অবাধ্য হাত মানে
পুরনো আকাশি ডেনিম জেনেছে কিছু
ইদানীং কিছু সাদা পাঞ্জাবি জানে।
তবু এইভাবে নীরবতাগুলি ঘটে
তবু এইভাবে মুখরতাগুলি ঘটে
ভাঙা পাঁচিলের গা বেয়ে সন্ধ্যা এলে
আমিও সত্যি বলে দিই অকপটে…
‘আমি ফের অসম্ভবে’ নামক এই কাব্যগ্রন্থটির একেবারে শেষ কবিতাটি আমি পাঠককে পড়াতে চাই, তার আগে বিশেষভাবে উল্লেখ করতে চাই কবিতার শিরোনামটিকে: ‘অপুরুষতান্ত্রিক প্রেমিকের বয়ানে।’ আশ্চর্য না নামকরণটি? এ কবিতাও নির্ভুল সাত মাত্রায় রচিত। কবিতাটি এই রকম:
বাদামি চুলে ঘেরা লালচে আলো তুই
দীঘল দু’টি চোখ ছলাৎ ছল
এ বুকে মুখ গুঁজে চুপটি করে থাক
এখানে কষ্টের গল্প বল।
যে তোকে ছেড়ে গেছে বেবাক অসময়ে
তাকেই ভালোবেসে অন্তরীণ
শব্দ বুনে বোঝাই অহরহ
আমার বুনো হাঁস, মায়াহরিণ
আমিও কিনে দেব রথের মেলা থেকে
কাচের চুড়ি আর চায়ের কাপ
দু’জনে কাজে যাব, সাজাব সংসার
আদরে রেখে দেব জলের ছাপ
কোথায় যাবি ছেড়ে নোংরা এ নগরে
বরং ক্ষতগুলো চিনবি আয়
যে তোকে কাছে টানে কান্না তারও আছে
সেও তো তোরই মতো নিঃসহায়!
এই কবিতা স্নেহে-প্রেমে-করুণা-কান্নায় এমন মানবিক এক আর্তি তৈরি করে যে এর লেখককে একজন যথার্থ কবি বলে স্বীকার করে নিতে আমরা বাধ্য হই। একবিংশ শতাব্দীর প্রথম দশকের এই কবি অবন্তিকা পালের একটি অসামান্য কবিতা তুলে দিয়ে আমি আজকের ‘কবিতার সঙ্গে বসবাস’ রচনাটি সাঙ্গ করব। এ কবিতা পড়ে আমার ধারণা, পাঠকও এক অনির্বচনীয় প্রেমের বিস্ময়ে হতবাক হয়ে থাকবেন। মানুষের মধ্যে যে কারও কারও জীবনে প্রেমসম্পর্ক উভগামীও হতে পারে, এ-লেখা সেই সংকেত পাঠককে পাঠায়।
পাপড়ি এবং পরাগরেণুরা ছুঁয়ে ছুঁয়ে গেলে শোক
আমাদের ঘুম গল্পের মতো, পালকের মতো হোক।
তুই এসেছিলি? তুমি বা আপনি? প্রসাধনহীন গালে
হাত রেখেছিলি? পেতেছিলি ঠোঁট সচেতন আবডালে?
কিছুতেই মুখ মনে পড়ছে না। মালবিকা? মুজাফর?
দেখেছি দু’হাতে ঈশ্বরী কাঁদে, দুই পায়ে ঈশ্বর!
জয় গোস্বামীর জন্ম ১৯৫৪ সালে, কলকাতায়। শৈশব কৈশোর কেটেছে রানাঘাটে। দেশ পত্রিকাতে চাকরি করেছেন বহু বছর। আনন্দ পুরস্কার পেয়েছেন দু'বার - ১৯৯০ সালে 'ঘুমিয়েছ ঝাউপাতা?' কাব্যগ্রন্থের জন্য। ১৯৯৮ সালে 'যারা বৃষ্টিতে ভিজেছিল' কাব্যোপন্যাসের জন্য। ১৯৯৭ সালে পেয়েছেন বাংলা আকাদেমি পুরস্কার। দেশ বিদেশ ঘুরে বেড়িয়েছেন কবিতার সাহচর্যে। ২০১৫ সালে উত্তরবঙ্গ বিশ্ববিদ্যালয় থেকে সাম্মানিক ডি.লিট পেয়েছেন।
অসাধারণ লাগছে শ্রদ্ধেয় কবির তরুণ কবিতা লেখকদের মর্মের প্রতি এই অনুভব, এই ভালোবাসা দেখে৷ আমি এই পর্বগুলি পড়ি আর নবীনদের জন্য গর্বিত হই৷ অবন্তিকা পাল যেই হোন, তাঁর জন্যেও আমার গর্ববোধ হয়৷
জয় গোস্বামীর কবিতা কথা ও নতুন কবি খোঁজা বরাবরের মতই অসাধারণ। অবন্তিকা পাল এর কবিতাও মনে থেকে যাওয়ার মত
অবন্তিকা , আপনার কবিতাগুলো সবসময়ই চরিত্রগুলোর কাছে পৌঁছে দেয় কখনো বা নিজেই আপনার চরিত্র হয়ে পড়ি গ্রামের খোড়োচালের নিচে অথবা সত্যিই শীতের দুপুরে মাটির উঠোনে একথালা পান্তা ভাতে। আপনার মনের রং জীবন পাতায় অবিরত আঁকতে থাকুক এই সব ছবি । ভালো থাকুন ।
তরুন কবি অবন্তিকা পালের কবিতাগুলো অসাধারণত্বের দাবী রাখে। সঙ্গে উপরি পাওনা কবি জয় গোস্বামীর গভীর অনুভব। যা অতিরিক্ত শক্তি যোগায়।
আমার শব্দপথ পত্রিকায় অবন্তিকা পালের কবিতা প্রকাশ করেছি।